হিপনোটাইজ
.... ঋষি
কেন যে হিপনোটাইজ করলে ?
সত্যি তো আর বলা যায় না
নিজের হাড়গুলো ধুলোয় গুড়িয়ে কয়েকশো কেজি আয়রন ,ক্যালসিয়াম।
হাওয়ায় উড়ছে ধোঁয়া
গোল গোল সিগারেটের রিং কেটে বাঁচতে ইচ্ছে করছে ,
নিকোটিন গড়ছি সময়
আর কাটাকুটি অ্যাশট্রেতে বানাই ছায়ের শহর।
.
ক-টা বাজে
ঘড়িটা দ্যাখোতো,কি বুঝলে ?
পরিবৃত কি চাইছে ,আকাশের মেঘে বইমেলার ধুলো
ধুলো জমছে বইয়ের পাতায়।
মানুষগুলো বইয়ের নামে আরো বেশি বেহায়াপনায়
সেলফি ,ঢলাঢলি ,গরম ফিস্ কবিরাজিতে কামড়
অথচ সময়ের দাঁতের দাগ
কবিতা শুধু কারণ।
.
বেশ তো হিপনোটাইজ করলে
মুঠোয় ধরে রাখি শহরের মুখে জড়িয়ে ধরা হাজারো লেখক ,কবিদের নাম।
আমি অজাত শত্রূ লিখছি
লিখছি সিগারেটে কামড় বসিয়ে নিকোটিন শহর।
রুটি আমাকে চাঁদ দেখায়
চাঁদ আমাকে শৈশবে ফিরে যাওয়া কবিতার পাতায় মাকে দেখায়।
কান্না আসলে চলন্তিকা আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁট
চেপে ধরি মাঝরাস্তায় ,তোমার ঠোঁটে ,
কখনো কালো হয়না
আমার রক্তই আমার শোক।
শুধু কাঁচের হরিণ হঠাৎ বুককেশ থেকে মাটিতে পরে ভেঙে যায়
ডুবে যায় শহরের ধুলোয়।
No comments:
Post a Comment