বাঁচার কবিতা
.... ঋষি
ঠোঁটে রক্ত তুলে যে মানুষটা নিজেকে বাঁচাতে
নিজের সংসার আর সন্তানের জন্য দুমুঠো ভাত রোজকার করছে ,
তাকে কবিতার কথা বললে
বলবে ন্যাকামি
শালা খালি পেটে কবিতা হয় না।
.
দাঁতে দাঁত পিষে প্রসূতিগারে যে নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছে
যার শরীর থেকে এই মুহূর্তে শুধু জন্ম নিচ্ছে আগামী
তাকে যদি কবিতার কথা বলি
বলবে খ্যাপামি
শুধু শব্দ দিয়ে ভবিষ্যৎ তৈরী হয় না।
.
দূরে কোথাও আবছা কোনো আত্মায় মানুষ তৈরী করছে
যন্ত্রণার প্রতিষেধক ,
ময়লা জীর্ণ সভ্যতায় কাগজকুড়ানি পাগলী মাগীটা পেট বানাচ্ছে
সময়ের নিয়মে।
তবু অহংকারী শব্দ উন্নাসিক চোখে মেপে চলেছে সময়ের শরীর
ছাপিয়ে চলেছে কবিতা ,
মানুষের কবিতা
মানুষের সুখ ,দুঃখ আর বেঁচে থাকা
সৃষ্টি সুখে মগ্ন কবি ছবি আঁকছে
রক্তে ভাসছে সাদা কাগজ ,,,,,জন্ম ,,,,জন্ম
কবিতা।
.
যে কান্না গড়ায়নি মুখে ,যে হাসি আজ অবধি হাসে নি কেউ
তারজন্য অঙ্গীকার কবিতা।
স্নানের ঘরে প্রেম আর বিশ্বাস আর গড়িয়ে নামা ঋতুরক্ত
সবটাই সময়ের কবিতা,
মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো মানুষের যোগ্যতা।
কবিতা অকারন নয়
কবিতা ভাবনায়
কবিতা যন্ত্রনায় ,
কবিতা মানুষের
কবিতা সময়ের।
কবির কলম কখনও শুধু সময় নষ্ট নয়
কবি হলো সেই সব মুহূর্তের সাক্ষী যারা সময়ের কাছে নষ্ট
কবির কষ্ট
সাদা পাতায় সেই সব মানুষ
যারা কবিতা নয় শুধু বাঁচতে চায়।
No comments:
Post a Comment