সর্বনাশী কবি
... ঋষি
.
গুগল ইমেইল বক্সে লুকোনো ছবিগুলি
বৌদি নিজের সমস্ত দেওয়াল আলমারিতে পাট করে রাখে ,
মমতা শব্দটা নারীদের দত্তক।
বাথরুমের দরজাখুলে শাওয়ারের উষ্ণতা খুলে দেয়
আমার কবিয়াল গানে তখন
সর্বসুখ ,
না কোনো ফুটো থাকে না কবির দেওয়ালে
বা বাথরুম টাইলসের ওপাশে
থাকে চোখ।
.
সর্বনাশ হলো কবি সব দেখতে পায় ,
স্নানাগারে কবি তখন একলা দাঁড়িয়ে ঘামছেন
অদ্ভুত দৃশ্য
বুড়ো শালিখের দরজায় আজকাল অদ্ভুত ভাবে রৌদ্র এসে পরে।
প্লিজ ভুল ভাববেন না কবিকে
ছবি আঁকতে গেলে প্রকৃতিকেও নগ্ন হতে হয়
যা সবাই দেখেতে পায়
অথচ কবি চশমা চোখে দেখতে পায় স্নানরত বৌদিকে।
.
পাপ ,পুন্য ,মুলাকার ,মহব্বত ,কাম ,রব
না হে পাঠক কবির চোখে শুধু শব্দের চালচিত্রে অদ্ভুত সব ছবি ,
কবির স্ত্রী আছে স্ত্রী নেই' সেই তর্কে না গিয়ে লাভ নেই আজ;
আমরা বরং ঘুরে আসি বৌদির স্নানের ঘরে।
নীল আকাশে বৃষ্টি কি করে একজন পূর্ণাঙ্গ নারীকে ভিজিয়ে চলে ,
মতবাদ চলতে পারে
টমেটো ডাল ,চিংড়ি পোস্ট ,পাকা মাংসের গন্ধ
হঠাৎ বৃদ্ধ কবি চোখ বোজেন
যেনো কবি কৈশোরের পানকৌড়ি
ডুবে যান হঠাৎ তার নিজস্ব সম্পর্কের নারীগুলোয়।
তারপর চোখ খুলে দশ হাতে লিখতে থাকেন দর্শন
ভেজা চুল,ঝোলা বুকের মধ্যে ধুকপুক,
ইশ বড় অশ্লীল দাদারা ,মেরে চোখ খুলে নিতে চান কবির
প্লিজ একবার নিজের ঘরে দেখুন বৌদি সুরক্ষিত।
.
শুধু কবির চোখের শ্লীলতা শব্দটা বেমানান
শুধু শব্দের ঝংকারে কবি নগ্ন করতে পারে সময়কে যখনতখন
কিংবা ছবি আঁকতে পারেন
কি করবেন ভাবছেন ?
কবিকে জেলে পাঠাবেন বৌদিবাজির দায়ে
নাকি ব্রাত্য করবেন ,
কিন্তু কলম তো থামবে না দাদা
সে তো লিখেই ফেলবে দৃশ্যের ভিতর লুকোনো দর্শন।
No comments:
Post a Comment