আফটার শক
.... ঋষি
.
একটানা বাজতে থাকা সাইরেন ,এম্বুলেন্স ,মৃত শরীর
আফটার শক
ছেলেটার বাবা খবরের পাতায় তুলে নিচ্ছে তার মেয়ের মৃত মুখটা
ছেলেটার সাথে মেয়েটার মুখের মিল,
নেই
পৃথিবীর দোরগোড়ায় আজ শুধু শোক ,
মুখে মাস্ক
মানুষগুলো সব প্লাস্টিকের মতো আবর্জনা এই পৃথিবীর।
.
এই পৃথিবীর সাতশো পঞ্চাশ কোটি মানুষ
আজও দূরত্বে দাঁড়িয়ে আয়না খুঁজছে নিজেদের ,
ফিরে আসা দারিদ্রতা
সময় আর অর্থনীতির মাঝে ফেঁসে যাওয়া মৃত্যুমুখী মানুষ।
বহুতল সভ্যতার নিচে চপা পড়া ২০২০
অনবদ্য একটা মৃত্যু সফরের আফটার শক
আমি সময়ের নাগরিক হয়ে বলতে পারি
উঠে দাঁড়াতে পারছি না।
.
আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে
আমার মতো একজন মেয়ে হারানো দরিদ্র পিতা এই পৃথিবীর মানচিত্রে
কোথায় বাঁচবে ?
কোথায় বাঁচবে মানুষ খিদে আর ভয়ের দুনিয়ায়
কাজ হারানো সেইসব মানুষগুলো।
আমি ঘরে বসে আছি আজ পাঁচ মাস জানলার পাশে
দেখতে পারছি একটা ঘোড়া ছুটছে তুমুল গতিতে পৃথিবীর ওপর দিয়ে
অজস্র শোক ,অজস্র মৃত মুখ
ব্যবহৃত মাস্কগুলো হাওয়ায় উড়ছে।
জানি না আগামী দিনকি একলা এই পৃথিবীটা শুধু বাঁচবে
আগামীদিন দিল্লী থেকে হিমালয় দেখা যাবে হয়তো ,
দেখা যাবে হয়তো বহুতল সভ্যতার উপরে কিছু মানুষ
নিচের দিকে তাকিয়ে বলছে
আহারে
আফটার শক
দেখো কত ক্ষুদার্থ মানুষ।
No comments:
Post a Comment