Sunday, June 28, 2015

স্যোসাল সামুরাই

স্যোসাল সামুরাই
........... ঋষি
===========================================
দৈনন্দিন যে লোকটা সকালে ঘুম থেকে ওঠে
বাজারে যায় কই মাছ, পুঁটি মাছ ,আলু  ,পেঁয়াজ ,ডিম করে।
ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসে।
তারপর টিফিনবক্স আর ব্যাগ গুছিয়ে অফিসে যায়।
দশটা ,পাঁচটা যুদ্ধের পর  বুক ফিরিয়ে বাড়ি ফেরে
তাকে কি বলবো স্যোসাল সামুরাই।

যুদ্ধটা  আসলে  স্যোসাল রিফর্মারদের আরতে তৈরী জীবনযাত্রা
অফিস টাইম,ট্রেন ,বাসে ঝুলতে থাকা মানুষগুলো সব খিদে।
আসলে শহরটা একটা চিড়িয়াখানা
সাজানো গোছানো জীবনযাত্রার পিছনে,
একটা জান্তব চিত্কার লেগে থাকে।
রক্ত লোভি আমি তুমি বেঁচে আছি সমুরায়ের মত
কাপুরুষ হেরে যাওয়া মানুষেরা সব মৃত এই শহরে।
কিন্তু সকলকে জিততে হবে
জেনতেন প্রকারে এই শহরে
জন্তুদের জান্তব জীবনযাত্রায়।

দৈনন্দিন যে লোকটা সকালে ঘুম থেকে ওঠে
সে জানে না কতক্ষণ সে বেঁচে আছে।
শুধু জানে আজ তাকে যেতে হবে যুদ্ধে
নিজের স্বত্বার  পাওনা আদায়ের জন্য আজ তাকে লড়তে হবে।
তুলে নেই অস্ত্র হাতে অদৃশ্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে
আবার দশটা পাঁচটার একটা দিন শেষে বুক চিতিয়ে ফিরবে সে
পরের দিন বেঁচে থাকার জন্য। 

তোমায় ভেবে

তোমায় ভেবে
............. ঋষি
==========================================

ভেবেছিলাম সেই দিন তোমাকে propose করবো
আর  তুমি আমাকে হ্যাঁ বলবে।
মনখারাপের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমরা নিজের নিজের ডানা খুঁজি
খোলা আকাশের মুক্তির স্বাদ।
সমস্ত আকাশ ব্যাপী নীল একটা গভীর সমুদ্র
আমরা মুক্ত খুঁজি নিজেদের জন্মাবার।

propose করি নি সেদিন
কি গভীর সমুদ্র চোখের মাঝে উপছে পরা স্নেহ ,ভীষণ গভীর
ভয় পেয়েছি ,তলিয়ে যেতে ,ভয় পেয়েছি হেরে যেতে।
নিজের আকাশে উড়তে উড়তে কখন যেন সমস্ত আকাশব্যাপী সমুদ্র
বিশাল বড় মেঘেদের ঢেউ আমাদের বারন্দায় ধাক্কা  .
তারপর বৃষ্টি ,তারপর আরো বৃষ্টি
বৃষ্টি থামছে না আর।
বলে ফেল্লাম তোমায় তুমি আমার আকাশ সমুদ্র
বলে ফেল্লাম তোমায় তুমি আমার জীবিত তৃষ্ণা।
তুমি মাথা নাড়লে ,সায় দিলে ,আমার চুলটা ঘেটে দিয়ে বল্লে
আমার পাগল কবি।

ভেবেছিলাম এর পর কি হবে ,কত বড় পথ
হাঁপিয়ে যাব না তো।
অথচ কখন মাঝের সুতোটা মোটা হতে হতে তুমি হয়ে গেলে
এসে দাঁড়ালে আমার সামনে।
ঠোঁটে ঠোঁট ঘষলে ,আলতো করে চুমু খেলে কপালে
আমি আকাশে চেয়ে দেখি বৃষ্টি আসছে।

প্লিস অসহ্য

প্লিস অসহ্য
,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
====================================================
তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকো ,আমিও থাকি
প্রেম আসুক ,যন্ত্রণা আসুক ,মশা,মাছি, মিনিবাস কিছু বাদ না থাকুক।
তোমার সাথে দেখা হলো বহু যন্ত্রণার পর
তোমার সামনে বসা ছেলেটাকে চিনতে পারছো।
অন্ধকার হচ্ছে ,মেঘলা তোমার মুখ
বৃষ্টি নামলো বলে
প্লিস অসহ্য।

অনিদ্রার মাঝরাতে বেড়ালের কান্নার আওয়াজ  শুনলে যেমন লাগে
ঠিক তেমনি অস্বস্তিকর...।
ভিজে যাচ্ছে চোখ ,সামনে দেখো
গাছ দেখো,পাতা দেখো ,সময় দেখো ,জাগরণ দেখো।
তাকিয়ে থাকো যেদিকে খুশি
আজ ভ্যালেন্টাইন না।
থাপ্পর মারতে পারো ,চুমু খেতে পারো,খামচাতে পারো
রান্না করতে পারো আমার জন্য।
কিন্তু প্লিস কান্না না
বরং বিষ মিশিয়ে দিও আমার রান্নায়
আমি খুশি।


জড়িয়ে ধর আমায় কেন জানি ছেড়ে যাও
তোমাকে খুন করি ,আমি খুন হব বলে।
post-mortem হবে ,থানা পুলিশ হবে ,অসামাজিক হবে
পাশাপাশি দুটো বডি শুয়ে থাকবে জীবিত অথচ মৃত।
সব অদৃশ্য শব্দ ,সব প্রেম পাখির মতো হাওয়ায় ভাসবে
তোমাকে প্রতিবার দেখার পর
আমার মন  বিষাদে ভরে যাবে।  

Saturday, June 27, 2015

তারপর .........

তারপর .........
................ ঋষি
========================================
আমার শহরে দুপুর মানে বিশ্রাম
একটা বালিশ টেনে নেয় চোখ  ,,,,,,,,, বু জে আসছে।
ক্রমশ অন্ধকার চোখের তারায়
তারারা টানছে শহরের মাথায় আলগা একটা বাটি।
ভুতুরে ভাবে চোখের পাতায় ,,,, গোল গোল স্বপ্ন
নিভে  যাচ্ছে আলো  আমার শহরের।

একটা অবয়ব ছায়া ছায়া মেঘ যাকে আমি চুমু খেতে পারি
একটু বৃষ্টি ,মৃদুমন্দ হাওয়া আমি যাতে শীতল হতে পারি।
কোলবালিশ হাতের কাছে
টেনে নি বুকে ,ভিজে বিছানার চাদর ,খবর বর্ষাকাল।
বৃষ্টি ভেজা নুপুরের শব্দ এগিয়ে আসছে
ঘোর আসছে, ঘোর আসছে  ,,,,,,,
ছুটছে ঘোড়া আলতামিরার গুহাগহবরে।
কিংবা সেই সুন্দর ঝর্নাটা যেখানে চান করছে সময়
অবিশ্রান্ত টুপটুপ জলের ধারা চুল বেয়ে।
বাইরে বৃ..ষ্টি পরছে আমার শহরে।

কিন্তু ঘুম শহরের চোখের চামড়া খুলে নেয়
ফুটপাথে খালি ভিখারীর বাটি জলে পূর্ণ।
কোথাও বাস স্টপে ভিজে যাচ্ছে যাত্রী কাকের পালকে
কোথাও বা আমার শহর আশ্রয় খুঁজছে মাথা লোকানোর দায়ে।
আসলে এখনো ক্লান্ত হয় নি শহর ,,এখন দুপুর ,,,তারপর বিকেল
তারপর অন্ধকার ,,,,,,,ঘুম ভাঙছে ,,,,,তারপর ....... ।

পোকাদের আনন্দে

পোকাদের আনন্দে
................... ঋষি
=============================================
পোকারা জন্মাচ্ছে পোকারা ঘুরছে আর পচা গন্ধ
চারিদিকে মল ,মুত্র, পুতি গন্ধময় নর্দমার জল।
সেই জলে পা দিয়ে হাঁটছে সকলে
সেই জলে পা দিয়েছিলেন স্বয়ং জেসাসক্রাইস্ট।
শতাব্দীর আগুনে ঈশ্বর পুড়ে গেছেন
শুধু আগুনের ছাইয়ে বদমাইস পোকারা।

আগুন জ্বলছে না
চিতার কাছে জ্বলছে চামড়ার গন্ধ ,পুড়ে যাওয়ার সাদা শোক।
মানুষ ভুগছে পেটের রোগ ,চামড়া রোগ ,হৃদয়ের রোগে
মানুষ কাঁদছে বারংবার পোকাদের উপদ্রবে।
মোমের মিছিল ,সস্তার মিছিল ,প্রতিবার আগুনে পিস্তলের কার্তুজ
পোকারা কামান দাগাছে মুহু মুহু শব্দে কাঁপছে অস্তিত্ব।
পোকারা আঙ্গুল নাড়াচ্ছে গিলোটিনে মাথা মানুষের
পোকারা মাথা নাড়াচ্ছে মানুষের কান্নার শব্দে।
আরামে বসে পিন্ডি চটকাচ্ছে
মানুষ কাঁদছে।
পোকারা শক্তিমান ,পোকারা বির্যমান,পোকারা জীবিত
মানুষ মৃত মানুষের অন্তরে।

সূর্যের নীচে হাড়গুলো হয়ে যাচ্ছে  গুড়োগুড়ো
মানুষের হাড়ে পোকাদের বাস ,পোকাদের খিদে ,পোকাদের সমাজ।
হাড় কাটা গলি ,হাড় কাটা আমন্ত্রণ ,করাত চলছে
মানুষের মাংসে,মানুষের অনুভূতিতে ,মানুষের সম্পর্কে।
ঈশ্বর এগিয়ে যাচ্ছেন পিছনে মানুষ
সন্ধ্যা নামলো এখুনি অন্ধকার আসছে পোকাদের আনন্দে। 

কবর ও কফিন

কবর ও কফিন
................ ঋষি
=============================================
তুমি বলেছিলে নিয়ে যাবে আমাকে
ওদের সাথে ,ওদের মত।
হই হট্টগোল হাজার চিত্কারের মাঝে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়
তুমি কবর দিয়েছো তাদের।
কফিন সাজানো বাইরের মোড়কে অন্ধকার দুর্ভিক্ষ
তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছো।

তোমার চামড়ায় পরা অসংখ্য ভাঁজ সময়ের চিত্রণ আমার
তুমি তাদের সরিয়ে রেখেছো।
মাংসের স্তন ,যোনিজ জন্ম ,নিত্য হাহাকারগুলো
তুমি তাদের  থেকে দূরে রয়েছো।
পান্তা ভাতে ,একটু নুন ,একটা লঙ্কা ,একটু সর্ষের তেল
জমে গেছে ,জমে পুরো টক দই সময়ের উপরে
প্রলেপ  নেমেছে পুরো আস্তরণে মোড়া ক্ষার সম্বল পরিপাক।

তুমি বলেছিলে নিয়ে যাবে তাদের সাথে
তাদের সন্তানের মুখে গুজে দেবে অনেকটা করে নুন।
চারিদিকে চিত্কার ,অসংখ্য প্রলোভনের বাইরে আমার জানতে ইচ্ছে হয়
কোথাই কবর দিলে আমায়।
কফিন সাজানো বাইরের মোড়কে অদ্ভুর ল্যাট্রিনের গন্ধ
তুমি আমার জন্য এখনো অপেক্ষায়।

জমানো জীবন

জমানো জীবন
.............. ঋষি
========================================
হঠাৎ জারোয়ার জঙ্গলে দুমাদুম বেজে উঠলো আতঙ্ক
তুমি  চলে যাচ্ছ কালো শাড়ি পরে।
সময়ের আড়ালে ,আরো আড়ালে ,চোখের আড়ালে
চোখের পাতায় কালো কাজল ,ধেবড়ে গেল আলো।
কোথা থেকে উদয় হলো না বলা কথাগুলো
তুমি শুনতে চাইলে ,আমি বলি নি
আর বলবো না কোনদিন।

যতটুকু আমার ছিল হৃদয় পেতে নিয়েছি
কিন্তু হাত পাততে পারি নি ,কারণ আমি পারি না।
জারোয়া জঙ্গলে আদিম হতে
নিত্য আশেপাশে জঙ্গলে ঘুরি ঠিক কবিতা কামাই করি।
নিয়মিত আমার কবিতার পাতা ভরে ওঠে রক্তে
বিন্দু বিন্দু রক্ত সব জমা খুব গভীরে।
আমি ভাবি সময় বোধ হয় এমনি হয় উল্লুকের মত
আমি ভাবি জীবন বোধ হয় এমনি হয় জীবিতের মত।
কোথাও একটা পার্থক্য থেকে যায়
নিজের মাঝে তোমার আমার হৃদয়
একসাথে বাজে জারোয়ার ড্রামের মত।

