Friday, December 21, 2018

পাললিক


পাললিক
............ ঋষি
============================================
গম্ভীর পলি
চোখের অন্তরায় সা রে গা মা পা নির্ভেজাল।
ছেলেবেলা
দ্রাঘিমাতে ধরা পড়া পেন্সিল স্কেচে অস্বচ্ছ কিছু যৌবন।
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার হিসেবে জটায়ুর ধারালো ছুরি
যেটা শুধু আমার।
.
ছারখার উদযাপন
শহরের রাস্তায় সান্তাক্লস এখন বড় বাজারি।
বাজারি সময়
শহর ঢুকে আছে শহরের ভিতর  আলো জ্বালাবার প্রচেষ্টা
বড় কৃত্রিমতায়।
ঠিক এমন কথা ছিল না জোনাকি ধরার লোভে
পথ চলতি হারানো বেঁচে থাকা।
মৌলিক অঙ্গীকার
তোমার স্যান্ডেলে লেগে গঙ্গার মাটি আমি ছাড়া
দূরে ট্রেনের ভো
আমি ছাড়া আমার শহরে।
.
গম্ভীর পলি
শহরের নদীটা ক্রমশ জঞ্জাল পূর্ণ মানুষের জৈবিকতায়।
যৌবন
ক্যানভাসে ফুটে ওঠা অদৃশ্য প্রেমিকের ঠোঁট।
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার হিসেবে প্রদোষ মিত্র
ছানবিন জীবনে। 

আন্তরিক

আন্তরিক
............... ঋষি
=============================================
অনন্তর আরো আ4ন্তরিক হোক শীতের স্পর্শে
গ্লিসারিন লাগানো ত্বকের বর্ণনার আরো সাবলীল হোক।
সাবলীল হোক সত্যি
কপাল পোড়া  কোনো কাপালিকের কাহিনী।
নিশি যাপন
গল্প থেকে বেড়িয়ে আরো নিদ্রাহীন হোক।
.
সম্ভার
গান্ধর্ব প্রথায় তুলে নেবো তোমায়।
বুকে ধামসা মাদল , যামিনী রায় লুকোনো রঙের আদর
সমস্ত আমোদ রঙিন যখন।
তুমি বললে কবিতা বদলাও ,বদলাও প্রেমিকা
আমি প্রেমিক কবি শুধু প্রেমের জপমালা বুনি।
জানলার বাইরে লাগানো আইসক্রিমের গাড়ি
শীত উপছে  নামা বরফ ঠোঁট।
বনলতা,নীরা ,সুরঞ্জনা ,চলন্তিকা কেউ রাস্তা হাঁটে নি
হেঁটে গেছে কবির বুকে শতাব্দী।
কোন যুক্তিবাদ, কোন বুদ্ধের বাগান, উপাসনা
প্রাচীন দিকভ্রষ্ট নষ্ট উদযাপন।
.
অনন্তদের বলা দরজা খোলা আছে যুগ
তুমি চলে এসো সম্পর্ক হয়ে।
তোমার মতে তোমাকে ছোঁয়াটা আমার স্পর্ধায় আগুন
মুখ পুড়ে যায় ,শরীরে জ্বালা ,সময়ের চিতাকাঠ।
দিন যাপন
গল্পের ভূমিকায় তোমার আমার বাঁচা। 

Wednesday, December 19, 2018

মহাকাল


মহাকাল 
.......... ঋষি
==============================================
তেমন করে কেউ ডাকে নি আমায়
কেউ মনে করে নি কোনো অন্ধকারে হাতড়ানো বাতিস্তম্ভে।
তবু ত্রিনয়নে জেগে ওঠে মহাকাল
অকালবৃদ্ধ সময়ের ওপারে দাঁড়িয়ে মনে আসতে থাকে।
এলোপাথারি শিহরিত শীতঘুমে সমান্তরাল কোনো এক পৃথিবীতে
তুমিও তো আমার কথা ভাবছো।
.
চোয়ালে চোয়ালে  চাপা উদ্বেগ অনবরত ছুটে চলা প্রতিক্ষণ
আর অসহ্য পলকে ভেসে উঠছো তুমি।
নীলাভ কৈশোর...
হাতছানি খুঁজে পাওয়া প্রেমিকার  ঝাপসা মুখ...
জাদুবিন্দুতে এগিয়ে চলা  রক্তের ঝনঝন শব্দ।
গা ছমছম  করে ,অথচ তুমি নেই।
অথচ তোমার স্পর্শগুলো  আমায় ছুঁয়ে যেন ছেলেখেলা।
দূরে কোথাও মাদলের শব্দ ছড়িয়ে পরে
সবুজ প্রান্তরে ঘাসের উপর সব ঝরা এক ফোঁটা স্বপ্ন ।
তুমিও হাসছো …
অবিকল অবিকল আমার স্বপ্নের  মতো শিহরণে।
.
জংলী পথ
মাইলফলকে তোমার পায়ের ছাপ, তোমার যাতায়াতের নির্দেশিকা।
শুধু মাঝে মাঝে, দু একটি প্রথাগত হত্যার মতো
আমার একেকটা দিন শুধু তোমায় ভেবে মৃতপ্রায়।
এলোপাথাড়ি শীতল হাওয়া আমার বার্তা নিয়ে হয়তো তোমার শহরে
দরজা খুলে যায়। 

