নারাজ জিন্দেগী
... ঋষি
.
কার উঠোনে মোমবাতি জ্বলছে?
কোথায় গলে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা লাল মোম আবিষ্কারে ?
মোমবাতি জ্বালানো একটি অভিযোগ।
সময়ময় বিষাক্ত যন্ত্রণার কিছু অভিশপ্ত বাঁচা আমার সারা শরীরে
ফোস্কা ,কিছুটা অবহেলা আর অভিশাপ
ঘর মোছা স্মৃতিদের আঁকড়ে রেখে বাঘের চোখে হরিনের রক্ত।
.
সময়ের চরিত্র পাল্টে গেছে কবিতায়
কবির চরিত্র না জানিয়ে বাজার করতে গেছে সাইকেল চড়ে
সাইকেলের স্পোকে বসে যাচ্ছে চলন্তিকা তোমার ঠোঁটের দাগ
আর সাইকেলের ক্রিং ক্রিং এ আমি শুনতে পারছি চিৎকার
বুক পুড়ছে সময়ের মোমে
আর একটা বারো বছরের শিশু অবুঝ ভাবে তাকিয়ে মায়ের চিতায়।
.
অস্থির পদাচরণ
ধর্ম অতি গভীরে কথা বলে চলেছে গভীরে আমার মায়ের কণ্ঠস্বরে
আর আমি মায়ের চিতায় আবারও খুঁজছি জন্ম ,
ফিরে আসতে চাই আবারও
আবারও এই শহরের রাজপথে মাঝরাতে মাতালের মতো চিৎকার করতে চাই
" এ জিন্দেগী গলে লাগা লে" ,
চিৎকার ফুরোচ্ছে না ,বাঁচা ফুরোচ্ছে না যে।
.
আমিও গণতন্ত্রকে গালি দিয়ে দাঁড়াতে চাই সেই মা মরা বারো বছরের পাশে
আমি সমাজের বুকে পা দাঁড়িয়ে চলন্তিকা তোমায় বলতে চাই ভালোবাসি
আমি নাটকের পার্লামেন্টে মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে
বিচার চাই
সেই ধর্ষিত মৃত আদিবাসীর জন্য
আর নিজের জন্য চাই
একটা সময় যখন কেউ আমাকে বলবে না
" জিন্দেগীকে সবি লাইনে নারাজ হে
প্লিজ কুছ দের ইন্তেজার কিজিয়ে। "
No comments:
Post a Comment