হঠাৎ জারোয়ার জঙ্গলে দুমাদুম বেজে উঠলো আতঙ্ক
তুমি বললে নিবি না সময় ,নিবি না স্নেহ।
আমি বললাম নিয়েছি তো আমার হৃদয় পেতে
শুধু আমি  হাত পাততে পারি নি।
কারণ আমি পারি না আস্ত আদিম জারোয়া হতে
আমি পারি না হিংস্র মাংসের ব্যাপারী হতে
আমি এমনি ছিলাম ,আছি আর থাকবো।

Friday, June 26, 2015

শেষ দেশলাই কাঠি


শেষ দেশলাই কাঠি
.............. ঋষি
===================================================
একটা দেশলাই কাঠি জ্বলতে পারে যতক্ষণ
ঠিক সেই সময় তুমি খুঁজে নিও প্রশ্রয়  তোমার অস্তিত্বের আঁধারে।
চোখ খোলা রাখো ,চেষ্টা করো পড়তে অভিমান ,জমানো বেদনা
দপ করে নিভে গেল দেশলাই।
আবার একটা জ্বালো ,সাথে সিগারেট
সিগারেটের লাল মৃত্যুর সাথে পড়তে চেষ্টা কর নিজেকে।
অন্ধকার। ....কষ্ট হচ্ছে। .....পুড়ছে সময়
পড়তে পারছো এবার।

আলো অতক্ষণ থাকছে না যতটা সময় লাগে পড়তে
তুমি বুঝছো।
আমি লিখছি আবার পাতার পর পাতা উল্টে লিখছি জীবন
কোনমতে আবার আরেকটা কাঠি।
 পেজ ব্ল্যাঙ্ক, লিখতে চেষ্টা করছি , আরেকটা আধ-লেখা পাতা
 পড়ছো তুমি , দেশলাই প্রায় শেষ.
পাতাগুলো ওলটাচ্ছো তুমি , অনুভূতি অনুভূতি, আঙুলে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
 যুক্ত করছো তোমার নিজেকে,  তুমি লিখছো সেই বাদ যেখানে।

দেশলাইয়ের আর একটা কাঠি,
পড়ছো, তুমি ও তোমার জেগে ওঠা বুকের আন্দোলিত মাংসপিন্ড।
ধুকপুক ধুকপুক , একজন অচেনার সাথে,
একসঙ্গে, আবার,,,,,,,,,,,,কাঠিটা নিভে গেল।

যেন তোমার কথা বলছিলাম এতক্ষণ
কাঠিটা নিভে গেল ,সিগারেটের গোল রিঙে তুমি ধরা।
আসতে আসতে মিলিয়ে যাচ্ছ আমার পৃথিবীতে
স্থির সিগারেটের লাল আগুনে পুড়ছি আমি  বুকের মাঝে।
এই সময় কোথা থেকে উড়ে এলো এক ঈগলের ঠোঁট
আমি শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে একলা অন্ধকারে। ..কষ্ট নেই। ..শান্ত সময়।
পড়তে পারছো তুমি ,কি হলো
আর কষ্ট হচ্ছে না তো ,,, নিস্তব্ধ চারিধার। 

চেতনার পরে


চেতনার পরে
................ ঋষি
==========================================
আমাকে আকর্ষণ করে দূরত্বে থাকা ঘাম
যতই বৃষ্টি হোক না চুর চুর কাঁচগুড়ো রৌদ্রে।
চেতনা খুলে রাখি হাজারো কষ্টে
অন্য গ্রহের কোনো অচিন এলিয়ন অদৃশ্য প্রচেষ্টায়
পৃথিবীতে হাঁটতে থাকে ।
নরম মাটি ,নরম বেড়াল ,নরম ভাঁড়ারে
চুরি হয়ে যায় যত্নে সাজানো রত্ন মিউজিয়াম থেকে।

তুমি রেখে যাচ্ছ স্নানের ধারণা…
নরম মাঠি মাখা ,এক গলা জলে দাঁড়িয়ে সেল্ফিতে।
আমি চুর চুর কাঁচগুড়ো বাঘের মাসি হয়তো
দাঁড়িয়ে আছি এককোনে ,থাবা তুলছি,
চাটছি নরম মাটি।

ধারণা হলো অগ্রাহনের ধানের ক্ষেত ,ধানের দুধেল স্পর্শ
মাটির মন ,,,সবুজ ঘাস ছুঁয়ে শিশির ভেজা ঠোঁটে।
মিষ্টি গন্ধ ,,,এক টুকরো আদর
আমি হেঁটে চলেছি আদিম প্রশ্রয়ে মাটির বুকে পা।
পরিব্রাজক কোনো প্রাচীন ধ্বংসস্থুপের মিউজিয়ামে দাঁড়িয়ে
একলা প্রকৃতির বুকে।

তাহলে খবর হলো আবহদপ্তরের কাছে ওয়েদার পরিষ্কার
বৃষ্টির খবর নেই ,নেই ঝড় ।
কিন্তু আমি খবর চাইছি ঝড় ,বৃষ্টির ,
চাইছি এলিয়ন নরম মাটিতে।
চাইছি উড়ে যাক সবুজ পাতা ,ধুলো ,ভাঙ্গুক গাছ
বৃষ্টি আসুক ধুঁয়ে দিক ক্ষত ,
নরম মাটিতে এলিয়ন হাঁটুক আমাদের মতো। 

এক ফালি অস্তিত্ব

এক ফালি অস্তিত্ব
................. ঋষি
=========================================
কালো রঙের রেইনকোট
রিক্সা ভেজা রাত হাত বাড়িয়ে আছে।
সামনের লাইট পোস্ট  জুড়ে নিস্তব্ধ হলুদ ছায়া
কোনো স্বত্বা ছাড়া।
সামনে এগিয়ে যাওয়া পিচে ছোপ ছোপ বেদনা
জীবন এর নাম।

আলসে রং-এর জামার হাতায় বেরিয়ে থাকে ইচ্ছাগুলো
পৃথিবী ইচ্ছার সাথে সলিড অমিল  বেঁচে থাকায়।
যেখানে সার্টের প্রতিটা বোতাম...জিনসের কোমরের বেল্ট
পকেট থেকে পেট ভারি থলথলে মাংস ।
এক দুপেগ হলে ভালো কিংবা পুরো বোতল
তার সাথে একটু আধটু সুখটান।
বিছানার চাদরের মত অজস্র সম্পর্ক
নিজের কথায় বেকার সময়ে সিল করা প্যাকজে লেখা ,
 নিজের ঠিকানা ,নিজের সময়ের নাম
নিজের অস্তিত্বের বেকার স্পর্শ।

আমার না হয় দূর থেকে পরখ করার স্বভাব
ভিজে রিক্সার আড়ালে খুঁজে নিলাম  এক ফালি অস্তিত্বকে অজানায়।
সামনের লাইটপোস্টের হলুদ আলো ভিজে সালোয়ার
অদ্ভূত আটকে থাকা চোখে।
শোষণ করার পর শাসনের পিচে ভিজে ভিজে ছোপ
কিন্তু যৌনতা ছাড়া কি পৃথিবী বৃষ্টিতে ভিজেছে কখনো। 

Thursday, June 25, 2015

অমরত্ব চায়

অমরত্ব চায়
........... ঋষি
======================================
নালিকার বহুমাত্রিক ভিতরে কে যেন জন্ম এঁকে দেয়
সমুদ্রের প্রসারিত বাহুতে হৃদয় স্পর্শ।
হওয়ায় চুম্বন করতে করতে রাত্রি এগোয়
খোলা চোখ - না উৎস না মোহ না  অবাক-অন্ধকার।
ঝুঁকে থাকে ... মুখের উপর আলোর ঝরনা
এসময় অহম খসে গিয়ে অমরত্ব চায়।

দুনিয়ার সব স্বাদ স্তন ও জিভের আলাপচারিতায়  
লেগে থাকে প্রাচীন জমানো  স্নেহ।
আলো  আঁধারি অদ্ভূত মোহে
অস্তিত্ব বদল হয় ,স্পর্শরা  রঙিন রুপোলি দরগায়।
আজানের শব্দ শোনা যায়
সদ্য ফোটা  আলো  চোখের পাতায়।
সদ্য স্পন্দন ছুঁয়ে থাকে অদ্ভূত অহংকারে
অহংকার তোমায়  মানায়  না প্রেম
নিত্য হও  অনিত্যের পথে বাউলের গান।
বুকের উপর আদররা  শুয়ে থাকে সবুজের মাঝে শিশির হয়ে
আর আলো  ফুটতে থাকে জীবনে প্রথম সূর্য।

নালিকার বহুমাত্রিক ভিতরে কে যেন জন্ম এঁকে দেয়
সমুদ্রের নোনতা হাওয়ায়  চুমু খায়  বেহায়া রৌদ্র।
রৌদ্রে আগুন ঝলসাতে ঝলসাতে সামনে দাঁড়ানো আয়না
আমি দাঁড়িয়ে আছি আয়নার সামনে।
অনেক ছুঁয়েও ছোঁয়া হয় না দুদণ্ড ইমারত
আর দরগায় প্রার্থনা করে স্বপ্নরা এমনি। 

আমি জানি

। আমি জানি ।
..................... ঋষি
============================================

নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করার জন্য
কোনো হাতিয়ার প্রয়োজন নেই
দরকার নেই কোনো ধারালো তলোয়ার রক্তের রঙে ।
তোর  পার্লস বিটের সাথে নিজেকে মেলালেই
আমি বুঝে যাই
আমার  কতটা রক্ত ঝরলো।

নিজেকে জাগিয়ে রাখার জন্য
আমার কোনো আলোর দরকার নেই ,নেই সূর্যের।
দরকার নেই কোনো কৃত্রিমতা ঢাকা জ্বলন্ত অঙ্গার
তোর  হৃদয় স্পর্শ করলেই
আমি পুড়ে  যাই ।
আমি ফিরে যাই  আমার আদিম দাবানলের  জঙ্গলে
পুড়তে  থাকে আমার  অস্তিত্বের লোমকূপ।
গড়িয়ে নামে  লাভা  তোর  ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁটে
খুব গভীরে পরিবাহী টানেল বেয়ে আমার হৃদয়ে
আমি ঘুমিয়ে পড়ি  অবচেতনে তোকে ছুঁয়ে।

তুই যখন বলিস একটু বুকে যাব তোর
ইচ্ছে করে নিজের বুক চিরে দেখিয়ে দি তোকে।
ইচ্ছে করে প্রশ্ন করি কি করে যাবি ,কতটা যাবি
তুই তো সেখানে আগের থেকে আছিস।
আমি উত্তর জানি
তুই হাসিস আর বলিস আরো গভীরে যাবো  তোর।

এ কি জীবন

এ  কি জীবন
,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
================================================

এ  কি জন্ম ?
এই কি তবে সমৃদ্ধতর জীবনযাপন।
নাকি শুধু ঈশ্বরের কবিতা
ছাপানো  পুস্তাকলয়ে শয়ে শয়ে  ছাপানো  লিফলেট।
গোলকের সর্বস্ব বিলোনো  আলুপ নয়নে কান্নার বীজ
এ  কি জীবন।

এ  কি জন্ম ?
নাকি সবই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাপানো সামজিক ভিত।
সাতপাঁকে বাঁধা ,সাত জন্মের সাথী সার্বিক সামাজিক মেলবন্ধন
জন্মাবার নতুন দিগন্তে এক পুরুষালি প্রচেষ্টা।
এই ক্লেদাক্ত অমৃতে একবার যেই ডুবিয়েছি জিভ
পুড়ে গেল, নষ্ট  স্বাদ স্বপ্নের জীবনযাত্রা ,বিছানার চাদরময়। ,
সঙ্গে অহেতুক কিছু বিষাক্ত দংশন ,
চল না, সমস্ত পুরুষস্পর্শ মুছে পুনর্বার কুমারী হয়ে উঠি
এক নতুন জীবন ,এক নতুন জন্মে।

জল আমাদের সঙ্গে থাকা সই
জীবিত বাঁচা  সামজিক পৌরুষের  প্রয়োজনীয় মই।
অনেক উঁচু পুরুষ স্বার্থ ,পৌরুষের  সামজিক ভিত
আমাদের  ব্যবহার  সার্বিক সংসারিক কল্যানের রীত।
মায়া ,মমতা ,প্রেম আমাদের সঙ্গে ,প্রতি অঙ্গে
ঝলসে ওঠে পৌরুষের মাংস  লোভী চোখ।
জল আমাদের নারীজন্মের সঙ্গে থাকা সই
এইটুকু ছুঁয়ে শুধু বলি
আমরা শুধু  গরম  কড়াইয়ে  কই।

এ  কি জন্ম ?
এই কি তবে সমৃদ্ধতর জীবনযাপন।
বেজে ওঠে কোনোখানে, কখনো সামাজিক পৌরুষে
অন্ধকার হারায়  আলোয় ,খুলে যায় জন্মপথদ্বার।
কুমারী বোঝে না এই সামাজিক  বলির মানে
এ  কি জীবন।

