Monday, August 28, 2017

অবুঝ শোক

অবুঝ শোক
...... ঋষি
=======================================================
স্যানোরিটা মর্ডান টাইম
তারপর দুবছর হয়ে গেছে, একটি প্রেমের আয়ু কতকাল থাকে ?
ঠিক এই কথা তুমি ভাবছো
কিন্তু স্যানোরিটা তুমি এটা কি বোঝো তোমার বুকের তিলে আমার আয়ু লেখা আছে।
লেখা আছে এমন অনেক বেঁচে থাকা  যাকে আমি স্বপ্নে দেখেছি চিরকাল
চিরকাল তাকে ঈশ্বরের মতো পুজো করেছি।


তুমি বারবার বলতে চেয়েছো আমি বরাবর , ‘রূপকথা বলি
 ঘুম পাড়িয়ে রাখি তোমাকে।
কিন্তু তুমি কি জানো যে পৃথিবী হাততালি জানে
তার থেকে বহুদূর কোনো অন্ধকার রাতে আমি  জেগে থাকি আমার অকারণ অবুঝ শোক
আমি আঁকড়ে থাকি শূন্য এই বুকে আমার সময়
শুধুই অপেক্ষায়।
আমি জানি  সুখ হল শিশিরের মত ভোরের নরম আলো যতক্ষণ ততক্ষণ
তারপর সেই পুড়তে থাকা সমস্ত  ইচ্ছাদের চিতার আগুন।
যেমন  রোজ আমার দহন সময়ের অপেক্ষায়
আমি আগুন স্পর্শ করতে পারি ,কিন্তু তোমাকে পোড়াতে পারি না।
তাই তুমি মনে করো আমি ভাবি
এক জীবনে সব কিছু পেতে নেই।

স্যানোরিটা মর্দন টাইম
আমি বুঝি সময় সে হলো ধূলিঝড় ,পা মেলাও বেঁচে থাকো অপেক্ষায়।
তোমার স্তনের নিভৃতে যেভাবে আমার আঙুলের ছাপ
তুমি খুঁজে নিতে পারো ,ঠিক তেমন করে আমাকে ভেবো।
দেখবে কোনো এক সোনালী ভোরে আমাদের অপেক্ষারা সঙ্গমরত
আর সময় তখন শুধু বয়ে চলা। 

বড় অচেনা

বড় অচেনা
......... ঋষি
==================================================
এইভাবে এক একটা দিন কাটে
নিয়ম মাফিক জলখাবার ,অফিসের ব্যাগ ,ট্রাফিক স্যিগনাল,অফিস।
ঠিক দুটোয় টিফিন ,নিয়ম মাফিক কুলকুচি
ফাইল ,ল্যাপি ,ডিজাইনিং মোবাইল ফোন কথোপকথন।
ক্লান্ত অবসন্ন ফিরে আসা  প্রতিটা রাতে
অন্যদের মতো মুখোশ মাখিয়ে সংসারী গৃহস্থ।
.
কিন্তু আমার কি এমনি হওয়ার কথা ছিল
মনে পরে শহরকে পায়ের তলায় মাড়িয়ে তোমার হাত ধরে হাঁটা।
ট্রাফিকের সবুজকে অবনমিত করে
ছুটে চলা আসমুদ্র এই বিশাল হৃদয়ে।
বেলুনওয়ালা স্বপ্ন ওড়াতো এক বিশাল নীল আকাশে
আর স্বপ্নের আকাশে আমি সেই শাহাজাদা।
 .
আজকাল অবাক লাগে নিয়ম মাফিক নিজেকে আয়নার আলাপনে
বড় অচেনা আমি একলা দাঁড়িয়ে সংসারী এবং সাধু।
চিনতে পারি নি সে স্বপ্নের দিনগুলো
কেমন যেন ফ্যাকাশে হতে হতে ভীষণ অবহেলায় লুকিয়ে পরে চোরা কান্নায়।
শুধু যখন আকাশে মেঘ ,শুধু যখন বৃষ্টির
তখন তোমায় মনে পরে চলন্তিকা
সেই কিশোরীর হাতছানি আর হঠাৎ উধাও হওয়া।
.
এইভাবে এক একটা দিন কাটে
নিয়মের দেয়ালে ক্রমাগত দাগ টানতে থাকি একটা করে দিন।
দিন ফুরোয় ,ফুরোতে থাকে জীবনের বেঁচে থাকা
বেশ লাগে।
কিন্তু বড়ো অপমান লাগে যখন এই শহর আজকাল আমার দিকে তাকিয়ে
মুখ ভেংচে হাসে ,,,বড়ো অচেনা আমি। 

কথা রাখো নি

কথা রাখো নি
............ ঋষি
===================================================
বলেছিলে তুমি ফিরে আসবে
একইরকম শান্তিনিকেতনি শাড়িতে সেই পুরোনো তুমি।
জানি আজ অনেকদিন
আমি জানতাম তোমার চোখের চশমার লেন্সে আজকাল বাড়াবাড়ি রকম ব্যস্ততা।
আমি জানতাম আমার রোদ কুড়োবার সময়
তুমি ঠিক এসে দাঁড়াবে জলের তৃষ্ণা নিয়ে।
.
অনেকদিন তাইনা ,প্রায় ত্রিশ বছর হবে
তুমি শেষ  চিঠিটা পাঠিয়েছিলে বান্ধবীর হাতে করে।
লিখেছিলে  একটা জীবন
ঠিক দেখা হবে ,দেখা হবেই কখনো কোনোদিন কোনো মুহূর্তে।
.
আজ এতদিনের পরেও আমি একইরকম স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
আমার স্বপ্নের ঘরে আতরে লেখা তোমার নাম।
কিছুই বদলাতে পারলাম না বুঝলে
হয়তো মাথার কাঁচা পাকা চুলে আজকাল বয়সে জানান দেয়।
হয়তো শরীরে বাড়তে থাকা মেদে ,না কাটা দাঁড়িতে অযত্নের ছাপ
কিন্তু তুমি জানো তোমাকে আমি খুব যত্নে রেখেছি আমার সাথে।
তোমার পুরোনো চিঠিগুলো আমি প্রায় পড়ি
তোমার দেওয়া সেই ভালোবাসার গোলাপগুলো আমি যত্নে জমিয়ে রেখেছি।
কিন্তু তুমি কথা রাখলে না
শুধু তোমার নিকট আত্মীয়ের কাছে কাল জানলাম
তুমি আর নেই।
.

আমার প্রথম নারী তোমার কাছে শেখা ভালোবাসার মানে
বলেছিলে তুমি ঠিক ফিরে আসবে ।
জানতাম ভালোবাসা মানে হলো বিশ্বাস, এর অর্থ সাথে থাকে
কিন্তু তুমি আমার বাঁচার মানেটা বদলে দিলে।
তুমি কথা রাখো নি ,রাখো নি কথা
তাই আমি আজ আরো একা,আরো  ........... 

অদৃশ্য হাতছানি

অদৃশ্য হাতছানি
............ ঋষি
=============================================
নিজের চামড়ায় লেগে থাকা বাঁচার লোভ
তুই বুঝিস চলন্তিকা।
আকাশি রঙের শতাব্দীর পারে ভাবনার দেশ
তুই জানিস চলন্তিকা।
ঠিক কতটা কাছে থাকলে
আমার চারিপাশে তোর মাতাল করা গন্ধ।

অবশেষে সব কিছু চলে যাবে  ভার্জিনেল আলাপে
অ্যাতো নাগরিক অবসাদের  ফাঁকে চলন্তিকা তোর হৃদয়ে মরণ রোগ
ভালোবাসা।
তন্দ্রা চোখে লেগে থাকা স্বপ্নের ঘর
তোর দু চোখে মধুর ডি এন এ ,,সব ব্রাত্য যখন
তখন কোনো পরমাণু সম্ভাবনা তোকে স্পর্শ করবে না।
 অনায়াসে বসে কোনো পুরুষ তোকে ছুঁতে পাবে না
ছুঁয়ে পাবে না পূর্ণিমার চাঁদ বাসি অন্ধকার রাতে
শুধু স্বপ্নে পালকে ভালোবাসা কেঁদে মরবে।
আগামী কোনো শতাব্দীর নতুন সকালে
তুই একলা দাঁড়িয়ে ভাববি
আমার মতো নাগরিক জীবনের অভিমান।

নিজের গভীরে লেগে থাকা অস্তিত্বের জ্বলন
তুই বুঝিস চলন্তিকা
আকাশে ওপারে যে স্বপ্নের দেশে নিরুদ্দেশে পথ চলা
তুই জানিস চলন্তিকা
ঠিক কতটা পাশে থাকলে
আমার ছায়ার মতো তুই কোনো অদৃশ্য হাতছানি। 

ক্রিমসন রঙের স্বপ্ন

 ক্রিমসন রঙের স্বপ্ন
........... ঋষি
===============================================
যুবক অনাবিল কণ্ঠে খুলে চলেছে মেয়েটাকে
কি ভালোবাসতে জানে মেয়েটা !!!!
মেয়েটার নরম ঠোঁট ,,আদুরে স্পর্শ ,,ঠিক কতটা গভীর
যুবক খুব সহজেই বর্ণনায় ব্যস্ত মেয়েটার।
বন্ধুদের কাছে সে রোমিও
অথচ সেই মেয়েটার কাছে সে বিশ্বাস ,,ভালোবাসা।

যুবকের আদরের ব্যাখ্যান
ঠিক কোথায় কোথায় তার হাতটা ঘুরছিলো।
আর আমি দেখিলাম ক্রমশ ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে মেয়েটার মুখ
আর তার ক্রিমসন রঙের স্বপ্নে তখন  পচা গন্ধ।
যুবক আরো নিচে নামছে ক্রমশ
আর আমি ভাবছি মেয়েটার চোখে গড়িয়ে নামছে  লজ্জা।
আমার প্যাস্টেল হৃদয়ের দংশনে সারা সাদা পাতায় তখন হিজিবিজি রং
ক্রমশ গুলিয়ে যাচ্ছে ,গুলিয়ে উঠছে শরীর।
যুবকের মুখে তখন ইউক্যালিপটাস আর ল্যাভেন্ডারে মাখামাখি  যৌনতা
আর আমার প্রতিবিম্ব তখন মেয়েটার মুখ
ছিঃ ভালোবাসা এত লজ্জার !!!!

যুবক অনাবিল কণ্ঠে বর্ণনায় ব্যস্ত মেয়েটার শরীর
আর আমার চোখে তখন আগুন
ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে লাল আকাশে মেয়েটার নীল গুঁড়ো গুঁড়ো স্বপ্ন
স্বপ্ন ভাঙলে বোধ হয় তার রং লাল।
সেই যুবক তখন হাসছে
আর মেয়েটা ক্রমশ ফ্যাকাশে হতে হতে নষ্ট।

সোনালী কাব্য

সোনালী কাব্য
........... ঋষি
===========================================
সময়ে শুয়ে থাকা প্যাপিরাসের পাতা
পিরামিড ঘুমিয়ে আছে আজ অনেকদিন সোনালী বালির দেশে।
কিন্তু তোর বুকের পিরামিডের তৃষ্ণা ছুঁয়ে কালো নদী
ঘুম ভাঙা চোখে বুকের ওপর স্বপ্ন।
মেঘ ভাঙে যদি
আর তারপর বৃষ্টি ?

