Sunday, January 22, 2023

তোমার শ্রুতি

তোমার শ্রুতি
.. ঋষি 

তোমার জন্য কবিতা খোঁজা
একলা কবিতা রাত্রিদিন
তোমার জন্য পথ ভুলে যাই 
একলা আকাশ অন্তহীন।
.
ইদানিং আর ঘুম আসে না
তোমার জন্য সুখের ঘর
ইদানিং আর পেট ভরে না
তোমার জন্য জন্মান্তর। 
.
তোমার জন্য কবিতা লিখেছে
শক্তি,শ্রীজাত আর শংখ ঘোষ
তোমার জন্য কৃষ্ণ প্রেমিক 
ভানু ময়রার চরিত্র দোষ। 
.
শরীরে তোমার ২০৬ খানা
বাহান্নতীর্থে দেবীর সাজ
হৃদয়ে তোমার পার্বতী বসে
নুরজাহান আর মহা তাজ। 
.
তোমার জন্য পৃথিবী ঘুরছে
ছুটছে সকলে রাত্রিদিন 
তোমার জন্য জেব্রাক্রসিং
শৈশব থেকে মাত্রি ঋন। 
.
ইতিহাসে ঝাঁসি দেশ প্রেমিকা
যুবতী সে প্রেম হাত ধরে
বসন্ত এলে মন খারাপী
দ্রোপদীকে নেওয়া ভাগ করে।
.
তোমার শরীরে পাথর ভাঙা
রামকিংকরের স্বপ্ন হাত
তোমার জন্য অন্য পৃথিবী
রান্নাঘরেই সুপ্রভাত 

মেঘে ঢাকা তারা সুপ্রিয়া সেন
দেবদাসেতে শারুখ খান
তোমার কোষেতে জন্মের ধারা
ফসলের মাঠে সবুজ ধান। 
.
তোমার জন্য এতকিছু আছে
তবুও তোমার জায়গা নেই
তোমার জন্য আব্রুতে ঢাকা
সামাজিকতায় ধর্ষন সেই। 














Saturday, January 21, 2023

সমুদ্রের মুখোমুখি

 সমুদ্রের মুখোমুখি 

... ঋষি 


আমি যদি সমুদ্রের মুখোমুখি দাঁড়ায় 

আমার কিছু ভাবনা উড়ে যায় কোনো গভীরতায় 

জানি তুমি দাঁড়াবে না মুখোমুখি 

আমি জানি  বালিঘরেই সকলে সাজানো  সুখী। 

.

সত্যি হলো  সুখী না হোক ,দুঃখী তো নয় 

সুমুদ্রের বিড়বিড় আমি শুনতে পাই 

আমার কানের কাছে ,বুকের গভীরে বিশাল ঢেউ 

আছড়ায় কাঁদে আঁচড়ায় 

              আমি বুঝি 

কিন্তু তুমি ?

আমার মত অন্য কেউ। 

.

আমি যদি সমুদ্রের মাঝে হারাই 

জানি সমুদ্রের রাশিজল ,আমার চোখে মুখে নোনা জল 

আমি ভাবনায় যদি মরে যাই ,

তুমি খুঁজবে না জানি 

তুমি হাসবে না জানি 

শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস তোমার বুকের খাঁজে আমার কবিতায় 

তুমি চিৎকার করে পড়বে সেদিন  

ফিরিয়ে দেও হে সমুদ্র কবির কবিতা 

ফিরিয়ে দেও আমায় প্রেমিকের প্রতীক্ষা 

একলা বালিঘরে সুখের চাদরে আমরা জীবনমুখী 

জীবন গর্ভকোষে জন্মানো সন্তান সকলেই দুঃখী ,

শুধু একবার আমি এ জীবনে দাঁড়াতে চাই 

কবি আর সমুদ্রের মুখোমুখি। 

Friday, January 20, 2023

এইভাবে

এইভাবে
.. ঋষি 
ঠিক এইভাবে দূরে সরে যাও তুমি
একা গাছ,হাজারো সবুজ পাতা, শুকনো যোগাযোগ
ঠিক এইভাবে রাত্রির বাস ডিপোতে যাত্রি কমতে থাকে
ঠিক একভাবে একলা স্টেশনে সময়ের শেষ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে 
ঠিক এইভাবে দিনের থেকে রাত 
৷  রাতের থেকে জ্যোৎস্না 
জ্যোৎস্না  থেকে ভালোবাসা
ভালোবাসার  থেকে যন্ত্রনা 
তার পর তুমি ঠিক ফিরে যাও এই শহরে। 
.
ঠিক এইভাবে আমি হাতড়াতে থাকি 
ঠিক এইভাবে আমি শীতার্ততায় শুনতে পাই রাতের শেষ চলে যাওয়া ট্রেন 
কোথাও কেউ কাঁদছে 
কেউ বা হাসছে পাগলের মত 
মানুষের মত 
ঠিক এইভাবে মানুষের কবিতায় মানুষ হারিয়ে যায়। 
.
বাড়তে থাকা বুকের অষুখ, নিকোটিনে পাপ
পুন্য শব্দটা বোধহয় পাপের জন্য প্রাপ্তি,
ঠিক এইভাবে কবিতার জন্ম 
ঠিক এইভাবে মানুষের মৃত্যু
ঠিক এইভাবে তোমার চলেযাওয়া বারংবার 
বারবার। 
ঠিক এইভাবে আমি দাঁড়িয়ে থাকি একা
ঠিক এইভাবে পাখিরা গান গায় 
ঠিক এইভাবে মাছেরা রাত জাগে 
ঠিক এইভাবে পাহাড়ে শীত নামে।
ঠিক এইভাবে তুমি মনেতে আসো
ঠিক এইভাবে আমাকে ভালোবাসো
তারপর ঘুম ভেঙে যায় 
আবার তোমাকে খুঁজি 
আর ঠিক এইভাবে আমি গাছ হয়ে যাই। 


দিন ফুরোনো কাব্য

 দিন ফুরোনো কাব্য 

... ঋষি 


পাতাঝরা এক বিকেলের কাব্যে 

আমরা  কি আর মুখোমুখি আর দাঁড়াবো ?

কথা যা ছিল হয়ে গেছে সব বলা 

আমরা কি আর হাতগুলো আর বাড়াবো ?

.

নতুন করে সবুজ পাতা নাই যদি ধরে 

এই শহরে হাজারো আমরা মুখোমুখি প্রতি ঘরে,

আমরা কি তবে সামাজিক এক মুখোশের মোমবাতি 

জ্বলছি পুড়ছি ,অসুখে আছি 

             ভুগছি ভাইরাল জ্বরে। 

.

সম্পর্ক মানে দড়ি টানাটানি ,মানামানি সেই সমাজ 

আমরা কি তবে মৃত নাগরিক 

সত্যি মানতে নারাজ ,

সম্পর্ক মানে মুখে কথা নেই ,পাশাপাশি বাস নিজেদের 

আয়নায় দেখি অচেনা মুখেতে বলির দাগ সব নিষেধের। 

.

