কোহিনুর
.... ঋষি
একটা মধ্যাহ্নে আসা অসামাজিক সূর্য অস্ত গেলে
সময়ের কবিতায় কি এসে যায়।
জানি তুমি সেজেগুজে বিয়ে বাড়ি যাবে
সামাজিক মানচিত্র ,
তোমার সাঁঝের পর্দায় সিলিং ভেজানো মন্তাজে
আকাশের নূর
কোহিনুর চিরকালীন সময়ের ছিল।
আমি দাঁড়িয়ে ধর্মতলার মোড়ে
প্ল্যাকার্ড হাতে ,তাতে লেখা সকলকেই তো চলে যেতে হবে।
কেউ তাকাচ্ছে না আমার দিকে
হঠাৎ অন্ধ ভদ্রলোক গান করতে করতে আমার কাছে ভিক্ষা চাইলো।
আমি আমার ছেঁড়া পকেট হাঁতড়ে
তার হাতে তুলে দিলাম সমাজ।
অদ্ভুত ভাবে তাকালো আমার দিকে একটা আফসোস
শব্দ ভিজিয়ে পেট ভরে না বাছা
বরং দুছিলিম নেশা দিতে পারতে
বাঁচা।
সেদিন নিমতলার ঘাটে অবাক হয়ে দেখলাম গাঁজার ছিলিম
মরা মানুষের গন্ধে ,চোখে ভেজা আত্নীয়রা
নেশায় মত্ত।
অবাক হলাম এই ভেবে সারা সময় জুড়ে নেশা করা অসামাজিক
আর এরা তো সামাজিক
তবে ভন্ড।
সমাজ ভন্ড ,আদলে লেগে আমার শৈশবের চোখ
পথ চলতি লোক
হাসছে
প্রিন্সেস ডায়ানা তার তথাকোচিত ভঙ্গিমায়
সমাজে হাসছে
নগ্নতায়।
No comments:
Post a Comment