(আমার এই প্রচেষ্টা কোনো নারী কল্পমায় নারী কলমে নারীর অধিকার সম্বন্ধীয়।  এই কবিতা ক্ষেত্র বিশেষে প্রযোজ্য। )

সবুজ প্রকৃতি

সবুজ প্রকৃতি
.............. ঋষি
==========================================
মুহুর্তগুলোকে বাঁধতে ইচ্ছে করে তোর
কোনো কৃত্রিমতা  নয় ,কোনো সাজানো নয়।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে ,প্রকৃতির মত সতেজ আলোয়
তোকে আটকে রাখতে ইচ্ছে করে।
হৃদয়ের ডেস্কটপে
কোনো প্রিয়  প্রেমের কবিতার মত।

ভদ্রলোক কবে জানি লিখে  গেছেন
চুল  তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা। ....
আমি শুধু লিখে চলেছি তোকে
প্রকৃতি প্রেমে।
আসলে প্রেমের অর্থ আমি ঠিক বুঝি নি
বুঝি না বুকের মাঝে শুকিয়ে যাওয়া মরুভূমির তৃষ্ণার মাঝে।
তবু কেন জানি আমার লিখতে ইচ্ছে  হয়
তবু কেন জানি আমার বলতে ইচ্ছে হয়।
ভালোবাসি তোকে  ,ভীষণ  ভালোবাসি
প্রকৃতির মাতৃ জঠরে  জন্মানো সবচেয়ে সুন্দর শব্দটা ,
আমার আগলাতে ইচ্ছে হয় তোর  বুকে
আমার বুকে একসাথে।


মুহুর্তগুলোকে বাঁধতে ইচ্ছে করে তোর
মনে হয় আস্টেপিষ্টে মিশে যায় তোর  সবুজ হৃদয়ে  ।
হু হু করে ওঠে প্রকৃতির কিনারায় সবুজ রং
ক্লোরোফিলিয় বাতাবরণ ছেড়ে বেরিয়ে আসিস তুই।  
আমার চোখে ,আমার হৃদয়ে ,আমার সামনে
অদ্ভূত একটা মায়া ,শান্তি আমায় ঘিরে।

অন্য শহর

অন্য শহর
................... ঋষি
=========================================
সকাল থেকে  বৃষ্টি পথের মাঝে
হারিয়ে ফেলা  উঠে আসে মেটো  গন্ধ মাটির পৃথিবী।
জমে ওঠা রাস্তার জলে ভাসতে থাকা  শৈশবের নৌকো
ছোটো  ছোটো  স্মৃতি উপছে  ওঠে চোখের পাতায়।
নোনা জল ,ভেজা পথঘাট ,ভেজা পলিথিন মোড়া
অন্য শহর একটা অদ্ভূত মেঘ।

সেই মেঘেতে বৃষ্টি দুকুল ছাপানো  অদৃশ্য দুরত্ব মোড়া  দুর্বলতা
জানলার কাঁচ বেয়ে নামতে থাকে ক্ষুদ্র হৃদয়।
আমি তাকিয়ে থাকি দূরের  পথে
খোলা বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়ানো আমার  তুমিকে।
আমি ভেজাতে  দেখি বাড়ানো  হাত আমার মাঝে
বৃষ্টি ছাট  আচমকা ভিজিয়ে দেই তোমার ঠোঁট।
আমি হাসতে থাকি আনমনে
আমি কাঁদতে থাকি আনমনে।
তোমাকে  ছুঁয়ে তোমার দরজায় একলা দাঁড়িয়ে আমি
আমার বৃত্তের বাইরে ,আমার বৃত্তের মাঝে।
সবুজ পৃথিবী
কেন্দ্রবিন্দু তুমি।

সকাল থেকে  বৃষ্টি পথের মাঝে
আমার কাছে নেই ছাতা ,নেই কোনো কার্নিস নিজেকে লুকোবার।
যতটুকু, সবটুকুই শুধু তোমার হৃদয়ের স্পর্শ
অনবরত বেয়ে চলেছে আমার অস্তিত্ব ,আমার হৃদয়।
আর আমি ভিজে চাতকের মত আকাশের দিকে তাকিয়ে
আমার তৃষ্ণা ,আমার আদুরে  স্পর্শ তুমি।   

যেহেতু তুমি আছো

যেহেতু তুমি আছো
.................... ঋষি
===============================================
শরীর দেখা করলেই আমি একবার সতর্ক হয়ে নি
উপায় নেই আমার
পা ফস্কে গেলে, মনে পরে যায় তোমার মুখ আমার প্রেয়সী ।
যেহেতু তুমি আছো
দেখা হয়ে যাবে একদিন  দক্ষিনেশ্বরের মন্দিরে।

যেহেতু তুমি আছো
গঙ্গার নোংরা জলে পুজো পুজো খেলে
সোজা গিয়ে দাঁড়াবো গঙ্গার উপর ,নরম জলের উপর  মাঝগঙ্গায়।
ডুব সাঁতারে ডুবে যাবো  আরো গভীরে
তুমি আছো বলেই তখন তোমাকে ভালোবাসতে বাসতে
তোমার ঠোঁট ঠোঁট রাখতে রাখতে
যদি আমি হারিয়ে যায়
প্লিস একবার আমাকে  পাগল বলে ডেকো


যেহেতু তুমি আছো
প্রতিদিন সবার পাশে রাত্রির মত প্রেম আসে।
সকলে প্রেম করার ছলে  মাঠে মাঠে গরু চড়িয়ে বেড়াই
ভোর  রাতে আত্মা খোঁজার নাম দোকানের সার্টার তোলে  অবলীলায়।
আর আমি  পালাই খুব গভীর তোমার সিলিঙের  চোখে
আর আমি পালাই  শরীর থেকে দূরে  তোমার খোঁজে।
তোমাকে পাই ,তোমাকে হারাই  ,বারংবার বলি
প্লিজ তুমি শুধু আমার হয়ে থেকো।

শরীর দেখা করলেই আমি একবার সতর্ক হয়ে নি
আমার হৃদয়ে আগুনে অদ্ভূত নেশা ,
তুমি ছাড়া প্রেয়সী আমার কিছু মনে থাকে না।
যেহেতু তুমি আছো
জানি ঈশ্বর আমি ঠিক খুঁজে  পাবো  তোমার মাঝে। 

Wednesday, June 24, 2015

সত্যি সকাল

সত্যি সকাল
................ ঋষি
=================================================
জানলার কাঁচে আছড়ে পরছে স্নেহ
অদৃশ্য স্পর্শের আড়ালে ক্ষত বিক্ষত সময়ের প্রকোপ।
সরে যাচ্ছে আলো আবারও দূরে খুব দূরে
কোনো অজানা অশনিসংকট বুকে ।
এমন বিচ্ছেদ- দৃশ্য বেলা গড়াচ্ছে ভোরের
একটু পরেই অন্ধকার হবে।

আবারও কাটবে একটা দিন
আবারও এগিয়ে যাওয়া কোঁচকানো চামড়ার ভাঁজে টুকরো টুকরো ছবি।
কোনো ভ্যাক্যান্ট ফুটবলের টিউবের মত মূল্যহীন সময়
বদলে যাবে অন্য সকালে
মাঝখানে একটা রাত ,একটা অন্ধকার রাত্রি।

যে কোনো নামের পাশে রাত্রিকে রেখে
খাঁচার হিংস্র ডোরাকাটা চিতাটা রক্ত পিপাসু হবে।
বিছানার উপর লাফিয়ে পরে হুলুস্থুলু কান্ড
ঝগড়া করবে ,কাটাকাটি করবে ,করবে রক্ত নিয়ে খেলা ,কিন্তু সাথে থাকবে
ছেড়ে যাবে না কখনো ,একলা করে মেঘলা দিনে।

বিছানার পাশে জানলাটা সকালে খুলে যাবে
অদৃশ্য স্পর্শের  আড়ালে জীবন বলবে বাঁচি ,একটুখানি বাঁচি।
সরে যাওয়া অন্ধকার তখন সময়ের কফিনে শেষ পেরেকে
বুকের মাটির নরমে  তখন আদিম সাঁওতালি নাচ।
ময়ুরের পেখম পরে ইচ্ছাগুলো নাচবে ঘুঙ্গুর পায়ে
যখন সত্যি সকাল হবে। 

bangla lotipha


Tuesday, June 23, 2015

আশ্চর্যজনক প্রেম

আশ্চর্যজনক প্রেম
................ ঋষি
========================================
আশ্চর্যজনক প্রেম
হাতে হাতে বাজার হয়ে যায়।
ঘুরতে থাকা শূন্যতা  মাঝে বুকের বোবা বিছানার কান্না
তোকে ছুঁয়ে যেতে চাই ,তোকে ছুঁয়ে থাকতে।
হৃদয়ের অবগুণ্ঠনের লুকোনো হ্যারিকেনের আলোয়
শুধু তোর মুখ দেখতে চাই।

আজ চাই না ,কাল চাই না ,চিরকাল
আমার নীল আকাশের সুগন্ধী চিঠি আকাশের পথে।
বহু পথ চলা ,বহু কথা বলা নিজের সাথে
আজকাল জানিস তো আরো একলা থাকতে চাই।
চুপিচুপি তোর সাথে
আসলে কি জানিস আমি তো বাঁচতে চেয়েছি।
শব্দ ছকে বাঁধা পোশাকি জীবনের বাইরে
ওই যে দূর সীমানায় আকাশের ওপারে।
কোনো অদৃশ্য দ্বীপে একলা জীবিত আমি
তোর নিশ্বাসে, তোর বিশ্বাসে আদুরে স্পর্শে।

আশ্চর্যজনক প্রেম
হাতে হাতে জীবন হয়ে যায়।
জ্বলতে থাকা দাবানলের  মাঝে আগুনে পাখি
একলা আকাশে উড়ে যেতে চাই।
এক ডুবে আকাশ কিনারায় একটা ছোটো স্পর্শ তোর
আকাশ আজকাল তোকে জড়িয়ে বাঁচতে চাই। 

আলাপী আভা

আলাপী আভা
............. ঋষি
==========================================
সমস্ত আলাপী আভায় আজকাল ষড়যন্ত্র
যন্ত্র নামক বিষাক্ত  পশুর থাবায় আটকে আছে নিসঙ্গতা।
সকলেই একলা হয়ে থাকে
কেউ কেউ একলা হয়ে যায়।
আলাপী আভায় মিডিয়ার চুম্বনে ঠোঁটের ফাঁকে তৃষ্ণা
আর বুকের মাঝে রাতজাগা সময়।

ঘড়ির মনে ফুরিয়ে যায় সময় কে তার খেয়াল রাখে
টিক টিক, টিক টিক রাতজাগা বারোটার শব্দ।
জীর্ণ কোনো প্রাচীন প্রস্তরে চোখের সামনে শেওলা
শেওলা সরতে থাকে লাল আলাপী আভা।
মেরুদন্ড বেয়ে সময় কাটাতে থাকে
ভালো লাগে ,ভালো লাগায় ,বেঁচে থাকে।
এক মুঠো রৌদ্র নিশব্দে ঢুকে পরে এসি রুমে
দিয়ে যায় জীবনের ওম।
নিসঙ্গতায় বিড়ালের পায়ে চুপি চুপি মনের চিলেকোঠায়
জড়িয়ে থাকা অদ্ভূত  ম্যাজিক।

সমস্ত আলাপী আভায় আজকাল ষড়যন্ত্র
যন্ত্র নামক বিষাক্ত আমরা আমাদের সময়ের পরিসরে।
আসলে কেউ একলা থাকতে চাই না
আসলে কেউ একলা হতে চাই না।
জীবিত মেলবন্ধনে আলাপী আভায় ভরে যায় হৃদয়ের চূড়াগুলো
সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত একসাথে যান্ত্রিক সময়।

বিজ্ঞাপনী সভ্যতা

 বিজ্ঞাপনী সভ্যতা
................... ঋষি
==================================================
বরফের চাই  থেকে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে  আসছে
শহরের সাজানো বিজ্ঞাপন।
স্কেলিটনের অদ্ভূত শরীরগুলো কিভাবে জানি
আত্ম সিম্ফনি হয়ে উঠছে।
ঠেলে ওঠা বুকের মাংসগুলো ফ্রিজ হয়ে আছে মাইনাসের নিচে
চোখের ক্লান্তি ঢাকা কালো কালিতে
সভ্যতার আলো ফুরিয়ে যাচ্ছে  অনবরত চোখের পাতায়।

