Saturday, June 30, 2018

ডানা ভর্তি কবিতা

ডানা ভর্তি কবিতা
,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মাটিতে পা দিয়ে নিরুদ্দেশ স্বপ্ন
ডানা ভর্তি কবিতা।
তোমার ডানায় অক্লেশে রাখা কিছু প্রশ্রয়
আমি আজ  কবিতার ফেরিওয়ালা।
আজ কিছু আকাশ উহ্য থেকে যায় বহুদুর
আর বাতাসে বাউলের গান।
,
শতাব্দী গড়িয়ে ফিরে আসা বৃষ্টি দিন
আমার শহরে জল জমা স্বভাব।
তোমার শাওয়ারের জলে বাজতে থাকা গীটার
জমা বাস্প, ভিজতে থাকা বুক।
নিস্তব্ধ ছাতার নিচে আমার লাল, নীল কবিতা, অজস্র ভেজা
অজস্র ইচ্ছারা কলমের নিবে ভিজে শহর লেখা।
তুমি ঠিক বুঝতে পারবে চলন্তিকা
বৃষ্টির শব্দে,ভেজার অন্তরে আমি থাকবো ঠিক।
তোমার বুকে বিষাক্ত কালো দাগ
মনে করাবে আমায়।
,
মাটিতে পুঁতবে গাছ
আমি ঠিক বৃক্ষ হয়ে মেলে দেবো একলা আকাশ।
মার ঝুড়ি ভর্তি কবিতা
তোমাকে জড়িয়ে থাকবে যেন কোন আড়াল।
আর তারপর
আমার কথারা ফুরোবে,ফুরোবে দিন রোজকার মতো।

অদ্ভুত

অদ্ভুত
,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তোমার ঠোঁটে একবিন্দু জল
নিরুদ্রপ এক মৃদু স্পন্দন আমার বুকের দেরাজে।
ওঠা নামা সেই অদ্ভুত শীৎকার
মুহুর্তের ছবি জড়িয়ে নিচ্ছে বুকের খাদে ইচ্ছেদের খিদে।
ক্রমশ স্ক্রল করছে জীবন আরও নীচে
এই সন্ধ্যের বাতাসে লেগে তোমার শরীরের গন্ধ।
,
মুহুর্ত জড়িয়ে বেচেঁ থাকা
কেন যে সহজ জীবন আকাশের মতো হয় না।
কেন যে পথ চলতি জীবন খুঁজে ফেরা
কেন যে অপদার্থ বাঁচা স্বপ্নের মতো হয় না।
পথ চলতে চলতে জীবন শেষ হয়ে যায়
কেন যে তৃষ্ণা বুকে মানুষ মরে যায়।
মুহুর্তের স্পন্দন
বৃষ্টি আসে শহরের দরজায়, আলুথালু তুমি যেন বৃষ্টি
কিছু বলতে চায় শহর
অথচ চুপচাপ মুহুর্তের ভীড়।
,
তোমার চোখে গভীর কাজল
অনিদ্রার চোখে আমার গভীর কোন সুড়ঙ্গ।
আরও প্রাচীন করে চাওয়া
শরীরে জড়িয়ে থাকা শ্যাওলা মাখা দাগ।
দাগ হয়তো উঠে যায় সময়ের হিসেব
কিন্তু থেকে যায় মুহুর্ত আর খিদে না পাওয়া।

চোখ

চোখ
,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, , ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তোমার চোখের পাশে বসে আছি
আজ এতগুলো শতাব্দী শেষেও আমি ডুবে আছি।
চোখের কাজলে লেগে আছে
নিরিবিলি না বলা,অনিদ্রার স্বপ্ন।
,
যে চোখকে আমি মৃত্যু বলে ডাকি
যে চোখে আমি স্বপ্ন শতাব্দী জড়িয়ে বাঁচা।
অনুরণন
কি যেন একটা শহর লুকিয়ে ও চোখে।
আমি আমার নিরিবিলি বাঁচাটুকু
পুড়িয়ে দিয়েছি ও চোখে।
শহর গুড়িয়ে সময়ের পারদে নিরর্ভিক ভিখারী
পদবীহীন কোন অক্লান্ত তৃষ্ণা।,
,
তোমার চোখের পাশে বসে আছি
সারাবেলা খিদা তৃষ্ণাহীন কোন নিশ্বাসের অনুভুতি।
চোখের আলোতে লেগে আছে জীবন
উতলে ওঠা গভীরতা আমার বুকে আগুন।

Thursday, June 28, 2018

প্রাক্তন(৯)

