রামায়ণ
.. ঋষি
বারো পিছিয়ে শুরু করি
কিংবা দু পা এগিয়ে শুরু করি,
আমি ভালো নেই লিখতে আজকাল কাউকে প্রয়োজন নেই,
দেশ, সময়, ভাবনা, পরিধি কেউ না
এমন কি চলন্তিকা তুমিও না
প্রতিটি পথ চলা আজকাল মনে হয় আটত্রিশ পা পিছিয়ে শুরু করি।
.
আমি ভালো নেই
কোন ম্যাজিক ডিকসানারির ভিতর ভাঙাচোরা অনেকগুলো আসবাব,
সাধারণ গৃহস্থের হাঁড়িতে দেশ শুয়ে ছেঁড়া শাড়িতে,
রোজকার জীবনযাপন, বিলাদ ব্যাসন
না সমুদ্র কোথাও নেই, শুধু প্লাস্টিক জমে গেছে ভাবনার পুকুরে
নোংরা জলে আজকাল শহর শুয়ে থাকে নর্দমায়।
.
চলন্তিকা তুমি বলো বারো বছর, এক যুগ প্রায়
আমি পাথরের ভাস্কর্যে হৃদয় লুকিয়ে কবিতা লিখে যাবো,
অযোধ্যার মানুষগুলো সব রাক্ষস সেজে এই শহরের শাসন সামলাবে
সামলাবে মন্দির, মসজিদ, গীর্জায় বিবাহিত সমাজ।
আর আমার দেশ সাদা শাড়িতে প্রতিদিন পথ চলতে আরও একলা হবে
বুঝলে চলন্তিকা ভালো হবে
যদি আমি মরে যাই
হয়তো বা রামায়ণ আরেকবার লেখা হবে।
লেখা হবে ভালো থাকা
কিন্তু আজ আমি কি লিখতে পারি
একটা মৃত দেশের নাগরিক যখন গনতন্ত্র খোঁজে
তখন জনতার ঘরে সুইসব্যাংকে ঘুমিয়ে থাকে তোমার মুখ
চলন্তিকা আমি জানি তুমিও হাঁপিয়ে উঠছো আজকাল
আলতা পায়ে সাদা শাড়ি পড়তে।
No comments:
Post a Comment