Tuesday, March 23, 2021

অনিন্দ্য (১১)

অনিন্দ্য (১১)
...ঋষি 
অনিন্দ্য আজ ভীষন খুশি 
হ্যা আজ জানিস বুবুনের বিয়ে, মেয়েটা মানে মিরা ওর সহকর্মিনী
অথচ অবাক কি জানিস মেয়েটা একজন পেইন্টার। 
এই তো কিছুদিন আগে মিরার একটা এক্সিবিশন হলো একাডেমীতে,
আমি গেছিলাম, আমরা মানে আমি, অনিকেত আর বুবুন। 
মেয়েটা দারুন সত্যি আঁকে 
একটা নুড পেইন্টংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমি অবাক হলাম ঁঁক
চমকে উঠলাম, এ তো তুই অনিন্দ্য, 
এই ভাবে জড়াতিস আমায়, 
অনিকেত আমার কানে কানে বললো আজকাল মেয়েরা ভীষন ডেসপারেট
এমন করে সবার সামনে কেউ নিজের প্রেমিককে ন্যংটো করতে পারে। 
.
আচ্ছা অনিন্দ্য তুই কি তবে ডেসপারেট ছিলিস? 
আমাকে জড়িয়ে ধরতিস যখন তখন সবার সামনে, 
নাকি আমি ডেসপারেট ছিলাম 
সেদিন তোর হাত ধরাতে এমন করে নিজেকে মেলে ধরেছিলাম 
রঙিন প্রজাপতি। 
.
অনিন্দ্য বুবুন এখন ফুল শয্যার ঘরে 
আর আমি সেই বারান্দায়, 
কি করছে বুবুন এখন অনিন্দ্য?  নিশ্চয় কবিতা পাঠ 
কিংবা মিরার সারা শরীরে সেদিনের সেই হোটেল ঘরের মতো কবিতা লিখছে,
এ মা ছিঃ ছিঃ এসব আমি কি বলছি। 
অনিন্দ্য চিরকাল একটা জংলী
যখনি আসিস আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাস ঝড়ের মুখে,
দেখ এই বয়সেও বাঁধন মানে না
সময় মানে না, এমন করে পাগল করিস তুই, 
পাগলের মতো হাসিস, আর বলিস আমায় 
" আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় না
মৃত্যু হয় না –
কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়না
শরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম। "

No comments:

Post a Comment

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম তবুও কই জীবন পেলাম না সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম শরীর, মাংস সব পেলাম  তবুও সেই ম...