প্রাক্তন(৯)
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
প্রতিটা প্রাক্তন বেনামি কবিতার মতো ঘর ছাড়া
প্রতিটা প্রেম মৃত্যু পর্যন্ত দহন বেলা।
আসক্তি নিরিবিলি থেকে যাওয়া বালুচর
আর অপেক্ষা প্রেম যেখানে ব্রাত্য।
,
জীবন জুড়ে অসংখ্য যন্ত্রাংশের ভীড়
কিছু যন্ত্রাংশ যন্ত্রাংশ বিকল প্রায় যান্ত্রিক গোলযোগে।
সেরে ওঠে
সেরে উঠতে হয় নিয়ম প্রতিদিন সামাজিক আর জীবন নিয়ন্ত্রিত।
প্রতিদিনকার কর্দমাক্ত হাত আর ঘামে ভিজে ঘরে ফেরা
চোখে স্বপ্ন ক্যালাইডোস্কোপে বদলাতে থাকে।
একটা আওয়াজ ছুঁড়িয়ে শান দেবার শব্দ
চমকে ওঠা মাঝরাতে,
চোখের নীল স্বপ্নরা আকুতি খোঁজে, খোঁজে আড়াল।
আসলে প্রতিটা প্রাক্তন কানে কানে ফিসফিস
আগে তো মরতে হবে, তবে না বাঁচা।
,
প্রতিটা প্রাক্তন অন্ধকারে আবছা হতে থাকা হারানো জীবন
আর মুখগুলো ফ্ল্যাসব্যাকে স্বপ্ন আঁকা মুহুর্ত।
বাঁচা বালুচরে লুকোতে থাকা আঁকিবুকি
আর অপেক্ষা সে শুধু মিঠে কিংবা ঝাঁঝালো রোদ।

Sunday, June 24, 2018

সুতরাং

সুতরাং
,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
সুতরাং দিয়ে শুরু করছি
দেওয়াল ঘড়িটা তার নির্দিষ্ট সময়ে জানান দিল রাত দেড়টা।
পাশে ঘুমন্ত শহরকে সাক্ষী রেখে আমি পেঁচার চোখ
চাপা গরম,বৃষ্টি নেই বহুদিন।
জানলার রেলিং ভেঙে চাঁদের জ্যোস্ন্যা যেন ঝাঁপিয়ে পরছে
যেমন তুমি ঝাঁপিয়ে পড়ো উথালপাতাল সমুদ্রের হাওয়া।
,
সুতরাং ঘুম নেই
আকাশের সিলিংবন্দী গ্রহ নক্ষত্ররা সব সাক্ষী আমি জীবিত।
জানলার পাশে টেবিলে পড়ে থাকা গীতবিতান
আর তার নিরিবিলি নক্ষত্র, তোমার চিঠিটা লুকোনো।
তুমি ভালো আছো,এমনটাই লেখা তাতে
আর ছড়ানো আছে কিছু শিউলি ফুল তোমার কলমে।
এক ঝলকে এইমুহুর্তে ভেসে এলো শিউলির গন্ধ
তোমার জংলা পাড়ের শাড়ী,মেটো রঙ,কেমন একটা ঘুম ঘোর।
,
সুতরাং দিয়ে শেষ এখন
দেওয়াল ঘড়ি জানান দিল সুর্য উঠবে এখন।
শহরটা জেগে উঠছে, বাইরে কিচির মিচির পাখির শব্দ
আলো ফুটছে রোজকার।
আমি দরজা খুলে বারান্দায় সদ্য আরমোড়া ভাঙা সকাল
মনের মধ্যে কেউ বলে উঠলো তুমি ভালো আছো।

শয়তান আর দেবতা

শয়তান আর দেবতা
,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমার মাথায় মাঝে মধ্যে শয়তান বাসা বাঁধে
শয়তানেরর শোক,শয়তানের সুখ
শুধু রক্তমাংসের শরীর।
,
আমি এক টানে খুলে দি তোমার পরনে শাড়ী,বুকের কাপড়
তোমার খোলা বুকে হাত রেখে
তোমাকে মাংস ভাবতে থাকি।
তোমার নাভিপথ, উত্তাল মাংসপিন্ডগুলো তখন আমার খাদ্য
দুহাতে মুচড়িয়ে
আমি আনন্দে ভাসতে থাকি।
তোমার যোনিপথ তখন মাতাল কোন গুহা,পাতালের প্রবেশদ্বার
আমি প্রবেশ করি যেন মাংসলোভী অসুর।
আর তারপর
আমার ঘোর ভেঙে যায়,তুমি দুহাতে জড়িয়ে আমাকে
আমি তোমার স্তনের পাশে ঘুমন্ত শিশু
আঁকড়ে ধরি তোমায় স্বপ্নে।
,
আমার মাথায় ঠিক তখন দেবতা বাসা বাঁধে
দেবতার ইচ্ছা,দেবতার প্রেম
তোমার কপাল চুমে, তোমার মাথায় হাত বুলোতে থাকে।

