... ঋষি
মুখোমুখি দাঁড় করানো সময়
নিজের মুখোশ খুলে বারংবার রং মাখাতে ব্যস্ত সময় ,
নিজের ছায়ার সাথে দিনদিন পথচলা
নদীরে জলে মুখ দেখা
নোনতা মুখ ,মিষ্টি জলে।
.
সীমান্তে ছুঁয়ে থাকা এক ফালি রোদ
মূল্যহীন শহরের দরজা খুলে বেঁচে থাকা প্রতিদিন ,
কি বেশ বলো তুমি মন্দবাসা।
বর্ণমালার পচা গলা শব্দকোষে হাজারো শব্দ শুধু অনুভূতিতে আশ্রিত
প্রত্যাশার পালক চড়িয়ে ভুলতে থাকা রোজকার আকাশ
যেখানে একলা হওয়া মানে অসুখ
ভুলতে থাকা পাখিদের ওড়ার সুখ।
.
কুপমন্ডুক অন্ধকার
নরম বিছানা সাজিয়ে হরিণীর ভীতু চোখে বাঁচা
যে মেয়েটা অনায়াসে ধারণ করতে পারে মিথ্যা কবচ ,সত্যি দুঃখ
তার চোখে ভালোবাসা ?
রাত্রের আদুল গায়ে শুয়ে থাকা নক্ষত্ররা আকাশের গায়ে
যে মেয়েটা সামাজিক হলুদ আর সিঁদুরের রঙে রাঙানো
তার চোখে একলা থাকা ?
সত্যি
মুঠোয় ভরা উপনিষদের বাণী কিংবা গীতায় লেখা
বর্ণহীন ,গন্ধহীন ছিদ্রানেশী শ্লোক
মিথ্যা প্রেম ,মিথ্যা স্নেহ ,মিথ্যা বাঁচা ,তুমি আসলে কিছুই নও
সময় সব ,
মুখোশের মুখ ,জন্মের শোক
সাজানো শহরের চিৎকার,
.....মুখোশ মানুষ।
No comments:
Post a Comment