সঙ্গম
... ঋষি
কুচকুচে কালো অন্ধকারে ভালোবাসার লালচে জিভ
ছড়িয়ে পড়ছে বিলাসী স্বপ্নের ঘোর।
মিথ্যে ঘর বাঁধা সত্যি শহর জুড়ে
সত্যি যদি সত্যিগুলো এই শহরে মিথ্যে হয়ে যায়।
আড়মোড়া অভ্যেস ,আরবী ঘোড়া চড়েছে বুকের উপর
আচমকাই নিমিত্তের জীবন
আরেকটু মৃত্যু জড়াতে পারলে ভালো হতো।
অন্ধকার বিছানা হাঁতড়ে খুঁজে পাওয়া একটা আদিম শরীর
দেওয়ালে ভাঁজ ,কার্ভে লেগে থাকা জাদু টোনা
মন্ত্রমুগ্ধ শরীর এগিয়ে যায় শরীরের গভীরে।
প্রাচীন গহ্বর
অন্ধকার নিরুপায় ধ্বংসের জামা ,আসলে আলোর খোঁজ
ক্রমশ আরো গভীরে
নদীপাড়ে শুকনো কিছু পাতা ,পা টিপে টিপে হাঁটা
শিরদাঁড়া জুড়ে মৃদু স্পন্দন ,
কান পেতে শোনা ডুগডুগি।
তুই ক্রমশ আমাকে পাগল করে তুলিস উথলে ওঠা দুধ
দুধের সর
ক্রমশ
একলা ঘর।
কুচকুচে অন্ধকার তোর ঠোঁট ছুঁয়ে লেগে থাকা লালা আমার বুকে
দাঁতের ক্যানেলে লেগে ভালোবাসার রক্ত।
আমি মুখ গুঁজে ঢুকে পড়ি কোনো রোমান ভাস্কর্যের বুকে
সেখান থেকে উঠে আসে শব্দ ,
শব্দ সঙ্গম
সৌজন্য আর ভদ্র লিপির আলোক রেখা সোজা তোর শীর্ষে
তুই কাঁতরে উঠিস যন্ত্রনায়
তবু ভালোবাসিস নিবিড় প্রশ্রয়ে
ছেড়ে যাস প্রতিবার নিজের দাঁতের দাগ
নখের টুকরো আমার সারা সঙ্গম জুড়ে ।
No comments:
Post a Comment