যতদূর ইতিহাস জানি সময় কখনো অপেক্ষায় ছিল না কারোর
আকাশের সরতে থাকা মেঘ ক্রমশ নিরালায় আকাশ
একলা দাঁড়িয়ে।
আমার মতো পৃথিবী চেনার লোভ চলন্তিকা
আমি সোনালী বালির স্বপ্ন দেখি।
পুড়তে ভালোবাসি নিজেকে নিজের ভিতর
পোড়া ছাই ,পোড়া মন যদি একলা থাকে থাকুক ,
কিন্তু তুই বদলাস না।
বদলানো সময়ের দস্তানায় বাড়িয়ে  দিস না মৃত্যু
এটা সোনালী কাব্য
কিন্তু মৃত্যুর দেশ নয়।

সময়ের শুয়ে থাকা পিরামিডের উচ্চতা
তোর বুকের পিরামিড চুমু খেয়ে উচ্ছল বালিরাশি।
অসময়ে ঝড় ওঠে
হাওয়ায় ভাসতে থাকা বালি রাশি,বালির ঢেউ।
শুধু সময় বদলায়
কিন্তু বৃষ্টি সে যে অধরা।

Monday, August 21, 2017

বৌদি তোমার জন্য

বৌদি তোমার জন্য
.... ঋষি
====================================================
তোমাকে চিনি আমি বৌদি
ঠিক আমার বাড়ির উল্টোদিকে ছাদে তুমি সকালে চান করে চুল ঝাড়ো।
আমি প্রতিদিন পড়ার বই ছেড়ে তাকিয়ে থাকি
চৌত্রিশ ছুঁই ছুঁই নরম শরীর ,কাজল মাখা চোখ ,বিশাল খোঁপা।
তোমাকে আমি স্বপ্ন দেখি প্রতি রাতে
তোমার পিঠ কাটা ব্লাউসের উঁকি মারা অন্তর্বাস হাওয়া লুকিয়ে দেখা নাভি পদ্ম
সব পরিষ্কার দেখতে পাই আমি
দেখতে পাই তোমার মরু সাহারায় শুধু আগুন জ্বলছে ,,,অতৃপ্ত বাঁচা।

তোমার গৃহস্থের সংসার
তোমার সূর্যে পোড়া দিন ,রাত্রে কেনা চাঁদ।
আজ পাঁচ বছর কোনো দুর্ঘটনায় তোমার স্বামীর হারানো দু হাত
দুই ছেলে মেয়ে ,অথৈ জলে সংসার।
সব জানি
রাতে যারা তোমার খোঁপায় গোঁজে হৃদয়ের ফুল আর কিনতে থাকে চাঁদ
তারা সকালে তোমাকে গালাগাল দেয় ,,বলে বেশ্যা।
আমি জানি বেশ্যার মানে ,,,আমি ওদের গালাগালি দি
কিন্তু বিশ্বাস করো এর বেশি কিছু আমি বলতে পারি না।

বৌদি কখনো যদি তোমার সময় হয়
তবে আমাকে একটা রাট দিও।
আকাশের চাঁদ ছিঁড়ে এনে কবিতা লিখবো সারা শরীরে
সমস্ত মেঘেদের হুকুম দিয়ে ঐশ্বরিক কোনো স্পর্শ লিখে দেব  তোমার খামচানো বুকে।
আমাকে তুমি খারাপ ভেবো না
তুমি আমার প্রিয় কবিতা ,বাঁচার নেশা।
তোমার অভিশপ্ত বুকে আমি সময় লিখে দেব ভালোবাসার
কিন্তু সবটাই শুধু তোমার আমার। 

আর তারপর

আর তারপর
.... ঋষি
=======================================================
সময়ে গায়ে দাগ টেনে দেয় সময়ের স্পর্শ
সদ্য পেরোনো একুশ।
কেমন একটা অদ্ভুত ঘোর ছিল চলন্তিকা তোর প্রতি।
তোর রুমালের পারফিউম ,তোর শরীরে গন্ধ যেন পতঙ্গের আকর্ষণ।
আমি জল ফড়িং সবুজ ঘাসে ,মনের সাথে
শুধু ঘোরাফেরা তোর আসে পাশে।

বেশ ছিল
ক্রমশ আরো গভীরে চলন্তিকা তুই  ,কোনো চৌম্বকীয় তত্ব,কোনো অদ্ভুত শিহরণ
প্রথম চুমু,নোনতা ঠোঁট ,তোমার সলজ্জ হাসি।
আমার অনবরত সিগারেট
সে যেন কোনো সিনেমায় দেখা প্রেমের  পথ চলা।

সন্ধ্যের রেস্তোরায় মুখোমুখি আমি আর চলন্তিকা
আরো কাছে চাই ,আরো নগ্নতা ,,প্রতিটা শব্দে তখন কেমন একটা আঁশটে গন্ধ।
আরো কাছে
মিশে যেতে চায় প্রেম ,পবিত্রতা একসাথে।

আর তারপর
চলন্তিকা কিছু গল্প সর্বদা লুকোনো ডাইরিতে  মানায়।
কিছু গল্পের চরিত্র লেখক লিখতে চাইলেও সময়ে হারিয়ে যায়
আর এত জীবন ,উপন্যাসের পাতায় পাতায় ,মানুষের হাজারো গল্প।
আমি বিশ্বাস করি সেই  জল ফড়িং ,সেই তুই
আমার মতো আরো অনেকে মিস করে তোর থেকে দূরে থেকে। 

নষ্ট হওয়ার শব্দ

নষ্ট হওয়ার শব্দ
.......... ঋষি
=========================================================
আবার সেই নষ্ট হওয়ার শব্দ
আবার একটা যন্ত্রনা গুমরে উঠে গলার কাছে আটকে।
বলতে পারছি না এই মৃত্যু কোনো নারীর নয় ,এই মৃত্যু প্রত্যেকটি জাগতিক প্রাণের
এই মৃত্যু তোমার আমার ,সকলের।
খবরের কাগজের পাতায় অপরিচিত সেই নারী যাকে আমি চিনি না
অথচ সে আমাদের রোজকার জীবন যাত্রায় খুব পরিচিত।

একজন বছর একুশের যুবতী
যাকে পড়াশুনা ছেড়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য করা হয়
কারণ গায়ে গতরে তার অনেক মাংস।
কন্যাদায় গ্রস্থ পিতা হাঁপ ছেড়ে বাঁচে ,নিয়মিত সমাজের মুখগুলো সব বন্ধ তখন
কিন্তু সেই মেয়েটাকে তার সাত পাঁকের পরিচয় ক্রমাগত করে চলে  মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার।
 সেই মেয়েটাকে বিয়ের রাতে তার মদ্যপ স্বামী মিশিয়ে ফেলে স্যানি লিওনির সাথে
যে খুব তাড়াতাড়ি  খুব গভীরে জানান দেয় মেয়েটা গর্ভবতী ছিল।
যাকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য
সেই মেয়েটাকে আজ গলায় দড়ি দিয়ে মরতে হলো।
একটা স্বপ্নের সুন্দর ফুল অসময়ে ঝরে পরে গেলো
কিন্তু প্রশ্ন কেন ?

উত্তর ছিল ,উত্তর আছে ,উত্তর থাকবে
প্রতিটা মৃত্যু যেখানে গভীরে দাগ রেখে যায় নষ্ট জীবনগুলোর।
প্রতিটা দুর্যোগ যেমন নিয়মিত বদলায় সুন্দর সকালে
ঠিক তেমনি এই নষ্টগুলো আমাদের কাছে শুধু কিছু প্রতিবাদ।
যার জন্ম আছে ,কিন্তু তারপর .......
আমার তোমার কি ? মেয়েটা তো আমাদের কেউ নয়। 

অচেনা বৃষ্টি

অচেনা বৃষ্টি
............ ঋষি
==========================================
আমি কবিতা করে লিখবো বলে
তোর ভয় করে জানি।
আমি যে অসময়ের বেড়ে ওঠা সেই আকাশের দুর্যোগ ,কালো মেঘ
নদী তটে বাড়তে থাকা বন্যার আশঙ্কা।
নির্বাসিত প্রেম
শুধু শুয়ে থাকে একলা বৃষ্টিতে ভিজে হারাবার ভয়।

অঝোরে ঝরতে থাকা ক্রমাগত বৃষ্টি
আজ যদি একলা হই আবার।
ভয়
ক্রমাগত নিজের সিলেবাসে হারানো পাসওয়ার্ড।
হারিয়ে যায় ,ধুয়ে যায় বৃষ্টির জলে মুছে গিয়ে নতুন জন্ম সবুজ পাতা
পুরোনো না হারালে নতুন জন্মাবে কি করে।
তবু ভয়
শুধু তাকে খুঁজে পাবো বলে।

জানলার শার্সি ঘেঁষে গড়িয়ে নামা  বৃষ্টির জল ,
রাতের অন্ধকারে নীল ডিম্ লাইটের অপেক্ষাগুলো গুমরে মরে।
শুন্য বিছানা হাতড়ে মোর নিজের অন্তরে
তবু ভয় ,যাকে কোনোদিন পাই নি তাকে হারাবার।
এমনি অচেনা বৃষ্টি
নির্বাসিত প্রেম একলা ভিজে যায় আমার কবিতায়।

The sea

The sea where the tune of the heart is mine, my ,,,,,,,,,,,
.
এখানেই তোর সাথে দেখা হওয়ার কথা ছিল
ঠিক স্বপ্নের সেই দক্ষিণ ভারতের কোনো মানচিত্রে।
সেই একটা কাঁচের ঘর ,সারি দেওয়া নারকোল গাছ ,ফিসফিসে সমুদ্র
সামনে হলুদ ভেজা বালিতে কয়েকটা সময়ের সম্ভবনা।
তুই বসে আছিস
আর আমি খুব কাছে ডেস্কের  কলমে পৃথিবীর সমুদ্র লিখছি।

সেই সমুদ্রে একসাথে ভেজার কথা ছিল
কথা ছিল সমুদ্র ঘুমিয়ে পরার পর আমার তোর দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার।
যে জলীয় বাস্প ঘুম পাড়িয়ে গেছে শরীর মন সমস্ত অস্তিত্ব
ঘুমিয়ে পড়ার ছল.
সমস্ত তাপমাত্রায় তোর আঙ্গুল ছুঁয়ে আমার ঠোঁটে রবিঠাকুর
আমার মুক্তি আলোয় আলোয় ,,,,, এই আকাশে।

তুই এখন বসে সমুদ্রের খুব কাছে
তুই নেই কাছে।
তাই একলা ভিজলাম ,ভেজালাম মনের নোনা বালিতে আদরের ঠোঁট
কিছু ভেজা বাতাস উড়ে গেলো।
জানি না পৌঁছলো কিনা তোর ঠিকানায় কয়েকমুঠো ভিজে বালি
মোমের আদোরে।
তোর ঠোঁট ভিজলো কিনা নোনা স্পর্শে
আমি দেখ দাঁড়িয়ে সেই সমুদ্র তটে তোর গায়ে জল ছেটাবো বলে
আর সমুদ্রে দূরে সরে গেলে তোর হাত ধরে এগিয়ে যাবো সমুদ্রের দিকে।




