সময়ের জবানবন্দি
... ঋষি
প্রত্যেকটা সময় হারিয়ে যাওয়া অবিশ্বাসী
নষ্টবুকের সাক্ষী শুধু অন্ধকার রাত আর বালিশের কান্না ।
প্রত্যেকটা চলে যাওয়া আর্তনাদ করে উড়ে যায়
আর খাঁচার পাখির কাছে পৃথিবীটা বাসযোগ্য নয়।
তখন একজোড়া অন্ধকার চোখ জ্বলতে থাকে আকাশের নক্ষত্র নিয়ে
সময়ে সাজিয়ে রাখা দুঃখ প্লেট, কষ্ট গ্লাস— ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট।
এখনোতো শপিংমলেই কিনতে পাওয়া যায় দুরারোগ্য রোগ
তবুও তো প্রকৃতির কাছে আমরাও শিখছি উদার হতে।
.
পৃথিবীর বৃষ্টির ঘরে মুখ লুকিয়ে বসে আছি
ভিজে বৃষ্টি হাওয়ায়,স্মৃতি নোনতা হাওয়ায় ,
অথচ দীর্ঘশ্বাসের সুতোয় আমাকে বন্দি করে দুরন্ত ঘোড়ার গতিতে
হৃদয় পচে গেলে ,গন্ধ বেরোয় না।
কেউ কেউ নাকি যৌবনের গন্ধে মাতাল হয়ে
তীব্র আঘাতে ভেঙ্গে দিতে চায় নারীর সাজানো নগর— বন্দর।
অবশেষে শুধু একটা নদী থাকে
বুকের জনপদ ভাসিয়ে সকলেই মোহনায় মিশে যেতে চায়।
.
পূর্বপুরুষ আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে ভালোবাসতে ভুলে গিয়েছি,
সম্পর্কের অস্থিরতা কীভাবে ছড়িয়ে দেয় সময়ে সংক্রামক রোগ
আমি জানি ।
সঙ্গম শেষে যে লোকটা মারা গেল আমি চিনি তাকে
আর যে লোকটা জন্মালো
এটা তার নদীজন্ম
আর নদীপথ ধরে পুরুষের এগিয়ে বাঁচার কারণ হলো নারী ।
নরম হাতের তালুতে রাখা অদ্ভুত সময়ের কারসাজি
প্রার্থনারত আমি এবার খুলে বসেছে পবিত্র সুখের দোকান।
নরম পাখির পালকে লিখে রাখছি একটা স্বপ্নের দিনের ইতিকথা ,
শুধু নেশা হয় না আজকাল
শুধু বাঁচতে ইচ্ছে করে।
No comments:
Post a Comment