সত্যি তবে কি জীবন কাব্য 

               অচেনা আমরা সকলে 

সময়ের কাছে টাঙানো ফ্রেমেতে ছবিগুলো সব নকলে। 

এই শহরে হাজারো হাসিতে মৃত মুখগুলো লুকোনো 

সংসার করি ,সংসার বলি,রজনীগন্ধা শুকোনো। 

.

দিন ফুরোবে ,রাত ফুরোনো ,ফুরোনো শব্দ আমাদের 

সময়ের ঘরে জোকার আমরা 

হাসি ,কান্নায় সকলে ,

ইতিহাস বলে ,ইতিহাস গায় ,আমরা সকলে শিরদাঁড়ায় 

মানুষ না হয়ে কেঁচো কেন নই যদি কুকুরের মতো লেজ নাড়ায়। 

.

সত্যি কোনটা মিথ্যে কোনটা 

দিন ফুরোনোএই  কাব্য 

আমরা সকলে আফসোস করি 

আসলে একলব্য।  

 


 


              


কনফেশন

 কনফেশন 

... ঋষি 


কনফেশনের বক্সের পিছনে দাঁড়িয়ে সময় 

তার ঠোঁটে লেগে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার নির্দেশিকা 

              হে মানুষ 

           আর পাপ নয় 

পবিত্র আত্মার সাথে সঙ্গম নয় 

        জন্মাক ঈশ্বর বোধ। 

.

                     ঈশ্বর ?

সময়ের পাত্র নিংড়ে প্রতিদিন খেতে হয় হলাহল 

দুহাতে মুছে ফেলে নোনা জল

                মিথ্যা জ্যোৎস্নার উচ্ছাস 

 বিপ্রতীপ আলোয় খুঁজে বেড়ানো কান্নার লাশ।

.

পথের শেষে তুমি রয়ে গেলে পড়ন্ত বিকেল,

নিরাপদ ছায়া ফেলে একদিন মনোটোনাস যোগাযোগ অন্তেষ্টিতে 

মেলে ধর সবটুকু,  

                     যন্ত্রণা।

রাত জাগা পাখির মতো তাকাও দূরের আকাশ

কনফেশনের বক্সের পিছনে দাঁড়িয়ে সময় 

       চলন্ত নেই আর সেই দিন

       বলে  থেমে যাও এখানে

            ঈশ্বর নয় অতীত

যা বর্তমানে তোমাকে দাঁড় করায় ক্লান্ত ঈশ্বরের সামনে।  

মাৎস্যন্যায়

  মাৎস্যন্যায়

.... ঋষি 

.

তুমি বিশ্বাস করো ,আমি বলছি 

             বিপন্নতা হলো এক রাষ্ট্রজনিত অসুখ ,

বলতে পারো আমরা  কার পদচিন্হ ধরে এগোবো 

এগোতে এগোতে ঠিক পৌঁছে যাবো 

এক শিক্ষিত পৃথিবীর দিকে ,

যেখানে পাওয়া যাবে না মন্দ্রপাহাড়, কলারবোন

ভেঙে ফেলার অস্ফুট শব্দ।

.

চিৎকার করতে ইচ্ছে হয় তোমাদের 

আমার স্বপ্নে প্রায়সই একটা সামাজিক জঙ্গল আসে 

যেখানে ঘুমন্ত হরিণছানাদের  জাগিয়ে তুলে পাতার মর্মর 

যেখানে গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় এক সদ্য জন্মানো সন্তানের 

এ কোন আইন 

হাড়ের সিমেট্রিতে দাঁড়িয়ে আমরা শুধু মায়াকান্না জুড়ি 

কিন্তু হার ভাঙলে জোড়া লাগে না কখনো। 

.

শাসন, ত্রাসন, সর্বগ্রাস

গুম করে ফেলার ভালবাসা সে যেন বদহজম লাগে 

বাঘবন্দি খেলছে এখন সময় , 

আর  বুদ্ধিদীপ্ত সিটিজেন চিৎকার করছে না 

হাততালি দিচ্ছে 

                      যেন সার্কাস। 

সমস্ত উৎপীড়ন সকলেই বুঝছে লোভের ক্ষোভ 

অথচ কিছুতেই তাদের বোধগম্য নয় 

ফলতন্ত্র মানেই এক রাষ্ট্রচালিত মাৎস্যন্যায়।

এ যেন এক  ইকোসিস্টেম কিংবা স্যোসালিসম 

যেখানে এ খাচ্ছে ওকে, আর ও খাচ্ছে তোমায়

রাষ্ট্র ও নৈরাষ্ট্রের পাকস্থলীতে

পড়ে থাকছে হাহাকার,

সুশাসনের বদলে  মাৎস্যন্যায়। 


Thursday, January 19, 2023

অজাতশত্রু

 অজাতশত্রু 

... ঋষি 


একটা ক্যাপসন জরুরী 

জরুরী মৃত্যুর বুক খুলে বোজানো আগুনে বোঝাপড়া 

ধর্মের এপারে দাঁড়িয়ে 

             মিথ্যে ধর্মযুদ্ধ 

যুধিষ্ঠির যেখানে সাধু সেখানে দুর্যোধনের পতন 

অথচ অভিমূন্যের মৃত্যুটা কেউ অভিমান বলে লেখে নি। 

.

আমি অজাত শত্রু 

একটা ক্যাপশন চাইছিলে আমি দিলাম তোমায় 

আমি হলাম পিতার হত্যাকারী ,

অভিশপ্ত সেই মুহূর্ত ,সেই ক্ষণ ,সেই অবজ্ঞা 

আমার দিকে তাকাও নারী 

আমি তোমাকেও হত্যা করতে পারি। 

.

আগুনে পুড়ছে বুক 

নিঃস্বাসে লেগে মগধ 

তুমি ইতিহাস ঘেটে দেখো ,কেমন ক্যাপশান 

একজন হত্যাকারী তোমার প্রেমিক হতে পারে। .

জানি হাসছো 

জানি বলতে চাইছো ,অবজ্ঞা করি তোকে 

মহাপাতক তুই 

সময়কে হত্যা করে তুই শান্তির ঘরে বুদ্ধ 

বিশ্বাস করো আমি আর পারছিনা 

এইবার তো একবার 

    শুধু একবার 

               আমাকে জড়িয়ে ধরতে পারো। 

প্রতিবিম্ব

 প্রতিবিম্ব 

... ঋষি 

...

নিজের অচল প্রতিবিম্বের কাছে নিজেই প্রশ্ন করে দেখো 

সত্যি কি ?

বর্জিত আত্মার ভিতরে কোদাল চালিয়ে দেখো 

হিজলদার ঘুম ভাঙে নি আজও 

তবুও আস্পর্ধা তোমার 

                     তুমি হিজলদাকেই খোঁজো। 

.

তোমার ট্রেনলাইনের বসানো সেই মুছলমান লোকটা 

আজ সময়ের কেবিনেটে সামাজিক বড়ো,

ইট কাঠ আর শক্ত পাথরের ঘরে   

সময়ের কাছে তারা অপেক্ষামান কিছু মৃত্যুর ফরমান ,

অথচ নির্ভেজাল আকাশের কাছে তারাই পবিত্রতা 

ধর্মে কি এসে যায় 

মর্মে কি ভালোবাসা যায়  

সত্যি আর মিথ্যের তফাতে ,আজ সত্যি জেতে  

মিথ্যেরা  মরে যায় ,

.

