ডিলো
..ঋষি
.
আমি " ডিলো " বলে সেই আফ্রিকান সেই পুরুষকে চিনি
যে সুদুর আফ্রিকা থেকে এশিয়ায় এসেছিল
শুধু ভালোবাসতে।
সময় ভোলে নি সে, দেওয়াল ভাংগে নি সে
সভ্যতা তোলপাড় করে পরিবর্তিত সময়ের মানুষ বলে নিজের
শুধু একটা দাগ রাখতে চেয়েছিল প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাসে।
.
আমি " ডিলো " বলে সেই আফ্রিকান সেই পুরুষকে চিনি
যার ভাষা তখনকার কেউ বুঝতো না ,
বুঝতো না তার বুকে বেঁচে থাকা এক সমুদ্র ভালোবাসা।
সে যখন বাঁশি বাজাতো ছুটে আসতো সময়ের জানোয়াররা,
পুর্নিমার চাঁদে তার বাঁশীর সুরে
পৃথিবী নেচে উঠতো, নেচে উঠতো ভাষা
পাখিরা হঠাৎ ঘুম ভেঙে সুর মেলাতো তার বাঁশীর শব্দে।
.
আমি " ডিলো " বলে সেই আফ্রিকান সেই পুরুষকে চিনি
যে খুব সুন্দর ছবি আঁকতো পাথরের গায়ে
সে এঁকে ফেলতো সময় খুব সহযে পাহাড়ের গুহায়,
তার ভাষা কেউ বুঝতো না
তবে তার ছবিগুলো কথা বলতো।
আজ শতাব্দী পরও "ডিলো" র সেই ভালোবাসা আপনারা খুঁজে পাবেন
এশিয়ার বিভিন্ন গুহায়,
ডিসকভারি চ্যানেল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে।
.
কিন্তু আমি দেখি শুধু " ডিলো" র প্রচেষ্টা
" ডিলো " ভালোবাসা তার ভাষার জন্য, তার সৃষ্টির জন্য
সে চেয়েছিল অমর করতে তার ভাষাকে, তার সৃষ্টিদের
কিন্তু আমরা?
আমার তো ভয় করে আমার ভাষা হারিয়ে ফেলার
বাংলা সংস্কৃতি, সুর, সভ্যতা যদি হারিয়ে যায়,
কারণ আমাদের মধ্যে আমরা " ডিলো "কে দেখতে পাই না
দেখতে পাই অপসংস্কৃতি।
No comments:
Post a Comment