শিকড়

শিকড়
,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,  , ,,      ,,,,,,,,,,,,
মনে হয় তুমি আমার জন্যেই জন্মেছো
মনে হয় তোমার জন্মে পা দিয়ে শিকড়শুদ্ধু অধিকার।
,
যেখানেই আমি থাকি,যেন ছায়া
যেন কোন প্রাচীন অহংকার যা আমাতে লেপ্টে থাকে।
হাজারো বছরের সুর,যেন ধামসামাদল
আমার শরীর বেয়ে ঘাম, যেম তোমারি গন্ধ।
,
মনে হয় তুমি রোমান কোন ভাস্কর্য
মনে হয় আমি শিল্পী, যে শুধু পাথর ভাঙতে ভালোবাসে।
,
যে শব্দগুলো তোমার বর্ননায় প্রয়োজন সেগুলো সব পিঁপড়ে
যা শুধু আমার মস্তিষ্কে ঘোর ছড়ায়।
তোমার মোলায়েম হাসি, লিপস্টিক ঠোঁট
যেন স্বপ্ন চোখ, বকরবকর শুধু আমায় আদর করতে থাকে।
,
মনে হয় তুমি শুধু আমার জন্যই মরতে পারো
কারন আমার মৃত্যু ফসিলেও তোমার দাগ লেগে আছে।

নীল রঙ

নীল রঙ
,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তুমি সেই নীলপাখি
যে ভালো আছে আমার শহর থেকে দূরে অন্য কোথাও।
রোদ ওঠে, বৃষ্টি পড়ে
ঝড়ে পড়ে মুহুর্তেদের রঙিন হাতছানিতে অসংখ্য বাঁচা।
অথচ তুমি নেই এই মুহুর্তে কোথাও
শুধু সেই নীলপাখি আকাশে ঘুরছে, তারপর গোত্তা খেয়ে হৃদয়ে।
,
হৃদয় একটা শব্দ যার বিশ্লেষনে অসংখ্য ভাঙা, গড়া
আর তারপর অনেকটা নীরবতা।
এবার সন্ধ্যে নামবে,শহরের বাতিস্তম্ভে নীল আলো
শুধুই তোমার নীলরং-এর বিচ্ছুরণ।
কিন্তু তুমি কোথাও নেই
আমি লেখার টেবিল থেকে জানলার সামনে দাঁড়ায়।
মুখের নেভিকাটের আগুন তখন শুধু পুড়ছে,প্রচুর ধোঁয়া
হারানো গল্পগুলো একে একে ফিরতে থাকে,যেন ছায়াছবি।
আমি আবার টেবিলে গিয়ে বসি দাগ টানতে থাকি কবিতার খাতায়
একটা পাখি আকাশে উড়ছে,আমি নীল রঙ  দিতে যাই।
পারছি না
ক্রমশ খাতাটাই কবিতা ফুটে ওঠে।
,
তুমি সেই নীলপাখি
যে ভালো থাকে আমার বুকের উষ্ণতায় সবার থেকে দূরে।
দিন আসে,রাত্রি যায়
আমার অপেক্ষারা তোমার নীলডানায় ভর করে আকাশ।
অথচ তুমি নেই এই মুহুর্তে কোথাও
শুধু সেই নীলপাখি আমার হৃদয়ে নীল স্বপ্ন বুনছে।

প্রতিশ্রুতি

প্রতিশ্রুতি
,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তোমার মৃত্যুতে ঘুম নেই আমার
এক মুহুর্তে পৃথিবীর বেচাকেনা সব শেষ হয়ে যায়।
জানি আমাদের ঘরবাড়ি কিছু নেই
নেই চলার পথে কোন দিগন্তিকা অনুরণন।
তবু আমি তো আছি
তবে চলন্তিকা এমন কথা তুমি মুখে আনো কি করে?
,
বছর পেড়োবে তারপর দিন
হয়তোবা আমরা তখন ইতিহাস হারানো কোন নীরবতা।
কিন্তু মনে রেখো আমরা তখনও বেঁচে
আর বেঁচে আমাদের প্রতিশ্রুতি।
তুমি জানো চলন্তিকা নিঃশব্দের মাঝেও একটা শব্দ লুকোনো
সেটা না বলা।
সব না বলা যেদিন একের পর এক ভাবনার ডানা
তখন আমি,তুমি আকাশের পাখী।
আর আকাশ যে চিরদিনের
আমি, তুমি শুধু সেই আকাশের মুসাফির,নিঃশব্দ।
,
না এ হতে পারে না
তোমার মৃত্যু আমায় ছাড়া যে বড় বেমানান।
জানি আমাদের বাঁচাগুলো শুধু চলতে থাকা কবিতা
কিন্তু চলন্তিকা স্বপ্ন ছাড়া কবিতা হবে কেমন করে।
কেমন করে আমি বাঁঁচবো তোমার কবিতা লিখবো বলে
না চলন্তিকা এমন কথা আর মুখে এনো না।