Sunday, August 20, 2017

এই তুমি ,সেই তুমি

এই তুমি ,সেই তুমি
........... ঋষি
============================================
যতবার তোমাকে দেখি
আমি বারংবার ফিরে যায় নিজের আয়নায়।
সেই স্বপ্নে দেখা রূপকথার কোনো স্ফটিকে দেখতে পাই
তুমি দাঁড়িয়ে।
এই তুমি, সেই তুমি
এত যে দীর্ঘ স্মিতহাসির রেখার আড়ালে
লুকিয়ে রেখেছো গভীর ক্ষত আর ব্যথার কথকতা।

যতবার তোমাকে দেখি
মুগ্ধ আমি ধন্য কবিতার মতো কোনো প্রিয় পাঠকের ঠোঁটে।
হৃদয়ের গভীর রন্ধ্রগুলো হঠাৎ সময়ে ভরে যায়
আমি ভাবতে থাকি
কে তুমি ?
পাগল করছো আমায় দিনে রাতে
বুঝে পাই না কেন  আমার কবিতায় ,আমি চিরকাল ব্রাত্য।

যতবার তোমাকে দেখি
তোমার লুকোনো অন্তর্বাসের নির্যাসে রং গড়িয়ে নামে
আমি হলফ করে বুক ঠুকে যুদ্ধে নামি কিন্তু বারংবার হেরে যাই।
সেই তুমি
তখন চুপিসারে আলো আর ছায়ার খেলায়।
ঠোঁটের নিস্তব্ধতায় নেমে আসো আমার একাকী রাতে
ক্রমশ আলোর মতো ছড়িয়ে পরে অদৃশ্য স্মিতহাসির আঁচল।

যতবার তোমাকে দেখি
আমি বারংবার ফিরে যায় আমার গভীর নীল স্বপ্নে।
সেই স্বপ্নে দেখা রূপকথার রাজকন্যার মতো
তুমি ঘুমিয়ে।
এই তুমি, সেই তুমি
সময়ের সাথে সাথে বেদনার ক্ষতে
আজো উপশম খুঁজে বেড়াও তোমার স্মিতহাসির আড়ালে। 

নগ্ন নগর

নগ্ন নগর
..... ঋষি
===============================================
তোমার নগর থেকে এতদূরে চলন্তিকা
এখনো আলো আসেনি এখানে ।
শুধু ঘুটঘুটে অন্ধকারে খোলা আকাশে নক্ষত্ররা আমার মুখে কাছে
চারিপাশে ঝিঁঝির ডাক ,অনেক না বলা কথা ।
চলন্তিকা আলো আসেনি এখানে
শুধু কিছু মানুষের ছাপ আমার গোপন সবুজ অঞ্চলে ।

চলন্তিকা তোমার গোলাপি স্তনের মাপের
দুচারটে ঢেউ আমার হৃদয় ছিঁড়ে আরো বেশি অন্ধকার করে ফেলে।
তোমার শহরের বাড়তে থাকা কার্বনের কালি
তোমার যোনি অন্ধকারে হাতছানি খেলা
নগ্ন নগর।
এই শহরে আমার নিশ্বাস বন্ধ
আমি শুধু সবুজের কবিতায় তোমাকে পাই চলন্তিকা কোনো অজানা বিকেলে।
তোমার ভালো থাকাটুকু আমার স্পন্দনে গোলাপি সকালে আলো
সে আলোতে সূর্য প্রণাম
আরো  ভালো থাকো চলন্তিকা।

তোমার দুই অনুপম জঙ্ঘা অবশেষে মিশে যায়
অনন্ত মিশরীয় এনিগমা ত্রিভুজে।
জানো ...তোমার নরম বুকে আর পাঁজরে, পিঠের মসৃণে , ঠোঁটে স্পর্শে ..
 এত যে লিখলাম তবু স্পর্শ করেনি তোমাকে।
চলন্তিকা আমি আলোর খোঁজে তোমাকে পেয়েছি
শুধু আমার গোপন সবুজ অঞ্চলে তুমি নীরব প্রেমের পীঠস্থান। 

এক রাশ প্রতীক্ষা

এক রাশ প্রতীক্ষা
.......... ঋষি
==========================================
একদিন হঠাৎ মেঘ হবে আকাশে তারপর বৃষ্টি
পথ চলতি অপেক্ষা গুলোর হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে তোর সাথে।
ঈশ্বর শুধু অধিকার ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসবেন
আমার তোর মতো তিনিও বৃষ্টির জলে ভিজে কাক।
সেদিন সন্ধ্যের পর অন্যদিনের মতো নামাজের ধ্বনি
আর আমাদের মন্দিরে তখন অন্য সকাল

এই সব শতকরা হিসেবনিকেশ
ভগ্নাংশে বাস করা মানুষগুলো সিঁড়ি ভাঙা অংক জানে না।
এই সব ভালো লাগা আদপকায়দা
সময়ের কাছে মানুষগুলো ভালো থাকতে পারে না।
ঈশ্বর নিজের অধিকারের খোঁজে প্রেম শব্দের ফাঁদে আটকানো হাঁসফাঁস
ক্রমশ রঙ্গিণ চোখে নেশার পৃথিবীতে মানুষ খোঁজেন।
তারপর ক্লান্ত হয়ে আকাশে অন্ধকার মেঘ
ক্রমশ বৃষ্টি ঝাপসা চোখের জল।

সেদিন খুব বৃষ্টি হবে
সময়ের অধিকার বুকে নিয়ে জীবন কোনো না বলা কাব্য।
ভালো থাকার শান্তির খোঁজ
কোনো উত্তপ্ত বুকে সেদিন গড়িয়ে নামবে বৃষ্টির জল।
ক্রমশ আমার চোখ বন্ধ হবে
আর মন্দির মসজিদে তখন এক রাশ প্রতীক্ষা।

এই মন

এই মন
............. ঋষি
==========================================
কত সহজে সময়ের যোগফল মানুষ করে
কত সহজে সম্পর্কের ভাঙাগড়া মানুষের হাতে
কিন্তু  মন ?
.
প্রাচীন পবিত্র মন্দিরে ঈশ্বরের মতো এই মন
কোনো পবিত্র ফুলের গড়িয়ে নামা
মানুষ মন বোঝে নি শুধু বাইরের পোশাকি আলিঙ্গনাবদ্ধ নীতি
মানুষ কখনো মন বুঝতে চাই নি
শুধু নিয়মের ফাঁসিতে নিয়মিত জবাই করেছে মনকে
.
কোনো ধর্ম
কোনো আলিঙ্গন
এমন কি ঈশ্বর অবধি মনের কাছে খুব ছোট।
মন খোলা আকাশে লিখতে থাকা কবিতার মতো
অনাবিল একটা নদী  নিজের আনন্দে যদি তৃষ্না হয়ে যায়
সেটা মন
.
কত সহজে মানুষ সম্পর্ককে মনে আবদ্ধ করে
আবার সাজানো কাগজের নৌকো জলে ভাসিয়ে দে
কিন্তু মন ?

হিমযুগ

হিমযুগ
................. ঋষি
=================================================

মেঘগুলো একলা রেখেছে সবুজ মেয়েটাকে
বৃষ্টির প্রতীক্ষা।
সময়ের একহাতে আবছা হয়ে ধরা উঁচু পর্বত ,অন্য হাতে ক্ষারযুক্ত নদী
আর মাঝখানে মরুভূমিতে গ্রীষ্মের ভূমিকা।
পারদ বারা কমা নাটক নির্ভর জীবনের আঁকিবুঁকি
মেয়েটা শুধু স্বপ্ন দেখে বাঁচবার।

দূরত্বের মাইলফলকে একের পর শহর
ট্রেন রাস্তার ইস্পাতের ফলকগুলো ইচ্ছেমতো দিক বদলায় বারংবার।
রংপিচকারিতে নীল রং ভরা আকাশে
হঠাৎ কালো হয়ে যায়।
বেরিয়ে আসে মুখভার করা সেই সবুজ মেয়ের গল্পটা
যার একপাড়ে সুমেরু ,কুমেরু বরফের জীবন।

ভয়াবহ শীত হাতমোজা,তুপি ,জ্যাকেট পরে
রেইন ফরেস্টে।
প্রশ্ন করেছিলুম কি রে সবুজ মেয়ে তুই একলা  কেন
সে আকাশের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলেছিল বৃষ্টি আসছে না গো।
অথচ আমি ভিজছি
কিন্তু জীবন সে মরু সাহারায় একলা থাকা ওয়েসিস।

মেঘ গুলো একলা রেখেছে সবুজ মেয়েটাকে
বৃষ্টির প্রতীক্ষা।
আমার গৃহস্থের সংসারে আমি নিজেকে  মেয়েটার মতো ডিপফ্রীজে রেখেছি
কারণ বৃষ্টি আসে নি এখনো।
শুধু মনে মনে কখন যেন সেই সবুজ মেয়েটা মতো আমিও
হিমযুগে বরফ গলবার স্বপ্ন দেখছি। 

পাখিদের গল্প

পাখিদের গল্প
............ ঋষি
==============================================

উত্তপ্ত লাভা
গড়িয়ে নামছে শহরের বুকে অচেনা ছন্দে।
গ্রিন হাউস এফেক্ট
কয়েকটা লাইন এঁকে বেঁকে নিরলস সংগ্রাম জীবনচিত চাহিদা।
শরতের পাগলাগারদে উৎসবমুখর প্রখরতা
সময় বলছে  ভুলে থাকার মানুষের ভালো থাকা।

একেকটা খুপরি ঘর
পাখির না বলা বুঝতে পারাগুলো কখন যেন ঝগড়া হয়ে যায় ডার্করুমে।
প্রত্যেকটা পাখির আলাদা আলাদা  চাওয়া
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল না মেলার মতো প্রবণতায় ক্রমশ দূরে সরে যায়।
একেকটা না বোঝা দেওয়াল
কখন যেন নিজের আয়নায় অচেনা সম্পর্কের ডার্করুমে হাতড়ানো।
আবছা বুঝতে পৰ জ্বালাগুলো
না বুঝতে চাওয়া পাখিদের সকালের কোলাহলে ঘুম ভেঙে যায়
অনেকরাতে ঘুমোতে চাওয়া দম্পতি।
সবসময় ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে না পাখিদের মতো
বরং বুকের মাংস খামচে রক্তের গড়িয়ে নামা হয়ে যায় মুরগির মাংসের দোকানে।
হালফিলে মুলাকাত হওয়া রক্তস্রোত গুলো কখন যেন লাভা
বুক পোড়ায় কিন্তু মুখ ফুটে না।

উত্তপ্ত লাভা
গড়িয়ে নামা প্লাস্টিক স্মাইলের দুঃখ মোচন।
পাথরের ভিতর থেকে অহল্যা চিৎকার করে
কিন্তু ঘর হারানো পাখির দল বাসার খোঁজে মন বদলায়।
ঠিকানা একই থাকে
কিন্তু পাখিদের ভিড়ে ,তাদের গল্পগুলো আলাদা।

মিসেস পরকীয়া (৫)

