ধাঁধা
....... ঋষি
সময়ের অলিগলি বেয়ে মৃত্যুর স্যিগনাল
ফটোশপে সময় ডিজাইন করলে পরিবর্তন দরকার
পাতার পর পাতা দূষিত বিষাক্ততা সরিয়ে
এক নিঃশ্বাসে সবুজ ক্লোরোফিলের গন্ধ ,নীল প্রজাপতি
অনেকটা আকাশ দরকার।
ঘুম ভাঙা চোখ সন্তানের ঘুমন্ত মুখ
গৃহস্থ আঁচল।
আমি তখন আমার এই ভিন্নরাজ্যের কবিতার আরাধনা ছেড়ে
মানুষ হয়ে গেছি।
বুঝতে শিখছি মন্দির , মসজিদ ,সময়, অসময় ,মানুষ আর বাঁচার
শেয়ার বাজার।
বুঝতে পারছি আমার সাত বছরের ছেলের আবদার
একটা পৃথিবী।
পৃথিবী মানে শুধু একটা গোলক নয়
কি করে বোঝাবো ছেলেকে এই গোলক ধাঁধায় ,
কি করে বোঝাবো
পণ্য শরীর ,বিষাক্ত সময় ,বাস্তব সত্যির মানে।
সত্যির দরজা খুললে হেঁটে আসে ,ঢেকে ফেলে
এক আকাশ অন্ধকার।
সেই অন্ধকারে হেঁটে আসে এক অচেনা বাঁশিওয়ালা ,চেনা সুর
আমরা চিনতে পারি না তাকে ,
শুধু সময়ের ঘড়িটা টিক টিক শব্দে চিহ্নিত করে
ঘড়িটার ভিতর মৃত আমাকে ।
আমি তখন কবি না ,শুধু পিতা
সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে খুঁজতে থাকি নিজেকে
ইশ কি করে নিজেকে ঈশ্বর সাজিয়ে রাখি।
কি করে বোঝায় সন্তানকে
পৃথিবী শব্দটা আসলে ধাঁধা
আর আমাদের ধাঁধার পৃথিবী।
No comments:
Post a Comment