নিজের কাজল আঁকা চোখে ,সময়ের স্বপ্নে 

                            তোমার সিলেবাসে শুধুই বাঁচা 

                    আর তারপর 

                           আর তারপর 

                                  মনে পরে জটায়ুর ডানা কাটা।

আমার অহংকার আমি অপেক্ষায় সময় বুনতে পারি 

আমার অলংকার আমি সময়ের আগুনে নিজেকে পড়াতে পারি 

অথচ তুমি ভীষণ বোকা 

                   বুদ্ধির মুখোশে তুমি মিথ্যে বোলো 

মিথ্যে মমতাজ আজও দাঁড়িয়ে তাজমহলের দরজায় 

শেহজাদার মৃতদেহ তার  আঁচলে 

চোখের জলে তুমিই বলো 

সত্যি কি জীবন লেখা যায়।  


সময়ের রুমাল

 সময়ের রুমাল 

... ঋষি 

 

সাজানো সত্যি ,একবার না হয় মিথ্যেই বলে ফেলো 

সময়ের ঘরে ,একবার না হয় মিথ্যে প্রদীপ জ্বালো 

দেখো নতুন ভোর 

দেখো সময়ের মুখ 

একবার না হয় মিথ্যেই বাসো ভালো। 

.

জানি কেউ সত্যি বলে না 

জানি আসলে সত্যি বলতে নেই 

দেখো এই হাত, মুঠি খুলেছি, দেখ শূন্যতা শুধু। .বালিঘর। 

অপর এ মুষ্ঠি ... কেবল জীবন্ত কিছু প্রহসন। সময়ের জ্বর। 

একটা মিথ্যে ,একটা সত্যি 

একটা জন্ম ,একটা মৃত্যু 

খেই হারানো শরীরের প্রতি কোষে বিড়ম্বনা 

জানি তোমায় পাবো ,তবু কোনোদিনই  পাবো না। 

.

সময়ের একরত্তি রুমাল থেকে ঝরে পড়েনা দুরন্ত নীল পাখি 

একলা আকাশ 

অথবা প্রলাপমত্ত ম্যামথ ,সেই জাদুকরী দিন

                               কিংবা রাত,  

সুখ ছিল কী তীব্র!ছিল দহন

           ছিল কিছু কথা ,

                        কিছু আনমনা ক্ষণ।  

যেখানে বিষাদী চায়ের দোকানের গালে বিকালের রোদ্দুর

যেখানে টোল ফেলে হেসে ওঠে সহসা ফেরারী মন

ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে আমি রোদ্দুর খুঁজি 

ভীষণ শীত করে ,

তবুও সাজিগুজি  

মনে পড়ে, কিভাবে একলা সে জঙ্গলে হিমেল হাওয়ার স্পর্শ

ঝরা পাতারা বেবাগী ,নিষ্ঠুর বিমর্ষ 

উড়ে চলে যায় ,

একলা পথ ঠাঁই তবু অপেক্ষা 

        দিন কাটে না 

                         দিন 

                             তবু কেটেই যায়।  





 

ফ ল ক না মা

ফলকনামা
.. ঋষি 
তুমি তো বেশ গুছিয়ে নিয়েছো ভালো 
সময়ের রং, তোমার ভাবনারা জমকালো, 
আমি তো ঠাঁই দাঁড়িয়ে  গলির মোড়ে
 ফুল কুড়িয়েছি কাক ডাকা সেই ভোরে 
শুকিয়েছে সব 
জীবন গিয়েছে মরে। 
 
সকালের রং ফিকে পরে গেছে কবে
ভেবেছি আমি এটাই জীবন, আবারও তো ভোর হবে,
সব মিছে যদি এক ঘেয়ে গান গায় 
জীবনের তরে সময় পথ হারায়,  
তবে কেন শুধু মিছে এই গোলযোগ
বিশ্বাস নয় নিঃশ্বাসে বিষ হোক। 
.
তুমি তো বেশ সত্যি বলতে পারো 
খোলা তরোয়াল শক্ত হাতেই ধরো
একের পর সময় গিয়েছে কাটা
ভালোবাসো তুমি,তবুও ঘড়ির কাঁটা।
সবকিছু যদি সাজানো নিয়ম হয় 
নিয়মেই দাবার ঘুঁটি সাজানো যায়
আমি তবে সেই বোরের ঘুঁটি হবো 
দুর্গ আগলে একাই মরে যাবো।
আমার বুকে সময়ের কাঁটা তার
তোমার কাছে এই মৃত্যুর দরবার 
নতজানু এই কবির কবিতা নিয়ে
মৃতদেহ ঢাকা স্বপ্নের সংসার। 

মাইলস্টোন

মাইলস্টোন
.. ঋষি 
আমি কোথায় থাকবো
আমার ঘর, বাড়ি সবকিছু তোমার ভিতর হাইওয়ে
হাজারো মুখ আসে যায় 
কেউ কেউ কৃষ্ণ সাজে বাঁশী বাজায় 
আমি একলা মাইলস্টোন। 
.
আমায় কোথায় রাখবে
তোমার গভীরে অগ্ন্যুৎপাতে জ্বলতে থাকা ঋতুরা
সেখানে রুটি সেঁকা যায়, পোড়া রুটি,
সেখানে একলা থাকা যায়, ভাষাদের ঘর।
সেখানে শীতে একলা কম্বল,গরমে বিষাক্ত নোনা জল
সেখানে বসন্তরা সংসারী,সেখানে বর্ষারা মনখারাপ
সেখানে দিন প্রতিদিন বাঁচার ওষুখ 
শুধুই সময়ের সাজে নিষেধের ঘর। 
.
সময়ের সঙ্গোদোষ
খুব সহজে আমি রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াই, 
রাস্তার মানুষ
একমাথা ঝাঁকড়া চুল,পোড়া গোল্ডফ্লেকের ফিল্টার
আবহন আর বিসর্জন একসাথে 
খুব সহজ।
সেখানে প্রশ্ন করতে নেই আমি আছি কিনা
সেখানে বলতে নেই ভালো আছি কিনা
সেখানে শুধু সময়নির্ভর একটা হাইওয়ে
পাশে চায়ের দোকান 
এক কাপ ধোঁয়া ওঠা ধোঁয়াশা
কিছু মুহুর্ত
কিছু কথোপকথন 
সবকিছু কেমন গুলিয়ে ওঠে।
হাইওয়ের পাশে আমার একলা সংসার 
জনবসতি কেউ কোথাও নেই
সেখানে পীথাগোরাসের উপপাদ্য ভীষণ সত্যি
আর সত্যিটা হলো 
আমি কোত্থাও নেই। 

