অক্সিজেনের কবিতা
... ঋষি
দূরে তাকিয়ে আছি
ওপাড়ার হলুদ ট্যাক্সিগুলো আজকাল ওলা ,উবেরে মরেছে
পাশে বসে ডিমে তা দিচ্ছে মুদির দোকানের অমিত
কারণ ডিম্ থেকে মুরগি
না সাধারণ থেকে শপিং মল ,
মশাই আজকাল বাঘের ডিমের সাথে মানুষেরটা ফ্রী থাকে শপিং অনলাইনে।
.
চায়ের দোকানের ববিন দা
আর দোকানের সামনে সেই লালু,ভুলু
কুকুরগুলো মরে না কিছুতেই ,কারণ কখন যে রং বদলায়
কিন্তু কুকুরগুলো ডাকতে ভুলে গেছে ,
রবিন দাকে বলতে শুনি প্রায় ধুর ধুর চা ওমলেট নয়
যদি কিছু পয়সা থাকতো পিৎজার বিছানা কিনতাম।
.
সব বদলাচ্ছে
বদলাচ্ছে পৃথিবী নামক গোলকটার উপর মানুষের বেঁচে থাকার বাসনা ,
বাক্সবন্দী জীবন
মুভির থেকে রেস্টুরেন্ট সব যে হাতের গলিতে,
কিন্তু আমার পাড়ার গলিটা
আজকাল বড় দুঃখী হয়ে যাচ্ছে।
দুঃখী হয়ে যাচ্ছে পাড়ার সামনের মাঠের বিকেলের শৈশব
আড়ালে আবডালে শুনি
খেলাধুলা করে কিছু হয় না
বরং নাচের স্কুল ,ড্রয়িং ক্লাস আর মোবাইল গেমে
নাকি পৃথিবী বদলাচ্ছে।
.
আমি দূরে তাকিয়ে আছি
এটা ২০২১ না ৪০৪৫ সাল যেখানে মানুষগুলো সব মেশিন ,
আমি বেঁচে আছি ,কারণ আমার কবিতা
আপনারা নেই
কারণ গ্লোবালাইজেশন।
যেখানে সেক্স থেকে প্রেমিকা সব সস্তায় পাওয়া যায় অনলাইনে
যেখানে রবিঠাকুর থেকে কোরিনাকাপুর সবাইকে পাবেন
পাবেন খেলার মাঠ ,সকালের সূর্য ওঠা দেখতে পাবেন যান্ত্রিক হাতের ছোঁয়ায়
যেখানে সন্তান জন্মাবে সাইন্সের ল্যাবে আপনার চাহিদা মত
যেখানে সম্পর্ককে পাবেন ধাতব শব্দে আরো আধুনিকতায় সুইচের অন অফে।
আপনারা সব ভীষণ স্বাধীন সবাই সেখানে
শুধু দুঃখ এই আর কি
অক্সিজেন
না অক্সিজেন পাবেন না মশাই ,
পাবেন না কোনো সৃষ্টি ,কোনো চমক ,কোনো স্পর্শ।
মেশিনের পৃথিবীতে তখন হয়তো আমার এই কবিতা পাবেন অনলাইনে
কিন্তু চলন্তিকাকে বুঝবেন না
কারণ আপনাদের সব লোভগুলো তখন আধুনিক
কিন্তু সাধারণ নয়।
No comments:
Post a Comment