খাপে খোপে ফেলে রেখে আসা বিকেল উড়ছে মস্তিষ্কের সভ্যতায়
তার জন্য ছায়া কেটে কেটে ধরাশায়ী আলো প্রত্যেকের সাথে।
ফিকে হয়ে আসছে প্রতিফলনের নগ্নতা
ফিকে হয়ে আসছে  চোখের পাতায় লেগে থাকা হায়া।
আরো গভীর ,আরো গভীরতায় চোখের তলায় কালি
ধাওয়া করছে মানুষকে সভ্যতার কালো ছায়া।
নীরবে বরফ কেটে বেরিয়ে আসা ফ্রিজ  হয়ে যাওয়া মেয়েটির
৩৬-২৪-৩৬ এ জড়িয়ে নামছে বিষাক্ত অজগর।
বাজারে বিক্রি বাড়ছে  আর দৌরচ্ছে প্রগতির মিষ্টি ভর্তি ট্রেন
মস্তিষ্কের টিকিট কাউন্টারে লুব্ধতায়।

বরফের চাই  থেকে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে  আসছে
শহরের সাজানো বিজ্ঞাপন।
আমি অ্যান্টিথিসিসের কথা ভাবছি ,ভাবছি ঐতিহাসিক বানিজ্যের কথা
যেখানে নগ্নতা  বিক্রি হয় ভার্জিন নন প্রাক্টিকাল শৈশবে।
সেখানে শরীর   প্রিয় কার্টুন   কেরেকটারের মত
সাজানো ,গোছানো সভ্যতা বিজ্ঞাপনে ,
একটু নগ্নতা  সেলেবেল বিছানার চাদরে কন্ডমের খামে। 

ইটস আ প্রগ্রেস

ইটস আ প্রগ্রেস
.............. ঋষি
=========================================
হাইওয়ে জুড়ে বেড়ে ওঠা
জনপদের কি না দেব চলন্তিকা ?
নিজেকে নিঃস্ব করে সমস্ত শেষ আগুনটুকু শুষে নিয়ে
সভ্যতার আদুল হাওয়াকে কি বলবে তুমি ?
প্রগতি ,,,,,,আমি বলি - ইটস আ প্রগ্রেস অফ হিউম্যান  মাইন্ড
নট দেয়ার হার্ট ,,নট দেয়ার সোল।

দূরে সরে যাওয়া
আর হাওয়ার  পিছনে  দৌড়োনো।
অনুভূতি নামের সাদাকালো চাদরের ভেতর
লেখা হতে থাকে
অস্তিত্বের এগিয়ে যাওয়া কনফিউসনের বাইনোকুলার।
চলন্তিকা বাইনোকুলারে চোখ রাখো
দেখবে ফুটে উঠবে রক্তাক্ত মানুষ ,রকলোভি বীজ আয়না।
নিজের মুখ দেখতে পারো সেখানে চলন্তিকা
দেখবে তুমি কাঁদছো আমার মতন আমার বুকে।

ট্রেন জানলার ভিতরে ছোটো পৃথিবীতে আমার সুখ
সরে যাওয়া মুহূর্তরা জানলার দুশমন অস্তিত্বের।
আমার কবিতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে
আমার হৃদয়ের নাজুক হাত আমার স্বপ্নরা।
চলন্তিকা আমি কবিতার খাতায় লিখেছি বারংবার
হিউম্যান  সোল নেভার ডাই ইফ ইউ  লাভ। 

প্রকৃতি প্রেমে

প্রকৃতি প্রেমে
......................... ঋষি
===========================================
অবচেতন এসে জাপটে ধরেছে
ঘুমিয়ে পরছে ছোটো ,ছোটো হাত ,ছোটো ছোটো অস্তিত্ব।
নিজেকে প্রকৃতিতে রেখে আস্টেপিষ্টে বাঁধা তকমাটা
গা থেকে ঝরে  পরছে মায়ের স্নেহে।
চোখের খিদের বৃষ্টিতে আজ প্রকৃতির সুধা
আমি গুটিয়ে যাচ্ছি নিজের অন্তরে গভীর কক্ষে।

যেভাবে কেউ নরম ছুঁয়ে দিলে
ভিজে মাটিতে আত্মরক্ষার তাগিদ শিখিয়েছিল প্রকৃতি।
ঠিক তেমন ভাবে বাড়ানো সবুজ হাত প্রকৃতির দিকে
ছোটো ছোটো আশা ,বাঁচতে চাওয়ার প্রবণতায়।
আদিম পাথরের বর্শা আমার হাতে
আর হৃদয়ের গভীরে ঢুকে আছে লিয়ান্ডারথাল মানুষের চামড়া।
আদিম পর্বের কোনো গুহায় আমার আগুন  আবিষ্কার
প্রথম দুচোখ মেলে দেখা বাঁচার স্বপ্ন।
কাঁচা মাংস ,ঝলসানো মাংস ,পাথরের চাকা ,কাঠের চাকা
ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি পশু চামড়া ছেড়ে আধুনিক প্যান্টের দিকে।
আমি চাই না এমন জন্মের  প্রকৃতি
আমি সবুজ বাঁচতে চাই হৃদয়ের গভীরে হৃদয়ের রক্তে।

অবচেতন এসে জাপটে ধরেছে
মাথার প্রতিটা শিরায় দবদবে আগুনের ফুলকি।
চোখের সামনে আলো নিভছে অন্ধকারের মত
বুকের বারান্দায় সেই ছোটো শিশুটা  হাত বাড়াচ্ছে।
মা আমি জীবন ধরতে চাই ,মা আমি জীবিত থাকতে চাই
প্রকৃতির প্রেমে আরো গভীরে কোনো প্রাচীন গুহায়।

Sunday, June 21, 2015

অস্তিত্বের জীবাশ্ম

অস্তিত্বের জীবাশ্ম
................. ঋষি
=============================================
আমি  বিন্যস্ত হতে থাকি জীবাশ্মের পুনর্জন্মের মতো
চিনতে পারার নামই তো সর্বব্যাপ্তি।
আর মুছতে পারার নামই হল শোভনতা
দুষিত ,কবলিত ছোবলের বিষাক্ত যোগ্যতা নির্বোধ।
কখনো কখনো
জীবাশ্মের রেখে যাওয়া প্রাচীন শৈলী।

আমি আর আমার রহস্যের অন্ধকারে বাড়তে থাকা অঙ্কুরের
মাটি ঠেলে এগিয়ে চলেছে জীবন যাপন।
কাগজের  নৌকার মত ভাসতে থাকছি আমরা
ভিজে নোনা সামুদ্রিক ঢেউ প্রশ্ন ছুঁড়ছে কামানের মত।
এই যাত্রা পথে হেঁটে চলার নামি কি সংসার ?
অট্টহাসিতে ফেটে পরছি আমরা।
বারংবার
অথচ নিজেকে পাচ্ছি না কেন।

মস্তিষ্কের ঘুমের মাঝেও তো কিছু সময় ঘুরে ফেরে
সেখানে তো ব্রেক টাইম নেই।
যেমন ব্রেক নেই ঘড়ির কাঁটার সময়ের
অন্তহীন যাত্রা ,,,হেঁটে চলেছে সত্যতা।
সত্য কোনো শব্দ নয়
সে অস্তিত্বের জীবাশ্ম নিজের মাঝে ন্যারাটিক ভিউতে। 

নিস্তব্ধে নিশ্চিন্তে

নিস্তব্ধে নিশ্চিন্তে
............ ঋষি
===============================================
বহুদিন জীবিত ছিলাম
আবার অনেকদিন জীবিত ছিলাম না।
সঙ্গে ছিল এই পুড়তে থাকা শরীরটা
ঠিক বালি সাথে বালি জুড়ে ইন্দ্রিয় সব।
জানা ধুকপুক ,
জানা শোকের বাইরে মৃত সব।

আমার মধ্যে আমার মত কেউ সংসার
আমি একটা রোদের কবিতা হতে পারছি না।
শুধু সকাল থেকে রাত অবধি শব্দহীন নীরবতা
নিজের সাথে নিজের লুকোচুরি খেলা।
ডুবে যাচ্ছি অন্ধকার ঢেউয়ে,
অতলস্পর্শী মর্মবেদনার যান্ত্রিক কলকব্জায়।

এইতো সেই দিন ফিরছিলাম নিজেরই ফেলে যাওয়া পূরানো পথে
সেই চেনা বাড়িঘর,দোকান পাট ,মানুষের মুখ।
কালি আর অন্ধকার ছবিতে  চেতনার তুলি
সিগারেটের  ফুসফুসে জমানো নিকোটিনে ছড়ানো শব্দরা।
আমি শুনছি আর চেষ্টা করছি বোঝার
সেই দাড়ি ,কমা ,যতি কতটা পরিবর্তন এই শরীরে।

দেয়ালের কানে শোনা ফিসফিস কথা গুলো
দেয়াল হয়ে উঠছে আজ।
দেওয়ালের পরে দেওয়াল ,তারপরে দেওয়াল ,তারপর আমি
আগুন নেভাতে নেভাতে বদলে যাচ্ছে পথ ঘাট শরীর।
নিশ্চিন্তে শুয়ে ক্ষীরের বিছানায় চকলেট স্বপ্নদের
কেউ চিবিয়ে যাচ্ছে নিজের মত ,,,,জীবিত ও মৃত। 

Saturday, June 20, 2015

নতুন বাঁচা

নতুন বাঁচা
.................. ঋষি
==============================================

আজ সারাক্ষণ যতবার একলা হয়েছি
বেড়িয়ে এসেছে এক লম্বা শ্বাস এক লাফ দিয়ে দীর্ঘশ্বাস।
নিজেকে সংযত করে লুকিয়ে রেখেছি ঘুমের ঘোরে
আসলে প্রত্যেক ঘুমের পাশে একটা দিন জেগে থেকে।
আর ঘুমের ভিতর একটা স্বপ্ন
নতুন বাঁচার।

জীবিত থাকার মানে লুকিয়ে থাকা ইচ্ছাদের নিজের  মাঝে
এস্কালেটরে জীবন দাঁড় করিয়ে দেখেছি।
ইচ্ছারা টপকাতে থাকে নিজের দূরত্ব  অবহেলায়
আর জীবন দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষায়।
নতুন কিছু নয় ,নতুন কখনই নই একলা দাঁড়িয়ে থাকা
খোলা আকাশের মাঝে।
দিকচক্রবালে দেখা যায় স্নেহের মুখগুলো বাঁচার মতন
পুকুরের তলায় ডুব সাঁতার দিয়ে দেখেছি জমা শেওলা।
তুলতে চেয়েছি শেওলা হৃদয়ের মাটিতে
ডুবে গেছি আরো পাঁকে,
মনে করলেই  এক লম্বা শ্বাস এক লাফ দিয়ে দীর্ঘশ্বাস।

আজ সারাক্ষণ যতবার একলা হয়েছি
ফেসবুক পাশ থেকে ডেকে উঠেছে ঝিঁঝি পোকার মতন।
দু একটা উইপোকা খুঁড়ে ফেলেচে নরম মাটি
নিজস্ব পোস্টারে পলিথিনে মোড়া সানগ্লাস আড়ালে।
নিজেকে বড় একলা লেগেছে বেঁচে থাকায়
নতুন বাঁচায়।

অদ্ভূত অবচেতনে

অদ্ভূত অবচেতনে
............... ঋষি
==============================================
ভুলগুলো ঝুলে আছে ঝুলের মত
মাকড়শার রণপায়ে লেগে থাকা আঠার মত দূরত্ব।
এভাবে ভালোবাসা একলা না করলেও পারতো
এভাবে ভালোবাসা আমাকে ভালো না বাসলেও পারতো।
সামনে ঝোলানো বারান্দার রেলিঙে ক্যাকটাসের  সবুজ গা
এই ভাবে ব্যথাটা আরো গভীর না হলেও পারতো।

সারা দুপুর জুড়ে তোমায় কতকিছু বললাম ,লিখলাম
পাতায় পাতায় হৃদয়ের জমা হওয়া মাকড়সার জাল।
নীল আকাশী রঙের শাড়ীতে আকাশের চোখে
তোমার যত্নে  ছবি আঁকলাম।
অভ্যস্ত লিরিকাল হাতে উড়ন্ত পাখনা ওলা ঘুড়ি
স্যা স্যা ঝড়ো হাওয়া ,পাখির ঘর।
দুলছে বারান্দার ভেজানো জানলা , ঝোলানো ক্যাকটাসে
দুলছে চোখের সামনে জমা হওয়া মুহূর্তরা।
তোমাকে  ছাড়া ভালো লাগছে না আর
তোমাকে ছাড়া মুহুর্তদের বিদ্রোহ একলা আগুনে।

চলো পাল্টানোর দিন থেকে দুপুর তুলে রেখে
ঘড়ির কাঁটায় টানটান পাঁচটা।
এতো যে কাউকে ভালোবাসা যায় ,এভাবে যে কাউকে ভালোবাসা যায়
আমি জানি না।
আসলে জানতে চাই না এই ভাবে বেঁচে থাকার মানে
তোমার নাভি ছুঁয়ে ডোবানো চোখ তোমার রাস্তায়। 