Saturday, January 14, 2023

ঘুম আসে না

ঘুম আসে না
..ঋষি
ভালো আছি রে 
সকালের সাথে, বিকেলের সাথে, এই রাত্রে
ভালো আছি রে জীবনের গান 
ভাঙা অভিমান 
তোর সাথে।
.
সকালের ঘুম, চায়ের ঠোঁট, কবিতার পাতা
ভালো আছি মুহুর্তের ছবি, মুহুর্তের ঘর 
মুহুর্তের কথা,
ভালো আছি ভিক্টোরিয়া,ভালো আছি শ্যাম বাজার 
ভালো আছি গড়ের মাঠ 
আমার ভালো থাকায় একাকার। 
.
ভালো আছি তবু ঘুম আসে না
ভালো আছি তবু রাত কাটে না
একের পর এক ছবি,একলা বাতিঘর 
বারান্দার ক্যাকটাস, জীবিত সিগারেট, মৃত আগুন 
তবু বুক পোড়ে,তবু মুখ পোড়ে না
আমার ভালো থাকার সিলসিলা চলতে থাকে
তবু সুখী আমি,মুখে হাসি ফোটে না। 
খবরের পাতা, একলা শহর
বিষাক্ত শীত, আজকের খবর
সব ভালো আছে, 
ভালো আছি আমি তবু বিশ্বাস কর 
চোখ বন্ধ রাখি ঠিকই
তবু ঘুম আসে না। 

Friday, January 13, 2023

নিশ্বাস

 নিশ্বাস 

,,, ঋষি 


উপভোগ্য শীত রাতে কথা এলে কমে

বিছানাটা ভরে দিও পুরোনো স্মৃতিদের ওমে

যদি মনে হয় রাত এখনো অনেক বাকি 

তোমার ঘুমের দেশে আমি কবিতাদের রাখি। 

.

নিভে তো যাবেই জেনে তবু জ্বলে ওঠা

ঝরে যাবে জেনে-বুঝে তবু ফুল ফোটা

ব্যথা পাবে, তবু দেখো ভালোবাসে মন!

এরই নাম পথচলা, এটাই জীবন।

.

অলেখ্যে নিয়ে চলা জীবিত পরিহাস 

নির্ভেজাল জীবনের অনবদ্য আশ্বাস 

আবার আসিব ফিরে আর জীবানন্দ নয় 

যদি ফিরি ,যদি ফেরা সত্যি হয়। 

.

অসংখ্য হিসাবনিকাশ ,অসংখ্যতায় উপহাস 

উপহারে আছে রাখে কিছু দগ্ধ নিশ্বাস ,

কল্পনার পরে শুয়ে কেটে যাওয়া কিছু আফসোস

কিছু প্রমান বাকি ,কিছু প্রমানেরই দোষ। 

.

কয়লার গনগনে আগুন ,নরম রুটির ফাঁসে 

জানি না কেন এই জীবন আটকে শ্বাসে 

সকলের যদি  পরিতৃপ্ত হয় 

এইবার আমি হেঁটে যাবো একলা বিশ্বাসে।  


অপ্রকাশিত মনোলগ

 অপ্রকাশিত মনোলগ

....ঋষি 


আমি চলে গেলে যদি তুমি আসো,

আগেই বলে রাখি,

আমার ঘর, বই টই খাতা পত্র ঘেঁটে কিছু পাবেনা

সব চিঠি আর ছবি আমি মেল করে দিয়েছি

বাদামী খামে বেনামী ঠিকানাতে …


সমস্ত প্রমাণ আর সম্পর্কের সব ডকুমেন্টস ইত্যাদি আমি

আকাশে উধাও করে দিয়েছি তারাদের মাঝে,

যেখানে কোনো ঋতু সংক্রান্ত বীণা বাজেনা ।

আমার লেখার ভেতর কেউ কখনো তোমার প্রকৃত নামটা

পাবেনা; কেবল তোমার চন্দ্রাভায় সুষম ত্বরণ জাগাতে হলে

যে সব সিডাকসান বাণিজ্য করা নাম ব্যবহৃত হতো সেগুলো ব্যতীত!

ওগুলোতো সব ব্যর্থ কবিজনেরাই প্রয়োজনে কাজে লাগায়,

তাই না?


এতোদিনে আমি

সেইসব অমৃত মতো নিষিদ্ধ অথচ জৈবিক ঘটনাগুলো

বেমালুম নিজেই মুছে দিতে চেয়েছি !

শুধুমাত্র তোমার প্রজন্মের কাছে নয়, আমি এই পৃথিবীতে

কারো কাছে তোমাকে প্রকাশ করে দেবোনা।


এ্যাতোটা নিকটে এসে অমন হাঁটু ভাঁজ করে বসোনা,

আমার খারাপ লাগে, আবার যদি প্রেমের নামে অমন কিছু ঘটে যায়,

বাতাসে তোমার ঘ্রাণে মাশরুম যদি জেগে ওঠে আমিষ যাতনায়।


প্লিজ অশ্রুতে বাঁধন দাও

শুনেছি অফুরন্ত বর্ষার জলে ভিজে ভিজে

বিষ পান করা মৃত মানুষও নাকি বেঁচে ওঠে

আমিতো সেটা আর চাইনা।


‘আহা আমার ভীষন একাকী লাগে মাঝে মাঝে’

এমন কথা আমি কখনো বলিনি!

কে বলেছে কেউ ছিলোনা আমার পাশে?

তুমিতো অহরহ এসে ফের চলে যেতে পাতাবাহারে

শুকনো পাতায়, লাইলাক শাখায়, হলুদ পাখীর পাখায়!

তখন নিকষিত ধাতব কিছু ভেবে

আমি যদি দশটা প্রেমজ ইশারা পাঠিয়ে দিতাম

তোমার উদ্দেশ্যে

তুমি শধুমাত্র কাল্পনিক এক দাম্ভিকা অথচ ভীতা নায়িকা হয়ে

মনে মনে একবার মিহি কন্ঠে শীৎকৃত ‘কুহু’ বলে

চলে যেতে ক্রমাগত এক চিৎকৃত এবং অবাধ্য বিমান বেয়ে

রাতের আঁধারে মেঘের আড়ালে … !


এবার আমাকে মুক্তি দাও, আমিও চলে যেতে চাই

তোমাকে ফেলে, তোমার ওই ধর্নাঢ্য ঐশ্বর্যময় কপাট ভেঙে

রানওয়ে বানিয়ে

ঠিক তেমনই এক রাক্ষস বিমানে উড়ে

যদি বলি ‘বাই বাই’, হাত নেড়োনা, দেখে ফেলবে যে সবাই …


কে কেমন আছে

 কে কেমন আছে 

.০..ঋষি 


মনে হয় একপ্লেট ভাস্বতী সান্যাল খাই 

মনে হয় একপ্লেট সুহানা বেগম খাই 

অথবা  একপ্লেট ক্রিস্টিফার জোসেফকে খাই ,

কে কেমন আছে একদিন ইতিহাস বই খুলে দেখতে ইচ্ছে হয় 

খুঁটে দেখি কাল্পনিক 

সব গল্পরা হেঁটে চলে গেছে সিগনালহীন সারণি দিয়ে। 

.

