..ঋষি
অন্ধকার দেখলেই আমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে
আর ঠিক তখনি একটা বিদ্রোহ লাল সেলাম ঠোঁকে।
অনেকটা থিতিয়ে গেলে
যেমন জলের ভিতর ময়লাগুলো দেখা যায় ,
ঠিক তেমন অন্ধকার এই বুক জ্বলে
জ্বলে ওঠে বুকের প্যারোডিতে বাড়তে থাকা শিঁড়দাঁড়া।
.
ছোটবেলায় নিয়মকরে বিপ্লবকাকু মাকে একলা পেলে জড়িয়ে ধরতো
প্রশ্ন করলে মা বলতো জ্বালা ,
বাবা বাড়ি এলে সেই মা হঠাৎ লক্ষী ঠাকুর সেজে ঘরকন্নার ব্যস্ত।
আবার প্রায় রাতে ঘুম ভাঙলে বাবাকে দেখেছি মাকে হাঁপাতে হাঁপাতে
বলতে সব জানি
সবজানি আমি শরীর ঠাপাতে লোক লাগে
আমি তো বুড়ো হয়ে গেছি।
সেই মাকে বাবা মারা যাবার পর দেখেছি মরাকান্না কাঁদতে
তারপরও বিপ্লব কাকু বাড়িতে আসতো।
.
তখন আমি সদ্য যৌবন
একদিন কনকদি আমাকে বুকে চেপে ধরে বললো
বললো জানিস তোকে জড়ালে ইচ্ছে করে,
আমি তখন কনকদি দাবড়াবুক দুহাতে মুচড়ে প্রশ্ন করেছিলাম
কি ইচ্ছে করে ?
কনক দি আমাকে ছিটকে ফেলে এক থাপ্পড় লাগালো
বললো জ্বালাগুলো তুই বুঝবি না।
কিছুদিন পর কনকদির বিয়ে হলো
আর তারকিছুদিন পর কনকদি বিধবা।
.
তাই আজও আমার অন্ধকার দেখলে কাছে যেতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে মায়ের না বলাগুলো জানার।
ইচ্ছে করে কনকদির বুকের মতো মুচড়ে দিতে সাজানো আলোগুলো
অন্ধকারকে মায়ার মতো শিরদাঁড়ায় জড়িয়ে নিতে।
মানুষ জানে না মানুষের অন্ধকারে অনেকটা আলো থাকে
থাকে অনেককিছু না বলা।
মানুষের জানে বেঁচে থাকায় অনেক জ্বালা থাকে
কিন্তু চিৎকার করতে পারে না ।
Escape Route দরকার
দরকার বুকের আগুনে সময়কে পুড়িয়ে
সত্যির জামায় অন্ধকার ঢেকে রাখার।
No comments:
Post a Comment