Friday, November 22, 2019

আকাশি পাঞ্জাবী

আকাশি  পাঞ্জাবী
.... ঋষি

কলমের নিবে তোমার মুখোমুখি দাঁড়াতে আমার বেশ লাগে চলন্তিকা
বেশ লাগে নিজেকে তখন তোমার  প্রেমিক ভাবতে।
বহুদিন পর তোমায় লিখতে ইচ্ছে হলো
ইচ্ছে হলো তোমার হাতে কাজ করা নীল পাঞ্জাবীটা গায়ে দিতে।
কেন জানি প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করলো পাঞ্জাবীটাকে
কেমন আছে সে ?
ইচ্ছে হলো একবার তোমার গলার স্বর শুনতে।

চলন্তিকা তোমাকে রেখে এসেছি অলকানন্দা তীরে
শহরে উঠে লোকালয় হয়ে কখন যেন পোশাক বদলেছি সময়ের করুনায়।
শরীরে ভাঁজ থেকে নিজস্ব মেজাজে  নগ্ন করেছি নিজেকে
কিন্তু তোমাকে বলে আসা হয় নি
আমাদের ঘরকন্না ,টেরাকোটা সেই ঘোড়া ,তোমার উইন্টার ক্রিম
তোমার দেওয়া আকাশি পাঞ্জাবীটা
সব ছেড়ে এসেছি আমি দশ বাই দশ মনের না পাওয়া ঘরটায়।
আর ওই পাঞ্জাবীটার তিন নম্বর বোতামঘরে
আজও যে প্রশ্নচিন্হ রাখা
তার উত্তর খুঁজতে তোমাকে উদ্দেশ্য করে লিখে চলেছি অগুনতি কবিতা।

স্মৃতি দুলবে পেণ্ডুলামে
তুমি  জানো আমাদের দেখা হয় ঠিক হঠাৎ রাস্তায় দাঁড়ানো চায়ের ভাঁড়ে
কিংবা ট্রেন লাইনের ধারে একলা থাকা সেই বেঞ্চিতে ,
তুমি তো নিয়মকরে ফিরে আসো আমার কাছে
কিংবা আমি যায় তোমার গন্ধে বিভোর কোনো প্রজাপতি
আকাশে উড়ি।
সেই আকাশি রঙের পাঞ্জাবীটা।কি করছে এখন ?
আমার ওয়ারড্রপে,যেখানে আমার সাজানো সেন্টের  গন্ধে
গুঁড়ো গুঁড়ো অবহেলা মেখে গুমড়ে উঠছে
ফুঁপিয়ে কাঁদছে সময় যেন।
জানোতো চলন্তিকা চোখের জলের কোনো আশ্রয় থাকে না
যেমন নো ম্যানস ল্যান্ডের উপর বসে
আমার এই কবিতা একলা এখন।

আর তুমি
আমার এই কবিতা পরে মনে মনে হাসছো কিংবা কাঁদছো
ভাবছো কি করবে এই পাগলটাকে নিয়ে। 

No comments:

Post a Comment

অন্য খোঁজ

ইদানীং আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না চুপ থাকি, আসলে এই চুপ করে থাকার মধ্যে এক সমুদ্র, কোলাহল বলতে এখন পা ছুঁয়ে সরতে থাকা জল। এক আলোকবর্ষ আনন্দ যন...