ছায়া (৪)

ছায়া (৪)
............ ঋষি
=============================================
লম্বা হতে হতে ছায়াটা ক্রমশ চোখের আড়ালে
গতকাল কথোপকথন ,
নির্বাক বোধ ,ছলছলে চাহুনি,অসময়ের বৃষ্টি,অদ্ভুত তৃষ্ণা ।
সময় আজকাল শুধু আগামীতে থমকে আছে।
আর ভালো থাকাটা একটা অদ্ভুত যন্ত্রনা
জীবনটা কেমন ছোট হতে ,হতে বৃত্ত আবৃত অনাবৃত সময়।
.
নরম তুলোর বালিশ,লেপ ,তোষক সোহাগী আদর ।
ঘুম ভেঙে যায়।
বিছানায় উঠে বসি কোনো অনাবিষ্কৃত ছায়া
চরাচরে অজস্র মুখোশ থেকে উঠে আসে গোঙানির শব্দ।
মন খারাপ সামনে এসে দাঁড়ায়
তবু আগামীর আবিষ্কারগুলো কর্ণের জন্ম কাহিনী।
নিজের সাথে মানুষের সম্পর্ক
একই গুহার বাস করে একটা মানুষ আর তার ছায়া।
অজুহাত ছাড়াই যারা পাপ করে একে ,ওপরে
আর একটা ব্রিলিয়ার্ড খেলার টেবিলে  বলগুলো সব গড়িয়ে নামে নিচে 
সময় জিতে যায় কখনো ,আর কখনো বা মুখ কালো করে।
.
লম্বা হতে হতে ছায়াটা ক্রমশ হারাতে থাকে
বুকের ভিতর একটা ভয় আঁতকে ওঠে ,,,যদি ........
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও তুমি।
পাথর ছুঁড়ে মারি, মাপতে চাই ছায়াটা তারপর হয়তো ছবিটা।
যাতে মৃত্যুর আগে আমার মতো কেউ
নিঃশব্দে একদিন চিঠি আর ছবি দিয়ে যায় তোমাকে।




মুক্তি

মুক্তি
................ ঋষি
===================================================
দ্বাদশ শতাব্দীর কোনো সাহসী প্রেমিক প্রশ্ন তোলে
ভালোবাসা কি ?
উত্তরটা আকাশ বাতাস হাতড়াতে হাতড়াতে একরাশ ধোঁয়ার মতো
সময় আঁকড়ে জুলুজুলু চায়।
ভালোবাসা !
সময়ের অনুভবে বারংবার বদলানো শব্দ।
.
সে যুবক তার প্রেমিকার ঠোঁট আঁকড়ে বলে
ভালোবাসি। প্রশ্ন করে প্রেমিকাকে।
প্রেমিকা হাসে ,আর হাসে ,শেষে বলে এই যে তুমি ভালোবাসা।
ছেলেটা বুঝতে পারে না
কোনো মন্দিরে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে
উত্তরে ঈশ্বর পাথর হয়ে যায়।
বোরো বিরক্তিকর
সে সময়কে প্রশ্ন করে একই। কিন্তু উত্তর আসে না
শুধু সময়ের ফলাফলে উঠে আসে বিষ ,
ভালোবাসা সময়ের সুখ ,শরীরের সুখ ,বলতে সুখ।
ছেলেটা যন্ত্রনায় কুঁকড়ে ওঠে
আকাশের দিকে চায় ,কতো গভীর ,
কতো  পথ ছেলেটা একলাহাঁটে  ভালোবাসার মানে খুঁজতে।
.
সমস্ত শতাব্দীর ইতিহাস ঘেটে উঠে আসে
ভালোবাসার মৃত্যু গাঁথা।
কিন্তু কি ভালোবাসা ,আকর্ষণ,একসাথে থাকা ,দায়িত্ব ,বিশ্বাস
অজস্র শব্দ গুলিয়ে যায় মাথা।
জানলার গ্রিলে একটা পাখি এসে বসে ,ছেলেটা প্রশ্ন করে
পাখিটা উড়ে যায় , ছেলেটা হেসে ওঠে। মুক্তি !