ভাস্বতী সান্যাল সেই বোবা মেয়েটা 

যাকে দেখলে কবিতার শব্দহীন হয়ে যায় কোনো অচলায়তন মায়ায় 

লাইটহাউসের গভীর সমুদ্রে আলোড় খোঁজে 

ভাবনারা পথ হারায় ,

সুহানা বেগম সেই অন্ধ মেয়েটা 

যাকে দেখলে কবিতারা ভিক্ষা চায় পার্কস্ট্রিটের ফুটপাথে 

কোনো অদ্ভুত আকর্ষণ অন্ধ হতে চায় 

বোধহয় অন্ধকারেই সুখ। 

ক্রিস্টিফার জোসেফ নিউটাউনের কোনো বারে ক্যাবেরে নাচে 

যাকে কবিতারা বড্ডো বেশি আস্ফালন করে 

মনে হয় কবিতারাও যুবক হতে 

হতে চায় কোনো অন্ধ হারানো গলিতে আলোকময়। 

.

আমি বিবশ বয়সে এসে  তাদেরকে এক প্লেট খাই

পাকস্থলী আর আগের মতো বন্ধু নয় এখন  

মনে হয় কি সুস্বাদু সময়ে আজও সাজানো সেই ডাইনিং 

কি অদ্ভুত  এরোমায় মন কেমনে শব্দ 

কবিতারা কথা বলে 

কে কেমন আছে ? পরিসান? অথবা নির্মোহ সুখেন ভবতি?

হয়তো ঝর্না সেন  জানেন,

তার কথা না হয় আরেকদিন হবে 

আজ শুধু এতটুকু। 


অপ্রস্তুত

 অপ্রস্তুত 

... ঋষি 


আমি কচুরিপানার পাতায় কয়েক ফোঁটা জল দেখেছিল 

গড়িয়ে নেমেছিল আমার ঠোঁটে 

             আমি ভেবেছিলাম তৃষ্ণা। 

           সময়ের চোখে তুমি দেখেছি ভয় 

রক্তাক্ত সময়ে তুমি পুঁতে দিতে চেয়েছিলে রক্ত গোলাপ 

            অথচ আজ সেখানে শ্বেত পদ্ম। 

 .              

আমি গন্তব্যহীন ট্রেনের টিকিট কেটে 

        ওয়ার্ল্ড-ট্যুরে বেরিয়ে পড়েছি অথচ 

                       পকেট ফুটো,

নিজের সময়ের ব্যারিকেটে নিজেই আটকে পড়েছি ।

দ্যাখো আমার নির্ভেজাল শরীরের কোথাও

              ঈশ্বরের ছেঁড়া বর্ষাতি নেই

আজকাল প্রতিবেশীর লাজুক টিকটিকিটা  খবর

                    রাখেন  বড় একটা।

.


উলুবেড়িয়ার সেই খালটার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কয়েকটা  শকুন

            অপ্ৰস্তুত ঠোঁটে জায়গা দখলের লড়াই,

আমি মধুদির চোখের পাতায় সেদিন ভালোবাসা দেখিনি 

দেখতে পাই নি কচুরিপানার পাতায় কয়েক ফোঁটা জল

গন্তব্যহীন স্টেশনের খোঁজে  সব পাগল ছোটে

তবে গন্তব্যের টিকিট আজও অপ্রাপ্তিতে লেখা। 



আমার ভারতবর্ষ

 আমার ভারতবর্ষ 

.. ঋষি 


সাতসমুদ্র তেরোনদী পেরিয়ে আমি তোমার কাছে যাবো 

কিন্তু তোমাকে পেরিয়ে কোথায় যাওয়া যায় আমি জানি না ,

তুমি আমাকে প্রায়শই ছেড়ে যাও 

আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে তুমি কোথায় যাও 

কত দূর ,যত দূর 

অনবরত ভারতবর্ষের পথ চলা 

আমার ভারতবর্ষে তুমি যত পথ ,তত পথ। 

.

আমার বাড়ির সামনে দিয়ে একটা নদী গেছে 

আমার ভারতবর্ষে হাজারো নদী 

যেখানেই শুরু হোক না  ,যেখানে হোক না শেষ 

সমস্ত নদী ,সমস্ত পাহাড় ,সমস্ত মরুভূমি ,সমস্ত মালভূমি 

আমার ভারতবর্ষ তুমি 

তোমাতেই শুরু ,তোমাতেই শেষ। 

.

সাতসমুদ্র তেরোনদী পেরিয়ে আমি তোমার কাছে যাবো 

কিন্তু তোমাকে পেরিয়ে কোথায় যাওয়া যায় আমি জানি না ,

হাজার সুরের পাখির নিয়ে পাখি সমাজ 

হাজার রঙের ফুল নিয়ে ফুলেদের দেশ

হাজারো মন আর পোশাক নিয়ে সময়ের সমাবেশ  

নানান ভাষায় 

নানান রীতির

নানান রূপের মানুষকে একসাথে বেঁধে 

তুমি ভারতবর্ষ ,

তবু শৈশবের ভূগোলকে ছেড়ে 

জীবনের মানচিত্রে পা রাখতে গিয়ে 

দেখি সব কিছু ভুল হয়ে গেছে 

তোমার বিখ্যাত জনপদে, শহরে নগরে

যেখানেই রাখি পা

কে এক নৃসিংহমূর্তি ,কে এক সময়ের দৈববাণী 

সহসা প্রবেশপথে পথরোধ ক'রে 

আমাকে প্রশ্ন করে 

কে তুমি

কোনখানে তোমার দেশ?


কেমন আছিস রাজদ্বীপ

 কেমন আছিস রাজদ্বীপ

... ঋষি 


কেমন আছিস রাজদ্বীপ

জানতে ইচ্ছে হয় না ,আমি কেমন আছি 

তুই বলতিস এই পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের মাথায় ছাদ নেই 

যাদের আছে তারা বোঝে না মানে ,

 সেদিন আমি তোকে প্রশ্ন করছিলাম মনে আছে 

ছাদহীন মানুষের মাথা না মাথার উপর ছাদ 

কিন্তু আজ আমি জানি ছাদের মানে। 

.

আজ অনেকদিন হলো এই শহরের বাইরে আছি 

জানিস রাজদ্বীপ আর আগের মতো নেই রে 

এখানে গাড়ি ঘোড়া ,বাস স্ট্যান্ড ,বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো নারী ,

রাজদ্বীপ তোর মনে পরে একবার আমরা নারীর সন্ধিবিচ্ছেদ করতে চেয়েছিলাম 

তুই বলেছিলিস নারী নাকি বিশেষ্য পদ  

কথাটা মন্দ বলিস নি সেদিন 

তবে নারী মানে বিশেষ্য বটে তবে বিশ্লেষণহীন। 

.

কেমন আছিস রাজদ্বীপ ওখানে

তুই বোধহয় ওখানে আজকে ইন্দ্রের পাশে বসে রম্ভা ,উর্বশীর হিসেবে নিচ্ছিস

আর আমি এখানে কম্পিউটার ঘষছি ,জীবন ঘষছি 

বেশ ভালোই আছি 

সারাদিন কাজ। রান্নাবান্না নিজেই করি 

বাসন মাজি আবার অল্পসল্প লেখালিখি করি , 

ঘর মুছি আবার ইন্টারনেটে সার্ভ করি 

সারাটা দিন কাজ আর কাজ-

আর সন্ধ্যেতে (শুনলে তুই রাগ করবি) 

আমার একলা ঘর আর আমি একলার সাথে  সঙ্গে জিন খাই -

এখন অবশ্য মাত্রা বুঝে খাই-

হাসি পাচ্ছে, না? 

