ছায়ানট
... ঋষি
অনন্তকাল ধরে এই পরিচয়
আজও আমাকে বলে সেই ছায়ানট তোমাকে কি বলে ডাকবো ,
প্রেমিক যখন তার পরিচয় হারায়
প্রেম যখন গভীরে ছত্রিশ কোটি ঈশ্বর ছুঁয়ে আবদার করে
সাথে বাঁচার
তখন প্রেমের কি সত্যি পরিচয় থাকে।
.
কিউমুলাস মেঘের নিতম্ব ছুঁয়ে এ শহর আজ দ্বিধাগ্রস্থ
তোমারে কি নামে ডাকব,
ঈষৎ রোমশ আভা তোমার স্তনের পরিচয়ে ,
তোমার চোখের বিদ্যুৎ বলে দেয়
আমার মৃত্যুর কারণ ,
মানুষ তো জানে সত্যাভিলাষে কোনো ষড়যন্ত্র নেই
শুধু সময়ের ষড়যন্ত মানুষকে গ্যালিলিও করে।
.
তবুও তো উত্থান থাকে
তবুও তো আঘাত থাকে
হঠাৎ শহর বুক ছুঁয়ে কোনো উষ্ণ মেঘ
উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায় তোমার খোলা চুল ,শাড়ির ভাঁজ ,
আসলে প্রকৃতি শুধু বুক বোঝে
বোঝে ঝর্ণার নগ্নতায় ভিজে ধরা শ্যাওলা ধরা পাথর
তপস্যা।
আজ আমাকে বলে সেই ছায়ানট তোমাকে কি বলে ডাকবো
নিহত ডায়েরী জুড়ে পুনরায় জেগে ওঠে গুল্ম ও লতা
হঠাৎ পরিচয় খোঁজে
প্রেম থেকে প্রেমিকার দূরত্ব
দূরত্ব সময়ের থেকে ,দুর্বলতার
সেখানে আমার মতো কেউ কেউ দেশলাইকাঠিতে সময় পোড়াতে পারে ,
খুব অনায়াসে মৃত মুখে আগুন দিয়ে
ফিরে আসতে পারে জন্মান্তরে অন্য শরীর নিয়েছে
কারণ শরীর হলো পরিচয়
কিন্তু শরীরের পরিচয় প্রেম নয় কখনো।
No comments:
Post a Comment