Thursday, November 28, 2019

ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো


ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানোই  ভালো 

.... ঋষি

আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যে তার লম্পট স্বামী সিগারেট ছেঁকা দেবে বলে খুলে দেয় ব্লাউসের হুক।
আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যে সামাজিক বলে প্রতিদিন হয়ে চলে ধর্ষণের স্বীকার।
আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যে নিজের শরীরের পরিবর্তনের লজ্জায় আজকাল খেলার মাঠে যায় না।
আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যে সংসার চালাতে প্রতিদিন শরীর খুলে রাস্তায় দাঁড়ায়।

আমি এরকম আরো অনেক চিনি
চিনি শেফালী দিকে
যে পথচলতি যুবক ধাক্কা মারলো বলে ঘুরে দাঁড়িয়ে চড় মারে।
চিনি ক্রিস্টিনিকে
যে সমাজের বিরুদ্ধে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত।
চিনি রোশনিকে
যে বরের গার্লফ্রেন্ড আছে বলে পরপুরুষের হাত ধরে রাস্তায় ঘোরে।
চিনি কাজের মেয়ের বিধবা কমলাকে
যাকে কাছে পাবে বলে গৃহকর্তা তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠান।

আসলে গল্পটা কি
পুরুষতান্ত্রিক প্রোফাইলে স্বামীর ফোন ঘন্টার ঘন্টা ব্যস্ত আসতে পারে।
সামাজিক হিসেবে তোমাকে ভালো লাগছে না বলে
পুরুষ বাজারি মেয়েকে ঘরে ঢোকাতে পারে।
শরীরের খিদে এমন খিদে পুরুষের
যে যুগযুগ ধরে সোনাগাছির দরজায় লুটিয়ে পড়তে পারে।
কিংবা আরাম হচ্ছে বলে
নিজের বিয়ে করা স্ত্রীকে ন্যংটো করে চাপকাতে পারে।

সবটাই হিসেবমাফিক ভীষণ সামাজিক
পুরুষ হলেই যুগে যুগে কৃষ্ণ ,তার যৌন থলিতে অবতার লেখা
আর সেখানে রাধা শুধু হারামজাদি,তার যোনিতে অপেক্ষা।
পুরুষ হলেই এই সমাজে হীরের আংটি
আর মেয়ে মানে বিউটিপার্লার ,সুন্দর ঠোঁট ,সুন্দর ফিগার। 
প্রশ্ন একটা থাকে
পুরুষ না নারী ?
কিংবা শক্তি বাবুর লাইন " ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানোই  ভালো  "। 

No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...