চাকরীটা হয়ে গেছে তাদের
...ঋষি
.
ইন্টারভিউ বোর্ডে বসে অনিমা বলে
আমি দশ বছর বাংলা নিয়ে পড়লাম, ব্যাংএর জননতন্ত্র বলবো কি করে,
অনিমেষ আট বছর আইন নিয়ে পড়ে আজ আর্টটিচার
আর আমি কিছু পড়াশুনা করি নি মশাই
শুধু মানুষ চিনতে, চিনতে মশারির ভিতর মশা মারি
আমার হাতে লাগে রক্ত।
.
একবার বসেছিলাম ইন্টারভিউতে
আমাকে প্রশ্ন করা হলো নীল আমষ্ট্রং কে?
কেমন যেন গুলিয়ে উঠলো আমার বাড়িতে না বিয়ে হওয়া বোন
বিধবা মা আর পাশের বাড়ির নীলা,
প্লিজ আমি বলতে পারবো না সন্দীপনের দুঃখ
খাঁড়াই হয় না।
আমি বল্লাম আমার পাড়ার দাদার নাম, পঞ্চায়েত প্রধানের নাম
চাকরীটা হয়ে গেছিল কিন্তু হয়েও হলো না
কারণ আমি কবিতা লিখি।
.
বেশি কথা বাড়ালে শত্রু বেড়ে যায়
বেশি কথা বল্লে লুংগি খুলে এগিয়ে আসে শতরুপার দিকে রাষ্ট্র
শতরুপার বাবা যে রুলিং পার্টির বিরুদ্ধে।
যেখানে প্রেম, ভালোবাসার দিনে বেড়ে যায় গোলাপের দাম
যেখানে রাত্রি হলে চাহিদা বেড়ে যায় ইন্টারনেট পর্নসাইটগুলো
সেখানে সকলেই বোধিবৃক্ষ,
সেখানে সকলেই ইন্টারভিউতে টুকে ফেলে মুখস্থদের।
আমি দেখছি আঙুল নড়ছে হাওয়ায়
আমি দেখছি শায়ার দড়ি খুলে অনিমা ইন্টারভিউ দিচ্ছে
চাকরীটা হয়ে গেছে রাষ্ট্র তাদের,
আর সন্দীপন
তোকে বোঝাতে পারলাম কই খাঁড়া না হলেও
আঙুল প্রক্সি দেয় এই সময়,
আমার মা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়
আর পাশের বাড়ির নীলার বিয়ে হয় অনিমেষের সাথে।
No comments:
Post a Comment