মানুষের সময়
... ঋষি
মিউজিসিয়ান যেমন সমুদ্র খুঁড়ে তুলে আনে স্পন্দন
তারপর সেই সব বাদ্যযন্ত্রের গভীর টানে লেখা হয় সুর ,ছবি ,ভাবনা ,
তখন কোন গৃহস্থের ভাতের হাঁড়ি চড়াতে চড়াতে
গৃহিনী সুর ভাঁজে মনের কোনে।
অদ্ভুত আপ্লুত ভাবনায় এফএমের জকি চিৎকার শুধু আপনার জন্য
আমি দেখি
অন্নপূর্ণা হেসে ওঠে নুনে ,পান্তায় আর কাঁচা লংকায়।
.
আমি শব্দ বুনি
শব্দ ছড়াই দৃশ্যের ভিতর লুকোনো দৃশ্যের স্পন্দনে ,
উনুন বা স্নানঘর, বাজার, লড়াই,ছুট
দিনযাপনের ঘ্রাণে লেগে থাকা সাধারণ কিছু মানুষের ভাবনা।
মনের কোনে মেঘ জমে
মনখারাপ হয় এই কলকাতার প্রতিটা ফুটপাথে
অথচ কান্নাগুলো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে উড়তে থাকে দাম্ভিক সময়ের জতুগৃহে।
.
আমার মনে পরে পার্কস্ট্রিটের অন্ধ বৃদ্ধকে
যে সময়ের সুরে ,সুর ভাঁজতে থাকে তার পুরোনো গিটারে খিদের শুঁড়িখানায় ,
আমি অবাক হয়েছি সেদিন
বৃদ্ধের সেই সুরের তৃষ্ণায় আজও কোনো মুখোশ ছোঁয় নি
বরং ঈশ্বর কি অদ্ভুত ভাবে ভাবিয়েছে উপস্থিত সকলকে সেদিন।
আমি প্রশ্ন করেছিলাম তাকে কি করে ?
উত্তরে সে হেসেছিল ,
বলেছিল সময় বড় দুঃখী একটা ব্যবসার নাম
আর আমি নিস্তব্ধে সরে থাকতে পারি সময়ের থেকে।
আমার শব্দরা সেদিন গর্জন করেছিল
কারণ সময়ের পাঁজর ভেঙে জন্ম নিচ্ছে যত সৃষ্টি এই দুনিয়ায়
আলোকবর্ষ দূরে বসে নীরব অন্ধকারে সেজে
সময়ের মুহূর্তরা সৃষ্টির মা।
আর আমি জানি
মানুষের জীবনের থেকে গভীর দর্শন
মানুষের সময়ের থেকে গভীর শিক্ষা
মানুষের সময় আর অন্নপূর্ণা।
No comments:
Post a Comment