ঈশ্বরের সন্তান
.. ঋষি
আমাকে কেউ ভালোবাসি বললে
মনে হয় উল্টে থাকা পৃথিবী নারী নিতম্বের ছায়া,
আমাকে কেউ ছায়ার কথা বললে
আমি দেখি আশ্রয়ে জমছে অজস্র দেনাগ্রস্থ নেশা,
আর আমাকে কেউ নেশার কথা বললে
বুককেশে আকাশ খুলে যায়, খুলে যায় আমার গভীরে পাপ।
.
আমার নিজের কোন নারী নেই
আমার নিজের কোন নদী নেই
আমার শব্দটা উচ্চারন করতে করতে আমার বুকে বারুদ
অনেকটা ডোরাকাটা বাঘের মতো দেখতে একটা হিংস্রতা,
চলন্তিকা বলে আমি পাহাড়ি আপেল
যা রোদ, জলে পচে গৃহস্থ সংসারী পেট হয়ে গেছে।
.
আমি তো ভেবেছিলাম বাঁচার রাস্তাটা আমার
কিন্তু পথ চলতি জানতে পারি পরচুলা পরে, সাজানো মেকআপে
ভারতবর্ষ বলে সময় দাঁড়িয়ে,
তারপাশে দাঁড়িয়ে রুগ্ন কিছু মানুষ যারা আমার দেশের সম্পদ।
এতটা পথ হেঁটে বুঝলাম
মানুষই মানুষকে লেখাচ্ছে, পড়াচ্ছে, কাঁদাচ্ছে,
বুঝলাম শরীরে দেশের মাটি থাকে, যাকে কংকাল বলেছিলো
বটতলার মেয়েছেলে গুলো।
আমি বমি গিলতে শিখি নি
তাই আমার বাগানে কোন গোলাপ ফোটে না
তাই আমাল মঞ্জিলের ঠিকানা সত্তরের কলকাতায় দাঁড়িয়ে
তাই আমার বিচার করে সমাজ বলে পাগলাগারদ।
.
আমাকে পাগল সাব্যস্ত করে
তবু আমার দুঃখ নেই,
আমার শহরের হাড়ে ২০৬ পরগনার আগুন ২৪ ঘন্টায় জ্বলে
আমি পাগল, তবুও চলন্তিকা আমাকে বলে
শান্ত হ
তোর লেখায় কলকাতা পুড়ে যাবে একদিন দেখিস
মশাল হাতে উঠে দাঁড়াবে মানুষ
ভারতবর্ষ একদিন পরচুলা মেকআপ ছেড়ে জন্ম নেবে
কোন ঈশ্বরের সন্তান হয়ে।
No comments:
Post a Comment