বাঁচার গল্প
... ঋষি
পুরোনো শব্দদের জং ধরা বিছানায় শুয়ে আছি
শুয়ে আছি সহস্র প্রাচীন কঙ্কালদের পাশে ,
রানু দি উঁকি দিয়ে বলে গেলো
আমি তো আছি ,আমি তোর দিদি ,আমি তোর নিকট আত্মীয়
মুখটা উড়ে চলে গেলো সময়ের মেঘে
বস্তুত আমার কোনো দিদি নেই এখনো।
.
শব্দরা সম্পর্কের মতো বাঁধ ভাঙা ভিড়
আমি শব্দের জাগলার
সত্য ,সময় ,সম্পর্ক ,প্রেম ,প্রকৃতি সব মিলিয়ে খেলা দেখায়
খেলে চলি ,
ভুল হয় নিজের গভীরে শুয়ে থাকা মলিন মুক্তি দেখতে
তাই আজকাল রাতেও আমি মহিন বাঁশি শুনতে পাই।
.
পুরোনো অধিকারগুলো জং ধরা বারান্দার রেলিঙে আকাশে দাঁড়ায়
নক্ষত্র খোঁজে মন
তবু নষ্ট হয়ে যায় প্রতিবার সিগারেট টানের পরে
সুখে ,অসুখে আরেকটু তেতো আমি,
শব্দদের বুকে অদ্ভুত এক রোগ
মন খারাপ।
চলন্তিকা সময়ের দুটো পোষা কুকুর আছে সাদা আর কালো
যাদের আমি রোজ বাবুদার চায়ের দোকানের পাশে বসে থাকতে দেখি ,
পথ চলতি মানুষ কিংবা চায়ের দোকানের কেউ ছুঁড়ে দেয় বিস্কুটের টুকরো
অমনি দৌড় বেঁচে থাকার ,
কুকুর দুটো জানে বাঁচা মানে আলো অন্ধকার
ওরা জানে বাঁচা মানে দিন আর রাত
ওরা জানে বাঁচা মানে ভালোবাসা আর মৃত্যু
আর জন্ম সেখানে একটা পরিকল্পনা
কিংবা
বাঁচার গল্প।
No comments:
Post a Comment