যেদিন

যেদিন
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

যেদিন তোমার সাথে কথা না হয়
মনে হয় এই বিশাল শহরে আমি ভীষন একলা।
মনে হয় দিন,রাত সব নগ্ন হয়ে আমাকে গিলছে
হাজারো নগ্ন ইছারা আমার হামাগুড়ি খাচ্ছে।
সারা শহর কেন জানি তখন অপুষ্টিতে ভোগে
আর শহরের শব্দগুলো সব নীরব তখন।
,
আমার তখন ছুটতে ইচ্ছে করে
মনে হয় সেই কাজল নয়নী যুবতী আমাকে ডাকছে।
মন ছুটে যায় নাইজেরিয়ান কোন গন্ড গ্রামে
কিংবা আলতামিরার কোন গুহায়।
পাশ দিয়ে ট্রেন ছুটে যায়
অপু দুর্গা তাকিয়ে থাকে দূরে, বহুদুরে কাশফুলের ওপাড়ে।
আমি ঘুরিফিরি শহরের অলিতেগলিতে
অথচ এ শহর তখন বড় অচেনা লাগে।
অচেনা লাগে চেনা ঘর,চেনা পথ
এমনকি আয়নার আমিটাকেও বড় অচেনা মনে হ য়।
,
যেদিন তোমার সাথে কথা না হয়
সেদিনে আমার অভ্যসে বিরক্তি লাগে,সারামুখ তেতো।
মনে হয় আমার হাজারো বছরের কবিতারা সব মৃত
আর মৃত আমার বেঁচে থাকার শহর।
শহরে সেদিন সব গাড়ি চলা থেমে যায়
শুধু কান পেতে তখন প্রতীক্ষা তোমার গলার শব্দ,আমার মুক্তি

মুসাফির

মুসাফির
,,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ছোটবেলায় ঘর ছেড়েছিলাম একদিন
আজ আবার তোমার জন্য ছেড়েছি।
সহাস্য বেদুইন
যেমন ঘর ছাড়া মুসাফিরের খোঁজের কোনদিন শেষ নেই
তেমন তোমার তল পাই না খুঁজে।
,
এ শহরে সভ্যতা খুব সচেতন
অথচ জানো চলন্তিকা এ শহরে ভালোবাসার ঘর নেই।
এ শহরে গড়িয়ে নামা ঘামের পরে হয় তো বৃষ্টি আসে
কিন্তু শুকনো শহর তৃষ্ণায় চিরদিন।
এ শহরে উৎসব খুব নিয়মিত
কিন্তু তালহীন সুর যেমন কানে লাগে, উৎসবের আনন্দ তেমন দিশাহীন।
আর আমি ঘর ছাড়া মুসাফির
যার শুধু বাঁচার রোগ, রোগ পাগলের মতো তোমাকে ভালোবাসার।
,
ছোটবেলার সেই ঘর আজ কবিতা
আর বাঁচার রসদ শুধুই তোমার কবিতা।
সহাস্য বেদুইন
যেমন বেদুইনের হারাবার লোভ হাজারো শহর
ঠিক তেমন আমার খোঁজ তোমার অতল গভীরতা।

Tuesday, June 19, 2018

উন্মাদ

উন্মাদ
,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, , ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

তোমার আঁচলে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালা
চোখে চোখে চোখে কথা,অন্ধকারে একা।
নগ্নতা তাই সভ্যাতারি ব্যাথা
দূর বহুদূর মানুষ সাজতে থাকা।

জংলী হৃদয়ে পাশবালিশের ফের
নিজের গলিতে কুত্তাগুলোও শের।
নগ্ন সমাজ ঘোমটাই মুখ লুকোয়
হাড়,মাংস আর জ্বালা, যন্ত্রনার ভীড়।

তোমার কবিতা আমারি সম্বল
তোমার ঠিকানা হৃদয়ের বালুচড়।
জীবনানন্দ কেঁদেফেরে বাংলায়
অবুঝ হৃদয় ধানসিঁড়ি নদী ঘর।

তোমার বুকেতে সভ্যতা জঞ্জাল
হাজারো কবিতা,একলা কাটানো রাত।
কখনো তুমি বনলতার প্রিয় মুখ
কখনো আমি প্রেমিক উন্মাদ।