বুঝলি রাজদ্বীপ তুই চলে গেছিস প্রায় আজ চারবছর 

কিন্তু চারবছর আমার পৃথিবীটাও বদলেছে 

আমরা মানে আমরা বন্ধুরা কেউই আর একসাথে নেই 

সকলেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো এখন নিজেদের জীবনে 

নিজেদের বেঁচে থাকায়। 

মাঝে মাঝে কষ্ট হয় জানিস এই একলা থাকায় 

রাজদ্বীপ তোর মনে আছে সেদিন সেই তুমুল শীতের রাতে 

আমরা একসাথে সাইকেলে করে নিমতলা গেছিলাম 

কিন্তু ভাবিনি সেদিন তোকে একলা সেখানে পুড়িয়ে আসতে হবে 

আমিও পুড়ছি এখন কিন্তু তফাৎ হলো 

পৃথিবীতে জ্যান্ত পোড়ার যন্ত্রনাটা বোধহয় মৃত্যুর থেকে বেশি। 

.

আজ জানি তুই ঠিক আমার স্বপ্নে আসবি আর হাসবি 

বলবি লেখ, লেখ-

লিখতে গেলে আমার হাত ধরে যায়-

তুই বলতিস তোর অনুভব নেই ;হাত না হোক, মন দিয়ে লেখ 

রাজদ্বীপ, আমিও লিখি রে, চোখের জল দিয়ে লিখি তুই পড়তে পারিস না,

সে তো আমার দোষ না।  


Wednesday, January 11, 2023

পরিব্রাজক

 পরিব্রাজক 

... ঋষি 

.

যন্ত্রনা 

.

আগুনে পোড়ানো স্বরতন্ত্র 

আগুনে পুড়ে যাওয়া অনধিকারগ্রস্থ কিছু পুঁজি 

এত সস্তায় সিগারেট বিকোয় এই শহরে 

অথচ  চিতাকাঠ এত দামি। 

.

চোখের জল 

.

অভিধান খুলে দেখেছি পাতার পর পাতা সমার্থক 

শুধু অর্থ পাই অন্য ভাষালিপিতে 

পাখির ঠোঁটে পাথর বেঁধে ঈশপের গল্পটা লিখবো একবার 

শরীরের জলের পরিমান কমাতে হবে। 

.

বাস্তব 

.

পারদে জ্বরের তাপমাত্রায় থার্মোমিটার ফাটবার জোগাড় 

সকলে যন্ত্রের দেশে নাগরিক আমরা ,

সংবিধানে দাহ হয়ে চলা অনুভূতির  শরীর 

আমরা শুধুই শরীর আর আমাদের দাহ্য মাত্রা। 

.

পথিক 

.

রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া হিউয়েন সাং 

আমরা শুধু সস্তায় পথ হাঁটি 

পাঁচ টাকায় খিদে পাওয়া বিস্কুট না ভালোবাসা 

উচ্চারণ নয় হজম করি। 

.

শরীর 

.

ভালো না খারাপ ,চিৎ হয়ে শুয়ে আছে অহংকার 

কাউকে বুঝতে চাওয়ার অমৃতসাধন 

আমরা শুধু শরীর নিয়ে খেলে চলেছি গোটা জীবন 

অথচ শরীরের নিভৃতে অন্য একটা শরীর রেখেছি।

আমি কি চেয়েছি তোমায়

 আমি কি চেয়েছি তোমায় 

... ঋষি 

..

আমার পঞ্চাশ ঘেঁষা ভালোবাসা 

তোমাদের সেই ২০৬ টা হাড়ের কাছে কিছু না 

আমার গোয়ালে অবিরত গরুরা দুধ  দেয় 

সকলেই দুগ্ধবতী ,

কিন্তু আমার দুধে অরুচি 

রুচিতে বাঁধে তাই দুধে মুখ নয় ,নুন রাখি। 

.

সমস্ত সংকল্পের পর বাঁধ ভেঙে যায় বেহেমিয়ান দূরত্ব 

আমি ভালোবাসি না 

আমি শুধু তাকিয়ে থাকি নারী তোমার অপরূপ ছল কপটে 

বুকের সংসারে 

সমস্ত মিথ্যে হয়ে যায় যখন তুমি হাসো 

কিংবা ভালোবাসো। 

.

নারী তোমার যোনিজ প্রেমে জন্ম ঘুমিয়ে আছে 

আমি পথ হারিয়েছি 

পথিকের চোখে তাই অন্ধ হয়ে যাওয়ার বাসনা ,

পথের মুক্তি 

সময়ের চুক্তি 

কোনো এক অক্ষাংশে রাখা আমার নারীজ স্পৃহা। 

আমার পাকতে থাকা জুলফিতে 

পঞ্চাশ ঘেঁষা ভালোবাসা আজ মুক্তি পেয়েছে 

মুক্তি পেয়েছে চুক্তিতে বাঁধা সরগম 

দিন বদলেছে 

এখন ব্যান্ডের গানে " আমি কি চেয়েছি তোমায়"। 


শীতকাল মানে

 


শীতকাল মানে 

... ঋষি 

...


শীতকাল মানে তোমরা ঢাকা 

                           লেপ ,তোষক আর সোয়েটারে 

শীতকাল মানে আমাদের  শীত কাতর দিন 

                           কোনো এক নগ্ন শহরের কোটরে। 

.

শীতকাল মানে তোমাদের কাছে 

                         পাড়ি দেওয়া দার্জিলিং ,স্নোফল কিংবা সমুদ্র                                                                                                                                                                                            

 শীতকাল মানে আমাদের কাছে 

                         রাস্তা,ত্রিপল আর  ফুটপাতে বাঁচার রক্ত  যুদ্ধ। 

.

শীতকাল মানে তোমাদের কাছে 

                     উৎসব, আয়োজন আর পিকনিক 

শীতকাল মানে আমার কাছে 

                    অন্য একটা অনুভব,আরেকটা কষ্টের দিন। 

.

শীতকাল মানে তোমরা বোঝো 

                     কোল্ডক্রিম ,অলিভ অয়েল আর লিপবাম 

শীতকাল মানে আমি বুঝি 

                     শুস্কতা আর ফাটা চামড়ায় এলবাম। 

.

শীতকাল মানে তোমাদের কাছে স্পেশাল 

                        সান্তা ,বড়দিন ,কেক আর পার্কস্ট্রিট 

শীতকাল মানে আমার কাছে 

                       বছরের একটা ঋতু  আর ফুটপাথে আরেকটা শীত।

.

শীতকাল মানে তোমাদের কাছে 

                          উইকেন্ড পার্টি , আড্ডা আর রেস্টুরেন্ট 

শীতকাল মানে আমার কাছে 

                         কুঁড়োনো বাতিল লাল বেলুন আর এডজাস্টমেন্ট।

.