মিসেস পরকীয়া (৫)
.... ঋষি
===============================================
সিঁড়ির ধাপের কাছে আটকে আছে তটরেখা
সেখানে সীমান্ত আসবে বলে অপেক্ষায়।
মিসেস পরকীয়া কোনো হেমন্তের বাণীগুলো শেওলা মাখা অভিসার
সহমরণে প্রেম বাঁচছে মিথ্যা আশ্রয়ে।
কি বললেন সিঁড়ির ধাপ বেয়ে ওপরে যাবেন
মাথার ওপর খোলা আকাশ যদি পাওয়া যায়।

খুব কষ্ট হয়
তোর ফোন না পেলে ,আজ ফোন করবি বলিছিলি।
হাসি পেলো মিসেস পরকীয়া
চামড়ার আস্তরণে একের পর এক ঝুলতে থাকা বুক
মধ্যবয়স্ক যোনিতে সুড়সুড়ি।

মিসেস পরকীয়া এই প্রেম শব্দের কোনো শেষ নেই
আপনার সিঁড়ির ধাপে আটকে থাকা সমুদ্রে ডুবে মড়াকে প্রেম বলে
বুকের কাছে আটকানো না বলা যন্ত্রণাগুলো প্রেম বলে।

অনুভূতিতে শরীরে প্রেম মাড়িয়ে হেঁটে চলা
মিসেস পরকীয়া সকালের দৃশ্যগুলো অন্ধকারের আড়ালে
বিবাহ বহির্ভূত কাটা ছেঁড়া
সময়ের মতো ঢুকে যাচ্ছে হাফ ছুটির পর সাজানো চুক্তিতে
মিসেস পরকীয়া প্রেম এমন হয় না।

সিঁড়ির ধাপের কাছে আটকে আছে তটরেখা
সামনে বিশাল সমুদ্রে নোনতা ভিজে যৌন স্বাদ।
ড্রাইভ মারবেন নাকি ,কিংবা ডুব সাঁতারে ঘেমে নিয়ে অস্থির
ইশ আর তো নেশা বলে কিছু নেই ,সবটাই যান্ত্রিক।
কি বললেন সিঁড়ির ধাপ বেয়ে ওপরে যাবেন
কিন্তু আকাশ বদলাবেন বারংবার। 

তিনকাহন

তিনকাহন
.... ঋষি
==============================================
জীবন
.
একটা পাহাড়ি নদী ক্রমাগত দিক বদলায়
বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় উঁচু ,নিচু সময় সময় পেরিয়ে মোহনায়।
কি আছে জীবনে  ?
অনেকটা চলার পর ,হয়তো ক্লান্তি,কিংবা আনন্দে।
ফুরিয়ে চলা কোনো বাঁচা
নিরন্তর নদী পথে।

.
সম্পর্ক
.
নিরন্তর মেঘ ,ছায়া আর বৃষ্টি
সম্পর্ক কোনো প্রাচীন শেওলায় বাঁচিয়ে রাখা যোগাযোগ।
আর পরিচয়
সে তো নিতান্ত সামাজিক কোনো নথিতে নিয়মবদ্ধ শৃঙ্গার।
সবটাই সামাজিক
যেমন জীবনের মৃত অধ্যায়গুলো  জীবিত রাখার প্রচেষ্টা।
.
বাঁচা
.
সব ফুরিয়ে অনেকটা আগুন মানুষের বুকে
পুড়িয়ে চলা স্থান ,কাল ,পাত্রে অহরহ যুদ্ধের বেশ।
যুদ্ধ চলছে
ক্ষনিকের শান্তি সে যেন মানুষের প্রবল মুখোশের অট্টহাসি।
আর বাকিটুকু
শুধু নিয়মমাফিক স্থান ,কাল,পাত্র।



Do not say

Do not say anything at the end of the afternoon ,,,,,,,,,
,
মনে থাকে যেন
পাতার পর পাতা পৃথিবী লেখার পর তুই থাকবি দাঁড়িয়ে।
মনে থাকে যেন গ্রাহাম বেলের আবিষ্কারের মতো
এই পারে আমার হ্যালো প্রতিবারে  তোকে ছুঁয়ে যাবে।
মনে থাকে যেন অনেককাল পৃথিবী হাঁটার পরে
একদিন দেখা করবি আমার সাথে অন্য পৃথিবীতে।
.
হাজার বছর ধরে বয়ে  চলা শব্দরা
নিঃশর্ত কোনো বিকেলের রোদে তোর মতো ছায়া ফেলে যাবে।
মনে থাকে যেন আমার এই কবিতা
কোনো একলা দিনে  আমার চিতায় মস্তিষ্কের খুলি পোড়াবে।
তুই থাকবি সেদিনও
কোনো পাগল প্রলাপের মতো  তোর চশমার লেন্সে লুকিয়ে থাকা দুঃখ ,
আমি হাসবো সেদিন ,খালি পায়ে পথ হেঁটে চলে যাবো।
.
পার্কস্ট্রিটে হাফ প্যান্ট পরা সেই বিদিশিনীর মতো তুই আসবি
ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকে মাখানো একটা আদর।
চোখের পালকে ছুঁয়ে থাকা রোদ ,বৃষ্টি ,মেঘ সব আমার সেদিন
শরতের প্রথম কাশফুলের মতো তুইও হাসবি ।
ভাসবি হাওয়ার দোলায় যেমন
এই মনের দরজায় বিসমিল্লার সুর ।
.
মনে থাকে যেন
তুই আমার হাত ধরে নিয়ে যাবি রূপকথা ,ব্যাঙ্গমা ,ব্যাঙ্গমীতে।
মনে থাকে যেন  আমার আদরের পর যদি আমার মৃত্যু ঘটে
তুইও মরবি আমার সাথে একই চিতায় ,আমার কবিতায়।
মনে থাকে যেন মৃত্যু ছুঁয়ে বেঁচে থাকা শেষ ইচ্ছারা
কখনো মিথ্যা নয় ,কোনো অমর মিথ।

Saturday, August 12, 2017

বৃষ্টির কবিতা

বৃষ্টির কবিতা
.............. ঋষি
===========================================
ভেজা ঠোঁট
কোনো নহবতে বেজে ওঠা সময়ের ভাবনা।
নিজের ভিতর আজ বৃষ্টি পড়ছে তোকে ছুঁয়ে
আজ শুধু কবিতায় তোর স্পর্শ।
সে যেন আমার হৃদয়ের কার্নিশ বেয়ে গড়িয়ে নামা জল
টুপ্ করে।
.
তোর নাভির গন্ধ
তোর হরিণী চোখে আজ ছটফট করছে কাছে পাওয়া।
কি খুঁজছিস তুই ?
নিজের মনে একলা হাসিতে কি ভাবছিস।
জীবন সে যে গড়িয়ে নামা  চোখে জল
আর স্বপ্ন সে যে এই বৃষ্টির মতো ক্রমাগত বাঁচতে চাওয়া।
.
কোনো অলীক লিখন যদি থাকে
দূরে থেকে কাছে আসার এক যন্ত্রনা যদি থাকে।
যদি থাকে বৃষ্টি দিনে এই একলা তোকে
তবে ঠিক পেয়েই  যাবো।
তোর চকোলেট ঠোঁটে পাগলের মতো একটা চুমু খাবো
তারপর সময় শুধু না হয় ভাবনার মৃতদেহ।
.
ভেজা ঠোঁট
ভিজে যাওয়া সময়ে পাগলামিতে আজ বৃষ্টির নোনতা জল।
গড়িয়ে নামছে নিজের ভিতর অনবরত মুহূর্তরা
আজ শুধু কোনো পবিত্র প্রেম যেন ঈশ্বরের তৃষ্ণায়।
মন্দিরে ,মসজিদে যেন কোনো প্রার্থনা বৃষ্টি রুপি
চুপি চুপি আমাকে তোকে ভাবাচ্ছে।

বৃষ্টি গড়িয়ে নামা

বৃষ্টি গড়িয়ে নামা
......... ঋষি
================================================
বৃষ্টির জলের মতো আনন্দ
সে যেন গড়িয়ে নামা তৃষ্ণা এ ধরায়।
আমার আগুনের তাপে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ
আমার শহরকে শীতল করে যায়।
সে যেন কোনো আদরের দিন
আগুন নেভে এই বুকে কিন্তু তৃষ্ণা বেড়ে যায়।

ঝরঝর এই আনন্দের ফাঁকে
সময়ের ভগ্নাংশে আজ মেঘলা কোনো দিন।
আমার শহর জুড়ে অনবরত বাড়তে থাকা আগুন আজ তোকে ছুঁতে চায়
 " আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে
জানি নে, জানি নে
কিছুতেই কেন যে মন লাগে না ।। "
এ কোনো ব্যাকুল তৃষ্ণা তোর ঠোঁটের হাসিতে কোনো স্পৃহা
এ কোনো আকুল দৃষ্টি তোর চোখের ভাষাতে আমার মৃতদেহ।
পুড়ে চলেছে আগুনে কোনো বৃষ্টি মুখর দিন
শহর ভাসছে
আর মন চাইছে তোকে খুব কাছে।

বৃষ্টি মতো কোনো আনন্দ
জলের অনবরত গড়িয়ে চলা ধরা দে এই বুকে।
আমার আগুনের তাপে পুড়ে যাওয়া সময়ের যোগফল
হিসেবনিকেশ শহরের রোজকার কারবার।
আর ভালো লাগে না
মন আজ শুধু তোকে চায়  খুব কাছে। 

Thursday, August 10, 2017

সমুদ্র কাহন

সমুদ্র কাহন
.......... ঋষি
=====================================================
প্রেমের গায়ে লেগে থাকে লবনাক্ত সামুদ্রিক মায়া
মাঝে মাঝে মনকে বলি যা সমুদ্র হয়ে যা।
আর আমি ঝিনুক কুড়ানো কোনো না দেখা সকাল
সমুদ্রের ভিজে আদ্রতা ,
আর স্পর্শ
সে যেন কোনো ব্যস্ততার বেমানান স্বপ্নের মতো।

এই মেয়ে জাল ফেলবি নাকি
কি রে ধরবি আমায় ?
ছুঁয়ে দিবি তোর উর্বর বুকের উষ্ণতায় আমার হারানো দিন
ভিজে ঠোঁটে নুন চুষে খাবি,এই  মেয়ে।
পাগলামি
কোনো প্রাগৈতিহাসিক গ্রীক রাজপ্রাসাদের দরজায় অগুনতি ভগ্নস্তূপ।
জানিস আমার বহুদিনের সাধ আমিও ভগ্নস্তূপ হবো।
সামুদ্রিক ভেজা ডাক এলে পুরোনো পাথরের ডিপ্রেশনের বয়স আনুমানিক ৮০০ খ্রী পূর্ব।
পাগলামি
দূরে কোথাও একটা দূরত্বের মাইলস্টোন কষ্ট কুরে কুরে  খাওয়া।

এই মেয়ে একবার সমুদ্র হবি
তোর কষ্টের ঢেউ আমার বুকের পাথরে ক্ষয়ে চলা কোনো প্রাচীন সংশয়।
আয় আদর করি
সারা পৃথিবীর রিংটোন জুড়ে বাজুক প্রেমের প্রাচীন সুর।
কোনো শব্দ নয় ,ঝলকে ঝলকে গর্জে উঠুক এক আকাশ বিদ্যুৎ
আমার বুক ছুঁয়ে তখন সত্যি সমুদ্র।