Tuesday, December 18, 2018

নির্যাতিত

নির্যাতিত
.......ঋষি
===================================================
এ এক নির্যাতক রাত
জন্মের ক্যামেরার লেন্সে ধরা পরে জন্মের মুহূর্ত
অনন্ত কোনো জন্ম  নিষ্প্রভ কান্না।
সে যেন বাইচুং ভুটিয়ার পায়ে অসামান্য ড্রিবলিং
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাস তুই
আর আমি না হয় ক্রস ফায়ারে আকাশের চাঁদে।
.
ফেনা শুকিয়ে অস্থি-নুন পড়ে থাকে
নুন গড়িয়ে নামে সময়ের ঘামে।
ঢেউ মিশে আছে
একটা আস্ত সমুদ্র, অথবা একটা মহাসাগরই বটে ।
মহাসংক্রমণের  হাসি,
হত্যা মহা পাপ ,অথচ আমি দৈনন্দিন নিহত অনন্ত যাত্রায়।
চকোলেটের  পুতুলের মতো মহাসাগরে গলে যেতে যেতে মনে হয়
সমুদ্রের লোনা  ঝাউবনের গন্ধ উষ্ণতায়।
নেমে আসছে আচ্ছন্ন ঘাম
বুকের কাপড়ে সুর্য আঁটোসাটো অন্তর্বাসের পালিত প্রসন্নতা। 
চামড়ার গঠনে চোখের রূপ  খুব গভীরে
বলতে ইচ্ছে করে এমন করে তাকাস না রাক্ষসী।
.
এ এক নির্যাতক রাত
বুকের স্যাকারিন বাড়তে থাকা সুগার লেভেল মধ্যস্থতায়।
 কফিমগের তলদেশে চামচের বেগ
ধোঁয়া ওঠে শরীর ,রোমকূপে লেগে থাকে প্রকট উচাটন।
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাস তুই
জড় আমি হঠাৎ উঠে বসি মাঝরাতে হাতড়ানো কালোতে।

কবিতার স্যিগনেচার

কবিতার  স্যিগনেচার
.... ঋষি
==============================================
শব্দগুলো সব কিলবিল করছে
পার্ক, গাছ, ছাতা, কুলফি,বড়রাস্তা ,চুমু ,নির্ভরশীলতা
শ্রেণীবদ্ধ শীতল বৃষ্টি , সব উথালপাথাল ঢেউ।
মেনু কার্ড, রোমান্সের দুপুর,কান ঢাকা টুপি
 ডেবিট   অভাব ,ক্রেডিট বাঁচা
পেট চুক্তি, নিরিবিলি ক্ষুদার্থতা  । 
.
শব্দ জুড়ে ক্রমাগত জাগলিং প্রেমিকার ঠোঁট ,উষ্ণ কফিকাপ
মাঝে মাঝে দূরে পথের দিকে তাকাই
রৌদ্রোহীন স্যাতস্যাতে একটা অনুভব শিরদাঁড়ায় ।
ছেঁড়া সিনেমার টিকিট, আইসক্রীমের কাঠি, আধাখাওয়া চুমু
সব পড়ে আছে, একইরকম।
সেলিব্রেশন, রেস্তোরাঁ, ইন্টারকলেজ   কম্পিটিশন
কন্ডোমের মতো পরিত্যক্ত প্ৰাক্তন।
স্নানঘরে বাস্পে ভাসা আবছা চোখ 
আর বোকার মতো চেয়ে থাকা , ঠকে যাওয়া এঁটো মাটির ভাঁড়।
.
শব্দগুলো সব কিলবিল করছে
আমরা যেমনই থাকি, টলমল পায়ে আন্তরিক দৈনতা।
নিতান্ত অভ্যেসেই, আমাদের দুর্বলতা
কবিতার প্রেমের পাতা । বইটা তোমারি 
আর আমার শুধু অনবরত স্খলনে নতুন জন্ম
তোমার কবিতার  স্যিগনেচার ।

Sunday, December 16, 2018

সময়ের নগ্নতা


সময়ের নগ্নতা
..... ঋষি
============================================
প্রিয় সান্নিধ্য থেকে সময় সরিয়ে নিলে
চোখে পরে খিদে।
ব্যস্ত ঝাপটারা তাড়া করে ফেরে দিনভর কোনো অছিলায়
ব্যস্ততার দুর্যোগে সান্নিধ্য নির্বাসিত।
আমরা বলি বয়স ,কেউ বলে সময়ের মতো রোগ খুব কম আছে
কিন্তু সময় বলে অভিশাপ।
.
তারপর রাত্রি
আরো গভীরে গেলে চোখের লেন্সে সরতে থাকা সময়ের ইচ্ছারা।
আমি বলি চল রাতের গভীরে খুঁজে আসি নিজেকে
রাত ছড়িয়ে পড়ে গভীর থেকে আরো গভীরে ।
ক্রমশ হারিয়ে যাওয়ার পালা শুরু
যেন আমাকে আর  কোনদিনও  ফিরতে হবে না ।
পালা বদল হবে না
 কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে ,কোনো মিথ্যা আভরণে ।
 রাত হাত বাড়ায় আরো গভীরে
চারিপাশে  কালো গড়িয়ে পড়ে নিজস্ব ভূমিকায় ।
 দেখতে পাই ক্রমশ  পূর্ণ হচ্ছে জীবন।
ঠিক যতটুকু জায়গা লাগে এই পৃথিবীতে দাঁড়াতে ,
ঠিক ততটুকু  জায়গা চাইছে জীবন।
.
প্রিয় সান্নিধ্য থেকে সময় সরিয়ে নিলে
খিদেরা তাড়া করে।
বিবস্ত্র রাত বাতিকগ্রস্ত হয়ে আড়াল খোঁজে
রতিক্রিয়া শেষে পোশাক খোঁজার মতন উপেক্ষা লেগে তখন ।
আসলে আমরা বলি সময় ,কেউ বলে পথ শুধু হাঁটতে থাকা
আর আমি বলি সময়ের নগ্নতা।

