ম্যাজিশিয়ান
... ঋষি
জীবনের কুয়াশা সরাতে সরাতে
প্রতিটা রাস্তার ভাঁজে ,আমার জামার আস্তিনে অন্ধকার জমা হয়।
জমা হয় এই শীতকালে সময়ের চামড়ায় ভাঁজ
পায়ের গোড়ালিতে ফাটা দাগ
আর
আরো অনেক পথ চলা।
পথ চলতে চলতে দেখা হয়ে যায় আমার এক ম্যাজিশিয়ানের সাথে
ম্যাজিশিয়ান খুলে ফেলে তার ঝুলি।
আমার জামার বোতাম খুলে দেখিয়ে দেয় জন্মদাগ
আমার সময় খুলে দেখিয়ে দেয় বাঁচার অভাব ,
তারপর সেই ম্যাজিশিয়ান হাসে
ঈশ্বরের মতো
বাইরে পৃথিবীতে তখন ঝরতে থাকে শীতের বাতাস
শুকনো পাতা
আর মৃত মন।
ম্যাজিশিয়ানকে দেখতে অনেকটা ঈশ্বরের মতো
আমার চোখে চোখ রেখে সে প্রশ্ন করে কি চায় ,কিসের অভাব ?
জাগলিং করতে করতে আমার ক্ষতদের দিকে তাকিয়ে বলে
সেরে যাবে
ভালো করে ঘুমোও সেরে যাবে।
আমি রাতে আমার ঘুমের মাঝে হঠাৎ দেখি সেই ম্যাজিশিয়ান
উল্টে দেয় তার ম্যাজিকের ঝুলি ,
সেখানে ম্যাজিক টুপি ,ম্যাজিক লাঠি আর একটা সাদা খরগোশ আর পায়রা।
খরগোশটা দৌড়ে ঢুকে যায় একটা অন্ধকার রাস্তায়
পায়রাটা হঠাৎ দানা ঝাপটায় ,আকাশের দিকে উড়তে চায়
তারপর অন্যভ্যাসে মাটিতে পরে যায়।
ম্যাজিশিয়ান তার লাঠি ঘুরিয়ে বলে গিলিগিলি গে
হঠাৎ
কালো টুপির থেকে খরগোশটা বেরিয়ে আসে।
No comments:
Post a Comment