আমার কথা



আমার কথা
.............. ঋষি
================================================
সামনের চৌরাস্তা অবধি আমি তোমাকে মনে রাখি
তারপর  চৌরাস্তায় দাঁড়ানো সাদা ট্রাফিক দেখলেই হারিয়ে ফেলি।
আসলে তোমার হাতে একটা মোমবাতি আছে
কিন্তু তুমি  কেন জানি মোমবাতি  নেভাবার কাজ করো।
রাস্তার দুপাশে জমা হয় জঙ্গল ,কাঁচরা  পার্টি
আর তুমি আমার ঘুম তাড়াবার কাজ করো।

সামনের চৌরাস্তার পাশে একটা লম্বা গলি
সেই গলিতে ঢুকলেই বৃষ্টি শুরু হয়।
আকাশ ভেঙ্গে পরে মাথার উপর অজস্র কথনের জঞ্জাল জমা পড়ে
জমতে থাকা বিন্দু বিন্দু জল আমার হৃদয়ে।
ঠান্ডা লাগে তখন ভীষণ  ঠান্ডা  লাগে
তখন তোমাকে ভীষণ  মনে পড়ে।
আমার কাছে ছাতা নেই ,নেই বর্ষাতি
থাকার মধ্যে ইচ্ছে জল ,কাদা মাখা আমি,
হাঁটতে থাকি লক্ষ্যের দিকে।

সামনে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত আশা করার কিছু নেই
আমার কুকুর তবু আমার জন্য কাঁদতে থাকে।
সামনে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত একটা সরু গলি
একটু পরেই তুমি হয়তো হারিয়ে যাবে ।
রাস্তার দুপাশে জমা হয় জঙ্গল ,জংলী অন্ধকারে মোমবাতি
আর আমার  আবার হয়তো ঘুম ভেঙ্গে যাবে। 

Friday, June 19, 2015

নিজস্ব গন্তব্যে

নিজস্ব গন্তব্যে
.............. ঋষি
=============================================
লম্বা শ্বাস নিতে নিতে সামলে নিলাম
সামনে অনন্ত রেললাইন অনন্ত রাত্রি একটানা বাঁশির আওয়াজ।
একটার পর একটা ট্রেন আসছে ,চলে যাচ্ছে
অভ্যস্তভাবে থাবা চাটতে চাটতে সাদা বেড়াল এগিয়ে আসছে।
আমার খুব কাছে ,,,আরো কাছে
ট্রেনগুলো কু ঝিক ঝিক শব্দটা মিলিয়ে যাচ্ছে।

এই মাত্র আয়নায় মুখ দেখলাম
বিশ্বাস করতে পারছি না নিজেকে এটাও সত্যি ,,এত সত্যি।
ছুঁয়ে থাকার অন্ধকার ঘরগুলোর দাবার আঙ্গিনায়
গুটি এগোচ্ছে ,,,আমার মতন প্রবল বিক্রমে।
মন্ত্রী সাক্ষী ,রাজা সাক্ষী ,হাতি ,ঘোড়া,প্রহরীরা সবাই সাক্ষী
আমার রাজা সংরক্ষিত নিজস্ব ক্রিয়ায় সাদা ঘরে।
কালোরা সব সরে যাচ্ছে ,,খুব দূরে
আরো দূরে আমি জানলা খুললাম চোখ মেলে দেখি নীল আকাশ
আলো ঝলমলে সদ্য জন্মানো দিন আমার অপেক্ষায়।

লম্বা শ্বাস নিতে নিতে সামলে নিলাম
যে অজুহাত এই আগুন খুঁজে বেড়াই তোমার মাঝে।
সেটা অনন্ত অন্তহীন রেল লাইনের মত আমার বুকের পাথরে
অভ্যস্তভাবে থাবা চাটা স্বভাবটা বিড়ালের জন্মগত।
বদলাতে চাই না আর ,,,,, বদলাবে না
ট্রেন আসবে বারংবার আমার বুকের উপর অথচ গন্তব্য একই। 

শুধু এইটুকু

শুধু এইটুকু
.................... ঋষি
================================================
আর একবার যদি মুহুর্তটা পাই
আকাশের দিকে তুলে ধরবো থালাটা ,ভিক্ষা পাত্র আমার।
তোকে ছুঁয়ে থাকার আকাঙ্খায় ,,একটা জন্ম
এইটুকু ভিক্ষা আমার।

ঈশ্বর মানি না কস্মিনকালে যাই না কোনো মন্দিরে
আমার অগাধ বিশ্বাস মানুষের কাছে।
মানুষের মনের কাছে
আমার ছুঁয়ে যাওয়া ভাবনারা আন্দোলিত ঝড়ো স্তব্ধতা।
আমি থাকবো না
থাকবে তোমরা ,থাকবে তুমি আমার হৃদয়
তোমার সাথে।

এই টুকু চাওয়া নিয়ে যদি কখনো তোমার দরজায়
আমি গিয়ে দাঁড়াই।
আমার ভিক্ষা পাত্রে ,এক মুঠো আশা তুমি আমায় দিও
এমন কিছু মুহূর্ত তুমি সাজিয়ে দিও।
মানুষের কাছে কিছু চাওয়ার নেই আমার
শুধু এতটুকু সত্যি আমাকে ধার দিও
পরেরবার আমাকে সত্যি জীবিত জীবন দিও।

যদি আবার কখনো পাই তোকে
আমার মুখোমুখি আমার খুব কাছে ,আরো কাছে।
তোকে ছুঁয়ে থাকার আকাঙ্খায় ,,,,, একটা জন্ম
তোর সাথে  এই টুকু চাওয়া  আমার। 

তোর মাঝে (২)

তোর মাঝে (২)
................. ঋষি
======================================================
চেতনার পেছনে বাজে মল্লার
তোর প্রেমের  কবিতা লিখবো আজ।
বারংবার মেঘের দেশ থেকে নিয়ে আসা নীলটাকে
তোকে মুড়েছি স্বপ্ন মোড়কে।
তবে সত্যি বলছি প্রথম দেখাই আমি চেয়ে দেখিনি তোকে
শুধু খুঁজেছি নিজেকে তোর চোখে।

আজ চোখ দেখছি কাজল টানা স্বপ্ন পরশে
দুষ্টুমি মাখা ভিজে ঠোঁটের পারদে স্পর্শ উষ্ণতা।
সারা চেতনা জুড়ে
সারা হৃদয় জুড়ে
হাহাকার পাল তোলা নৌকার তোকে ছুঁতে ভেসে যায় নীল নীলিমায়,
তখন তোকে দেখতে পাই আমি।
চোখ বন্ধ করি তোকে খুঁজি
আমার সামনে তুই ,সেই চোখ ,সেই ঠোঁট সেই দুষ্টুমি মাখা ছোটো তুই।
আদর করি ,জড়িয়ে ধরি
আলতো চুমু তোর ঠোঁটে।

চেতনার পেছনে বাজে মল্লার
গুরুগম্ভীর সাজে মেঘলা দিন ,ছড়াছড়ি স্পর্শ পেঁজা তুলোর মতন।
ভাসতে থাকে শৈশবে ,যৌবনে ,বেঁচে থাকায়
বৃষ্টি আসে আমি ভিজি ,আরো ভিজি তোর মাঝে।
গড়িয়ে পড়ে ঠোঁট ,চোখের কাজলে মেঘলা বেলা ,অন্ধকার আকাশ
আমি আকাশ খুঁজি ,খুঁজি আশ্রয় ,তোর মাঝে খুব গভীরে।

আজকের ছবি

আজকের ছবি
.............. ঋষি
==========================================
অ্যাতোগুলো গান,অ্যাতোগুলো ট্রান্সসিসটার
বেতার ,বেচাল ,আধুনিক তাল।
 আর মাঝখানে মুকদ্দর কা সিকন্দর
সেই অমিতাভ মার্কা ঝুমরো চুলের আংরি ইয়ংম্যান।
আর অন্যদিকে শ্রীদেবী মার্কা প্যাসানেট প্রেম
রং তুলি যোগার
ডার্করুমে সাইন করা ছবি সুপারহিট।

কথাগুলো দেখছি মুখস্থ রাখতে হবে
ঘটনা হল বেশ ধোঁয়াশা, আর.
নায়ক নায়িকা লেপটে লাল আজকাল প্যানটি আর ব্রাতে।
আরে সেক্স ফ্রি দুনিয়া ,আরে জার্ম ফ্রি বাতাবরণ
যতটুকু সবটুকু মনের ভিতর নোংরা নর্দমা।
মা ,বোন ,মাসি নিয়ে আজকাল সিনেমাহলে যাই না
যেতে হলে গার্লফ্রেইনডের সাথে যাই।
ফ্রেইন্ড কতটা জানি না শরীর তো বটে
চাবকানো চটকলের কারখানায় পপকর্ন আর নরম মাংস।
জ্যাব জ্যাবে এন্টারটেইনমেন্ট
ছবি সুপারডুপার হিট।

অ্যাতোগুলো গান,অ্যাতোগুলো ট্রান্সসিসটার
ছবিই যদি চাপ খেয়ে যায় তো গরম তেল রেডি থাকলেও।
সিঙ্গারা ভাজা যায় না
সিঙ্গারা যদি একটু মোটা হয় ক্ষতি কি মাটি তো বেশি।
মোদ্দা তো পাতে নেমেছে, আপত্তি নেই চাড্ডি
 রাম  হ্যাজানো তে। ......... ছবি টো হিট
টাইমপাস ছবির নায়িকা আবার সুইমিংকোস্টিউমে।

Thursday, June 18, 2015

হ্যাট পরা মানুষ

হ্যাট পরা মানুষ
................. ঋষি
==================================================

হ্যাট পরা মানুষেরা কই কই থেকে এসে
নিজেকে বাঁচাবার ফন্দীফিকিরগুলো একবার রপ্ত করে।
গোঁফে তা দিতে দিতে দেখে কোনো শপিং মলে  ভ্যানিটি ব্যাগের দৌরাত্ম্য
ছাতিম গাছের শরীরে বেড়ে ওঠা শুয়োপোকারা নিশ্চিন্তে চড়তে থাকে
অদ্ভূত সুরসুরি হয়ে  বুকের পশমে ভরে যেতে থাকে।

অন্ধকার করে এলেই
কোথা  থেকে খুলে যায় সভ্যতার রুপোলি দরগা।
রাত বাড়তে থাকে ,নিশ্চিন্তে ঘুমে বেবাক শহর
কোনো অন্ধকার গলির থেকে  শব্দ উঠে আসে ওয়াওয়া
কোনো সদ্যজাত প্রসুতি দুধ খোঁজে অভাবের মাঝে।
কোলের  সন্তানের মুখে মায়ের স্তন
হাতড়াতে থাকে শয়তান অন্ধকার।
মায়ের শরীর  পরিখার চেহারা পাওয়ামাত্র
ছোট ছোট পটকায় পাড়া মহল্লা ছয়লাপ  হয় আঁধার রাত্রি।
হ্যাট পরা মানুষেরা গটমট হেঁটে চলে যায় প্রভাতি পথে
মাইকে বাজতে থাকে সোহাগী  ঈশ্বরের স্তব
আবার একটা দিন।

জন্ম কালির  মতন  সেই ঠিক একই জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় সূর্য
চশমার সুতো ঠিকঠাক করতে থাকে হ্যাট পড়া  মানুষগুলো।
আমি পাথরের ভ্রুণে দেখতে থাকি হন্তারক পিতার রক্ত
ঠিক সেই সময় সেই অন্ধকার গলির শিশুটা  কেঁদে ওঠে
মা এগিয়ে আসে অন্য সভ্যতা হয়ে।

হৃদয় একোরিয়াম

হৃদয় একোরিয়াম
................. ঋষি
========================================
হ্যাঁ রে মাছ,
বুদবুদ নিয়ে স্বপ্নের ভেতর কি করিস তুই।
চারিদিকে পেতে থাকা জলতরঙ্গ
শব্দরা সব প্রেমিক ঋতুর মতন ছড়ানো  স্তব্ধতা।
কি করিস, একা একা ,এখানে ওখানে
আদরে ,মোহে ,প্রেম ,অদ্ভূত স্বত্বায়।

চারদিকে রেস্তোরাঁর বেহালা বাজে
নেশার গ্লাসে প্রতি চুমুকে ঝরতে থাকে ঝরনা।
ভিক্ষাপাত্রে চ্যাপ্টা আলো নিয়ে ঝনঝন করে হৃদয়ের ফাঁকে
একমুঠো  স্বপ্নের জ্যোত্স্না।
সাজানো  একোরিয়ামে একলা তুই হৃদয় মাঝে
আমার নেশার গ্লাসে।
ঠিক যেন জলপরী সেই ম্যাজিক কন্যা
কি করিস তুই একলা রাতে আমার মাঝে।

হ্যাঁ রে মাছ,
বুদবুদ নিয়ে স্বপ্নের ভেতর কি করিস তুই।
চারিদিকে আদুল হাওয়ায়  লুকোনো নেশা তুই
শব্দরা সব তোকে ঘিরে আমার হৃদয়ের প্রবল ঢেউ।
কি  করিস একা একা ভেসে বেড়াস
আমার চেতনায় আমার ভালো থাকায় আমার প্রেমে। 

