জতুগৃহ
... ঋষি
মাননীয় বিচারক
সময় অক্ষম হলে ভাবনারা সক্ষম হয়ে উঠে
যেমন অনিচ্ছারা অক্ষম হলে ইচ্ছারা আকাশ হয়ে উঠে,
শহরে দমকল এসে দাঁড়ায় মানুষের ইচ্ছায় পুড়ে চলে বস্তি বাজার
লাল তরমুজের মতো রঙের ভাবনারা ,
খিদের দুনিয়ায় দাগ টানে শহরের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে।
.
আজব চিৎকার
চেতনার শব্দরা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেয় ভাবনার দুনিয়ায়
যাত্রাপালায় রাজারা লড়ে যান জনতার হাততালিতে
খিদে তবু ধোপদুরস্থ সাদা জামা পড়া মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক
খালি পেটে থাকলেও
খিদের গন্ধে অভিনয় করে কিং লিয়ারের
.
মাননীয় বিচারক
পাহাড় ধস, নদী ভাঙন দেখলে মনে পড়ে যুগ যুগ ধরে ক্ষুদার্থ মানুষ
আর মধ্যবিত্ত ভাবনার শিষ্টাচার,
এই শহরের মেয়রদের লেখাপড়া বেশিদূর না থাকলেও
কোমরের জিনসের মাপে চাহুনি আছে
আছে তাদের জরায়ুতে কীটস ও এমিলি ডিকসন আর কিছু গৃহস্থ ভাবনা।
.
আমার কবিতা পড়ার দরকার নেই
আমি শুয়ে আছি ক্ষুদার্থ মধ্যবিত্তের চোখে ,
অনেক দিন টিপ্ কিনে না দেওয়া হয় নি চলন্তিকাকে
শুধু অভিমান জুড়ে আদরের লিপস্টিক মধ্যবিত্ত ভাবনায়।
মাননীয় বিচারক
আসলে সংসার সীমান্তে এসে আমি বুঝলাম মানুষের মধ্যবিত্ত শোক
আর গোপন যন্ত্রনায় বুঝলাম জতুগৃহ।
No comments:
Post a Comment