মুখাগ্নি
....ঋষি
কি লিখছি ,কেন লিখছি
ভাবনার দেওয়াল জুড়ে অজস্র পোস্টার ,অজস্র মুহূর্ত।
টানেল দিয়ে পরিবাহী ভাষা
উধারণস্বরূপ কোনো বাউন্ডুলে আকাশে অনন্ত বাঁচতে থাকা।
ভাবনার কিছুদূরে পরে থাকা মৃতদেহ
যেন ঘরের দরজা পেরিয়ে
অজস্র দরজা
ঘর।
জেগে আছি অভিশাপ। ভাঙ্গাচুরা মাটির কলসির গড়িয়ে নামা তৃষ্ণা
স্বপ্নে লুকোনো উপড়ানো চোখ।
একটি কালো গোলাপ,
বেশ্যার মৃতদেহ জুড়ে অজস্র ভনভন করা মাছি
সভ্যতার নর্দমার গল্প
আর সময়ের মৃতদেহ।
বারংবার মৃত্যু ফিরে আসে
মৃত পাপড়ি। মৃত সন্তানের মুখাগ্নি করছে সময়।
বড় ধারালো কোনো যন্ত্র শরীরের হাজারো ক্ষতবিক্ষত টুকরো
সংগৃহীত বৈঠকখানায় শব্দের বমি।
জেগে উঠছে নিজস্ব আঁধারে অজস্র মৃত অধ্যায়
প্রেমিকার লিপস্টিকের দাগ মৃত্যুর জামায়।
আলো ফুটবে না ভেবে
কাঁদছে না সময় ,সূর্য পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে হস্তমৈথুনরত
কারো মুখে জ্বলন্ত শেষ শব্দ।
কষ্টগুলো এরকমই হয়। না বলা ইতিহাসটুকু লুকোতে লুকোতে
জমাট বাধা রক্ত শব্দের কলিজায়।
মধ্যাহ্ন সময়
অপ্রকাশিত শৈশবের বাতিঘরে মৃত্যুর পায়ের ধ্বনি
মুখাগ্নির সাহ্নিক ফল।
No comments:
Post a Comment