গান্ধীজির বাঁদর
..ঋষি
.
আমি গ্রামে জন্ম নিয়ে দেখেছি
মশা কামড় আর মাটির দুঃখ আমি নিতে পারি নি,
নিতে পারি নি কুসংস্কার আর নিরক্ষরের তকমা।
গ্রামের সেই কালো দিদিমনিকে জাপটে ধরে সাঁওতাল পরগনায় দেখেছি
পঞ্চায়েত বসেছে,
পঞ্চায়েতের মনিবরা কালো দিদিমনিকে ন্যাংটো করে গাছে বেঁধেছে,
তারপর তার চুলগুলো আগুনে পুড়েছে
বুনোট প্রাকৃতিক স্তনে হাত রেখে সারা পঞ্চায়েত বলেছে
মেয়ের শিক্ষা রান্নাঘরে ভালো, রানাঘাটেও ভালো
কিন্তু ভালো না পুরুষের দাবনায়
তবে নাকি মেয়েদের রান্না করতে অসুবিধা হয়।
.
আমি শহরে জন্ম নিয়ে দেখেছি
ফান, ফ্যান্যাসি আর মস্তি, সাথে আছে সোনাগাছি।
আমি শহরের কনডোমের গায়ে খুঁজে পেয়েছি সেই কলেজ যুবতির
ভার্জিনিটি হারানো ভার্চুয়াল সুরসুরানি,
শহরের রাস্তার পাশের পাবে আমি খুঁজে পেয়েছি সেই অন্ধ মিউজিসিয়ানকে
যে রিমেকি রবীন্দ্রনাথের সুরে পিটবুল বাজাতে ব্যাস্ত
আর জনতা মদের নেশায় প্রাচাত্যের কনডম ব্যাবহারে।
.
একটা রঙিন কুকুরকে গুলি করে খুন করা হয়েছে
মানবঅধিকারের শহর তখন কুকুরের গলায় চিৎকার করছে,
রাস্তার মিছিলে সাধারন জনগন
পুলিশের ভ্যানে তোলা হলো সুন্দরী রিপোর্টারকে
থানার ভিতর শ্লীলতাহানি সত্যি বলার জন্য
আমি চিৎকার করে উঠেছি
এটা অন্যায়।
পুলিশ প্রথমে আমাকে ব্যাপক লাঠিপেটা করলো আমার পিতৃপুরুশের জমিতে
হাত দিয়ে আমার পিতৃপুরুষ মুড়ে বলেছে
শালা, সুরসুর করছে নাকি।
আমি চুপ
কারন আমি বুঝতে পেরেছি
সাধারন মানুষের কোন প্রতিবাদ থাকতে নেই
থাকতে নেই নিজের কোন শহর বা গ্রাম
শুধু চুপ থাকতে হয়
আর গান্ধিজীকে স্মরন করে বাঁদর সাজতে হয়।
No comments:
Post a Comment