শীতকাল মানে এই দেশে তোমরা 

                      একটা আলাদা জাত যারা গরমের পোশাকে 

শীতকাল মানে আমরা সেই একই 

                      ক্লাবের শীতের চাদর বিতরণী লাইনে কিংবা দয়ার ভালোবাসাতে। 

.

শীতকাল মানে তোমাদের দিন কাটানো  

                          শীতের ছুটি ,সার্কাস ,মেলা আর আনন্দে  

শীতকাল মানে আমরা দাঁড়িয়ে 

                           খালি গায়ে ,খালি পেটে  ,নগ্ন বাঁচার ছন্দে।

.


Monday, January 9, 2023

শুধু অভিনেতা বদলায়

 শুধু অভিনেতা বদলায় 

... ঋষি 


একটা গেট ,হাজারো পর্দা সরিয়ে এগিয়ে আসছেন বেশ জনপ্রিয় মুখ 

আমরা বলি অভিনেতা ,

ভিড় জমে যায় ,সময় জমে যায় 

অভিনেতার হাসি ,তার লাম্পট্য ,তার চোখের দৃষ্টি ,পেশীবহুল শরীর 

সব বিক্রি হয় 

সব দেখে দর্শক হাততালি দেয়। 

.

অভিনব ভাবনা ,অভিনব চিত্রপট ,অভিনব চিত্রনাট্যের সাথে 

লাইট ,ক্যামেরা ,একশন

উফ কি পোস ,অভিনেতা জড়িয়ে ধরলো তার চিত্রপটের নারীকে 

হাততালি 

সংসার ,প্রকৃতি ,মানুষের মাঝের গল্প কিংবা স্বপ্ন 

সব সত্যি হয়ে যায় ওই সিনেমার পর্দায়। 

.

একটা গেট ,হাজারো পর্দা সরিয়ে এগিয়ে আসছেন অভিনেতা 

কালো মার্বেল বাঁধানো তিন ধাপ সিঁড়ি। ......কিছুটা ক্ষয়ে গেছে হয়তো 

ওই তিন ধাপ পেরোলেই চোখ ধাঁধানো আলো 

উজ্বল নক্ষত্র ,সময়ের স্বপ্ন। 

লাল ,নীল সবুজ গাড়ি ,সিনেমা হিট কিংবা ফ্লপের গল্প 

জনতা হাততালি দেয় 

মানুষ চলে গেলে ,ফুটি ফাটা রেড কার্পেটের ব্যথা 

কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি ফুরোয় না। 

জনতা বদলায় হয়তো ,অভিনেতা বদলায় 

অভিনয় থেকে যায় 

কিন্তু 

কিছু বুকে চলা শ্বাপদের স্বপ্ন নিঃশব্দে মৃত্যু নিয়ে আসে 

সময় ফুরোয় 

তবুও হাততালি ফুরোয় না 

শুধু অভিনেতা বদলায়। 

Sunday, January 8, 2023

কথোপকথন


 কথোপকথন 

.. ঋষি 

.

খোকা ,খুকু বড় হয়ে গেছে আজ বহুদিন 

শুধু পাগলামিতে ওরা ছোট তখন 

শুধু সময়ের সারেঙ্গিতে ওদের ছোট ছোট আঙ্গুল 

আবার সারেঙ্গিতে ওদের হরেক রকম খেলা ,

আকাশের চাঁদ  আর একলা সেই গলি 

শব্দ আর নিঃশব্দ কালো ফিনফিনে চাদর গায়ে 

ওরা দাঁড়িয়ে

কখন যেন ওদের শেষের বেলা।

.

ওরা বড় হয়ে গেছে চুয়িংগাম চেবানো সেই বাবলগাম 

ওরা ছোট রয়ে গেছে বিশাল খেলার মাঠ আর বন্ধুদের নাম 

ওদের সাথে দেখা হয় মাঝে মাঝে 

ওদের সাথে দু এক পা মিলিয়ে  স্বপ্নের পথচলা,

ওরা হাসে ,ওরা কাঁদে 

ওরা বড় হয়ে গেছে তাই ওদের একলা বেলা। 

Friday, January 6, 2023

আমরা স্ত্রী

 আমরা স্ত্রী 

... ঋষি 

.

আমরা স্ত্রী 


আমরা আমাদের স্বামীকে ভালোবাসি কিংবা মেনে নি 

আমরা একই নৌকায় পার হতে চাই সাত জন্ম 

স্বপ্ন দেখি সেই সাত সমুদ্র পারে সেই রাজপুত্র ,সেই পক্ষ্মীরাজের 

তারপর সেই ছোটবেলায় শোনা ঠাকুমার মুখে স্বপ্নের সংসার 

আশ্রয়ের গল্প ,হাতে হাতের গল্প

সব বিশ্বাস করি ,হয়তো আমাদের বিশ্বাসেই সংসার 

নিশ্বাসেই সমাপ্তি। 

.

আমরা স্বামীর অফিস যাওয়ার সময় রুমাল ,ঘড়ি এগিয়ে দি 

এগিয়ে দি নিজেকে সংসারের খুশিতে 

হয়তো ভাসিয়ে দি ,

রান্নাঘরে ঝাল নুনের পরিমান হিসেবে করি 

সময়ের ঘরে কামনা করি ঈশ্বর সংসারের ভালো হোক 

আমরা জানি আমাদের চাওয়াগুলো বড্ড বোকা বোকা 

তবু বিশ্বাস করি সংসার সুখী হয় রমণীর গুনে। 

.

রোজকার সংসারে আমরা হাত চেপে চলি 

টাকা বাঁচিয়ে স্বপ্ন দেখি একটি সুখী স্বামীর মুখ ,

স্বামী তাস পিটিয়ে ,সখা মিটিয়ে মধ্য রাতে বাড়ি ফেরে 

আমরা অপেক্ষা করি ,

অপেক্ষা করি নিজেকে সাজিয়ে রাতের রজনীগন্ধা 

অপেক্ষা করি সারাদিন পরে ফিরে আসা লোকটার মুখ দেখার জন্য 

একটু কথা বলার জন্য ,

লোকটা ফেরে 

রোজ ফেরে নিয়ম করে 

কিন্তু সঙ্গে করে নিয়ে আসে না আশ্রয় 

বিছানার চাদরে আমারা টের পাই প্রায় প্রতিদিনই নাগরিক গর্ভ যন্ত্রণার,

আমরা টের পাশে শুয়ে থাকা লোকটা নাক ডাকছে 

হয়তো ক্লান্ত ভীষণ। 

মায়ার চাদর দিয়ে আমরা নিয়ম করে ঢাকতে চাই সময়ের যন্ত্রনা 

বছরে দুবার দীঘা কিংবা গোয়া 

সেটাই আনন্দ 

আর বাদ বাকি টুকু আমরা জানি তবু বলি না 

একটা নিয়ম ,একটা নিয়ম ,শুধুই একটা নিয়ম

এইভাবেই  নিয়ম করে শেষ হয় একটা আঠারো রিলের দীর্ঘ ছবি । 


  

সমুদ্র আর কবিতা

 সমুদ্র আর কবিতা 

... ঋষি 


আমার নিঃশব্দ ঘরে সারা ঘরময় শব্দ ছড়িয়ে থাকি 

আমি তাদের একসাথে কবিতায় লিখলেই তারা মানুষ হয়ে যায় 

সে এক এমন মানুষ 

যার পায়ের পাতা ছুঁয়ে সমুদ্রের ঢেউ জীবন জাগায় 

কিন্তু ঘুমিয়ে পরে জীবন 

জীবনের পরে একলা সমুদ্রে মানুষের কবিতায়। 

.