ফুলস্লিভ

ফুলস্লিভ
........... ঋষি
==================================================
কতদিন আর মেগাস্থিনিস ,
অনিয়মিত জন্মলিপি আর কতদিন ভালো লাগে ?
মাঝে মাঝে ফুলস্লিভ সোয়েটার গায়ে
উষ্ণতা খোঁজে গ্লিসারিন দিন ।
কখনোবা স্লিভলেসের গা বেয়ে পাশের বাড়ি শেফালিকে
ভালো লেগে যায়।
.
সত্যি বলছি
সাইকেলের স্কোপে লুকোনো দরিদ্রতা ,রাজপথে ভিড়।
আমারও তো এরোপ্লেন চড়তে ইচ্ছে হয়
কিন্তু আমার কোনো অ্যাটাচড্ ডানা নেই।
ঘাসের সংসার
দরজার কোণায় ঠেস দিয়ে রাখা ঝাঁটা ... ভোরের এঁটো বাসন-কোসন...
হারিয়ে যাওয়া রেডিওতে ভোরের চিত্রহার ...
ভাবতে থাকি শুধু।
 ............. যেমন  হারানো চিচিং ফাঁক ছিঁড়ে পাখির উড়ে যাওয়া
কয়েকটা স্লিপিং ট্যাবলেটে  লং মার্চ ডিসেম্বরের পরিযায়ী
ক্রমশ দৈনতায় ভুগছে সময় ।
.
কতদিন আর মেগাস্থিনিস
অনিয়মিত মিলন আর কতদিন অসহ্য এমনি?
এতদূর পৌঁছোনোর পর এবার বরং জীবনের ঘড়িতে আটটা
হ্যালো তুমি শুনতে পারছো তো ।
অ্যাটাচড্ কল্পনায় থ্রি বি এইচ কে সংযোগে তুমি থাকো
এতে অন্যায়টা কি ?বাঁচায়।  

Saturday, December 15, 2018

কলকাতা উনিশ


কলকাতা উনিশ
........ ঋষি
===============================================
অনন্ত নিয়ে কি ভাবছো এখন ?
...................... সদ্য ঘুম ভাঙা সুখ কলকাতা উনিশে।
উনিশ। .... দেখতে দেখতে
পেরিয়ে আসা আনন্দ শহর রজঃস্বলা সম্বল।
কি ভাবছো সদ্য ঘুম থেকে বেরিয়ে আসা ক্যালেন্ডাররে সংখ্যা
নতুন শুরুর খবর। ...পৌনঃপুনিক।
.
এটা  শব্দমুখর শহুরে কবিতা
প্যারফেক্ট  ট্রেন্ডস বলছে সম্পর্কের শুরুতে মাধ্যাকর্ষণ আসক্তি।
নিঃসঙ্গতা নিয়ে তুমি কী ভাবছ আজকাল?
শহর বাড়ছে ,বাড়ছে কবিতায় আটকানো প্রেমিক মুখগুলো।
সংস্কৃতি চর্চায় বইমেলা গুটিয়ে গর্তে
আর প্রেম শুধু আজকাল বইয়ের পাতায় হাজারো শর্তে।
মানুষ বাড়ছে কলকাতা উনিশে
জনপ্রপাত নেমে আসছে পাহাড়ি ঢলে ,পদ্মার আদরে।
কলকাতা বাঁচতে ভুলছে
যেমন আমার বারন্দায় ম্যানিপ্ল্যান্ট আজ বিশাল বৃক্ষ।
লাল ,নীল ,সবুজ পার্টি সমাবেশ
হাওয়া বদল তবুও মৃত্যু নিয়মিক কলকাতা।
.
অনন্ত নিয়ে কি ভাবছো এখন ?
............................ সদ্য ঘুমিয়ে পড়া ঝলমলে রাজপথ।
আশা করি তুমি ভালো আছো
আমিও বেশ আঠারো পেরিয়ে আমার উপলব্ধি কলকাতায়।
আশা করি তোমার আগামী ক্যালেন্ডার অনন্ত হবে
আর নতুন খবর।  ...পৌনঃপুনিক। 

Wednesday, December 12, 2018

অন্যগ্রাফি


অন্যগ্রাফি
....... ঋষি
===========================================
জীবিত জিরোগ্রাফি
সঙ্গম থেকে শেখা জন্তুগুলো হায়না  হতে পারে
কিংবা হতে পারে তোর ঠোঁটের অশ্লীল শিল্প।
শিল্পীর মর্যাদা গেঁথে দেওয়া পেরেক দেওয়ালে
পেরেকগুলো আওয়াজের মর্যাদা বোঝে না
দেওয়াল বোঝে।
.
ছায়ার সাথে বেঁচে আছি
আলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে গেলে ছায়া সঙ্গ।
কিন্তু অন্ধকারে
যেখানে আলো পৌঁছয় না সেখানে অন্ধকারই থাকে।
শব্দগুলো বড় শারীরিক
আরো শারীরিক অন্ধকারে স্বপ্নে দেখা মাতোয়ারা তুই।
এসময় দাবা খেলা যেতে পারে
ভাবা যেতে পারে পাথরকুচি পাতার সমীকরণ ,
কিন্তু শান্ত হচ্ছে কি সমুদ্র।
তোকে ভাবলেই সমুদ্রেও আগুন বৃষ্টি হয়
বাতাস এখন শীত ছাড়া কারও কথা শুনছেনা।
আমি কি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে
প্রাকৃতিক হয়ে যাচ্ছি কিংবা ছায়া সঙ্গী।
.
জীবিত অন্যগ্রাফি
পরীদের আমি উড়ে যেতে দেখেছি ,কিন্তু তুই
শুধু ঘোড়া চালাচ্ছিস তৃপ্তির শৃঙ্গারে।
পাহাড় শৃঙ্গে ভূমিকম্প,সারা পাহাড় বেয়ে নোনতা ঝর্ণা
গড়িয়ে নামছে তোর গোড়ালি বেয়ে
তুই নুপুর খুঁজছিস আমার বুকে পাগলের মতো।