ভালোবাসি ডট কম

ভালোবাসি ডট কম
,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

তোমার শহরে ছারপোকার বাস
আমার ভয়, তোমার স্বপ্ন  অভিঘাত।
দশক শুন্য ছাপাতন্ত্রের প্রেম
তোমার যোনিতে আমার সবুজ অভ্যাস।

তোমার স্বপ্ন আমার স্বপ্ন হোক
সময় জুড়ে কালিমাখা এই শোক।
সস্তা কামড়ে সতীত্ব হাহাকার
সমাজ শব্দে অন্ধকারের এক রোগ।

তোমার ঠোঁটেতে ঘুম ভাঙা এই ভীড়
রক্ত সময়ে নীরব কিছু রঙ।
বুকের সাথে বুক ঠেকিয়ে বাঁচা
সহবাস নয় ভালোবাসি ডট কম।

আমার শহরে শপথের ল্যাম্প পোস্ট
তোমার শুধু আশ্রয়ের বাসা বাঁধা।
আবাল সময়ে ঘুরছে ভাগারি ভূত
সস্তা নাটকে ছদ্মবেশী সাজা।

আমার শহরে ইমম্যাচিওর রঙ
সময় আগলে পুরনো জানলায় জং।
নগ্ন হৃদয়,নগ্নতার এই লোভ
একলা বাঁচা সাজানো পরিশ্রম।

ঈশ্বরকথা

ঈশ্বরকথা
,,,    ,,,, ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভালো আছি কবিতা নিয়ে
দিনগুলো মুড়ির ঠোঙারর মত রাস্তার ধারে।
আমার কিছু এসে যায় না
খিদে পায়,ঘুম পায় নিয়মিত আর পায় তোকে।
সকাল, সন্ধ্যে অদৃশ্য মৃতপ্রায় একটা স্বপ্ন হাতছানি দেয়
শুনতে পাই তুই আমায় ঈশ্বর বলে ডাকছিস।
,
এখন আমি বেশ ভালো আছি
চারদিকে কবিতা ঠাসা বইয়ের আলমারিগুলো অনেকটা জীবন।
কিন্তু কি জানিস নিস্কাম ভালোবাসা ঈশ্বর চায় না
আর আমি তো মানুষ হতে চেয়েছি।
চেয়েছি একটা রক্ত, মাংসের তোকে,আমার কবিতার মত
সুখে,দুঃখে চিরকাল তোকে জড়িয়ে বাঁচতে।
আসলে তোর মিশরিয় বুকের সুবাস, তোর আখরোট ঠোঁট
আমাকে কাছে টানে আর মনে করায় তোকে।
,
ভালো আছি কবিতা নিয়ে
দিনগুলো শহরের রোদে পুড়ে আজ অনেকটা পরিনত।
পরিনত আমার কবিতার পাতায় আজ অনেক পাঠক
অনেকেই তো কবি বলে চেনে।
তুইও তো আমায় কবি বলে চিনতিস, তারপর কাছে এলি
আর আমি ঈশ্বর হয়ে গেলাম ।

ব্ল্যান্ক ফায়ার-

ব্ল্যান্ক ফায়ার-



রূপ ,লাবন্য সরে যাওয়ার পর
একটি মিহি সুতো বাঁধা থাকে।
বলা যায় তাঁতের মাকুর মুখে নুন দিয়ে
জীবিত এই প্রেম থাকে।
নির্ভর ,নির্দয় নিশ্চিন্ত ভাত ঘুম জীবনের
জীবন জীবিত জ্বালায় হাসতে থাকে।

কবে বলেছি শেষ তোকে কফি কর্নারে লুকোনো চুমু
একফালি খোলা আকাশে মুহুর্তদের ভিড়।
বিছানার চাদরে যুদ্ধ নেহাত পৌরুষ নয়
পৌরুষ ছুঁয়ে যাওয়া ,ছুঁয়ে থাকা সময় বিশ্বাসে ।
সাময়িক ব্যবধানে
চিতার ছাই উড়তে থাকে।
জীবন কি চাই বুঝতে থাকে সময়ের প্রলাপে
অদ্ভূত দূরত্ব।
বেঁচে থাকার দৌরাত্ম কমতে থাকে
কয়েকশো কবিতার স্পর্শে ভালো থাকা।

রূপ ,লাবন্য সরে যাওয়ার পর
কিছুই কমে না তোর ঠোঁটের কোনে তিল।
সব একই থাকে
বলা যায় জীবিত বাহানায় ছুঁয়ে থাকা সময়ের আলাপন।
নির্ভর আর নির্দয়ের তফাৎ সঞ্চারিত বুকের ম্যাগাজিনে
বুলেটের সময়ে রক্ত ,ঝরতে থাকে

