অ্যাশট্রেতে জমানো ছাই
.... ঋষি
আজ বিকেলের রৌদ্র ফুরোনো নিঃশ্বাস বেয়ে একটা অবচেতন সিঁড়ি
তোমার বাড়ির ড্রইংরুমে আটকে গেছে।
সেখানেই শুরু হাইওয়ে,ক্রমশ আসা যাওয়া ,অন্তিম নিশ্বাস
বিশ্বাসে প্রাচীন উপন্যাস।
অনেকটা সন্নাসীর মতো বাঘ ছাল আঁকড়ে জমানো যন্ত্রনা
কিছু এসপিরিন পোড়ানো ঘুমের ওষুধ ,
অসংখ্য নাস্তিক অসভ্য রক্তপ্রবাহ ছিঁড়তে চাইছে সময়ের পাঁচিলটা।
এই স্নায়বিক আন্দোলন ছিঁড়তে চাইছে
তোমার জালিকাযুক্ত রক্তপ্রবাহ ,নিঃশ্বাসের বিষ
শেষ আট বছর তোমার শরীরে শুধু সাজানো আতরের গন্ধ।
.
কতগুলো মন খারাপের ঠিকানা আমার ব্যস্ত জানলায়
তোমার স্নানের ঘরের আয়নাটাতে ফিরতে চাইছে
এক মায়াবী সকালে।
আশেপাশে অসংখ্য প্রজাপতি গুঁটি ভেঙে ক্রমশ আকাশ ঢেকে দিচ্ছে
এমন কখনো ভাবিনি আগে
কিছু পাশ না করা সার্টিফিকেট
আমাকে ভেজাচ্ছে আজ মেয়েটির আঙ্গুল বেয়ে ক্রমশ নদী।
.
গর্ভাশয় থেকে রুপোর কাঠি গড়িয়ে
আমার লোমকূপ ছেড়ে উঠে আসছে গুঁড়ো গুঁড়ো থার্মোমিটার।
আমার শরীরে স্নান করছে সেই আদিম যুবতী
যার জন্ম আদমের হাড়ে শুধু বিস্তীর্ণতায়।
ঘুম আসছে না আজ বহুদিন
লাল হয়ে যাচ্ছে গ্রীষ্মের নাভিকূপ ,মায়াবী থালার শীতার্ত পরিবেশন
খৃষ্টপূর্ব লাল স্তন,পিন্ড পিন্ড যৌনতা।
রূপকথার সালোকসংশ্লেষ বসেছে
রাক্ষস তাল ,সুর আর সময় ,
তোমার মাংসল ড্রয়িংরুম থেকে আমি ঢুকে যাচ্ছি আমাদের বিছানায়
আমার হাতে পোয়েটিক অ্যাশট্রেতে ,জমানো ছাই
আজ বাদে কাল রাতে আবার পুড়বো
যেমন পুড়ি রোজ তোমায় নিয়ে ,পুড়তে চাই।
No comments:
Post a Comment