আয়না
.... ঋষি
এই দুটাকার বেঁচে থাকায় আর নেশা নেই
নেশা নেই নিজের এই অবাধ্য শরীরটাকে পৃথিবীর বাইরের ভাবতে ,
ক্লোজসার্কিট ছাড়া কোনো সভাসমিতি ,কবিতা মহল আমাকে টানে না
আমি পারি না বেড়ালের ঘন্টি বেঁধে অশ্বমেধের যোগ্য করতে
তাই ব্রাত্য এই দুনিয়া আমি
সমস্ত আমার কবিতারা তাই কারণহীন বিশৃঙ্খল।
.
খিদেমুখে গঞ্জ হারানোর দিনগুলো
পৃথিবী উল্টে শুয়ে থাকা আকাশের তারাগুনে ,
পৃথিবীর দরজা কেউ খুলে দেয় না জানো
শুধু দরজার বাইরে ধ্রুবতারা দাঁড়িয়ে থাকলে হাঁটা কমে না।
সেদিন আমি মুখে ছিল বিষপাত্র
আর বিষে ছিল আমার নিকট আত্নীয়ের রক্তের গন্ধ।
.
সেদিন সেই বিষাক্ততা আমাকে টুঁটি কামড়ে ফেলে গেছে
হিসেবের বাইরে
দূরে এই মানুষের জঙ্গল
দূরে এই গার্হস্থের ভাবনাপর্যায়
আমি একা শুধু ভেড়ার দলে
ভুলে যাচ্ছিলাম আমার বাঁচার আয়না।
তবে পরে বুঝেছি কবিতা লেখার জন্য গলায় গামছা দিয়ে
দাঁড়াতে হয় না পাত্রী পক্ষের বাবা সেজে
কিংবা গলায় ঘন্টি বেঁধে খুঁজতে হয় না নিরামিষ ভাবনা।
শুধু ভাবনাদের পুজো করতে হয়
তাছাড়া আমি সিংহরাশির বুকে একলা দাঁড়ানো স্তম্ভ
আমার দু - টাকার বস্তি জীবন মানায় না।
No comments:
Post a Comment