অন্য বসন্তের কবিতা
.. ঋষি
.
আমরা যারা বাঁচতে বাঁচতে প্রদীপের তলায়
নিজেকেই নিজেরাই হারাতে পারি, হারতে পারি, ফিরতে পারি
তাদের জন্য কি প্রয়োজন সেটা কথা নয়,
কথা হল আমি তোমার দিকে তাকিয়ে হৃদয়ে বসন্ত লিখতেই পারি,
লিখতেই পারি কাদম্বরীকে তুমি মনে করে
"প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস—
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ। "
.
জানি চলন্তিকা
তুমি হিংসা করবে না কাদম্বরীকে,
কিংবা হঠাৎ মুড সুইং করে আর আমার দিকে তাকিয়ে বলবে না কখনো
ভালোবাসা মানে কিছু নয় সে তো পুরুষের খিদে
তাতে আমার কি কিংবা বসন্তের
সবটাই শুধু টাইমপাস, একটা অভ্যাস।
.
আমি ঠাকুর নই চলন্তিকা,
তুমি নও সেই ৬ বি দ্বারকানাথ টেগোর লেনের জোড়াসাঁকো গৃহবধু,
আমি এই শহরে হঠাৎ তোমার সাথে দেখা হওয়া সেই দমকা হাওয়া
আর তুমি সেই হাওয়ায় ভেসে চলা আমার শহর।
আমি সেই হতভাগ্য প্রেমিক
যে প্রেম খুঁজতে খোঁজে না বসন্ত, যার খোঁজ শুধু একটা মুহুর্তের,
তোমার মুখোমুখি।
.
যার কাছে তোমার হাসি - ভালোবাসা
যার কাছে তোমার চোখ - ভালোবাসা
যার কাছে তোমার হৃদয় - হৃদয়ের ঘর
যার কাছে তোমার অভিমান - শুধু কষ্টের
যার কাছে তোমার দূরে থাকা - শুধুই রক্তপাত
যার কাছে তোমার ঠিকানা - একলা আকাশ
যার কাছে তোমার বিশ্বাস - ভোরের বাতাস ।
.
আমি সেই ভালোবাসায় বিশ্বাসী
যেখানে তুমি চলন্তিকাই শুধু , কাদম্বরী নও,
আমিও নই সেই স্বার্থপর কবি
হতেও চাই না আমি কখনো অভিসপ্ত কাদম্বরীর চিঠি।
শুধু ভালোবাসতে চাই
কোন বসন্ত নয়, কোন পলাশ কিংবা আবিরের রং নয়
কোন নিয়ম কিংবা ঘরের চোকাঠ নয়,
শুধু ভালোবাসতে চাই
না কবির মতো না বরং সোনাঝুড়ির জঙ্গলের মত
শুধু ঠাকুরের কবিতায় নয়
প্রতিটা কবিতা যেখানে তুমি আছো, ভালোবাসা আছে
আর আছে শুভেচ্ছা
ভালো থাকার।
.
পুনশ্চ ঃ
এখানে কোন বসন্ত লাগে না, লাগে নি কোনদিন
আমার মতো যারা নিজেকেই নিজেরা পোড়াতে পারি, বাঁচাতে পারি
তাদের জন্য ভালোবাসা শব্দটা কোন বসন্ত নয়
বরং একটা শিক্ষা যা আমার ঠাকুরবাড়ি থেকে পাওয়া।
No comments:
Post a Comment