ছুটি
... ঋষি
ব্যস্ত ভাবনার ভিতর বাঁশি ভরে দিলে
কেমন ছুটি ছুটি শব্দ হয়।
হাঁড়ের পাঁজরের ভিতর যদি অনেকটা আকাশ ভরে দি
নিঃশ্বাসে বুদ্ধ আসে।
খোলা পথ বাউলের পায়ের ছাপ
বহুদিন না কামানো দাঁড়ি ,ছেঁড়া চটির ফিতে ধুরতেরিকা খালি পা ,
অন্যমনস্ক আমি
কেতাদুরস্ত শহরের থেকে খালি হাত।
.
তোর আখরোটের ভিতর অসীম বৃত্তে আমি থাকবো
সময়ের মৌতাত থেকে সাজানো সিকোয়েন্স ,সবটাও বাধ্যবাধকতা ,
চোখের বালিতে আটকে যাবো অসমাপিকা।
যতবার তোকে চান করতে দেখবো ভাবি কিংবা আরো নিচে
চমকে উঠি
চোখের সামনে গর্জন তেলে মাখা কোনো মায়াময় চোখ
অদ্ভুত দুরুদুরু।
শব্দ খুঁজতে লাগে
আমার কবিসত্বার ভিতরে গুমড়িয়ে কাঁদা তুই।
কতবার ভেবেছি আত্নহত্যার কথা
অথচ বুকের আগুনে দেখতে পাই তোর কঙ্কালে লাগানো জেদটা
ফিরে আসি
কারণ এই শহরে তুই একলা প্রেমের উপপাদ্য।
.
ব্যস্ত শহরের ভিতর হঠাৎ সাইরেন বেজে উঠলে
ভীষণ খালি একটা ভীত শহর।
রক্তের ভিতর যদি বেঁচে থাকা ইনজেক্ট করা যেত কৃত্রিম পদ্ধতিতে
তবে পৃথিবী জুড়ে শোরগোল ,আনন্দ।
সব ঠিকঠাক চলছে তো
মাথার ভিতর অযাচিত উঁকি মারা তোকে জড়িয়ে বাঁচা
কি মুশকিল ,
তোর কোনো ছেলে বন্ধু যদি তোর সাথে দু পা হাঁটে
তবে পৃথিবীতে কি বদলায়
শুধু মনের লালমাটিতে খালি পায়ে লালন ফকির
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ,,,,,
ছুটি।
No comments:
Post a Comment