কুকুরের চিৎকার
... ঋষি
মাসের শেষে মাইনে নিয়ে হেঁটে ফিরি কুকুরের মতো
নিজের লেজ কামড়াতে গিয়ে কামড়ে ধরি কস্মিন কালের স্মৃতি ,
স্মৃতিপদ্মে ভেসে ওঠা অকাল শৈশব
আমি মানুষের পায়ে কাছে বসে থাকি
কুকুর দেখবো বলে গভীর অন্ধকারে
তারপর অন্ধ হয়ে কবিতা লিখবো।
.
শব্দ নয় বিস্ফোরণ দরকার
না হলে আমার মৃত্যু হবে না সময়ের শ্মশানের আগুনে ,
আমার কপালের রক্ত তিলক ,
মায়ের মুখ
বলির পাঁঠা
আর নেশার জীবনে চলন্তিকা অনবদ্য কবিতা।
.
প্রতিদিন বিপ্লবকে মরতে দেখি অমিতের মুদির দোকানে
মানুষগুলো কুকুরের মতো শুকে চলে বিপ্লবের মাসিকের রক্ত ,
উপসনা আর উপচার একসাথে বাজে ধর্মের পীঠস্থানে
আর মানুষের পীঠস্থান বিজ্ঞপনী সভ্যতায়।
প্রতিদিন উপোস ভাঙার পর
মানুষগুলো সঙ্গম করে নিরুপায় ধর্ম আর সংস্কৃতির সাথে
তারপর চিৎকার করে
চিৎকার আমি শুনতে পাই মানুষের ঘৃণা ,লোভ ,আর কালান্তর
ঘড়ির কাঁটায় মহাদেব লিখতে থাকেন ধ্বংস
ধ্বংস
ধ্বংস
তারপর দেখি বাড়ির পোষা কুকুরটা তিনবার হিঁচকি তুলে মরে যায়
অথচ রাস্তার কুকুরগুলো চিৎকার করে চোখ বন্ধ করলেই।
No comments:
Post a Comment