অন্তহীন

অন্তহীন
............ ঋষি
================================================

এ ভ্রমণ অন্তহীন
শৈশবের আঁকার খাতা হতে আকাশ নেমে আসে।
ধরা দেয় আমার বুকে জীবিত ও মৃত
অসংখ্য শব্দের ডিক্সানারিকে নাড়িয়েচাড়িয়ে  চোর পুলিশ খেলা।
চোর  সর্বদা জীবিত অথচ  পুলিশ মৃত
কিন্তু  পুলিশের কোমরে ঝোলানো স্বয়ং মৃত্যু।

এ  প্রশ্ন অন্তহীন
পুরনো মিনারে মিনারে কলধ্বনি করে পায়রা
ছোটো ছোটো টুকরো টুকরো স্বপ্নরা আজকাল হিসেবের কারিগর।
আমিও জীবিত এখানে
আমার কি এখানে তুমুল প্রকার বেঁচে থাকা গচ্ছিত ছিল ।
জানতাম না পায়রার খোপ ,বাকুম বাকুম
বেঁচে থাকার লোভ ।
অথচ মৃত্যু পুলিশ তাড়া  করে সর্বক্ষণ
অলিতে গলিতে হৃদয়ের কারখানায় তৈরী সম্পর্কের মাঝে ।
একটা ভয় তাড়া  করে ,হারানোর
আমি চোর  ছুটে পালাই  আমার শৈশবের আঁকার খাতায়।

এ ভ্রমণ অন্তহীন
জীবিত ইচ্ছারা  গান গায়  হাওয়া  চুমু  ছুড়তে থাকে বাঁচার ইচ্ছায়।
উল্টো দিকে রিভলবার হাতে পুলিশ ,,একটা শব্দ
পিকআপ ভ্যানে মড়া পোড়ানোর জন্য তুলে নেওয়া হয় বডি।
জীবন চিত্কার  করে আমি বেঁচে আছি
পোড়াবার  আগে জীবিত চিত্কার করে হারিয়ে ফেলার কান্না। 

অশ্লীল কোথাই

অশ্লীল কোথাই
........................... ঋষি
===========================================
ঈশ্বরের কৃপায়
অবগুন্ঠিত হৃদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়,
তোমার গর্ভগৃহ হৃদয় প্রতিষ্ঠার  মানে অশ্লীল কোথাই।
দাঁড়ানো মনুমেন্টে,  যদি কখনো দাঁড়িয়ে লাফ দেওয়া যায়
তবে মৃত্যু নিশ্চিত হারিয়ে যাওয়ার মানে
এ কথার সাক্ষী  কোথাই।

ঈশ্বর যে আসনে আসীন
সেই আসনে যদি ধর্মগ্রন্থ  পোড়ানো  হয়।
প্রাচীন প্রস্তরখন্ডের বুকে খোদাই করে লেখা হয় শান্তির নাম
তবে সেখানে জড়তা কোথাই।
দৈনন্দিন অন্ধকারে  হারানো  ঈশ্বরের বাণী
হ্রাদ্যিক নকল  সভ্যতার শরীরে আঁকা কামশাস্ত্র ,
খুঁজতে থাকা হৃদয় হিসেবের ভিড়ে
খুজতে থাকা নিজেকে সময়ের  ফাঁকে ,
সবটুকু যদি অশ্লীল  না হয় তবে অশ্লীলতা  কাকে বলে
আমি জানি না সত্যি অশ্লীলতা  কাকে বলে।

মায়ের বুকে সন্তানে মুখ অশ্লীল
সভ্যতার উরুতে চুমতে থাকা ধর্ষণ  শব্দ অশ্লীল।
অশ্লীল কি ?কোনটা অশ্লীল ?
তোমার গর্ভগৃহ স্থাপিত হৃদয় তবে অশ্লীল কেন ?
কেন অশ্লীল নিজেকে হারিয়ে  বাঁচতে চাওয়াটা
কেন অশ্লীল ঈশ্বরের বাণী তোমার মাঝে। 

বৃষ্টি নামলো বলে

বৃষ্টি নামলো বলে
................ ঋষি
=====================================
নত হও নিরাময়,
প্রতিশ্রুতির ওপারে তোমার স্বপ্নরা আছে।
আছে মেঘভর্তি  খামবন্ধ নীল চিঠিগুলো
আমি খাম খুললেই বৃষ্টি নামে
বৃষ্টি নামে আমার শহরের পথে ঘাটে।

কাশিজমা বুকের মতো মনে হয় নিজের ভিটেমাটিকে
নস্টালজিক সিস্টেমে জমতে থাকা উষ্ণতা।
তোমার শরীর জুড়ে আমার নিরাময়
হাত ঘেমে ওঠে চুপচাপ।
তেজপাতা সরসর ভিজে বেড়াল মাটিতে
ঘাস আর কচি লেবু পাতার গন্ধ।

ঠিকানার অলীক আলোয় ভিজে পথ ঘাট
আমি দাঁড়িয়ে বারান্দায় হৃদয়ের আবছা চোখ।
হাত বাড়িয়ে দি তোমার পৃথিবীতে
ভিজে যায় বারংবার ভেজার লোভ।
প্রতিশ্রুত পোশাকে চড়িয়ে আমার স্বপ্নরা
এসে দাঁড়াই তোমার সামনে ,তোমার দেওয়ালে,গাঁথুনিতে।

নত হও নিরাময়,
প্রতিশ্রুতির ওপারে কোথাও একটা অপেক্ষা আছে।
আছে মেঘভর্তি শহরের ভিজে পথঘাট
কুয়াশায় ভেজা ঘাসেরা লুকোনো আছে আমার শহরে
নীল চিঠি ,বৃষ্টি নামলো বলে। 

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
........................... ঋষি
=========================================

সন্ধ্যে নামছে শুকিয়ে যাওয়া পোড়া মাটিতে
দারুন ছাতি ফাটা তৃষ্ণা বুকের পাঁজরে।
আকাশের দিকে মুখ করে বসে আছে হারুন চাষা
চোখ জুড়ে বৃষ্টির ছাট স্বপ্নিল ভঙ্গিমায়।  
পোয়াতি সবুজ মাঠ ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টির ছায়ায়
ঘুম ভাঙছে হারুনের ,ঘুম ভাঙছে স্বপ্নের,
ক্রুদ্ধ প্রকৃতির হিংস্রতার দিকে  তাকিয়ে সে।
.
সামনের হলুদ মাঠের দিকে তাকিয়ে বুক ভেঙ্গে পরে চাষার
বৃষ্টি নেই আজ বহুদিন।
ধান বোনা শেষ অথচ জলের ঘাটতি
মাথার উপর ঋণের পাহাড় ,মহাজনের লালচে চোখ।
 ঘরের ভিতর বাড়ন্ত খিদে ,বাড়ছে রোজ
বাড়ছে সভ্যতার ইট ,বালি  ,শহর।
মারাত্নক ভঙ্গিমায় চোখ রাঙ্গাচ্ছে প্রকৃতি
মারাত্নক ভঙ্গিমায় এগিয়ে আসছে মৃত্যু হারুনের দিকে ।
কি করবে সে ,তার হাতে কিছু  নেই
বৃষ্টি নেই ,বৃষ্টি নেই। ....তৃষ্ণা হাহাকার।
বুক ফাটা ক্রন্দন হারিয়ে যাওয়া সবুজের অপেক্ষায়
দিন প্রতিদিন এগিয়ে চলা মৃত্যুর দিকে।
.
মনে পরছে হারুনের নিজের ছেলেবেলার কথা
মনে পরছে বৃষ্টিতে ভিজে বাবার সাথে বীজ বোনার কথা।
মনে পরছে সেই ছড়াটা ,,,,আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
ধান দেবো মেপে ,বদলে যাচ্ছে ছড়াটা  জীবন দেবো মেপে।
বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে মাঠঘাট ,কানায় কানায় পূর্ণ পুকুর
সব বদলে যাচ্ছে হলুদ শুকনো মাঠ ,মাথার উপর চাঁদি ফাটা রৌদ্র,
সামনে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণা ,,,সব শুকনো ,,সব শুকনো।



Wednesday, June 17, 2015

এই বেঁচে থাকায়

এই বেঁচে থাকায়
......... ঋষি
============================================

জীবন যেখানে এক ঝাঁক রৌদ্র
বৃষ্টি  ভেজা দিনে অসংখ্য  টানাপোড়েনের ভিড় ।
সেখানে সমুদ্র  বলতে  একচিলতে আকাশ খোলা জানলার পাশে
আকাশ  ছোঁয়া  দূরত্ব ।
সবাই আকাশ ধরতে  চায় 
শহরের বৃষ্টি দিনে জমতে থাকা আবর্জনা খোলা রাস্তার উপর
সবাই ভালবাসতে চাই এক চিলতে  আকাশ ।

নিঃশ্বাস দরকার বেঁচে থাকার তৃষ্ণা
জীবন যেখানে  উড়তে  থাকা মরুভূমির ধুলি ঝড় ।
দিগন্ত  পেড়িয়ে দূরত্বের মাদুরে  রাখা অসংখ্য স্পন্দন
ভাসতে থাকা আলাদিনের মাদুর ইছহার উপররে ভারি চোখের পর্দা ।
হাসছে দেখো জীবন
হাসতে যে হয় সার্কাসের রুপোলী ট্রাকে  ।
রোদ  ঝলমলে  মুখগুলো কাঁদতে যে হয় অনিহার কান্না
সাবুকিছু হিসেব মাফিক নয় ।
সবকিছু জীবিত  কার্পণ্য নয়
সামিজিক হৃদপিণ্ডের  মেলবন্ধনে জমতে থাকা হিসেবনিকেশ
এই বেঁচে থাকা ।

জীবন যেখানে এক ঝাঁক রৌদ্র
উষ্ণ  বিছানার চাদরে লুকনো  চাপা কান্না ।
বিষণ্ণ শৈশব ছেলেখেলা জীবনের মানে জীবনের সাথে
অজ্যাত ভবিষ্যৎ শুয়ে থাকা চেতনার মানে ।
বদলানো দিন সময়ের সাথে
বেঁচে তো আছি সকলে এক আকাশের নিচে
তবু কেন জানি সবাই আকাশ ধরতে চাই এই  বেঁচে থাকায় ।


Sunday, June 14, 2015

আমি থাকি না থাকি

আমি থাকি না থাকি
................... ঋষি
=========================================
আমি  থাকি আর না থাকি  তাতে কার  কি এসে যায়
প্রতি চুমুর পর আমি সিগারেট ধরাই।
বুকে ব্যথা করলে আজকাল
চোখের ডাক্তারের কাছে যাই।
চোখের পিনড্রপ সাইলেন্সে দাঁতে মাজন লাগাই
কিছু ক্যাপসুলের সাইড এফেক্টে
নতুন গোলার্ধ বানাই।

ভালোবেসে বন্য গন্ধে আমার আঁতুড় ফিরে আসে
যারা বাঁচে তারা বলে ভীষণ ভালোবাসে।
স্কিন এফেক্টে নষ্ট লিটমাস..চামড়ার পর্দা
মিষ্টি ঠোঁটে লাল চুমুতে। ...পান আর জর্দা।
নিমপাতা  যত তেতো। .. নষ্ট চোখের জল
তার থেকেও তেতো জানো মিষ্টি পানিফল।
তার  লিপস্টিকে জোলাব ছিল
নামতে থাকে  জল।
লালা থেকে লালায়
নিউক্লিওফিলিক প্রেসার ফল।

আমি  থাকি আর না থাকি  তাতে কার  কি এসে যায়
তোমার চোখে শান্তিতে রাখা মজার যোগফল।
তোমার স্কার্টের তলায় বৈষ্ণবের কোলাহল
আণবিক নিঃসঙ্গতা শিশির চুঁইয়ে  ....স্লিপিং পিল।
ঘুঘুর ডাঙায় অর্ধেক দিন
অর্ধেক  চুমুর পর তোমার মুখের খিল। 

ব্যাঙের বিপ্লব

ব্যাঙের বিপ্লব
................. ঋষি
==============================================
রাতটাকে সত্যি রাত হতে দেখতে চাই নি কখনো
আমার চোখে জলপাই রঙের শতাব্দী।
ব্যাঙের জনন তন্ত্র নিয়ে একটা কাব্য লিখবো ভাবছিলাম
মানুষ আর ব্যাঙের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলতে পারে।
একপাশে মানুষ অন্যদিকে কোলা ব্যাঙরা
নিশ্চিত একটা বিপ্লব ঘটে যেতেই পারে।

