Saturday, January 4, 2020

কবিতার মৃতদেহ



কবিতার মৃতদেহ
... ঋষি

যতবার আমি সময়ের মুখোমুখি হয়েছি
কুড়িয়ে এনেছি মৃত্যু।
প্রথম যেদিন কবিকে দেখেছিলাম বইমেলায় ভেবেছিলাম ঈশ্বর
তারপর ঈশ্বরের জন্মগুলো কখন প্রেমিকা হয়ে গেলো।
কলেজে পড়া মেয়েটি পালালো কোনো এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে
আমি দাঁড়িয়ে থেকে গেলাম কবির পাশে
একই রাস্তায় স্ট্রিটলাইটের আলোতে।
.
আলো  বলতে মনে পড়লো
কবির ছেচল্লিশ ইঞ্চি বুকের ভিতর শুয়ে আছে আউদিপাউস
নবারুণ ভট্টাচার্য
কিনু ময়রার গলি আর নকশাল পাড়া।
আলো জ্বলছে বুকের ভিতর শুয়ে আছে কবির মৃতদেহ শহরের ট্রামলাইনে।
একবার মাপতে চেয়েছিলাম ট্রামলাইনের চাকা
হাঁপিয়ে গেছি
বিপ্লবের মৃতদেহ দেখে।
.
বিপ্লব বলতে মনে পড়লো সাঁওতালদিঘিতে ভেসে ওঠা তিনদিনের পচা মৃতদেহ
পায়ে পায়ে সাঁওতালি নাচ ,ঝুমুরের তাল
তারপর শহরের ঘরের কোনে  জ্বলে উঠলো ছেচল্লিশ পাওয়ারের বাল্ব
কবির বুক।
আলোর কবিতা লিখবো বলে
পথচলা
অথচ
সময় ছিঁড়ে ফেলেছে রাষ্ট্রের  স্তন ,চোখে ,ঠোঁট
বেশ্যাপল্লী থেকে তুলে এনেছে বিপ্লবের মাকে ,যার পেটে পাঁচ ভাতারি সন্তান।
কবি ক্লান্ত ,আমি ক্লান্ত
খালি পৃথিবীর হাঁড়িতে চাপানো ষড়যন্ত্র চিৎকার করছে ,
লোভ দেখাবার ছল
ফাঁকা হাঁড়ি খিদে উড়ছে আকাশে কালো ধোঁয়ায়।
পরে আছে কবিতার মৃতদেহ অন্ধকারে
আলো খুঁজছে কবি।

No comments:

Post a Comment

অন্য খোঁজ

ইদানীং আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না চুপ থাকি, আসলে এই চুপ করে থাকার মধ্যে এক সমুদ্র, কোলাহল বলতে এখন পা ছুঁয়ে সরতে থাকা জল। এক আলোকবর্ষ আনন্দ যন...