ম্যাও (২)

ম্যাও (২)
.......... ঋষি 
===============================================
অন্ধকারে বসে মাছ ধরছি 
বছর ফেরত ক্যালেন্ডারের পাতায় স্যান্টাদাদু। 
মোমবাতি রকমারি ,নরম গরম কেক ,তোমার জিভেসর স্বাদ 
ক্রমশ সেন্সর বোর্ড উত্তপ্ত। 
তোমার শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে ,শুধু রক্ত 
এক গ্লাস আমার শরবত হতে পারতো। 
.
ইশ কি করে বলিস এমন 
একটা গোলপানা চাঁদ ,কচুরিপানার জলায় শীতের  শিশির
অন্ধকার মৈথুন। 
জোনাকির আলো আর সমস্ত ঝিঁঝি সমবেত গানের আবদার 
ক্লাসিক ওয়েস্টার্ন ,এক দু পেগে। 
ক্লিভেজে আঁকা ঢেউ তোলা সমুদ্র ,ভিজে যাচ্ছে তোর সাদা রং 
ক্রমশ লোমশ আদরে বিড়ালও ম্যাও বলছে। 
পাখি ঠোঁট রাখছে পাখির ঠোঁটে ,নখ ঘষছে বিড়াল 
আর উপেক্ষা করতে পারছে না,
ভিজে যাওয়া শীতের বিকেলে অন্যমনস্ক বায়ুস্কোপ।  
বিড়ালীর প্রেমের ডাক 
সঙ্গমে মাতোয়ারা ,মুখ ঘষে চলা তোর স্তন বৃন্তে 
দাঁতের দাগ ,
দুধ উঠলে পড়ছে। 
.
অন্ধকারে বসে মাছ ধরছি 
বছর ফেরত অপেক্ষা সুদিনের ,বড়দিনের ,যৌতুকে মোড়া শহর। 
মেমোরি গেম.রঙিন কার্ড ,চকোলেট ঠোঁটে আগামী শুয়ে 
সেন্সর বোর্ডে আবেদন রকমারি। 
তোমার শরীরে উত্তপ্ত ঘামে চটচটে নোনতা 
গড়িয়ে নামছে আমার বুকের  আগুনের পোড়া দাগে।  

ডাইনোসোরসের ডিম


ডাইনোসোরসের ডিম
.............ঋষি
=======================================
সন্ধ্যের কুয়াশার আস্তরণ এখন বোধহয় তোর শহরে
ফিরোজা চোখ ,রঙিন লেন্স।
জানিস চলন্তিকা কাল একবার চশমা পড়েছিলাম
রঙিন চশমা।
পৃথিবীটা কেমন বদলে গেলো
আর তারপর চশমা খুলতেই পৃথিবী সমহিমায়।
.
আগন্তুক  রশ্মি
থ্রিডাইমেনশনাল ফেটে বেড়িয়ে  আসছে ডাইনোসোরস।
যেন ডিমফুটে জন্মানো সদ্য প্রেম
এত রাগ ,এত খিদে ,এত অভিমান ,সর্বোপরি অদ্ভুত রূপ।
অদৃশ্য স্কিনে খড়ি টানি
শৈত্য প্রবাহ ,শিড়দাঁড়ায় টনটনানি  ,ভয়ার্ত চিৎকার।
রোম খাড়া করা অনন্যতা
কাঁচের ভিতর জলের দাগ ,অতীত খুলে খেলে অন্যমনস্কতায়।.
লুকোনো হাত বাক্সে ছড়াছড়ি আদরের
কৃপণ সময়ের দরজায় বিনুনি দোলানো তুই।
তোর ক্লিভেজে বুনে চলা সেদিনকার গল্প
একটা রেশমি সন্ধ্যা আগুন জ্বালানো ফায়ারপ্লেসে অসহায়তা।
এতটুকু গল্পের ভিতর প্রাগৈতিহাসিকতা
সবটাই ডাইনোসোরসের ডিম।
.
সন্ধ্যের কুয়াশায় শব্দরা পা ফেলে হাঁটে আমার শহরে
এলোমেলো ঝোড়ো হাওয়া তোর গল্প।
জানিস তো চলন্তিকা কাল সারাদিন আমি একলা ছিলাম
নিজের ভূমিকায়।
পৃথিবীটা শুধু সাদা শাড়িতে মোড়া মৃত দিন
আজ কেন লাল শাড়িতে বিপ্লবের রঙে। 

.

