Thursday, March 4, 2021

বাবুইয়ের বাসা

 বাবুইয়ের বাসা 

.. ঋষি 


যে হাতটা তোমার বুকের উপর শুয়ে 

সেটা আমার ছিল ,

যে সময় তুমি শর্ট আর ক্যাপ্রি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছো গোয়া তটে 

তোমার বাইনোকুলার তখন উত্তপ্ত রমণ 

সেই পুরুষটা আমি ছিলাম ,

আসলে মহাবিশ্বের বাইরে দাঁড়িয়ে আমি টের পাই 

এরকম হালকা লাগছে নিজেকে। 

.

 বাতাস কেমন হালকা 

আমি ভেসেছি চিরকাল সময়ের মহাসমুদ্রে শব্দের  খড়কুঁটো  আগলে 

আমি বাসা বুনেছি বাবুইয়ের সাথে কোনো গভীর কবিতা 

যেখানে জোনাকি সম্বল 

আর আমার কবিতায় 

চলন্তিকা তুমি এসেই পরও বারংবার বেঁচে থাকার মতো। 

.

যে সময়টা আমি মহাবিশ্বের পরিব্রাজক 

তখন তোমার চোখে  মৃগনাভীড়  তেষ্টা ,

সময়ের  বুকে ভরে আমি হেঁটে  এসেছি এতটা পথ,

 নদীর সঙ্গম দেখব ব’লে

তোমাকে খুঁজবো বলে নিজের জীবাশ্মে। 

অথচ কোথায় নদী? সৌরধুলোর দেশে যতদূর চোখ যায় শুধু হাড় 

ভাঙা  খড়ের কাঠামো,

পুরোনো ব্যথার পিন্ড ইতস্তত জমে আছে তোমার বাহুডোরে 

আমি  দাবিহীন লাশ, সৎকার হবেনা জানি। 

.

যে হাতটা তোমার আমি ধরেছি 

সেই হাতে কোনো পাপ লেখা হয় নি সময়ের সমুদ্রে ,

কবে শেষ কেঁদেছিলাম ? শৈশবে? না, মাতৃগর্ভে?

ভুলে গেছি 

জমে আছে পোড়া নুন,

শিলাচূর্ণ, দুঃখী আকরিক আর উল্কাপাতের কালো দাগ। 


কলঙ্কগল্পের মতো। চিহ্ন মুছে গেছে সময়ের ইতিহাস 

এই গল্পটা আমার 

এই গল্পের নায়ক আমি 

এই গল্পের শেষ পথে জানি হাজারো কবিতা শুয়ে ,


সঙ্গমের ইতিহাস তাই এত মুহূর্তহীন 

দেখো মহাবিশ্বে এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও  জল নেই। 

No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...