ঈশ্বর যখন জোকার
.... ঋষি
কতগুলো জোকার ঈশ্বর হয়ে গেলো
শহরের রাস্তায় পানের দোকানে বসা বিহারিটা ঈশ্বর হয়ে গেলো ,
হঠাৎ দুনম্বরি করে টাকা কামানো পচা ঈশ্বর হয়ে গেলো
ঈশ্বর হয়ে গেলো শহরের বেশ্যাপট্টির সেই খরিদ্দারটা।
ঈশ্বর শুধু দূর থেকে দেখলেন ,
হাসলেন
আর নিজেকে খিস্তি দিয়ে বললেন " শালা বেজন্মা আমি "।
.
পাশের বাড়ির কাকিমা তার প্রতিবেশী পঁচিশ বছরের কন্যার প্রতি
মুখ বেঁকিয়ে বললেন ,
ওই মেয়ে ঢলানি ,শুনেছি বারে কাজ করে।
আমি বুঝলাম ,আপনারা বুঝলেন
কিন্তু এইটা বুঝলেন না ওই মেয়ের কোমর দোলানো টাকায়
ওই বাড়ির কর্তার হাঁপানির ওষুধ কেনা হয়।
আমরা কেউ ওই পাড়াতো কাকিমাকে বলতে পারলাম কই
আপনার বাড়িতে একই বয়সী মেয়ে আছে।
.
এমন তো অনেক আছে
ওই পাড়ার বুবাই সেদিন বসে উদোম মার্ খেলো পকেটমার বলে ,
সকলে বললো ওই ছেলের থেকে আর কি আশা করা যায়
অথচ আমরা কেউ জানলেন না মধ্যবিত্ত ঘরের বি এস সি পাশ ছেলে
আজ প্রায় পাঁচ বছর চাকরির জন্য ঠোক্কর খাচ্ছে।
সেদিন ফরিদা গলায় দড়ি দিল
আমরা বললাম পেটে বাচ্চা ,অবিবাহিত মাগীর আর কি হবে ,
কিন্তু কেউ জানতে চাইলাম তার প্রেমিক তাকে কিভাবে ঠকালো।
অথচ সেই আমরা বিমল বাবুর বিয়েতে গিয়ে তার বৌমাকে আশীর্বাদ করলাম
কেউ জানতে চাইলাম না এমন ধুমধাম করে বিয়ে কি করে সম্ভব।
শুধু পেট পুড়ে খেলাম ,ধন্য ধন্য করলাম
যেমন কে ঈশ্বরকে করা হয়
জানলাম না ওই টাকা গরিবদের বেকার ভাতা মেরে কামানো।
.
সব জানেন ঈশ্বর
তিনি তাকিয়ে দেখেন এই সব মানুষগুলো কেমন করে সময় হাসাচ্ছে ,
ঈশ্বরের মুখে তখন জোকারের হাসি থাকে।
ঈশ্বর ফিসফিস করে দাঁত চেপে বলেন
পাপ আর মানুষ সহজাত
বেজন্মা এই সময় গৃহপালিত ঈশ্বরের দাস।
No comments:
Post a Comment