বিপ্লব মানে কি ?
অবান্তর প্রশ্ন বিপ্লব ঘুমিয়ে আছে ম্যারিনেট করা মাংসের পৃথিবীতে।
কিংবা বৃষ্টির দিনে ছাতার আড়ালে
আসলে আড়ালটা জরুরী সবসময় সাময়িক খবরের পাতায়।
এই তো সেদিন খবরকে আড়াল করে ঘুরে দাঁড়ালো রাজ্য
সি বি আই এলো ,নেতাদের ধর পাকড়াও।
কিন্তু সব ঠান্ডা এখন
দিন বদলায় ,বদলায় মানুষের চাদরে থাকা ঘুমের দাগ আশ্রয়।
কিন্তু বিপ্লব সেতো বদলের নাম
সে কি সত্যি বদলায়।

জীবনকে আমি যেভাবে দেখি
প্রশ্ন ,উত্তর ,প্রকৃতি ,নীতি ,রীতি ,দেশ ,সমাজ ,মানচিত্র।
সবটাই প্রহসন ,প্রহসন বেঁচে ফেরা
আসলে বাঁচতে সবাই চাই আমরা ,বাঁচবো বলে।
এন্টেনায় ঝোলানো ইকোটুরিজমে অনেকে ভেক বদল করি
কিন্তু ব্যাঙের বিপ্লব সে তো বৃষ্টি দিনে।
   

Saturday, June 13, 2015

মূল্য বেঁচে থাকা

মূল্য বেঁচে থাকা
..................... ঋষি
===============================================
রাত্রে বদলানো দৃশ্যগুলো ঠিক দেখতে পারছি
রাত দুটো ,অন্ধকার সড়ক ,সামনে লাইট পোস্টের তলায় তপ্সরী।
নিমগ্ন নিস্তব্ধতা অপেক্ষা করছে পৃথিবী মাটিতে
ঈশ্বর কোথাও হস্ত মৈথুনে তৈরী করছে শরীরের কাব্য।
নিত্য এ সময় এই তপ্সরী দাঁড়ায় একই মাটিতে
অথচ বদলায় না মাটি ,পোড়া মাটি।

টেরাকাটা স্টাইলে ঈশ্বরের শরীর খুঁদে তৈরী  হয়  মাংসের জাফরী
বিষন্ন সভ্যতার আলোকে এগুলো মন্দিরের শোভা বাড়ায়।
অথচ ঈশ্বর বদলায় রোজ ,শরীর নয়
জাফরী দিয়ে জ্যোত্স্না ঢুকে পরে ,ঢুকে পরে জীবিত আলো।
বাঁচতে হবে কালকের দিনটা
হাতে সময় খুব কম তপ্সরী ঘড়ি  দেখে ঘন ঘন।
এদিক ,ওদিক তাকায় ,ঈশ্বরকে স্মরণ করে
প্লিস একটা শরীরে মূল্য দরকার।....... ভীষণ।
খিদের পৃথিবীতে শরীর প্রেমময়
আর প্রেমের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা জ্বালা।
এ জ্বালা আদিম ,এ জ্বালা যন্ত্রণার
রুটির বিনিময় লজ্জা ,অস্তিত্ব ,আত্মা সব বলি গিলোটিনে দৈনন্দিন
এই ভাবেই তো বেঁচে আছে সবাই।

রাত্রে বদলানো দৃশ্যটা চোখে পরার মতো
সূর্যের আলো ,সদ্য জাগছে সড়ক ,ঘুম ভাঙ্গা লাইট পোস্টের তলায় তপ্সরী।
নিমগ্ন নিস্তব্ধতায় মাটি আঁকড়ে একটা রক্তাক্ত মাংসপিন্ড
ঈশ্বর আরমোড়া  ভেঙ্গে ছুঁড়ে দেন মাটি। ...একটা  সভ্যতা।
নির্বিকার টলতে টলতে উঠে দাঁড়ায় তপ্সরী
বুকের কাছে জড়ো করা হাত মূল্য খিদে। ..মূল্য বেঁচে থাকা। 

আর আমি














আর আমি
................. ঋষি
==================================================

আর আমি
সমস্ত দৃশ্য থেকে বিস্ময় ছিঁড়ে নিলাম।
গলায় ঝোলানো চাবি। ....পৈতে না ,সুতো না
একটা লাল রিঙে জড়ানো যোগ্যতা।
যাওয়াকে আসতে  বলি না
যে যায় ,সে যায় ,তাকে আটকে রাখি না
তবু বলি যাবেই যদি এলে কেন।

গলায় ঝোলানো আত্মাপোড়া রিং
রিঙের এদিক ওদিক ছড়ানো অসংখ্য যোগ্যতা।
আমি যোগ্য নয় ,তাই তো মনে হয় নিজেকে
আমি বিশেষজ্ঞ নয় ,যে কারণে খুঁজি বেঁচে থাকার মানে।
সময় কই ,কই জীবিত আকাঙ্খার বিশাল আকাশ
সবটাই শুধু যন্ত্র ,দশটা ,পাঁচটা সাজানো সভ্যতা সড়কে।
দৈনন্দিন ওয়ার্মআপ ,ওয়ার্কআউট পেশি আস্ফালন আর বিনোদন
কোথাই আছে যোগ্যতা।
এ যে অনবরত পথ চলা শেষ দিনের আশায়
নিঃশ্বাসে  বিষ, বিশ্বাসে আতঙ্ক সর্বক্ষণ মাথার ভিতর এম্বুলেন্সের সাইরেন
যদি  ফুরিয়ে যায় ,যদি হারিয়ে।

আর আমি
সমস্ত দৃশ্য থেকে বিস্ময় ছিঁড়ে নিলাম।
সার্ভিস ফুরোলে রিভলভারের বদলে  ঝুলবে লকেট
জীবাশ্ম কথা ভাঙবে  চুপি চুপি কানে কানে। ..... সব জানি।
সময় এগোবে নিজস্ব স্পন্দনে  ফুর্তির আঙ্গিনায়।
জীবন দাঁড়িয়ে দেখবো রোজকার নৃত্যকলা স্টেজের উপর
সবই বদলে যায় ,কিন্তু বদলাতে কজন চায়।  

পাহাড়ি প্রকৃতি

পাহাড়ি প্রকৃতি
.................... ঋষি
===================================================
ক-ফোঁটা রাস্তা
অন্তরে  সিলেবাস থাকলে ভেতরে দুধ গড়ায়।
দুধ গড়িয়ে পরে সদ্য কোনো সাদা কফিনে
মৃত্যু এখানে দৈনন্দিন।
প্রত্যেক পাহাড়ি গ্রামে নিত্য গর্জন  বন্দুকের হুঙ্কার
যেন কোনো গর্জিলা চিত্কার করে মুহুমুহু কামানের মতো
দুচারটে লাশ রোজ পরছে এখানে।

টোকা মারলে সীমান্ত, মা-ডাক
গড়িয়ে পড়া রাস্তার ঢাল বেয়ে সবুজ গালিচা বেছানো।
এখনো চোখ খোলে নি প্রকৃতির গ্রামগুলোর। .... তুমুল বৃষ্টি।
জল বন্ধ করে খুলছে লুকিং গ্লাস, সাইড মিররে ফুটে উঠছে সভ্যতার পিছন।
প্যাক ,প্যাক হর্ন মারছে  সভ্যতা
সাইড চাইছে এগিয়ে যাওয়া।
হর্নের বিয়ে হয় নি  এখনো ,অথচ কোনো ফৌজি ক্যাম্পে হর্ন দাবাচ্ছে সর্দার
হয়তো রক্তাক্ত চাদরে পিষে যাচ্ছে কোনো পাহাড়ি ফুল।
রোজকার গল্প এটা ,রোজকার রক্ত ভেজা পাহাড়ি শোভা
সভ্যতা এখানে সবুজ অথচ রক্তাক্ত সত্যি।

নিচে বয়ে যাচ্ছে একটা সরু নদী
আঁকা বাঁকা স্বপ্ন সবুজ গ্রামগুলোর বাঁচতে চাওয়া লোকগুলোর।
ক-ফোঁটা রাস্তা
অন্তরে  সিলেবাস থাকলে দুপাড়ে জমে থাকা হিংস্র ক্ষোভ।
জল্লাদের আনন্দে আচমকা হুঙ্কার ,গর্জে ওঠে বারুদ ,সবুজ পুড়ছে
গর্ভবতী সবুজের বুক উপচে পরছে দুধ ,কিন্তু সন্তান
সভ্যতা এখানে রক্ত ফোঁটা সন্তানের মুখে।

Friday, June 12, 2015

বরফের অনুবাদযোগ্যতা

বরফের অনুবাদযোগ্যতা
................. ঋষি
===========================================
ফুরিয়ে যাচ্ছি বরফের অনুবাদযোগ্যতা
সিনট্যাক্সে শব্দগুলো এলোমেলো।
আসলে হারানোর পর কিছু থাকে না ,দেওয়ালে পিঠ
মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে নব্বই আর দশ রেশিওতে।
ডুবে থাকা সময়ের শীতলতা
অন্যদিকে দেওয়াল আর দেওয়াল।

দেওয়ালের তৈরী শহরে কোনো লাইব্রেরীর পাতায়
ফুটে উঠছে যোগ্যতা।
চোখের মাইনাস পাওয়ারে লেপ্টে আছে অক্ষরমালার অজস্র স্পন্দন
অক্ষরগুলো যন্ত্রণার বরফের শরীর।
আমার শহরে শীতলতম দিন
লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে বাসস্ট্যান্ডে ভিখিরীগুলো  লড়ে যাচ্ছে।
খোলা ফেটে যাওয়া চামড়ার পাঁজরে জমানো খিদে
একটা বরফের বই.
মস্তিষ্ক  নিউরনের জমানো খিদে ,জমানো যোগ্যতা
দেওয়াল থেকে দেওয়ালে,শিস দিতে দিতে
ফুরিয়ে যাচ্ছে,
বরফের অনুবাদযোগ্যতা।

ফুরিয়ে যাচ্ছি আমি আমার হাতের কলমে
কলমের নিবে ভেসে উঠছে শহর ,মানচিত্র ছাড়িয়ে সারা বিশ্ব।
করুন মুখ ,করুন ছলছলে চোখ ,ছোটো ছোটো অসহায় হাত
আমার মুখে  বিষ ,,আমার সারা শরীরে মৃত্যু।
মৃত্যুর গোলক এটা ,মৃত্যুর বিশ্ব ,মৃত্যুর দেশ
ফুরিয়ে যাচ্ছে আমার বরফের  অনুবাদযোগ্যতা।

তথাস্তু বৃষ্টি

তথাস্তু  বৃষ্টি
,,,,,,,,,,, ঋষি
======================================
উহ্য থাকা মানে নিরন্তর রৌদ্র
তুষ্ট ,তুষ্ট ,তুষ্ট।
বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকা বৃষ্টি
দরজা খোলা ,জানলা খোলা ,সিলিঙের ভিজে মানচিত্রে।
আছড়ে পড়তে থাকা নোনতা জল
তথাস্তু তোমাকে বৃষ্টি।

অথচ ক্ষমা  করবেন
নিজেকে বদলে ফেলে ,ঠিকানা বদলাতে  পারবোনা।
এখানে একটা ভয়েস কলের জন্য বিক্রি হতে পারবো না
একরাশ ঠান্ডা আলপিন।
বেলুন ফুরিয়ে যাওয়া একটা জমাট গ্রীষ্ম দুপুরের তাতে
সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।
পারবো পড়তে নীল বর্ষাতি আকাশের স্বপ্ন  ধরে
হারিয়ে যাওয়া সময়ে যাযাবর পৃথিবীর পাখি,
সবকিছু ফাঁকি ,মিথ্যে ডাকাডাকি।
তিনি শুনছেন না ঈশ্বর
দরজায় দাঁড়িয়ে  মুদ্রার দুপিঠে নিজেকে কোথাও
তিনি দেখতে পারছেন না।

উহ্য থাকা মানে নিরন্তর রৌদ্র
তুষ্ট ,তুষ্ট ,তুষ্ট।
বারন্দার রেলিঙে দাঁড়িয়ে থাকা  বৃষ্টি আকাশ দেখতে চায়
এসময় ,অসময় ,কিছুক্ষণ ,কতক্ষণ একটু স্যাতস্যাতে ভিজে ভাব।
চিরকালীন বর্ষার জল নয়
তথাস্তু তোকে বৃষ্টি আকাশ চিরকাল।   

চাওয়া পাওয়া

চাওয়া পাওয়া
................ ঋষি
==========================================
পাওয়াটা খুব সহজ পৃথিবীর আলোয় দেখা তোমার মুখ
পেতে তো যে কেউ পারে।
দরজা খুললেই  ঢুকে পরে আলো ঘরের ভিতর      
ন্যারো হতে হতে বুঝতে পারে চোখ। ....আর না ,আর না
চোখ বন্ধ হয়ে যায় অসময়ে।