নীলকন্ঠ পাখিটা নিখোঁজ

নীলকন্ঠ পাখিটা নিখোঁজ



সেই নীলকন্ঠ পাখিটির খোঁজ এখনো পাওয়া যায় নি
অসমের রেল বস্তিতে এক যুবতীর মৃতদেহ নিয়ে চাঞ্চল্য।
শহর জুড়ে আজ লাল হলুদ  অবরোধে বাস ট্রাম ভাংচুর
খবর চলছে,আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
কিন্তু আসল খবর হলো
আজ চারদিন হলো নীলকন্ঠ পাখিটা নিখোঁজ।

পাবে কি করে
সামনের ইলেকসন  দাদা।
শহর জুড়ে হাহাকার একটা চেয়ারের জন্য
চেয়ার দুর্মূল্য,
তাই তো সবাই  আমরা মাটিতে বসে।
আর নীলকন্ঠ পাখিটা নিখোঁজ কারণ সে যে মুক্ত
আর মুক্তি তো বসে বসে হয় না।
আকাশ দরকার ,দরকার রোজকার খিদের মতন জরুরী কিছু
বিক্রির  মানে বিনিময় হতে পারে
কিন্তু নিজেকে নয়।

সেই নীলকন্ঠ পাখিটির খোঁজ এখনো পাওয়া যায় নি
ছেঁড়া দ্বীপের জঙ্গি আক্রমনে ১০ জন আহত এবং ৪ জন মৃত।
বিশ্বের ১০০ জন দেশের ধনীদের তালিকায় ২৬ জন আমাদের দেশের
খবর চলছে দাদা শুনছেন আপনারা।
কিন্তু প্লিস একটু বলবেন দাদা
কোথায় গেলে সেই নীলকন্ঠ পাখিটির দেখা পাই

মেরা দেশ মহান

মেরা দেশ মহান



মাঝে মাঝে আমি চেতনার ফুটপাথে উঁকি মারি
মাঝে মাঝে আমি চেতনায় দরজায় গিয়ে দাঁড়ায়।
দেখি সেই ছেলেটা যার হাতে কলম দরকার
তার হাতে নেশার বোতল।
সেই মেয়েটা যার হাতে  পুতুল মানায়
তার কোলে জ্যান্ত পুতুল।

চলে যায় নোংরা নর্দমার পাশে বস্তির ঘরগুলোয়
চলে যায় নর্দমার গভীরে কীটেদের কাছে।
যেখানে সদ্যজাত শিশুর শরীরে পায় কয়েকটা হাড়
তার মায়ের শরীরে পায় অপুষ্টিতে শুকনো স্নেহ।
দেখি চোখ খুবলে  খিদের বিকৃত আগুন
দেখি চোখ বুজে অসংখ্য বাঁচা।

উঁকি মারি ফুটপাথে আমার শৈশবে দাঁড়িয়ে
যেখানে কেউ বলে শালা বোকা . ............ . . ।
উঁকি মারি ঘরের ভিতরে শুয়ে থাকা সত্যগুলোকে
হাঁড়ির ভিতর ,বাংলা মদের গোলায়।
উপছে পরে সময় ,আর সময়ের কোলে লোকানো
চিরসত্য আমরা শালা বোকা . ............ ।

এমনি মনে হয় ,আমাদের জীবন ,আমাদের মরণ
সমাজের  স্ট্রাকচারে দাঁড়ানো গোড়ায় রাখা ফাঁদ ,
ঠিক একটা মৃত্যু ফাঁদ ।
ইকনমিক অন্ধকারে সাজানো সিঁড়ির গ্রাফ
সাজানো সমীকরণ ,লাভ ,লোকসান বোধ
আর লোভি মানসিকতার সাজানো সংসার।

মাঝে মাঝে তাই আমি চলে যায় জ্বলন্ত চিতায়
চলে যায়  মাটির দুহাত নিচে লুকোনো লজ্জায়।
সে হোক না মেরা দেশ মহান
অর মহান দেশমে হামলোগ সব বোকা . ........... ।
নিজেকে মারতে ইচ্ছে করে চাবুকের পর চাবুক
সত্যি  এই  এয়সা দিন হি রেহেগা ।

