ভায়োলিনের সুর
... ঋষি
.
একটা দ্রুত মিসাইল এসে পড়ে আমার রাজত্যে
আমি অসুস্থ হয়ে যাই,হয়ে যাই ক্রাচ ভর করা সেই বৃদ্ধ ভাইয়োলিন বাদক,
আমি জানি ভায়োলিনের সুর পৃথিবী মাতাল করে না
যতটুকু সময় মাতাল হতে চায় প্রয়োজনে
ঠিক ততটুকু।
.
এমন বিস্ফোরণ মাঝে মাঝেই ঘটে
বুকের পহেলিতে থাকা সেই পাথরটা চাপা পরে থাকে মাটিতে,
সরানো হয় না।
ভেসে আসে মিস প্রিয়াংবদার কন্ঠ
বলছে শুনি সবাই এই পৃথিবীতে সতী আর আমার বুকে কাপড় থাকে না বলে
আমি নষ্টা, আর যারা বেগনভিলিয়ায় পুজো করে,
তারা কি?
আমি চিনি সেই গোলাপি বলে মেয়েটাকে নিজের বুকের পাথরে
যার চোখে পৃথিবী একটা মজা, আর যে কোন ঘটনাই দৈনন্দিন।
.
আমি চলন্তিকাকে প্রশ্ন করি
এই যে তুমি দিন রাত ঝগড়া করো আমার ভিতর
প্রতিটা ধবংসের সাক্ষী থাকো থাকো,
এই যে সতীর ৫২ তীর্থ খুলে তুমি বারংবার দেখাও আমাকে ৫২ রুপ
কেন?
চলন্তিকা হাসে, বলে
তুমি কবি সতীর ৫২ পীঠ দেখতে চাও
দুঃখ পাও রোজ,
আসলে নারী শব্দটা নাড়ী শব্দের সমার্থক
তুমি বুঝবে না,
তুমি প্রেমিক ছিলে, প্রেমিক থাকো
এই সব চর্যাপদ তোলা থাক পুরুষদের জন্য।
তুমি বরং সেই ক্রাচ ভর করা সেই বৃদ্ধ ভাইয়োলিন বাদক হয়ে থাকো
সৃষ্টি করো তোমার সুর
কে শুনলো,কখন শুনলো তাতে তোমার কী?
No comments:
Post a Comment