প্রেমের গায়ে লেগে আছে সামুদ্রিক দস্যুর কোনো কিছু প্রহসন
মাঝে মাঝে মনকে বলি যা দস্যু হয়ে যা।
আর আমি লুঠ করি সময়ের সমুদ্রে রাখা প্রাচীন কোনো নাটক
তোর ভিজে চুল ,গড়িয়ে নামা নোনতা জল।
একবার জিভ রাখি
সে যেন কোনো স্বপ্নে দেখা আমার সেই রাজকন্যা।

প্রেম মরে গেলে

প্রেম মরে গেলে
............... ঋষি
========================================================
কোনো অকালে প্রেমে মরে গেলে
পারবো না বইতে ,তুমি তো চলে যাবে।
কিন্তু স্মৃতি বহন করা সহজ নয়
তাই আমি সত্যি বলছি জরাসন্ধের মতো ছিঁড়ে ফেলবো তোমায়।
আর সেই সময় কোনো শান্তি কামনা বা শোক সভা নয়
জাস্ট দু চার খান গালাগাল দিয়ে কবিতা লিখবো
কারণ তুমি জানো ভালো আমি কবিতা ছাড়া কিছু বলতে পারি না।


আর যাই হোক
প্রেম শব্দটা পুরো একটা উপন্যাসের মতো।
শুরু থেকে শেষ পুরোটা না জানলে ঠিক মন ভরে না
তাই পুরোটাই পড়তে হয়।
প্রেম শব্দটা সেই কি মাছ যার মরণ নেই সহজে
যতক্ষণ প্রাণ ,ততক্ষন আশ.
এই সব মৃত্যু টিট্যু নিয়ে নো টাইম পাশ
তার চেয়ে বরং ভলিবল খেলবো ,নেটের এপাশ আর ওপাশ।
কোট বদল ,প্রক্সিতে প্রেম জিতে যাবে
বাথরুমের শাওয়ারের মতো ,কমোডের ফ্লাশের মতো চিৎকার করবো ,কেউ শুনতে পাবে না।
চিতার পোড়া শরীরের মতো দুর্গন্ধ ,চোখে জ্বালা।
ধুস আর না
প্রেম অকালে মরলে তোমাকেও মরতে হবে জেনো।

কিছুদিন পর তুমি ফিরে আসবে আবার
বলবে কি রে তোর শরীর পুড়লো কি করে ,কি করে পুড়লো মন।
ওই সব আদিখ্যেতা আর হবে না
তখন আমি পোড়া শরীর ছেড়ে জ্যান্ত হতে পারবো না
তখন আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরে নোনতা চুমু খেতে পারবো না।
বরং দুচারখান গালাগাল দিয়ে কবিতা লিখবো
কারণ তুমি জানো ভালো আমি কবিতা ছাড়া কিছু বলতে পারি না।

চার সময় চার কবি

চার সময় চার কবি
............ ঋষি
=============================================================
রবি ঠাকুর
.
এক গোছা সাদা দাঁড়ি ,কি রোমান্স না তোমার কল্পনায় আজ বারো থেকে বত্রিশ
আমার কোনো বাইশে শ্রাবন নেই,নেই কোনো ঠাকুর তকমা।
বৃষ্টি পরে না শ্রাবনে  ,হারিয়ে যায় না নোবেল
শুধু পঁচিশে বৈশাখের উত্তাপে আমি চলতে ভালোবাসি।
.
জীবানন্দ
.
বারংবার আওড়াতে হয় " চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে"।
তারপর অজস্র সবুজ ,অজস্র জলফড়িংএর কষ্ট
সবুজ ঘাসের উপরে মিছিরির মতো চোখের জল
ভদ্রলোক অকালেই মরলো।
.
শ্রীজাত
.
উড়ন্ত সব জোকার থেকে বিন্তিকে লেখা চিঠি
ছবিগুলো সব শহর পুড়িয়ে ,সবুজে দেখা স্বপ্নের।
নিরন্তর বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পিঠের স্কেলিটনে জেদি সত্যি
সে যেন তোমার মতো হোক।
ভদ্রলোক আর যাই হোক কলমে সময় পোড়ায়
আর সাদা কাগজের সত্যির বিন্দু।
.
তসলিমা
.
বব করে কাটা চুল ,সকলে বাইরেটাই দেখলো
কলমের আগুনে নপুংসক সভ্যতার নারীত্বের এক মহান দিশা লিখলো।
আকাশের ঘরে চিঠি ,প্রেম পোড়া গন্ধ ,দেশ ছাড়া কোনো কলমের বীজে
আজও  পুরুষের মৃত্যু ঘটে।
ভদ্রমহিলাকে সেলাম জানালেও ,একবার বলতেই হয়
সব পুরুষ সমান নয় ম্যাডাম



বাজিগর

বাজিগর
............. ঋষি
================================================
এই কবিতা এমনভাবে লিখবো
যাতে বেঁচে ফেরা যায়।

এই কলমের নিবে আটকে থাকা দীর্ঘশ্বাসদের আর মৃত্যু নয়
এই বার জীবন বলে জানবো।
নিজেকে ধমক দিয়ে আটকে রাখবো  জানার পরও
যে তুই ভালো নেই।
এটা স্বাভাবিক
আর সেই আমি তোর আসার খবরে স্বপ্ন দেখবো
একটা নিশ্চিন্ত উদযাপনের।

এই জীবন এমন ভাবে চলবো ,যেন বেঁচে আছি
এই জীবন এমন ভাবে দেখবো ,যেন ভালো আছি।
এই জীবন এমন ভাবে রাঙাবো,যেন হোলি খেলছি
এই জীবন এমন ভাবে হাসবো ,যেন কাঁদিনি কোনোদিন।
এই জীবন এমন করে তোর ঠিকানায় ,যেন একা আছি
এই জীবন এমন করে তোর স্পর্শে ,যেন ভালো আছি।

যেন এই কবিতা কোনো স্মৃতিচিহ্ন নয়
শুধু সারি দেওয়া কষ্টের অজস্র জলছবি।

কিন্তু আর যাই হোক না কেন সির্ফ জিতনে বালোকো বাজিগর নহি কেহতে
উহাদের কোহনো সখনো কবিও বলা হয়।

প্রাক্তন (৪)

প্রাক্তন (৪)
............. ঋষি
===============================================
ফিরে এসেছো
কি লাভ ,সময়ের গাঁটছড়ায় আজ শুধু উপস্থিতি।
কি দিতে পারবে তুমি
আগের মতো বেণী ঝুলিয়ে ,ফ্ৰক পরে স্কুলে যেতে পারবে।
আমার সাইকেলে বসে স্বপ্ন দেখতে পারবে
না কি বলতে পারবে
ভালোবাসি ,তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না।

বদলে গেছে পিছনে মানচিত্র
এখন সময়ের তুলিতে তুমুল ব্যস্ততায় এক মধ্য বয়স্ক যুবক।
যার পকেটে পার্সে তার পরিবারের সুন্দর ছবি
বদলে গেছে সময়ের ভায়োলিনে বাজতে থাকা তোমার সেই চলে যাওয়ার সুর।
আজ আর কিছুই মনে পরে না
মিথ্যে বলবো না তবে মনে পরে তোমায় মাঝে মাঝে।
হঠাৎ সেই কাজল টানা চোখের সেই চৌদ্দ বছর
বড্ডো বাড়াবাড়ি ছিল তাই না।
এখন বলো কি করবো তোমার এই ফিরে আসা নিয়ে আমি
আমাকে কি ফেরাতে পারবে তোমার পুরোনো স্পর্শ।

ফিরে এসেছো
কি লাভ ,সময়ের দেওয়াল ঘড়িতে এখন তুমি আলাদা কাঁটা।
মাঝখানে দুস্তর দূরত্ব
এই সমাজ ,এই জীবন ,এই বেঁচে থাকা
কোনোটাই তোমার আমার আর একার নেই।
শুধু একা টুকু রয়ে গেছে স্মৃতির খামে না বলায়
অনেক সময়ের পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আর ভালোবাসি না তোমায়। 

রাত ও দাম্পত্য

রাত ও দাম্পত্য
............. ঋষি
=============================================
রাত বারোটা
নিস্তব্ধতার তার ছিঁড়ে এক বালিশ দূরত্ব।
মুহুমুহু কামানের ধ্বনি ,সারা আকাশ জুড়ে যেন বোবা অন্ধকার
গলার কাছে না না আটকানো কথাগুলো।
কিন্তু পাশে সে  .....
চটকে যাচ্ছে ঘুম ,,,কয়েকশো কবিতা ,,,প্রেম ,,,চুপচাপ।
.

রাত দুটো চল্লিশ
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে একলা দাঁড়ানো শহর সকালের অপেক্ষায়।
বুকের হৃদপিন্ডে ধামসে উঠছে ঘাম
দড়াম।
দরজার শব্দ বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই
এক রাশ ধোঁয়া ছেড়ে নিজেকে ভাবা কিসের এই বাঁচা।
.
সকাল চারটে
বারান্দার রেলিং বেয়ে সকালের মেয়েলি আলো তোমার চোখে মুখে।
চুলোয় যাক
দু চারখানা দরজা ,জানলা ভাঙুক।
চোখের দরজায় রাত জাগা মানচিত্রে তেতো বিরক্তি
অবাক শহর আজ ,,আরেকটু সময় ,,,,ভীষণ ব্যস্ততা দরকার।
.
সকাল সাতটা
এই  যে শুনছো ,,,বাবু স্কুলে যাবে তো ,,কি কুম্ভকর্ণ বাবা।
বাজার যেতে হবে তো
কি হলো আজ কি উঠবে না ,তোমার না তাড়াতাড়ি অফিস।
এক রাশ বিরক্তি চোখ রগড়ে দেখা
উফস অসহ্য। 

পুরুষ

পুরুষ
........... ঋষি
===================================================
প্রেমিক
.
পথ চলতে দাঁড়িয়ে পথে পাশে কিংবা থামে হেলান দিয়ে
তোমার চলার পথ ক্রমাগত অনুসরণ।
একটু তুমি হাসলেই ,কিংবা ধরো তোমার খোলা চুলের কিছুটা হাওয়ায় উড়লেই
ধড়াস ধড়াস বুকের ভিতর।
তোমার এত টুকু চেয়ে দেখাতে ,কিংবা কথা বলাতে
হকচকিয়ে বলা না ,না কিছু না ,,এই আর কি
বুঝে নিও তোমার প্রেমিক।
.
স্বামী
.
জীবন ভোর সেই এক মুখ সকাল সন্ধ্যে
তোমাকে ভালো বাসে তো ,কিংবা না বাসে সেগুলো গোলমেলে।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে সে যেন কোনো প্রেমিক পুরুষ
মাতাল যতক্ষণ ,তারপর ঠান্ডা।
এক কাহিনী ,এক রুটিন ,সংসার ,সন্তান ,অধিকার
তারপর একটু ফ্যাঁকা
বুঝে পাই না জীবন কি শুধু  গ্যাস বেলুন না কি মাটির ঢেলা।
.
বার পুরুষ
.
সে এক গল্প রাস্তায় যেতে চোখ পিছলে পরা
প্রেমিকের মতো অনুসরণ ,এগিয়ে গিয়ে কথা বলা
একটু মেয়ে ঘেঁষা আর কি
সুবিধা বেশ যেচে কিছু কাজ করে দেয় ,বদলে সুড়সুড়ি
সেই প্রথম প্রেমিকের মতো
বেশ লাগে ভাবতে কিন্তু তারপর হঠাৎ
সেই সামাজিক
.
কি ভাবছো কোন পুরুষের কথা ,প্রথম প্রেম যাকে তুমি ল্যাং মেরে বাবার ছেলেকে বিয়ে করলে,যে এখন এন আর আই। কিংবা সেই বুড়োটার কথা যে তোমার মাথায় হাত রেখে বলেছিলো ভালো থেকো ,সুখী হও মা। 

