ন হন্যতে
... ঋষি
সময়ের কোনো নাভি নেই,
তবু প্রতিরাতে অজস্র স্পর্শে নিভে যায় শহরের বাতিগুলো।
রাস্তার লাইটপোস্টের হলুদ আলো লম্বা ছায়া ফেলে
পা মেপে হাঁটে
তারপর গিরগিটির মতো বদলে গিয়ে অন্ধকার হয়ে যায়।
শহরের রাজপথে তখন একলা দাঁড়িয়ে সময়
অপেক্ষা করে সকাল হবার।
.
বাসের খোলস বেয়ে নাগরিক স্পন্দন
এলোপথ ঘুরে আসে,শহরের কালো ধোঁয়া মেখে অন্য সময়।
ফিরে আসতে হয়
মহানগরের শিহরণ বুকে নিয়ে
তোমার দুই হাতের মধ্যে,নিজেকে গুছিয়ে রেখে,
যে পথ হাঁটা শুরু,
শেষ অনিবার্য ট্রামলাইন,
আর ন হন্যতে প্রিয় শরীরে।
.
ওরা আলোকে কবর দেবে বলেছিলো,
ওরা আলো নিভিয়ে শহরের রাস্তায় নীলডাউন করে আমাকে রেখেছিল ,
আমি সিঁড়ির কোণে দাঁড়িয়ে
গুনছিলাম জুতো ,তোমার আর তোমার অধিকারের।
তারপর দেখা হয়ে গেছে হঠাৎ চলে যাওয়া শীতে
আমার বুকে জমতে থাকা কফ।
হঠাৎ ঝিনুকের মার কথা আমার মনে পড়ছে
সেই বিহারি ,ইতর ভদ্রমহিলা
আর ঝিনুক সেই মেয়েটা যে ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখাতো আমায়।
দেশে থাকতে হয়
দশে থাকতে হয়
মহানগর থেকে উধাও হওয়া আলো খুঁজছি।
অথচ কারোর হুঁশ নেই
কী যেন হয়ে উঠছে সব,কবিতার মত
ঝিনুক আর ঝিনুকের মা বড্ড নিলজ্জ তাই না।
No comments:
Post a Comment