Monday, June 18, 2018

প্রানের মানুষ

প্রানের মানুষ
,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমার প্রানের মানুষ আছে প্রানে
স্যানোরিটা ঘুম ভাঙা চোখে মেপে চলেছি তোমার শরীর।
তোমার স্তনের ডগায় লেগে আছে গরম লাভা
আগ্নেয়গিরি বটে।
জ্বলন্ত আগুনের সাথে সন্ধি
আমি বন্দী নিরবতায়,নিরিবিলি মুহূর্ত নিয়ে।
,
প্রেম
সে তো মনের মাঝে শরীর আর শরীর ছুঁয়ে মন
ক্রমশ ছুঁয়ে বাঁচা অধিকার যেন নদী।
ভিজে যাওয়া সময়ের আবিষ্কারে কাছে আসা নিয়ম
আর মুহূর্ত দূরে গিয়ে মনে থাকে।
তাই তো তোমার শরীর ছুঁয়ে মন আর মনের শরীর
সবটাই আমি কাঁচের মত দেখতে পাই।
ছুঁতে পাই
যেন বাথরুমে শাওয়ারের জল,গড়িয়ে নামা তৃষ্ণা।
,
আছে সে নয়নতারায় আলোকধারায়
স্যানোরিটা এই মুহূর্ত যেন তোমার শরীর ছুঁয়ে তৃষ্ণা।
তোমার নাভির গন্ধ ছুঁয়ে উত্তপ্ত বাতাস
গড়িয়ে নামছে ঘাম আমার হৃদয় বেয়ে তোমার উষ্ণতায়।
সামনে পড়ে থাকা  জ্বলন্ত দিন সাক্ষী
আজ তাপমাত্রা আমাকে পুড়িয়ে তোমাকে পোড়াবে ঠিক।

Sunday, June 17, 2018

মন ভালো নেই(২)

মন ভালো নেই(২)
,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,, ,,,
হাজারো প্রশ্নপত্র তোলা আছে
তোলা আছে পৃথিবীর আবৃত সবুজ তোমার চওড়া বুকে।
আজ মন ভালো নেই তোমার
আজ অসহ্য গরমে শহরের অলিতেগলিতে হাঁসফাঁস।
আমার কপাল বেয়ে গড়িয়ে নামা জীবন
আমাকে ভাবাচ্ছে তুমি ভালো নেই।
,
তোমার হাসির শব্দ
এখন মনেপ্রানে বৃষ্টি চাইছে আমার শহরে।
আজ শহরের কাব্যে আমাকে বারংবার ফিরিয়ে দিচ্ছে তোমায়
তোমার চুলের গভীরে আমার আঙুলগুলো আগলাতে চাইছে।
শহরের রাস্তায় প্রতিদিনকার মত স্ট্রীটলাইট
বড় আবছা লাগছে চোখে।
শহর ভিজতে চাইছে আমারি মত
কারন জানো তোমার মন ভালো নেই।
,
প্রশ্নের সারি দেওয়া উত্তরগুলো শহরের আনাচেকানাচে
পৃথিবী সরতে থাকা গতিতে নিয়মিত।
অথচ আজ মন ভালো নেই তোমার
প্রশ্নটা জানি কিন্তু উত্তরগুলো তোমার অজানা নয়।
আজ আমি মনে প্রানে বৃষ্টি চাইছি,চাইছি ভিজতে
এই মন খারাপের রোগ,আয় বৃষ্টি ঝেঁপে।

সম্পর্ক(২)

সম্পর্ক(২)
,,,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আজও সম্পর্ক বানানটা লিখতে পারলাম না
শুধু সময়ের বীজে গাছ তারপর মহীরুহ।
ফল, ফুল, পাতা আরও অনেক
তবু জোনাকী রাতে একলা ভেবে দেখি
কোথাও তো আমি নেই,শুধু উপস্থিতি।
,
তোমার সাথে আমার সম্পর্ক কি চলন্তিকা?
প্রশ্ন করেছি বারংবার,
অন্ধকার না আলো।
নাকি শুধু যে কারণে পুরুষের কাছে আসে নারী
নাকি নারীর উষ্ণতায় ঘুম ভাঙে  মহীরুহএর।
সত্যি কি তাই
তোমার আখরোট ঠোঁট,মৃগনাভী গন্ধ,পরম তৃপ্তি।
নাকি শুধু ইশারা কোন দেবতার
ঘুম ভাঙা প্রথম আলো আমার দুচোখে।
,
আজও বুঝতে পারি নি কে তুমি চলন্তিকা?
সত্যি এইকি তোমায় না জানলে হলফ করে বলতে পারি
আমার নারী চেনা হত না।
শুধু একলা দাঁড়ানো মহীরুহ যে আকাশের তলায় ছিল
সে আজ তোমায় জেনে আকাশ ছুঁতে শিখেছে।