একটি ছেলের চার নারী

একটি ছেলের চার নারী
..... ঋষি
=============================================

প্রথম নারী
.
আসলে মা তুমি প্রথম হলে
স্ন্হের দরজা খুলে তুমি প্রথম আলো আর আলো
আর তারপর ক্রমশ প্রকাশ।
.
দ্বিতীয় নারী
.
প্রথম দেখা যেন সিনেমার সিকোয়েন্স
যাকে দেখে শারুখ খান বলেছিল কুছ কুছ হোতা হ্যা।
তারপর কফিশপে  শেক্সপিয়ার ,সুনীল ,শক্তি
সিগারেটের ধোঁয়া।
কিংবা নচিকেতার সেই গানের কলি
অন্তবিহীন পথ চলায় জীবন শুধু জীবনের কথা বলাই জীবন।
রোমহর্ষক সেই প্রথম চুমু
যাকে বলা তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না আর
তারপর সব ফুরিয়ে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া।
.
তৃতীয় নারী
.
আঙুলের অধিকারে খুলে যাওয়া অন্তর্বাস প্রিয়
আজ মধু যাপনে শুধু অনেকখানি কাছে থাকা একসাথে বাঁচার পণ
তারপর যার সাথে একটা জীবন ছোট মনে হয়।
..
চতুর্থ নারী
.
আবছা অবয়বে ঘোরে ফেরে মনের ফাঁকে খোলা আকাশ
যেখানে সমস্ত অধিকারের পথ হারায়।
নিজেকে মনে হয় ঠিক আকাশ থেকে নেমে আসা পাখি পালক
এত হালকা আমি তোমার সাথে।
ব্যস্ততা মাখা জীবনে কল্পনায় ঘেরা সেই সময়
শুধু চোখে মুখে বেঁচে থাকার প্রতীক্ষা তোমার জন্য।
বৃষ্টিতে একলা দাঁড়িয়ে গড়িয়ে নামা জল
স্পর্শ করো আমায়
সমস্ত অস্তিত্বের পরে যদি কিছু একলা বাঁচা থাকে।

Wednesday, August 9, 2017

আরো কবিতা

আরো কবিতা
.............. ঋষি
==============================================
আরেকদিন সঙ্গে থাকতে পারি
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি ,তোমার সংসার সীমান্তে।
গরম ভাতের সাথে ,মুগ ডাল ,আর বেগুনি কিংবা খিচুড়ি হতে পারে
টেবিলে ল্যাম্পে অন্ধকার গুলো তোমার ছায়াতে হয়তো।
তুমি জানালার গ্রিল ধরে বৃষ্টিতে ভিজতে চাইছো
এই তা এটা  একটা ছবি হতে পারে।

নিরুত্তর আমার এই কবিতা যদি শব্দের বদলে বৃষ্টি হয়ে যায়
সারিবদ্ধভাবে সেদিনও ভিজবে ল্যাম্পপোস্টগুলি।
বরষা আর জোছোনায় খুব মাখামাখি
আমি তখন কোনো আয়নায় মুখ রেখে ঠোঁট চেপে ধরেছি বৃষ্টির জলে।
নোনতা স্বাদ
কেমন একটা ভিজে ,উষ্ণ চোরা স্রোত আমার রক্তে বিনম্রতায়।
আমার পড়ার টেবিলে আমার ছায়া আমাকে প্রশ্ন করছে
কিভাবে বৃষ্টির কবিতা লেখা যায়।
সাদা কাগজে টিপ্ করে ঝরে পরে এক মুহূর্ত তুমি
ক্রমাগত আরো।
আরো শব্দের চোরাস্রোত আমার মস্তিস্ক নিউরনে তখন বৃষ্টি হয়ে ঝরছে
আর তুমি আমার কবিতা।

আরেকদিন সঙ্গে থাকতে পারি
ক্রমাগত এই বৃষ্টির মতো দিনের পরে দিন বদলানো ঋতুতে।
তোমার ঘরে তখন হঠাৎ লোডশেডিং শেষে ইলেকট্রিক আলো
আমি কৃত্রিমতায় বিশ্বাস করি না।
তাই আজও  একলা জানলার গ্রিল ধরে বৃষ্টি দেখি
অপেক্ষা করি আরো বৃষ্টির আরো কবিতার। 

I can not write

I can not write any poem any day, only I can write about you. ...........
.

তোমাকে ভেবে আমার নখের ডগায় আজকাল আলাপন
তোমার বুক ছুঁয়ে যদি আগুন জ্বালি।
.
মেঘ বৃষ্টি সমাপনী একটা নিঃসঙ্গ সকালে ঘুম ভেঙে জানলার বাইরে নতুন সূর্যের
সূর্যের ক্রমাগত তেজে লেগে থাকা সহমরণ।
আমার এই কবিতা শুধু  মৃত্যু ছুঁয়ে নয়,নয় কোনো অলীক দূরত্বের
তুমি আছো সহমরণ আমার হৃদয়ে।
.
ক্রমশ প্রকাশ হতে হতে আরো বেশি আলো জ্বলুক এই হৃদয়ের
তোমার গড়িয়ে পড়া হাসি
আজকাল বড্ডো জ্বালা ধরায় আমার বুকে।
প্রতিটা ছুটির পর আমি ফিরে আসি সাপ্তাহিক রুটিনে
সেই অদ্ভুত কথোপকথন।
আমার মৃত্যু তোমার হাতে উঠে আসুক সেই খঞ্জর
যা হত্যা করুক আমার তোমার হৃদয়ে।
.
যৌনস্বাদ শেষ হলে পড়ে থাকে পরাহত কাম, আঁখিহীন অশ্রুহীন বিপন্ন প্রাসাদ
যেসব প্রতিধ্বনি মাঝে মাঝে ভালোবাসা মনে হয়, পাহাড়ের চূড়ো থেকে ঝরে যায় সূর্যশেষ আলো.
মরে যেতে যেতে তবু দিনান্তটি বলে যায়
কানে কানে ফিস্ ফিস্।
আমার প্রতিটা জ্বলে ওঠা আগুনে শতাব্দীর মৃতদেহ
নিরুপায় প্রেম
গুমরে ওঠে বুকের ভিতরে।
.
তোমাকে পাই নি বহুদিন   মেল অথবা ফোনে
মধ্য রাত্রি পার হয়ে গেল, আর গোটা সৃষ্টিকাল জুড়ে।
গ্যালাক্সি যেন থমকে আছে রমণে মরণে, গ্রহ আর গ্রহাণু সব দ্যাখো, দ্যাখো হে নারী
তোমার অনিদ্রায় ঐ কাম-অতৃপ্ত স্বেদবিন্দুতে যায় পুড়ে।
.
তোমায় ভেবে আমার অভিশপ্ত জন্মে আজ মৃত্যুর খোঁজ
তোমার আমার স্কেলিটনে ছুঁয়ে থাকা মৃত্যুগুলোর তাই বোধহয় অনেক মিল। 

বাইশে শ্রাবন

বাইশে শ্রাবন
.............. ঋষি
===========================================
প্রশ্নগুলো গলার কাছে আটকে থাকে
আমি রূপ ,লাবণ্য এসব নিয়ে একটুও আলাদা হয়ে পারি না।
আমি তরল হতে থাকি
" শ্রাবনের ধারার মতো পড়ুক ঝরে ,পড়ুক ঝরে
তোমারি সুরটি আমার মুখের 'পরে, বুকের 'পরে "।
এত প্রেম হারানো আজ মহামানব  আমারি  অন্তরে ২২ শে শ্রাবন
ক্রমাগত কোলাহল,ঝরে পড়া অন্তরে তোমারি রূপ।

কিশোরীর কাগজের নৌকায়
ভেসে যাওয়া কবিতা।
প্রশ্নগুলো ক্রমশ প্রেমের মতো ঝরে পড়ছে এই ধরায়
একরাশ মেঘ অশ্রুর মতো বৃষ্টি বুকে নিয়ে ভেসে চলেছে।
শ্রাবণ তো শেষের দিকে, এখন আবার বৃষ্টির তলব কে দিচ্ছে?
বৌঠাকুরুন তোমাকে মনে পরে
মনে পরে এই দুই বাংলার রক্তে আটকে থাকা জাতীয়তায়।
কোনো কোনো  মৃত্যুর শুধু শোক থাকে
আর সেই মহামানব তার ধারালো শুভ্রুরুপে  ক্রমাগত কোলাহল বাদল সম্ভারে।
এমনই এক শ্রাবণসন্ধ্যায় পূর্ণিমাচাঁদ কত ম্লান হয়ে কেঁদেছিলো, মনে নেই তা কি?
বাতাসও সেদিন এক নিদারুন হাহাকারে শুনেছিলো কোটি হাহুতাশ।
চুপ আমি
আজ বাইশে শ্রাবন
ঈশ্বর হারানোর কান্নারা আজ  ঝরুক বৃষ্টি রূপে।

প্রশ্নগুলো গলার কাছে আটকে থাকে
কবির প্রেমের নৌকায় লুকিয়ে থাকে অজস্র ধারাপাতে এক মহা জীবন ,
আমি ভাসতে থাকি
" দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে
আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাইনে তোমারে "।
এ এক অদ্ভুত বিজন ব্যাথা শুধু তোমার জন্য আমার অন্তরে
আজ শ্রাবনের স্পর্শে প্রকৃতি আরো বেশি ভিজুক হে মহামানব।  

Monday, August 7, 2017

টুকু

টুকু
......... ঋষি
==============================================
যেখানে ঘরের শেষ
আমি দাঁড়িয়ে বহুদূর তোর থেকে টুকু।
শ্রাবনের ধারার মতো ভিজে চলা সময়ের কাব্যে
আমি বেঁচে আছি।
তোকে মনে পরে টুকু ,মনে পরে ছোটবেলার সেই দিনগুলো
রাখির সকালে সেই ফ্ৰক পরা  মেয়েটাকে।
.
আমার কোনো বোন নেই
আমাদের  বাড়িতে তোরা ভাড়াটে হয়ে এলি।
বড়োদের পরিচয় শেষে মা এসে তোকে দেখিয়ে বললো
এটা তোর বোন।
টুকু সত্যি বলছি আজ, সেদিন বোনের মানে বুঝতাম না
বুঝতাম না এই রাখির মানে কিংবা ভাই ফোঁটার।
শুধু  বুঝেছিলাম সেদিন তুই আমার কাছের কেউ ,আমার আত্মীয়
যার সাথে মারামারি করা যায় ,চুল টানা যায় ,খেলা যায়।
যার সাথে মাথাফাটা দুপুরে লুকিয়ে আচার চুরি করা যায়
যার হাতে লাটাই ধরিয়ে ঘন্টা পরে ঘন্টা  ঘুড়ি ওড়ানো যায়।
তারপর যা হয় আমি তখন ক্লাস টেন ,তুই আমার বোন এইটে
তোর  বাবার বদলির চাকরি ,তোরা চলে গেলি।
কিন্তু তুই আমার বোন হয়ে রয়ে গেলি চিরকাল
তারপর প্রতিবছর অনেকে রাখি পরালো ,ভাই ফোঁটা দিল
কিন্তু তোকে আমি ভুলি নি টুকু।
.
যেখানে সময়ের শেষ
সেখানে আমি দাঁড়িয়ে ,তোর সাথে দেখা হয় নি আর কোনোদিন।
শুধু বড়ো  বেশি জানতে ইচ্ছে হয়
বোন তুই কেমন আছিস ? মনে পরে এই দাদাটাকে ?
এই সময়ের কাব্যে আমার ভিজে যাওয়া শ্রাবনের চিঠি সাক্ষী
আমি তোকে আজও ভুলি নি টুকু।

