জিন্দেগী ক্যাইসি এক পেহেলি হ্যা
.... ঋষি
ছেলেটা হঠাৎ ফুটপাথে দাঁড়িয়ে মেয়েটার উদ্দেশ্যে বলে
রেহেনা হ্যা তেরে দিলমে ,
আশ্চর্য ! রাস্তার পথচলতি লোকগুলো অবাক হয়
ছেলে ,মেয়েটার দিকে অদ্ভুত চোখে তাকায়।
একজন বৃদ্ধ পাশ দিয়ে যেতে যেতে ছেলেটার উদ্দেশ্যে বলে
দিলমে ,টিলমে বুঝি না বাবা
শুধু বুঝি এই জীবন পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তার নাম।
.
মেয়েটা ছেলেটার দিকে তাকায় বটে
তবে সে চোখে কোনো যন্ত্রনা ছিল না ,ছিল না ভালোবাসার ঘর
শুধু একটা পাখি ছেলেটার মাথায় হাগু করে দেয় ,
মেয়েটা হাসে
তারপর বেশ ফিল্মি পোসে বলে
ইশ দুনিয়ামে ওহি জিতে হ্যা জিসকে পাস্ নাম হ্যা ,পয়সা হ্যা
তুম্হারে পাস্ ক্যা হ্যা ?
.
ছেলেটা ভ্যাবলার মতো তাকায় মেয়েটার দিকে ,
একজন আটাশ বছর সংসারী মধ্যবয়স্কা মহিলা ছেলেটাকে বলে
বাবা সারাজীবন ধরে বুঝতে পারলাম না এই দিল ,টিল
আঠারো বছরে বিয়ে হলো ,চব্বিশে দুই বাচ্চার মা
তারপর ওই লোকটার সাথে হেসে ,খেলে ,ঝগড়ায় কেটে গেলো এতগুলো বছর।
ছেলেটা মাথা চুলকালো
তারপর আবার হঠাৎ চিৎকার করে বললো
আতি হ্যাঁ ক্যা খণ্ডালে ?
মেয়েটা এইবার বেশ চনমনে হয়ে উঠলো
বুঝলো ছেলেটা সময় হয়ে উঠেছে।
.
এর কিছুদিন পরে আবার সেই ছেলেটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে
অপেক্ষা করছিল অফিসে যাওয়ার বাসটার জন্য ,
সে হঠাৎ বাসস্ট্যান্ডের একপাশে দেখলো সেই মেয়েটাকে
তার হাত ধরে রয়েছে একটা বাচ্চা ,
ছেলেটা এগিয়ে গেলো মেয়েটার দিকে
বললো পুরনো আগের বাসটা কি চলে গেছে ?
মেয়েটা বেশ গম্ভীর মহিলার কণ্ঠে বললো
ইশ রাস্তেকা সভি লাইনে অভি ব্যস্ত হ্যা।
স্কুল বাস এলো মেয়েটা বাচ্চাটাকে বসে তুলে চলে গেলো।
.
এইবার আমি বলি
এগুলো কিছু মুহূর্ত ছিল ,এগুলো জীবনের টুকরো
জীবন এমন হয় না
কিউ কি
জিন্দেগী ক্যাইসি এক পেহেলি হ্যা
কভি তো হাসায়ে ,কভি তো রুলায়ে।
No comments:
Post a Comment