সৌজন্যবোধ
... ঋষি
সৌজন্যবোধে লিখে দেওয়া বুকের ভাষা
তখন সন্ধ্যে সাতটা ,সাড়ে সাতটা ,
প্রতিদিন আসে ,কিন্তু এমন আসে না বহুদিন আজ বহুযুগ।
আমার উল্টোদিকের চেয়ারে বসে সময়ের মুখ
অবিশ্রান্ত শহরের দেওয়াল লিখনে লিখে চলা একটা পরিচয়
একজন নারী
আদতে জন্ম হয়তো জীবন ,বেঁচে থাকা।
.
প্রথম দেখা
না এমন নয় নারী চিনি না আমি ,চিনি নারী শরীরও
তবু সময়ের আঙ্গিকে সাড়ে সাতশো চেতনার মৃত্যুতে
উঠে আসা আর্তনাদ
বাঁচতে চাওয়া।
শহর চলছে গতিতে ,চতুর্থ ফ্লোরের মলের কাঁচের বাইরে
কোনো কিছু বদলায় না কোনোদিন
যেমন নারীর তিনশো পঁয়ষট্টি কেবিনের লুকোনো চুপকথা।
.
চোখে চোখ
হাতের উপর হাত ,ঠান্ডা আঙ্গুল
মিষ্টি গন্ধ ,
আমার বেওয়ারিশ সভ্যতায় কফিনের ভিড়ে সাড়ে ছাব্বিশটি করোটি
আমাকে ঘিরে তাদের উন্মাদ ,নগ্ন নৃত্য তখন ।
এই শহরের কবিতায় আমি মৃত্যু লিখেছি বহুবার ২১১ বাসের ড্রাইভার হয়ে
কিংবা কোনো স্বপ্ন সেই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুটার চোখে ,
তবে সেদিন প্রথমবার আমার মৃত্যু লেখা হচ্ছিল তার চোখের চাহুনিতে
সময়ের কালো কাজলে আমার বুকের ভাঁজে শিরশিরানি নির্ভরতায়।
সিসিলি দ্বীপে সেদিন শুরু হয়ে গেছিলো সময়ের জন্ম উৎসব
সৃষ্টি জন্মেছিল সেদিন নারী বুকে পুরুষের আদিম কবিতা হয়ে
আর পুরুষ তখন মত্ত জীবনের ভূমিকায় কবিতার শব্দে।
No comments:
Post a Comment