Saturday, October 31, 2015

পৌরুষের লজ্জা

পৌরুষের লজ্জা
............... ঋষি
===============================================
হিসেব নিকেশ সবার জানা
সাদা কাগজে আছড়ে পরছে রক্তের স্রোত।
নতুন কিছু নয়
সম্পত্তি ,অধিকার ,আসবাবপত্র সবটাই কেন জানি পুরুষের।
বাকিটুকু প্রাপ্তি অনধিকার প্রবেশ সমাজ
ওঠো ,জাগো ,মেরুদন্ডের অবলম্বনে।

যেখান থেকে জন্ম শুরু হয়
যেখানে মাতৃত্ব ,প্রেম আরো কত স্পর্শীল  আদর।
স্বপ্নের মতন আছন্ন রাখে ভিন্ন পরিচয়ে
তাকে আঘাত করাটা নিজের পরিচয়ের লজ্জা।
এসব কেতাবি ভাষা
এসব বদহজমের খাবার।
কিন্তু প্রশ্ন একটা পুরুষ তোমাকে
তোমার পৌরুষ কি শুধু তোমার শিশ্নের গড়িয়ে পরা বীর্যে,
তোমার পৌরুষ কি তবে আমার সমস্ত অধিকারে।
অথচ তুমিও মাথা নিচু কর
আমার দুই উরুর ফাঁকে ,তোমার কামার্ত জন্মস্থলে।
তবে কেন তোমার এই বিজয় পতাকা আমার বুকের উপর
আমার অস্তিত্বের উপর ,আমার অধিকারের উপর।
সমস্ত জন্ম জুড়ে তোমার পরিচয়ের কলঙ্ক ,
পরিচিত অসন্মান আমাদের।
লজ্জা সে কি শুধু রামায়নের সীতার
না কি এগিয়ে চলা সমাজের সাথে পুরুষ তোমার পরিচয়ে।

হিসেব নিকেশ সবার জানা
আমার শরীরে ,আমার হৃদয়ে ,আমার উপস্থিতিতে তুমি বাঁচো।
অথচ প্রশ্ন তোমার পুরুষ
তোমরা কতটুকু আমাদের বাঁচতে দেও।
নিজস্ব অধিকারের দর্পে দাপিয়ে বেড়াও সমাজ ও সত্বা জুড়ে
অথচ বৃহন্নলার কোনো লজ্জা নেই।
.
(এই কবিতা সমস্ত অধিকারের বাইরে গিয়ে যন্ত্রণার অধ্যায় ,নতুন নয় ,চিরকালীন। শুভেচ্ছা পৌরুষ তোমার অধিকারের এবং নারীত্ব তোমার অবলুপ্তির। )

No comments:

Post a Comment

বাড়ি

হুট করে সরে আসার পর স্পর্শের আকাঙ্খা বাড়ে  আমাদের প্রত্যেকের আলাদা বাড়ি অথচ ঘর একটাই  সেই ভিতরের ঘরে বাড়তে থাকা আলাপ  আমাদের আরও কাছে আনে , ...