পাগলের প্রলাপ
... ঋষি
আমি কোনোদিন এরোপ্লেনের জানলায় বসি নি
তবে পাখির চোখে বসে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখেছি বহু গভীরে।
এই বিষয়ে বন্ধুদের আড্ডায় উঠে এসেছিল
রাজদ্বীপ নাকি পাখি হয়ে গেছে ,
ও এখন দূর থেকেই সব দেখতে পারে অনেক গভীরে
এমনকি বুঝতে পারে সন্দীপনের রাতজাগার নারীসংক্রন্ত দুঃখগুলো।
সবাই হাসছিলো
হাসি বলতে মনে পড়লো আজকাল আমরা হাসতে ভুলে যাচ্ছি
সত্যি সত্যি হাসি নাকি আজকাল রামগরুড়ের ছানা
আর আমরা সব হাস্যকর।
আমিও কবে যে শেষ চলন্তিকাকে মন হাসতে দেখেছি
মনে পরে না আজকাল আমাদের কথা ,
আমরা কেমন জানি প্লাস্টিকের পৃথিবীতে
প্লাস্টিক হাসিতে বদলে গেছি।
এরোপ্লেনের জানলা দিয়ে আকাশ দেখা
দূরে সবুজ ঘাস ,নীল জল ,আলাদা পৃথিবী ,আলাদা রং ,স্বপ্নের মানুষ
কেমন যেন উপন্যাসের পাতা।
ভাবছি অনেক কবিতা হলো এইবার একটা উপন্যাস লিখবো
সবচেয়ে উপরে লিখবো মানুষ।
আজকাল চলন্তিকা ঘুম আসে না আমি পাখির চোখে একটা ন্যাংটো রাষ্ট্র দেখি
দেখি সেখানে অসংখ্য মুখোশের মানুষ।
সাজানো সম্পর্ক ,ঘরের ভিতর ঘর ,ভাঙা দরজা ,গোপন জানলা
আর অজস্র সাজানো নীতিকথা
কথার উপর কথা
তারপর মিথ্যে কথা ।
চলন্তিকা বলে আমি নাকি পাগল হয়ে গেছি
আমি হাসি আর ভাবি
ইশ যদি সবাই তোমাকে ভালোবেসে আমার মতো পাগল হতে পারতো।
No comments:
Post a Comment