মিলন বন্দিশ
... ঋষি
গোটা গোটা বাতিস্তম্ভ রাক্ষসের মতো খেতে আসে
পিঁপড়ের বাসাগুলো এই শহরে অনেকটা মানুষের খুপরির মতো দেখতে ,
ট্রাম ,বাস ,হাজারো লক্ষ্য ছুটন্ত মানুষ
শহরের উপর থেকে দেখলে পিঁপড়ের মতো দেখতে,
ভাগ্যিস রাস্তা ছিলো, না হলে মানুষ
সময়ের কষ্টে মরে যেত।
.
গোটা একটা সময়কে চিবোবো বলে জন্মেছি
আমার জন্মের দাঁতে লাশের মতো সারি দেওয়া সম্পর্কগুলো
রক্ত ,মাংস আর কেজির দরে বিক্রি ,
হাতির দাঁত আর মানুষের দাঁতের মধ্যে তফাৎ
সম্পর্ক আর গভীরতা
মানুষ বোঝে নি কোনো দিন দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম।
চলো সংসার করি চলন্তিকা
পেটে ধরো ঘরের শত্রু বিভীষণ কিংবা সময়ের
দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে আমার নেশার দাঁত কিড়মিড় করে
তাইতো ভালোবাসলে তোমার স্তনে থাকে আমার দাঁতের দাগ।
এই শহরে বাড়তে থাকা আতঙ্ক
করোনা করোনা
প্লিজ এইভাবে আমাকে বলোনা
আমার আবার মৃগীর রোগ ,তোমার ভালোবাসা মশারির
বাড়িয়ে দেয় এই শহরে জনরোষ।
এক রোখা ভাবনা
জলে থেকে কুমিরের সাথে যুদ্ধ
পোয়াতি জীবন ,পূর্ণাঙ্গতায় মিলন বন্দিশ ,
অদ্ভুত সোহাগে ছড়িয়ে পরে বসন্তের বাতাসে আবিরের রং ,
তবু আমি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে
আমার ঘরের ভাতে নুনের পাশে তোমার ছাই রং।
No comments:
Post a Comment