গুডমর্নিং সভ্যতা
... ঋষি
আমার মাথায় একটা চায়ের বাগান
আমি চা শ্রমিক ,চা বাগানের কোনো লেপ্চা রমণী আমার গৃহিনী।
আমি চায়ের পাতা ছিঁড়ি ,শুকিয়ে
আমার পাহাড়ি ঢালের ঝুলন্ত প্রকৃতির বাড়িতে সসপেনে চা বানায়
ছিটিয়ে দি সভ্যতা বুকে
পাহাড়ি সময়ের উপর থেকে বলি
গুডমর্নিং সভ্যতা।
দিনের শেষে আমি বাড়ি ফিরি
সেই লেপ্চা রমণী খুলে দেয় তার চুল ,শরীরের কাপড়
আমি প্রকৃতি দেখি।
তারপর হঠাৎ আমার খিদে পায়
আমি হিস্র পাহাড়ি চিতার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ি
রমণীর বুকে ,
রমণের সুখে
আমি ভুলে যায় সভ্যতাকে অন্ধকার বলতে।
আমার পেটের ভিতর একটা নদী আছে
নদীতে রুপোলি মাছ ,পাহাড়ি সভ্যতার ঢাল বেয়ে গড়িয়ে নামে।
আমার সেই লেপ্চা গৃহিনী ,প্রকৃতি বটে
জলবায়ুতে যার গভীর হাত ,হাত আমার সময়ের ভিতর।
আমি সভ্যতাকে গুডমর্নিং বলি
তবু সভ্যতা জাগে না
তবু মানুষের ঘুম ভাঙে না।
মানুষ চায়ের সাথে খবর গেলে ,শুনতে চায় দিনবদলের কাব্য
অথচ কবিতা যে কখন কাব্য হয়ে গেলো
মানুষ খবর রাখে না।
খবরে ঠিক ততটুকু পড়ে ,ঈশ্বর যতটুকুতে সন্তুষ্ট
বাকি টুকু পরে থাকে
পাহাড়ের ঢালে ,গলতে থাকা শীতকালের সাথে
আরো গভীর সময়ে ।
No comments:
Post a Comment