বাফারিং

বাফারিং
........... ঋষি
==========================================
নেট খুলছে না
ক্রমাগত বাফারিং ,সময়ের পর্দায় বিরক্তি নাকের ডগায় 
কেমন একটা অতৃপ্তি মহিমায়।
অনিবার্য কারণে আপনার সমস্ত সময়সীমায় অসুস্থি
বিপদজনক সংশ্লেষ
আচ্ছা একটা রিটার্ন বাটন  যদি জীবনের থাকতো।
.
পড়ার টেবিলে ইতিহাসের বই
অথচ শৈশব পালানো সেই দিনগুলো তখন অন্য খোঁজে।
মায়ের গায়ের গন্ধ ,বাবা অফিস ফেরত ভঙ্গি
কেমন বড়োদের ইচ্ছা অনর্গল।
আমার মধ্যে শৈশব আজও মায়ের পাশের শুয়ে চাঁদ  দেখে
দেখে না অন্ধকার গোত্রীয় চাঁদের রং।
বড়ো  হওয়ার দুরন্ত গতি চাঁদ হারাবার গল্প
সে সব থাকে স্মৃতির আধুলিতে।
তবু মাঝে মাঝে টস করে ফেলি আধুলিটা
জীবন চায় শৈশব  আর শৈশব চায় আরেকটু বড়ো হতে।
ঘুম ভাঙে অতীতচারী বর্তমান
আসলে আমার মতো সকলেই বিরক্তিতে।
.
নেট খুলছে না
ক্রমাগত ঘুরছে জীবন ,শৈশব ,যৌবন ,বার্ধক্যে
কেমন একটা সাজানো সার্কুলেশন।
প্লিস চেক ইউর ব্যাল্যান্স ,বাংলায় জানতে এক
অনবরত  চর্বন
আচ্ছা একটা ডিলিট বাটন যদি জীবনের থাকতো। 

তামাশা

তামাশা
............ ঋষি
===============================================
রোজনামচায় মানুষ কাঁদে
শূন্যে ভাসতে থাকা ক্যালেন্ডারের পাতার সাক্ষী
ঠিক  কজন মানুষ সত্যিকারের হাসে।
সভ্যতা থেকে শেখা
প্রাচীন হরপ্পার পোড়া দেওয়ালেও ভ্রূকুঞ্চন
সাক্ষীরা সব ভৌগোলিক।
.
তামাশায় মত্ত পৃথিবী
অন্ধকারে আচ্ছন্ন শুকনো মাটিতে ভিজে পায়ের ছাপ।
সময় বিবর্ণ
বিবর্ণতার দিনলিপি রোজকার মানুষের মুখের হাসিতে কালসিটে।
আমি তো দুর্বলতা দেখি মানুষের মুখে
দেখি ভয়
প্রত্যহ ঘুম ভাঙা চোখে মানুষের হারাবার শোক।
অস্ত্রের ঝলক ,যেখানে হত্যার গান
খুব সাধারণ নিউজ ফিল্টারে উঠে আসা যোনি মৃত্যু ,
ছায়া ,ছলনায় দুলতে থাকা মানসিক দুর্যোগ।
নগ্ন সময় ,নগ্ন নারীত্ব ,নগ্ন মানসিকতা
সময় যদি পুরুষ  হয় তবে নারী আজ রকমফেরে  ধর্ষিত। 
.
রোজনামচায় সভ্যতা আকুতি করে
শাখা প্রশাখায় সভ্যতার হিংস্র হনন মানুষের।
ঠিক কজন মানুষ এখন বাঁচে
বাঁচে তো অনেকে পোশাকি সময়ের রঙিন আদবকায়দায়।
সময়ের চরিত্রলভি শকুনেরা জীবনের
বাঁচাটুকু খুবলে খায়। 

মৃত্যুর গল্প

মৃত্যুর গল্প
.............. ঋষি
================================================
মানুষের একজীবনে অজস্র মৃত্যু
আর মৃত্যুর শবগুলো একলা শবঘরে সারিবদ্ধ।
যেগুলো শুধু সাক্ষী নিজের একলা পথচলার
অজস্র উত্থান ,পতন লেখা দিনযাপন।
নির্ভরশীলতা
কোনো আসমানী রঙের মারিয়ানা খাত।
.
আমরা যতবারই নিজের স্বপ্নের মধ্যে মরি
ঠিক ততবার জীবনের গ্যাসবেলুনগুলো হারিয়ে যায় গভীরে।
জঙ্গলের ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসে ডোরাকাটা চিতা
রক্ত চুষে নেয় ,তবু হাসতে থাকা।
আমৃত্যুর সংযম
প্রেমের আঘাত ,পরীক্ষায়  ফেল ,আগুনের সংসার ,কর্মহীনতা
প্রত্যেক মৃত্যুর মধ্যে একটা ব্যাপার কমন
মৃত্যুগুলো শুধুমাত্র নিজেদের।
বাদবাকি পাড়াপড়শিরা শুধুমাত্র সময়ের মুখ
আসলে মানুষ গল্প পড়তে ভালোবাসে
মৃত্যুটার বাঁচতে নয়।
.
মানুষের একজীবনের অজস্র মৃত্যু
সাক্ষী জীবনের বোঝাপড়ায় অজস্র ঝরতে থাকা মুহূর্ত।
প্রেমিকের হাসি ,বুক হারানো ভালোবাসা
সব মনে থাকে মৃত্যুর যন্ত্রনায় ,অথচ মানুষ সংযমে।
আপাদমস্তক
সময়ের রঙিন জামাকাপড়ে সাজানো বাঁচা।