Saturday, June 16, 2018

পাখির পালক

পাখির পালক
,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
সকলকে তো যেতে হয় পাখি
আকাশের সুর ছিঁড়ে জীবনের ওপাড়ে অন্য কোথাও।
তুমিও যাও অন্য কোথাও
শুধু আমার মনের পাতায় তোমার লুকোনো পালকটা লোকানো।
সেই পালকটা যেটা আমার স্বপ্নে ভাসতে ভাসতে নামে
তখন আমি দূরে কোথাও,,,,,দূরে,দূরে।
,
খুব সহজ তাই না
দূরত্বর ফাঁকে দূরত্ব লিখে ওমনি যাওয়া যায় না।
ভুল থাকে, ভুল হয়ে যায়
কিন্তু আকাশের গায়ে কখনো কি মৃত্যু লেখা যায়।
পাখি তুমি ভালো থেকো
আমি না এগিয়ে চলি মৃত্যুর দিকে।
ওই যে শ্মশানের ফার্নেসে শরীরটা পুড়ছে
ওটা তো আমারও হতে পারতো।
আসলে আমরা সকলেই পুড়ি নিজের গোপন ফার্নেসে
কিন্তু মৃত্যু তো ওমনি চাইলেই লেখা যায় না।
,
সকলকে যে যেতে হয় পাখী
কিন্তু সকলে আমরা খাঁচায় বন্দী পরিযায়ী।
তফাত একটা থেকে যায়
তোমার পাখীর ডানায় আর আমার স্বপ্নে।
কিন্তু একটা জিনিস থেকেই যায়
আমার ধুকপুকে তোমার পালকটা আজও কবিতা লেখে।

সখী ভাবনা কাহারে বলে

সখী ভাবনা কাহারে বলে
,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলন্তিকা শান্তিনেকেতনে গেছো তুমি
আরে লাল মাটির দেশ,রবিঠাকুর,তাল গাছ।
তুমি হাসলে মুখের দিকে তাকিয়ে
গেয়ে উঠলে সখী ভাবনা কাহারে বলে,সখী যাতনা,,,।
শেষে বললে মানুষটা যে ঠাকুর হয়ে গেছে
তাকে চিনবো না।
,,
আমি প্রশ্ন করলাম তুমি কতটা চেনো আমাকে
উত্তরে চলন্তিকা আবার গেয়ে উঠলো রবিঠাকুর
না চাহিলে যারে পাওয়া যায়,না চাহিলে,
বড় অদ্ভুত।
তুমি বললে রবিঠাকুর আর তোমার মাঝে বিস্তর দূরত্ব
কিন্তু একটা মিল আছে,,,,কবিতা।
আমি ফস করে সিগারেট জ্বেলে বললাম যা তা
কোথায় রবিঠাকুর কোথায় আমি?
তুমি আমায় জড়িয়ে ধরে কানে কানে বললে রবিঠাকুর যে সকলের
কিন্তু তুমি যে আমার কবি।
ঘুম ভেঙে গেলো,,,,,,
,
চলন্তিকা এইবার একবার তোমার সাথে শান্তিনিকেতন যাবো
তুমি যাবে তো?
আমি জানলার বাইরে তাকিয়ে দেখি অন্ধকার রাত
পড়ার টেবিলে খোলা কবিতার খাতা।
আমি জানি না তুমি শুনতে পারছো কিনা চলন্তিকা
কিন্তু আমার কবিতা তুমি আজও লুকিয়ে পড়ো।

সম্পর্ক(১)

সম্পর্ক(১)
,,,,,,,,,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
যে কবিতা লিখি নি কোনদিন
যে কবিতা লিখলে সকলে বলবে বেশরম উল্লুক।
সম্পর্ক
খোয়াইয়ের তীরে রবিঠাকুরের চিল গোত্তা মেরে নেমে আসে
প্রিয় বউঠাকুরুন।
,
তোমাকে নিয়ে লিখবো চলন্তিকা
হাতের শাঁখা, সিঁদুর আর সম্পর্ক, সাজানো সংসার।
সেদিন লিখেছিলাম গাছ হবো
আকাশের দিকে বাড়ানো হাত তোমার সাথে সম্পর্ক।
আরে কাল অবধি সম্পর্ক বানানটা লিখতে পারতাম না
আর আজ সম্পর্ক তোমার সাথে আকাশ ছোঁয়ার।
কি সম্পর্ক?কি পরিচয়?
সামাজিক সংবিধানে সম্পর্ক একটা নিয়ম মাত্র,একটা হিসেব।
আর হিসেব না মিললে অসামাজিক
কি এসে যায় চলন্তিকা আমরা যে সামাজিক নিজের কাছে।
ঝুপ করে নেমে আসা সন্ধ্যা,মিষ্টি ব্যাথা
সম্পর্ক তাই না।
,
এ কবিতা মোটেও সামাজিক না, আর কবি
চিরকাল অসামাজিক এই সভ্যতায়।
সম্পর্ক
ধুলোমাখা শহরের হাজারো ঝলমলে স্ট্রীটলাইট সাক্ষী
কিছু সম্পর্ক-এর আসলে কোন মানে নেই,নেই নাম।

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...