পেতে তো সবাই পারে
আগলে রাখতে পারে কজনে সময় ,অস্তিত্ব ,ছুঁয়ে থাকা।
পাওয়াটা কোনো বীরত্ব নয়
সে তো আজকাল ভীষণ সস্তা শরীর রেডলাইটের দরজায়।
আরে ছাড়, সে তো অনেকদূর
আজকাল তো প্রেম শরীরের পর্যায়।
খামের ভিতর হরিণ থাকে সকলের
 ছুটে যাওয়া গাঢ় দিগ্বিদিক শূন্য আস্তাবলে গভীর আশ্রয়।
অথচ কজনা বোঝে আস্তাবল আশ্রয় নয়। ...গভীর অরণ্য প্রকৃতি।
শরীরের রিপুর  প্রশ্রয়।

আমি খামের ভিতর হরিণ শিকার করি
 তোমার মিষ্টি মাংসে আমার ভীষণ লোভ।
খেয়ে ফেলি পুরো খেয়ে ফেলি হজম বুকের ভিতর
আমার আত্মাদের বেঁচে থাকার রোগ। ....... তোমার মাঝে।
আর ওই হেঁটে যাওয়ার ভঙ্গি
কপি-পেস্ট আমার ছায়াদের। ...... আমার পাওয়াদের।
ওই যে  খামটা  নীল রঙের আমি নাম রেখেছি আকাশ
আমার ছায়ার ভিতর যারা ব্লাশ করে। .....তারা আমার আপন।
আজ বোতামের দিন হোলো ভেবে। ....... আমি অপ্রকিতস্থ
ফুরিয়ে আসছে ঘর। .... আরেকটা ঘরের ভিতর একলা।

পাওয়াটা খুব সহজ পৃথিবীর আলোয় দেখা তোমার মুখ
কিন্তু কজন সাজিয়ে রাখতে পারে সময়,
কিন্তু কজন জীবিত রাখতে পারে  হৃদয়।
আমি তো আগেও বলেছি কতবার তোমাকে
সাথে থাকা মানে পাশে নয়।  .. আর পাশে মানে সাথে।

Wednesday, June 10, 2015

একটু বৃষ্টিতে ভিজে

একটু বৃষ্টিতে ভিজে
............... ঋষি
========================================
একটু একটু করে জমতে থাকা মেঘ
আকাশ  থেকে তোর কস্তুরী গন্ধে নেমে আসে মাটিতে।
মেঘলা আকাশ ঝিরঝিরে বৃষ্টি
তুই ভিজবি ,ভিজবো আমি আমার প্রেমে উদাত্ত কন্ঠে।
রবিঠাকুরের গান
আজ ঝর ঝর মুষল বাদল দিনে।

আর একটু পর রাত্রি নামবে শহরের প্রতি দরজায়
ঘুমিয়ে পড়বে জীবিত মৃত বোবা পৃথিবীর চাদরে জন্ম।
আমিও হয়তো কোথাও শুয়ে থাকবো
তোর বুকের উপর মাথা রেখে।
আমিও হয়তো জন্ম দেব কোনো না জানা মুহুর্তের
সবটাই মায়াময়।
জানলার বাইরে ভিজে যাবে শহর
আমি দাঁড়াবো এসে আমার বারান্দায় এক ফালি মেঘের দেশে।
আমি হেঁটে যাবো তোর হাত ধরে শান্তিতে
তোকে ভালোবেসে।

একটু একটু করে জমতে থাকা মেঘ
আকাশ থেকে তোর কস্তুরি নাভিতে ঠোঁট ঠেকাবে অভিমান।
মেঘলা সময়ে ভিজে বিছানার চাদর
তুই ভিজবি হৃদয়ের জানলায় হাত বাড়িয়ে আমার দিকে।
আর আমি গাইবো রবিঠাকুরের গান
চক্ষে আমার তৃষ্ণা ,ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে। 

আমার আমিত্বে

আমার আমিত্বে
................ ঋষি
===============================================
বলবো না ,না বলবো না কিছু
শুধু রেখে দেবো তোকে মনের যত্নে ,আদরে ,আরো গভীরে।
বুকের ধর পাকড়াও গুলো এই গ্রীষ্মের গরমে ঘামের মতো চ্যাটচ্যাটে
একটু ভিজে যাওয়ার লোভ ,একটু ভিজতে থাকার সুখ।
আমার দু বাহুর মাঝখানে ,আমার হৃদয়ের মাঝে
আমার সুখ ,,তোকে ছুঁয়ে।

আমি চিনি আমার নারীকে
আমি চিনি আমার না বলা শব্দগুলোর একলা থাকাকে।
এখানে কোনো অশ্লীলতা আসে না
এখানে কোনো পৃথিবী নেই তোকে ছাড়া।
একটা অদ্ভূত বাঁচা ,বাঁচতে চাওয়া
তোর জন্য ভালো থাকা।
আরো ভালো তোর নিঃশব্দ  পদচরণ আমার বুকে মাঝে
 দীর্ঘশ্বাস নেমে আসে ,আরো কাছে ,,আরো কাছে ,
আমার তুই আমার বুকের মাঝে।

বলবো না ,কিছুতেই বলবো না
শুধু রেখে দেবো খুব যত্নে তোর অস্তিত্বের পারফিউমের গন্ধ।
আমার শিরদাড়া বেয়ে অস্তিত্বের ছুঁয়ে যাওয়া নিস্তব্ধতা
একটু ভিজে যাওয়ার লোভ ,একটু ভিজে থাকার সুখ.
আমার দুবাহুর মাঝে ,আমার অস্তিত্বের মাঝে
 আবারও  তুই আমার সাথে । 

Tuesday, June 9, 2015

কি ভাবে বলবো

কি ভাবে বলবো
............. ঋষি
=======================================================
সে তুমি যেভাবেই ভাব না কেন, আসলে এইটুকুই তো আমার নিশিডাক
রাতজাগা চোখে পেঁচার শব্দরা শুনতে পাই আমি।
বাড়ি খুলি ,দরজা খুলি ,,,জানলা খুলি ,,,,খুলে ফেলি পরণে কাপড়
নিশ্চিন্তে নিল্প্জ্জ আমি দাঁড়াই গিয়ে তোমার সামনে।
সদ্যজাত ,,,,,দশমাস দশদিন ।,,,,যাই তকমা দেওনা কেন
সোজা চড়ে বসি তোমার বুকে।

গোল্লাছুট খেলার নেশায় আলো-আবছায়া বারান্দায়
যাবতীয় ঈশারা ক্লাসরুমের শোরগোল তুলে সোজা ব্ল্যাকবোর্ডের  দেওয়ালে।
চক ঠুকি ,,,ঠুকি মাথা ,,,জবাব দেও ,,,,,,শিক্ষা কই ,,,,কই চেতনা
আগুন দেও ,,,,,,দেও প্রতিবাদ ,,,,দেও জীবন ,,,,দেও বেঁচে থাকা।
সোজা কোনো সরকারী দপ্তরের মাথায় উঠে চিত্কার করি
খিদে পেটে খিদে ,,,,চাকরী কই এই বাজারে।
বাজার ,,,বাজার ,,,,বাজার
বিক্রি ,,,বিক্রি ,,,বিক্রি।
সব বিক্রি কিনছে কে সভ্যতার আগুনে হাতে বারুদের স্পর্শ
ঝাঁঝর করা বুকে দাঁড়িয়ে শত জীর্ণ নারীত্ব ,,,,ধর্ষণ ,,,ধর্ষিত।
সোজা বুলেট ঢুকে যায় মায়ের পাঁজরে আমার বুকে
সোনার ধন মানিক আমার
বড় হ ,,,,,,,,আরো বড়।

সে তুমি যেভাবেই ভাব না কেন, আসলে এইটুকুই তো আমার নিশিডাক
বারান্দার ঘাসে দাঁড়িয়ে কোনো গোপন অন্ধকারে ঠোঁট রাখি তোমার ঠোঁটে।
বাড়ি খুলি ,,,জানলা খুলি ,,,, খুলে ফেলি নকল দরজা বেঁচে ফেরা
এক পলকে তুমি নগ্ন আমার সামনে ,,,খোলা বুক ,,মাংসের পৃথিবী।
জড়িয়ে ধরি ,,,,,মুখ ঘষি ওই বুকে ,,,,আশ্রয় খুঁজি
বেঁচে থাকি কিছুক্ষণ হেরে গিয়ে তোমার সাথে। 

নয়তো বাকিটা কাব্য

নয়তো বাকিটা  কাব্য
,,,,,,,,,, ঋষি
================================================
নয়তো বাকিটা কেবলই মাইল মাইলব্যাপী
দূর দূরান্তের জঙ্গল ,,,,,, পাহাড়ি শোভা ,,,,,,,নিশ্চিন্তে ঘুম।
শান্ত,,,,, ভীষণ শান্তি সেখানে
পাহাড়ি বুনোফুলের গন্ধ ,,,,,,ধসে যাওয়া বিকেলের আলোয় অদ্ভূত ছটা।
খেলনা পেন্‌সিলের পাহাড় পেরিয়ে কড়া নাড়ে পাথুরে প্রদেশে
আমি নেমে আসি বাস্তবে পৃথিবীর কোলে ,,,, মাটির গন্ধে।

মাটির  গন্ধ বরাবর আমার খুব প্রিয়
খুব প্রিয় আমার জীবন যন্ত্রণার বর্ণবহুল বেঁচে থাকার ক্যানভাসের রংটা।
ওঠাপড়া সকলের থাকি ,,,,,জীবিত মৃত অনেকেই থাকে
সমস্যা এটা নয় ,,,, সমস্যা নাটকের পৃথিবীতে জীবন গদ্যময়।
আর স্পর্শগুলো রঙিন অথচ কাব্যময়
নাটক অনেকটাই বদলে যায় যখন কল্পনায় উঠে আসে তোর মুখ।
আর তোর মুখে হাসি ,জীবনের গান
দু-এক কণা গান আমি চুরি করে লুকিয়ে রাখি  বুকপকেটে।
একলা শুনবো বলে
আসলে এমন করে শুনতে চাই তোকে।
যেমন করে কাঁচের গুড়ো  ছড়ানো থাকে হৃদয়ের বারান্দায় তোর সুখে
অদ্ভূত যন্ত্রণা ,,,,,শান্তি আমার।

নয়তো বাকিটা কেবলই মাইল মাইলব্যাপী
দূর দূরান্তের জঙ্গল ,,,,,, বুনো গন্ধ ,,,,,,,,তোর চুলের।
শান্তি আর শান্তি
পাহাড়ি কোনো পথে স্বয়ং বুদ্ধ হেঁটে যান যন্ত্রণা মেটাবেন বলে।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধর্মং শরণং গচ্ছামি ........
ঘুম ভেঙ্গে  উঠে দেখি আমি ঘেমে নেয়ে চান। 

সম্ভবত

সম্ভবত
............. ঋষি
====================================================
এর পর যা থাকে, তা কেবল কিছু ভাঙাচোরা সন্ধেবাতি
আর সেই চৌরা মোড়ে দাঁড়ানো সন্ধিক্ষণ।
রাস্তার বিশাল স্তম্ভগুলো ,ফ্লাড লাইটের আলো ভেসে যাচ্ছে তোর মুখে
বিশাল প্রান্তর ,ভীষণ হাসছিস তুই আমায় ছুঁয়ে
আর আমি দেখছি তোকে আরো গভীরে।

এই যে চাওয়াটা        ----  এর নাম সম্ভবত প্রেম
এই ছুঁয়ে যাওয়াটা ...... সম্ভবত একটা রোগের না বাঁচা।
আর এই মুহুর্তটা  ........ আসলে তুই
.অথচ এই একটু আগেই তুই  বাঁধা ছিলিস নিতান্ত একঘেয়েমির টানে।
তারপর ক্রমাগত ঘষটাতে ঘষটাতে কখন যে ছিঁড়ে দিল দূরের  আকাশটাকে
আর তারপর তোর সমস্ত সত্বা জুড়ে আমি সকাল হলাম।
ঘুম ভেঙ্গে দেখি তুই চেয়ে আছিস আমার দিকে
আমি হাসলাম ,বললাম।
আমার গভীরতায় কি খুঁজছিস তুই ?
হাসছি খুব হাসছি আমি সন্ধ্যের নুয়ে পরা রৌদ্রের কান্ড দেখে।
রৌদ্র নাকি তোকে পোড়াচ্ছিল আমার মতন এতদিন
অথচ আমি জানতাম না ,কিছুই জানতাম না।

এর পর যা থাকে ,তা কেবল ভাঙ্গাচোরা সন্ধ্যে
আর সেই চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্যাকাসে বাড়িটা।
রাস্তার একপাশে হেলান দিয়ে রাখা সময়ের ম্যাগাজিনে  অসংখ্য বুলেট
ঝাঁজরা করছে আমাকে, বুকের পাঁজরে তোর মুখ জ্বলছে
আলো ,তৃষ্ণা এইটুকু জীবন বেঁচে থাকা।

আমরা যে বড় হয়ে গেছি

আমরা সকলেই আমাদের কাজ করছি  ইচ্ছেদের নিয়ম করে খুন করছি  জানলার লোহার রড চেপে ধরে অসহায় আকাশ দেখছি  খুঁজছি আকাশে উড়তে থাকা পাখিদের , নিজের ভি...