Monday, December 10, 2018

শীতকাল

শীতকাল
...... ঋষি
===================================================
সন্ধ্যের আলোগুলো ক্রমশ জ্বলে উঠছে
আমার নাগরিক আলাপ আমার স্বত্ব ছেড়ে ক্রমশ অন্ধকারে।
শীতের পূর্ণিমা
ক্রমশ পাকতে থাকা চুলগুলো আরো আলাপি।
অনায়াসে পরিণত হওয়া
আমার  নাগরিক স্বত্বা নিয়মব্যাপী অপেক্ষায়।
.
 যতটা এক নিশ্বাসে।যতটা বিশ্বাসে
অপূর্ব  এক  দৃশ্য।
চারিদিকে  এত  আলো
এত  আলো তুমি এলে  মনে  হয়  পৃথিবীর  সব  অন্ধকার খসে পড়ছে।
অথবা
তুমি আর আমি সেই অন্ধকারের  মৃত্যু
যার  উৎসব  চুঁইয়ে  পড়ছে সারা মহা আকাশ  জুড়ে।
যে  স্পর্ধাগুলি  তুমি  আমার  বলে  চেনো
তার  প্রভা  আমাদের  গল্পের  ভিতর চিৎ  হয়ে  শুয়ে  ওই আকাশে।
একা মধ্যরাতে এরপর নিরাকারের চোখ খুললো আজ ও
নক্ষত্রমন্ডল তোমার মতোই অসীম।
.
সন্ধ্যের অন্ধকার ক্রমশ আরো অন্ধকারে
আমার নাগরিক স্বত্বও  ধীরে ধীরে লুপ্তপ্রায় শেষ হওয়া একটা দিন।
আসন্ন  রাত্রি গণ্ডি থামিয়ে ক্রমশ রূপান্তরিত  যাযাবর
এখন আর কোনো প্রতিমা গড়ার কাজ নেই আমার। শীতকাল।
আমার মধ্যে তোমার জন্ম কেক
মোমবাতির আসর। আগুন নিভে যাচ্ছে। হাততালি দাও।



নষ্ট স্বপ্ন

নষ্ট স্বপ্ন
............ ঋষি
===============================================
উড়লেই কেউ কেউ স্বপ্ন নষ্ট করে
নষ্ট কোরকে পুড়ে যায় ধ্বংস মানুষের শহর।
সবাই শহর বলতে শুধু মর্ডান ,ফ্যাসনিয়িস্ট বাসস্থান বোঝায়
আমি বোঝায় অসরল কৃত্রিমতাকে।
.
মানুষেরা  কখন যেন কাঠের গাছ খোঁজে
খোঁজে কাগজ।
কাগজ বানাতে বানাতে কখন যেন বানিয়ে ফেলে কাগজের নৌকো
ডিঙি নৌকো ভাসতে থাকে সরল স্বপ্নে।
কিন্তু ওই যে নষ্ট স্বপ্ন
স্বপ্ন ডুবে যায় অতল গভীরতায় মানুষের কৃত্রিম শহরে।
গত সাইত্রিশ বছর ধরে
আমি ভাবছি ওই বোধহয় পর্দা সরিয়ে দাঁড়িয়ে আমার মা।
কিন্তু মা আসে ,আবার চলেও যায়
অথচ আমার নষ্ট ছেলে বেলা ছুঁয়ে যায় না।
ইস্কুল ফেরত সেই কাগজের উড়োজাহাজ আজও আমার স্বপ্নে
অথচ মা কেন নেই স্বপ্নে।
.
উড়তে উড়তে আমার নষ্ট স্বপ্নরা
আজকাল ক্রমাগত কাটাকুটি খেলে আমার শহরে।
সবাই শহর বলতে একটা সিস্টেমেটিক ব্যস্ততা বোঝায়
আর আমি বুঝি অন্তঃশ্বাস শূন্য বেঁচে থাকাকে।