Saturday, August 5, 2017

sorrow of city


Lots of things are hidden in the city chest, many sorrow hidden in  my city's daily survival. My poems are just so dark in the city and all those people, ,,,,,,,,,,


.
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় শহরের আজকের দিন 
থামের ওপর থাম তুলে সম্পর্কের ছোট ছোট কুঠরিতে আলোর প্রবেশ নিষেধ। 
অনন্ত অন্ধকারের আড়ালে রুপোলি মেকি সভ্যতার বিজ্ঞাপনী হাতছানি 
২ G ,৪ G করতে করতে মানুষ আজ অন্তরীক্ষে । 
অথচ কত ছোট তারা নিজেদের আয়নায় 
কোপারনিকাসের আবিষ্কারকে  তারা খুব সহজে বুড়ো আখ্যান দেয়। 
.
এই শহরের  পায়রার খুপরিতে বাস করে বেঁচে থাকা 
মানুষগুলো ছোট হতে হতে আজ পিঁপড়ের মতো শুধু ছুটে বেড়ায় সকাল সন্ধ্যে 
এক তাড়না ,এক কারণ খিদে। 
এই খিদে শব্দটার সমীকরণে ভাঙলে আমি  শুধু সিঁড়ি দেখতে পাই 
অক্লান্ত পায়ে ফুরোতে থাকা মানুষগুলো সব আজ সিঁড়ি ভাঙা  অংকে। 
ব্যস্ত সভ্যতার নথিতে তারা ভুলে চলেছে হৃদয়ের সবুজগুলো 
প্রফিট এন্ড লসের অংকে খুব সহজে তারা খুন করতে পারে ,করতে পারে ধ্বংস। 
এদের কাছে জন্ম শব্দটা বোকামি আর সৃষ্টিটা পাগলামি 
তাইতো এরা এত সহজে নিজের অস্তিত্বকে ছোট করতে ডরায় না। 
ডরায় না ধর্ষণ করতে ,ডরায় না নিজেরদের আত্মীয়তাকে বেআব্রু করতে 
একই আকাশের নিচে বাস করে ,সকলেই আজ শুধু বাড়তে থাকা জীবাণু। 
বাড়তে থাকা সামাজিক প্রটোকলে ,কর্পোরেট লোভে ,পার্টিঅফিসের পতাকায় 
মানুষ আজ শুধু বিছানা বদল করে ,পোশাকের মতো 
আজ  লজ্জা শব্দটা শুধু মানুষের ডিকশনারিতে বন্দি কোনো অন্ধকার নিরাপত্তা । 
এই শহরের উঁচু তলার মানুষগুলো 
আর রাস্তায় বাস করা সেই পাগল ভিখারিটার কোনো তফাৎ নেই। 
শহরের প্রতিটা মানুষ আজ ভিখিরি নিজেদের কাছে 
কেউ মনে ,কেউ প্রাণে কিংবা কেউ ধনে, শুধু অভাব সমৃদ্ধ বেঁচে থাকায়। 
.
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মতো শহরের আজকের দিন 
বাড়তে থাকা কার্বনডাইঅক্সাইডের সাথে মানুষের মনের কুঠরিগুলো এখানে দূষিত। 
অনন্ত সামাজিকতার কিংবা লোকচক্ষুর আড়ালে প্রতিটা মানুষ দানব এখানে 
সকলেই শুধু ছদ্মবেশী ঈশ্বরের পূজারী। 
অথচ মানুষ ভুলেছে কত সহজ ভালো থাকা ,কত সহজ সবুজের খোঁজ 

কত সহজ বাঁচার কারণ শুধু মানুষের জন্য। 

as whore.....


This poem is dedicated to those women living outside of society,Those who know this civilization as slut or as whore...............
.
মেয়েটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁচা খিস্তি মারে কাস্টমারকে 
দাঁত বের করে সস্তার লিপস্টিকে মেয়েটা হাসে। 
বিচ্ছিরি আওয়াজে পানের পিক ছুঁড়ে দেয় রাস্তার উপরে, 
তখন প্রবল ঘৃণা তার চোখে মুখে।
.
পথ চলতি পুরুষের চোখে একটা শিয়ালের চাহুনি
মেয়েটা একটুও ডরায় না।
এই সভ্যতায় পুরুষ শব্দটা ততক্ষন পুরুষালি যতক্ষণ সে নিয়মে সামাজিক
বাকি তো পুরুষ শুধু সুযোগসন্ধানী মাংসের খোঁজ।
এই সভ্যতায় নারী শব্দটা ততদিন সাংবিধানিক যত দিন সে পর্দানশীন
কিন্তু সমাজ সেই মেয়েটাকে বেশ্যা বলে চেনে।
মেয়েটা বোঝে ,এতদিনে বুঝে গেছে সব এই ধান্ধায়
এই সমাজ ,এই সময় তার কাছে থেকে কি চায় আর বদলে তার বাঁচা।
তাইতো রাতে বারংবার শরীরের তলায় শুয়ে সে শুধু হাসে
আর পাঁজরের যন্ত্রনা বুকে চাপা দিয়ে গালাগাল করে সমাজকে।
গালাগাল করে প্রতিটা সামাজিক নিয়মকে
কারণ তার কাস্টমার লিস্টে স্কুলের বাচ্চা থেকে ঠাকুরদার বয়সী লোকও আছে।
বুকের আগুন অসহ্য হয়ে গেলে মেয়েটা নেশা করে চিৎকার করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে
এই সমাজ ,এই অবস্থানের বিরুদ্ধে এই তার জেহাদ।
প্রতি রাতে তাকে থেঁতলে যায় এক বা একাধিক লম্পট ,মাতাল পৌরুষ
কিন্তু সেই পুরুষগুলো সবকটাই ভীরু ,বৌ খেদানো সব ফাস্ট্রেটেড।
মেয়েটা জানে সেই সব কথা
তাইতো সে খিস্তি আর খোঁচা মেরে কথা বলে প্রতিটা পুরুষের সাথে ,সমাজের সাথে।
এই সমাজে মেয়েটার আর কোনো ইচ্ছা নেই ,নেই কোনো ঘর ,নেই কোনো স্বপ্ন
সব ধ্বংস তার ,শুধু বেঁচে থাকা একটা পরিচয় মাথায় নিয়ে " বেশ্যা "।
প্রতি রাতের যন্ত্রনা ,প্রতি রাতের বিকোনো ভালোবাসার শরীরের দাগগুলো
প্রতিদিন সেই মেয়েটা ভুলে যায় কিছু অর্থের বিনিময় ,বিনিময় খিদের তাগিদে।
.
মেয়েটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনর্গল বলে যায় এমন সব কথা
যা শুনলে এই সমাজের প্রতিটা নারী লজ্জা পাবে ,লজ্জা পুরুষের ভেকধারী সমাজটাও।
তবু সেই মেয়েটার মতো বহু মেয়ে এই সমাজে আছে
আর সমাজের কাছে এরা ততদিন , যতদিন এদের শরীর আছে।
...
............ ঋষি
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx----------xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx

Friday, August 4, 2017

ঝলমলে আকাশ

ঝলমলে আকাশ
.......... ঋষি
============================================================
চলন্তিকা তোমাকে সত্যি গল্পগুলো বলেছি
কিন্তু তোমাকে আমি মিথ্যা বলতে পারতাম মানুষের মতো।
মানুষ মিথ্যে বলে
নিজের গল্পগুলো যত্ন করে যক্ষের ধনের মতো কালকুঠরিতে রাখে।
রাখে এক অভিশপ্ত কাল সাপ পুষে
কাকে মানুষ ভয় পায় সেই সাপকে। নাকি নিজেকে নিজের কাছে।

এমন  অতলস্পর্শী রাতে তোমাকে শোনানোই যেত একটা মিথ্যে গল্প
কিন্তু ভয় হয়।
মিথ্যে ততক্ষন সত্যি যতক্ষণ তুমি কাছে আর না হলে   .......
আমার সত্যি ভালো
 একবার কাঁচ ভাঙলে পরে তাকে জোড়া গেলেও দাগ থেকে যায় ।

পৃথিবীতে এমন  কিছু মানুষ আছে যাদের অনেক সত্যি গল্প
আর কিছু মানুষ ইন্দ্রিয় হারিয়ে ভুলতে চেয়েছে স্পর্শকাতর প্রত্যঙ্গগুলির কথা।
চলন্তিকা , এক একটি অভিশাপ পেরিয়ে তোমার সাথে কথোপকথনগুলির এক একটি মাইলস্টোন
সাজিয়ে দেখেছি  আকাশে পরিষ্কার ঝকঝকে আলো মাখা রাত
আর আকাশের চাঁদ তুমি খুব হাসছো তখন।

চলন্তিকা তোমাকে সত্যি গল্পগুলো বলেছি
তাইতো আমার আমার কবিতায় আজকাল  দারুচিনি দ্বীপ।
মানুষ মিথ্যে বলে
তাইতো তাদের হতাশ সকাল ,ভিখিরি বিকেল আর অনিদ্রিত রাত।
কিন্তু আমি আর তুমি আছি বেশ
হাজারো ক্লান্তির পর আমাদের রাত্রিগুলো বড়ো একটা ঝলমলে আকাশ। 

অনিদ্রিত রাত

অনিদ্রিত রাত
.............. ঋষি
===========================================
সেইদিনও স্বপ্নে এসেছিলি
নিজের দ্যুতি নিয়ে আমার অন্ধকার ঘরে তখন আলো।
আমার মাথার চুলগুলো বিলি কেটে বললে
ভালো আছি রে ,তুই ভালো থাকে।
আমার শব্দগুলো সব লুকোনো সেই বৃষ্টি বিকেলে ট্যাক্সি বন্দী
ছুটে চলেছে তোকে ছুঁয়ে শহর থেকে শহর
শুধু আমি তোকে কিছু বলতে পারি নি।

অনেকখানি রাত্রি তোর সাথে
স্বপ্নের স্বর্ণালী গয়নাগুলো সব চকচকে ইচ্ছার মতো  তোর শরীরে।
আমি তোকে লিখলেই কেন শরীর এসে পরে
প্রশ্ন করেছি নিজেকে।
আসলে কি জানিস ঈশ্বরের অবয়ব ছাড়া মানুষ ঠিক ভরসা পায় না
আমিও তো মানুষ ,তাই তোর শরীরে আমার পুজো।