আমার শুনশান একলা সড়কে মানুষ লুকিয়ে থাকে 

আমি তাদের সাথে সময়ের কথা বলি 

কিন্তু সে সব মানুষ শুধু কাঁদে 

আমার সমস্ত মুহূর্ত বেয়ে কবিতা বাইতে থাকে 

বাইতে থাকে একলা  মাঝি তার নৌকা মাঝ সমুদ্রে 

শুধু নৌকার ছইয়ের আড়ালে জীবন বাঁচে 

অথচ নৌকার পার লাগে না। 

.

আমার সমস্ত নিঃশ্বাসের পরে বিশ্বাস ফুরোয় না 

ফুরোয় না মানুষের জন্য অক্সিজেন ,

তবুও গ্লোবালাইজেশনে পৃথিবীটা ক্রমশ ছোট হতে থাকে 

ছোট হতে থাকে মানুষের ঘর ,

শুধু সময়ের থেকে একে ওপরে দূরে দাঁড়িয়ে মানুষেরা সময়ের কথা বলে 

হাতের মুঠোফোনে কথা বলে 

কিন্তু নিজেরা কেউই নিজের কথা বলে না। 

এক এক অদ্ভুত অধুষ্যিত সময় 

সমুদ্রের বালিচরে জমতে থাকা মানুষের পরিত্যক্ত কিছু সময় 

মানুষের অন্তরে জমতে থাকা কিছু নোংরা 

সময় কিছু নিয়ে যায় না 

সমুদ্র কিছু নিয়ে যায় না 

শুধু আমি দূরের দিকে তাকালেই একলা সমুদ্রের মাঝে দেখি একলা নৌকা 

ভাসতে থাকে 

শুধু ভাসতেই থাকে। 

এক কাপ যন্ত্রনা

 


এক কাপ যন্ত্রনা 

... ঋষি 

.

সে যাই হোক বুকের মাঝখানে তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি 

এই শহর থেকে দূরে কোনো কফিশপে তখন এক বছর পঞ্চান্নের বৃদ্ধ 

ঠোঁটের কাছে যত্নে চেপে ধরেছে এক কাপ যন্ত্রনা   ,

আট আঙ্গুল যন্ত্রনা আমি যখন চেপে ধরছি তোমার ভিতর 

তখন সেই বৃদ্ধ কাঁচের চশমার ফাঁকে জমিয়ে রাখছে মুহূর্ত 

হয়তো সত্যি হলো যন্ত্রণাগুলো এই শহরে বদলায় না কোনোদিন। 

.

তোমার চুলে সেই অচেনা শ্যাম্পুর গন্ধ ,অচেনা কন্ডিশনার 

আমি তোমাকে পিষে ধরেছি আমার বুকে ,

ঠিক তখন সেই বৃদ্ধ তার ক্লান্ত লাঠিতে ভর করে এগিয়ে চলেছে 

এই শহরেই কোনো একলা গলিতে ,একলা ঠিকানায় 

তুমি তখন স্বপ্নের মতো আমাকে আদর করছো 

বলছো এমন দিন কোনোদিন হবে না। 

.

সে যাই হোক বুকের মাঝখানে জড়িয়ে ধরেছি তোমায় 

কারণ আমি আলগা দিলেই তুমি পাখি হয়ে যাবে 

তোমার মুখে তখন থাকবে রবি ঠাকুরের সেই গান 

পুরোনো সেই দিনের কথা ,

আর ঠিক তখনি সেই বৃদ্ধ তার একলা অমৃতাঞ্জন লাগানো ঘরে 

ভাঙা গলায় গাইবে  ,অবশ্যই রবিঠাকুর 

দূরে কোথায় দূরে দূরে। 

সত্যি সত্যি দূরে কোথাও এইভাবে ভাবনার লাশগুলো প্রতিদিন একলা থাকে  

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আমি আটকে থাকি এক অদ্ভুত সম্পর্কে 

কিন্তু বিশ্বাস করো ,

সম্পর্কে ম্যাজিক  আমি কখনো দেখিনি। 

শুধু মনের কোনে সেই ঘরে সেই বৃদ্ধ তার মানুষটাকে বারংবার বলতে শুনেছি 

এই সংসার আমার জন্য নয় 

এই বেঁচে থাকা আদৌ আমার নয় 

আচ্ছা  চলন্তিকা অনেকদিন গরম ভাত আর পাতলা মাঝের ঝোল খাই নি 

অনেকদিন হলো বুঝলি এই ঘরের বাইরে যাই নি 

যাবি নাকি আজ একবার সেই কফিশপে 

যেখানে আমরা যন্ত্রনায় চুমুক দিতে শিখেছিলাম ।  

 

আলোর রোশনাই


 আলোর রোশনাই 

... ঋষি 

.

উৎসবের হাওয়ায় ভাসতে থাকা মন 

আলোর রোশনাই এই জীবন 

বেশ তো ,

এই শহরের কাব্যে আবার শুরু হওয়া নতুন সময় 

নতুন সফর 

বেশ তো সময়ের গর্ভে অপেক্ষামান হৃদয়। 

.

ধুয়ে মুছে যাক যত ক্লান্তি-গ্লানি-বেদনা,

নতুন বছর নতুন সময় ,জানাই শুভকামনা।

তারপর সেই একলা রৌদ্র 

বাউলের গান ,মেপে রাখা  জমি

বুকের খামে পুরোনো সেই চিঠি 

তোমাদের কথা ,আমাদের কথা ,সারা বছর বেশ তো। 

.

বেশ তো  

ভুল করে ,ভুলের ঘরে ,ভুলের চোখ চাওয়াচায়ি 

লোকে আমাকে  যে যা বলে বলুক 

আমার ঘরে একলা হৃদয়ের

একলা থাকার রোগ। 

বেশ তো 

ভুল-ত্রুটি-অপমান -অপরাধ 

মন কষাকষি -ঝগড়া -আপোষ -ভালোবাসা - প্রতিবাদ 

সমস্ত মুছে যায় ,তবে যাক 

                   বেশ তো ,

প্রত্যাশা নতুন বছর ,নতুন সম্ভাবনা  ,নতুন না ফোটা ফুল 

হয়ে যাওয়া যত সময়ের ভুল 

পিছনের ঘরে বন্ধ নিঃশ্বাস ,

সব কিছু ফিকে হয়ে যাক ,এই শহর ,এই সময় 

বরফের ঘর।

শুধু সম্ভাবনায় দিন কাটে না 

কাটে না  অসুখ একলা সময় 

তবু আছি 

তবু বলা ভালো আছি আলোর রোশনাই 

বেশ তো। 


অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...