Saturday, December 8, 2018

শৈল শোক


শৈল শোক
................. ঋষি
==================================================
বুক ফুঁড়ে জল উঠছে অতল থেকে
তুমি বালতি ভরছো তোমার সাজানো বাগান সাজাবে বলে।
হাতের সাথে হাত আটকে বলছো
ভালোবাসা এমন হয়।
সবুজ পাতারা জানে শুকিয়ে যাওয়ার মানে
অথচ তুমি কত সহজে সবুজ সাজে।
.
শীতের সময়
বাতাসের রুক্ষতায় কোনো শৈল শহরের শোক ছুঁয়ে আছে।
তুমি টিলার উপর সেই মেয়ে
যে আমার বুকে পা দিয়ে শৈল শহরের সূর্যের সুখ নিচ্ছো।
সুখ গড়িয়ে নামছে আমার বুকে
আরো বরফ জমুক ,আরো শীতল হোক আমার শহর।
অ্যানাস্থেশিয়া ভেসে যায় বুদবুদে
দূরে দেখা সূর্যটা তোমার চোখে বেশ একটা উষ্ণতা।
অথচ নির্জন ফায়ারপ্লেসে আমার শব্দরা পুড়ছে
পুড়ছে একটা চেনা মুখ।
বুকের পোড়া ঘাসগুলো চিনিয়ে দিচ্ছে দূর,বহু দূর
কোন রূপলী শৈল শোক।
.
বুক ফুঁড়ে জল উঠছে অতল গভীর
তুমি সেই গভীরতায় মুখ রাখো ,তোমার ঠোঁটে কফি কাপ।
ঠোঁটের সাথে উষ্ণতা ছুঁয়ে যায়
আসলে ভালোবাসলে এমন হয়।
শুকিয়ে যাওয়া সময় জানে তৃষ্ণার্ত বুকের কথকতা
অথচ তুমি কত সবুজ চিরকাল ,সেই মেয়ে। 

খিদে


খিদে
...... ঋষি
==========================================
যে মানুষটাকে কাঁদতে নেই
যার লালা থেকে অপরাহ্নে শুধু অনবরত কোলাহল।
যার সারা শরীরে লুকোনো ক্ষতগুলো সাক্ষী
যা দৈনন্দিন প্রচারিত গুডমর্নিং রেডিও ফ্রীকোয়েন্সিতে।
শুধু তাদের জন্য এই প্রসারণ
শুনতে থাকুন ,সুস্থ থাকুন ,সদা সতর্ক থাকুন।
.
মানুষের খিদেতে লেগে থাকা অন্ধকার
আকাশের চাঁদে আঁকা জীবনানন্দ ক্রমশ ব্রাত্য এই শহরে
শুধু  তো কবিতাই  লিখতে চেয়েছিল লোকটা।
"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা "
শুধু শব্দের প্রেমে পাগল লোকটা পরম যত্নে লিখতে চেয়েছিল প্রেম
নিঃশব্দে ঝরতে থাকা শিশির সকালের সবুজ ঘাসে।
অনুরোধ তারও ছিল
পাতারা ঝরে যেতে রাজি হচ্ছিল  না।
গড়িমসি করতে থাকা সবুজ স্পর্শরা কিছুতেই ছুঁতে পাচ্ছিল না
আর লোকটা ভালোবাসি লিখতে লিখতে মরেই গেলো।
মরেই গেলো সময়ের অসহ্য়  দাহে
"অতিদূর সমুদ্রের’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা ”।
.
যে মানুষটাকে কাঁদতে নেই
তার  বুকের ঘামে লেগে আছে সময়ের কান্না।
যার হৃদয়ে লুকোনো শহরে শান্তি হাঁটতে চায় জাতকের হাত ধরে
যা দৈনন্দিন প্রচারিত মানুষের বাঁচতে চাওয়ায়।
শুধু তাদের জন্য এই প্রসারণ
বাঁচুন ,আরও বাঁচুন কারণ মৃত্যুর পর  জীবনানন্দ আর  লিখে যান নি। 

জোকার


জোকার
.... ঋষি
================================================
এইটুকু যথেষ্ট নয়
অপেক্ষা ,
নিরিবিলি শেষ নিঃশ্বাসে উঠে আসে জীবন।
আর এতটুকু যথেষ্ট নয়
ব্যস্ততা
সময়ের ব্যাটন নিয়ে প্রতিযোগী উঠে যায় অলিম্পাস পাহাড়ে।
.
লোক হাসছে
কিছু এসে যায় না কোনোদিন আমার।
তোমার আলোকিত থাকার তকমাটা মোটেও মিথ্যা  নয়
তুমি হাসতে পারো ,কারণ তুমি বাঁচতে শিখে গেছো।
না  থাকার কাছে
অথচ বুকের ভিতর একটা যন্ত্রনা আরো একাকী।
তুমি স্মৃতির গভীরে
কুয়াশার আস্তরণে আমার গোধূলি ,বেশ লাগে
পড়ন্ত বিকেলের আলোতে তোমার লুকোচুরি।
এখন আমার  নিঃশ্বাস এত শীতার্ত
 ধর্মপ্রাণ বাতাসেরা জানে ইচ্ছের ফুসফুস আজ বরফ
আর খুঁজে পাওয়া যায় না বাঁচার তাগিদ ।
শহরের ধুলো
আর কাল রাত  পেরিয়ে রবিবার
তুমি ,আমি জীবিত এখনো ।
.
এইটুকু যথেষ্ট নয়
অভিমান
নিরিবিলি কোনো অবকাশে রাট জাগা চোখ।
আর এতটুকু যথেষ্ট নয়
মুহূর্ত
নিজেদের বেঁচে থাকাটুকুও ভাগ করতে হবে জোকারের নাটকে।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শারী পড়ি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল,...