অন্ধকারের অক্ষের তারাগুলো আমার চাঁদের সিলিঙে তখন
তুই তারা নদীতে নৌকা চালাচ্ছিস।
আর আমি পালের মতো দিক বদলাচ্ছি ,.বোধহয় পালাচ্ছি
সময় থেকে দূরে কোথাও তখন আশ্রয়।
তুই বললি ওরে খ্যাপা এমন করে কবিতা লিখলে সময় বলবে কি
আমি বললাম আমি তো লিখতে পারি না ,শুধু ভালোবাসি।

সেইদিনও স্বপ্নে এসেছিলি
নিজের ঐশ্বরিক হাসিতে আমি মন্ত্রমুগ্ধ ,বোধহীন কোনো পাথর।
আমার শরীরের উত্তাপে  তখন অদ্ভুত শিহরণ
তুই বলছিস আমাকে ভালো থাকে রে ,আমি ভালো আছি।
আমার শব্দগুলো তখন ফোন বন্দি ,ওপারে তুই খুব হাসছিস
আর আমি শুনছে ঈশ্বরের দরজায় ঘন্টা বাজছে
পুজো চলছে পবিত্র প্রেমে কোনো অনিদ্রিত রাত।

ছোট ছবি

ছোট ছবি
......... ঋষি
==============================================

.
দুজনেই চেয়েছি একা থাকতে
ভালোবাসতে।
তাইতো আনমনেও তুই আমার সাথে কথা বলিস
পড়িস আমাকে কবিতায়।
 ২
.
একটানা বন্ধ দরজায় খুঁজতে চাওয়া নিজেকে
দরজার ওপারে কি আছে তা জানা।
এমনকি চলন্তিকা জানা আমাদের
এই পথ শেষ হয়ে গেলে কি আছে অপেক্ষায়।
শুধু সময়টা কেন যে অসময় ?

.
প্রদীপখানি ধিক ধিক জ্বলছে
জ্বলবে চিরকাল ,পোড়াবে দাবানল হয়ে শহরের অধিকার।
চলন্তিকা এই প্রদীপের তেল ফুরোয় না
শুধু বাড়তে থাকা বায়ুতে কার্বনডাইঅক্সাইড।
ফুসফুসে আতংক
তবু জ্বলুক এই প্রদীপখানি।
.

তুমুল কোনো কাম আমাকে ছুঁয়ে থাকে
তোর কানের লতিতে ,তোর বুকের কালসিটেতে সময়ের কামড়ানো দাঁত।
তবু আমি ভাসতে থাকি ,শান্তিনিকেতনি বাউলের সুরে
" ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
আমরা আর পাব না, আর পাব না।
"তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না"। 

আকাশ বৃষ্টি

আকাশ বৃষ্টি
.................... ঋষি
====================================================
চলন্তিকা এই অন্ধকার শহর তুমি দেখলে
আজ বলতে সময় নাকি শুধু অন্তরের বৃষ্টি আর দুর্যোগের দিন।
আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে  যায় সময়কে
মানুষকে প্রশ্ন করে না আকাশ ,জানতে চাই না  মানুষের ইচ্ছা।
সে বন্যা হয়ে যাক ,হয়ে যাক মহামারী
বৃষ্টি সে কারোর তোয়াক্কা না করে হঠাৎ ভিজিয়ে যায় সময়।

কেবলমাত্র মানুষ বৃষ্টিতে একা নয়
একা একটা অঞ্চল ,একটা শহর ক্রমাগত বৃষ্টি ভেজা রূপকথার মতো প্রথাগত।
মানুষ অনর্থক কষ্টকে ধরে রাখতে জানে;
তুমি আমি মানুষ বলে আমরাও বয়ে চলেছি কষ্টকে প্রয়োজনীয় কোনো নিয়মের মতো।
আর আমরণ কষ্টের বোবা আর্তনাদ শুনে চলেছি একা
শুধু বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দের মতো।
এই অভিশপ্ত  গ্রহে আকাশ এক  জাদুকর যে নির্বিকার সময়ের মতো
ক্রমাগত এত বিশাল।
আর বৃষ্টি সে যেন তোমার মতো আমার কোনো প্রেয়সী
যে শুধু ভিজিয়ে চলে সময়।
ঠিক আমারি কষ্টের কবিতা বৃষ্টি হয়ে যেমন সাদা পাতায়
হঠাৎ লাল হয়ে যায়।

চলন্তিকা এই অন্ধকার শহর তুমি দেখলে
আজ বলতে ধুস রাবিশ যত তোর মন লুকোনো কবিতা।
কিন্তু আকাশ থেকে যে বৃষ্টি নামে সেটা যে সত্যি
যেমন সত্যি মানুষ সেই বৃষ্টিতে একলা ভেজে নিজের সাথে।
কিন্তু আমারও আজকাল তোর মতো বৃষ্টি ভালো লাগে না
বৃষ্টি এলে তবু কেন উতলা শহর বৃষ্টিতে ভিজতে চায় ,জানি না।



কবিতায়

কবিতায়
......... ঋষি
===========================================

আমি কবিতা লিখলেই
তুমি চলে আসো ,তোমাকে সুন্দরী বলা চলে. কাজল নয়না।
তারপর তোমার বিক্ষিপ্ত হাসিতে আমি মাতাল কবি চলন্তিকা
নেশা হয়  ,ক্রমশ হারিয়ে যায় শব্দদের ভিড়ে।
তোমার মৃদুমন্দ বাতাস ,উড়তে থাকা চুলের সুবাসে
আমার কবিতার আন্দোলিত কোনো শৈশবের ঘুড়ি।

আমি কবিতা লিখলেই
মনে হয় চলন্তিকা তুমি তাকিয়ে আমার দিকে এক দৃষ্টে।
মনে হয় তুমি সবটাই দেখতে পাচ্ছো
তাই আমার লজ্জা হয় , আমি নিজেকে লুকাই শব্দের পোশাক পরে।
আমি কবিতা লিখলেই
তোমার লুকোনো চিঠিগুলো হঠাৎ দৃশ্যের বাইরে দৃষ্টিতে ফুটে ওঠে।
হিরোগ্লিফিক ছায়াপটে একটা গোটা মিশর আমার শহর
আর তোমার কালো নদীর জল যেন তৃষ্ণা।
আমি কবিতা লিখলেই
তোমার  শরীরের অদ্ভুত  লোনা স্বাদ আমার কবিতায় লেগে যায়।
সময় মনে করে আমি বোধ হয় প্রেমিক
কিন্তু আমি সময়কে বলি আমি প্রেমিক নই গো  ,পাগল কবি।

আমি কবিতা লিখলেই
তুমি চলে আসো ,তোমার কাজল টানা টলটলে চোখে যেন স্বপ্ন।
তারপর তোমার মাতাল করা হাসি
নেশা হয় ,আমি অন্ধকারে কবিতা লিখতে বসি চলন্তিকা।
সাদা পাতায় যতবারই শব্দ লিখি
দেখি শুধু তুমি ,তোমার কোনো না দেখা ছবি।    

অদ্ভুত বাঁচা

অদ্ভুত বাঁচা
............. ঋষি
===========================================
সেদিন জ্যোৎস্না রাত
ছায়াভাঙ্গা শহরের রাস্তায় এগিয়ে চলেছিল সময়ের জীব।
অবশ্যই এক নারী ,এক পুরুষ
ইতিহাস সাক্ষী জ্যোৎস্না সর্বদা প্রেমে উন্মুখ সময়ের দাবানল।
সময় বলছে শরীর কিন্তু তারা কথা রাখেনি
শহরের দুকোনে আজ তাদের আলাদা আস্তানা নিজেদের শহর।

তারপর নিয়ম মাফিক
জ্যোৎস্না এসে ভিজিয়ে গেছে শহরের পথ।
 সবুজ আলোর অন্তরালে খসে পড়েছে দেহমুগ্ধ স্মৃতিপ্রহর
ঘন ঘন নিঃশ্বাসের দাবিতে বাঁচাগুলো দূরে সরে গেছে।
তবু তারা আছে বেঁচে
ছায়াশরীর।
নকশা জরির ছায়া ভঙ্গির সঙ্গে জড়াজড়ি করে বিহঙ্গ
ঈশ্বর যেখানে অর্ধনারীশ্বর হয়ে প্রেমের সাক্ষী।
তবু তারা আছে বেঁচে
শহরের দুকোনে আজ তাদের আলাদা আস্তানা নিজেদের শহর।
কিন্তু সেই শহরে নিঃশ্বাস নেই
শুধু অদ্ভুত বেঁচে থাকা।

সেদিন জ্যোৎস্না রাত
মন প্রতিমার গুপ্ত সুড়ঙ্গে বয়ে চলে এসেছিল ভালোবাসার জল।
অবশ্যই এক নারী ,এক পুরুষ
ইতিহাস সাক্ষী ভালোবেসে দূরে সরে থাকাটা একটা যন্ত্রণার।
সময় বলছে আগুন কিন্তু তারা কথা রাখে নি
শহরের দুকোনে দুটো মৃত শরীর শুধু তাদের প্রেম বাঁচিয়ে রেখেছে।  

কবিতা লিখবো বলে

কবিতা লিখবো বলে
.......... rishi
========================================
কবিতা লিখবো বলে
সময়ের শানে শান দেওয়া কলমের নিব।
কবিতা লিখবো বলে
প্রেমিকার বুকে হাজার শহর লেখা সময়ের ল্যাণ্ঠন।
কবিতা লিখবো বলে
আজও বৃষ্টি পরে ,ঋতুবদল সময়ের।

কবিতার গায়ে আজকাল কেমন একটা বাসি গন্ধ
একলা বাথরুমের আয়নায় গড়িয়ে নামা শাওয়ারের জল আর চোখ বন্ধ ।
কবিতার শরীরে আজকাল মাছি ভনভন করে
এই বাজারে গল্প বিক্রি হলেও কবিতা একলা না খেয়ে মরে।
কবিতা আজকাল আমাকে একলা করে
কেন যেন নিজেকে রাখা বন্দি নিজের পুরনো স্মৃতির ঘরে।
কবিতা শুধু রাতজাগা চোখ
ব্যস্তরার  জীবনের দিনলিপি আর আর বাঁচার মাপঝোঁক।
কবিতার গায়ে তোমার দেওয়া নীল পাঞ্জাবি ,সরস্বতীর অক্ষরের বর্ণনা
কবিতা লিখে বেঁচে থাকা আর বাঁচা যেন স্বপ্নের কল্পনা।
কবিতার শরীরে কবির কলমের আদরের নিব
কবিতা আসলে একা ,সময়ের বিরোধী ভেংচায় জিভ।

কবিতা লিখবো বলে
সময়ের গায়ে ইচ্ছার সাজানো রং।
কবিতা লিখবো বলে
প্রেমিকার বুক ছুঁয়ে ঠোঁট নামানো নোনতা চোখের জল।
কবিতা লিখবো বলে
কবিতা তুমি সত্যি প্রাচীন বাঁচা আর বর্তমান কোলাহল।



অবান্তর

একটা নির্জন বিকেলের সাথে আছি   এইমাত্র ঝুপ করে কফির কাপে সন্ধ্যে নামলো শহরে  শহরের রাস্তায় ডেসিবেলের হিসেবে এই সব অবান্তর  অবান্তর শহরের ভিড়...