দেবী
.... ঋষি
.
বিষাদ শব্দটার ভিতর একটা গর্জন তেল মাখা দেবী মুখ দেখতে পাই
সারা শহরে যেদিকে তাকাই দেখি ট্রাফিকের অবাঞ্চিত গর্জন
আর সাদা - কালো জেব্রাক্রসিং
অদ্ভুত সাদা আর কালো ,সত্যি আর মিথ্যে।
আমি মেয়েটাকে চিনি দেবীর মতো
কিন্তু এই শহরের সময়ের ঘরে সে অবাঞ্চিত কালিমায় নষ্ট শরীর।
.
শরীরে গল্প এসে পরে
আসলে সস্তা টিআরপিতে শরীর শব্দটা মাংসের থেকেও সস্তা এই সময়,
শহরে, মোহরকুঞ্জে নেমে আসে ফোঁটা ফোঁটা রাত
পতন-শব্দের নীচে সারি দেওয়া মদের দোকান
মানুষগুলো এই শহরে পোড়ে
নিজেরা পুড়তে পুড়তে সময়ের বীর্যে কলংকিত করে দেবী ভাবনা।
প্লিজ ঘাবড়াবেন না ,মেয়েটার নাম যদি দেবী হয়
প্লিজ ঘাবড়াবেন না ,আমি যদি তার খদ্দের হয়ে তার ঘরে যাই
জানি আপনারা ঘাবড়াবেন
যদি নীলাভ পাওয়ার-ল্যাম্পের আলোর নিচে
আপনারা যদি শুনতে না পান ঘোড়ার খুরের শব্দ
কিংবা মেয়েটার শরীরে যদি না পরে ঘোড়ার খুরের দাগ।
.
কলকাতার সাদাকালো ঘোড়ায় টানা ট্রাম
মুছে গেছে ,এই শহরের কঙ্কালে রেখে গেছে পুরনো জমিদারি ,
এরকম এক সন্ধ্যেতে আমি বাড়ি ফিরি পা টিপে টিপে
কারণ দেবী তোমার কলঙ্ক এই শহরের পুরুষের বিড়াল চিন্হে লেগে ,
বিজ্ঞাপনের যেখানে সমাজ দখলের আলো
দেবী সেখানে তুমি এই শহরের পুরুষের লুকনো সংসার।
No comments:
Post a Comment