Sunday, July 30, 2017

বেজন্মা


বেজন্মা
............ ঋষি
=================================================
শৈশবের তৃষ্ণা
নিরন্তর জন্ম ,ভাষা ,দেশ সাক্ষী।
কোনো শৈশব গুঁড়িয়ে যদি তৈরী করে সভ্যতার তাজমহল
তবে সেই সভ্যতাকে  ধিক , সেই রাষ্ট্রের আগামী মৃত্যু এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
সময় কখনো অপেক্ষা করে নি
কিন্তু এই সময় মানুষকে দেখিয়ে যায় নিজের রূপ পরম্পরায়।

কি বেশ নাম ছিল ছেলেটা
লালু ,আমাদের পাড়ায়  ,পাড়ায় এমন লালু হাজারো আছে।
যার মুখে লেগে থাকে শৈশব থেকে শেখা খিস্তির বহর
যাকে এই সমাজ বেজন্মা বলে চেনে।
কি করে বাড়তে থাকে এরা ,কোথায় এদের জন্ম ,কে পিতা ,মাতা
এ সব প্রশ্ন এই সভ্যতায় নিরর্থক।
কারণ সবাই জানে ,পত্রপত্রিকার দরবারে হাজারো সভ্যতার কলম চিৎকার করে
চিৎকার করে আমাদের সমাজের কোনায় কোনায় এমন হাজারো জন্ম।
তবু এরা জন্মায়
কারণ জন্মানো একটা নিয়ম একটা রীতি।
তবু এরা বাঁচে ,এদের মৃত্যু আছে ,কিন্তু পরিচয়
এই সভ্যতার এরা ভীষণ অপ্রয়োজনীয় ,অদরকারী এক ঘটনা।

লালু এমনি এক নাম
যার জন্মের সাথে সে নিজেকে খুঁজে ফিরেছে প্রতিদিন রাতে।
প্রতি রাতে নেশা করে পাড়ায় খিস্তাখিস্তি ,চিৎকার ,মাতলামি
পৰ জ্বালিয়েছে।
আমার তোমার মতো যারা তাদেরই কেউ তাকে শাসন করতে গেছে
সে চিৎকার করে গালাগাল করেছে।
পাড়ার  ক্লাবে প্রতিটা পুজোতে বোকার মতো খেটেছে
পার্টি বদলের সময় কোথাও বন্দুক ,কোথাও মারামারিও করেছে।
বদলের খিদে বুঝলেন
একটা তৃষ্ণা ,একটা জ্বালা বুকের ভেতর আমৃত্যু বয়েছে।
হ্যা সে মারা গেছে
কাল রাতে একটা বুলেট তার সমস্ত জ্বালাকে নিভিয়ে দিয়েছে।

শৈশবের তৃষ্ণা
একটা বেজন্মা উপাধি ,রক্তের ভিতর খুঁজতে চাওয়া পরিচয়।
আমরা শুনতে পাই নি সেই চিৎকার,সেই বুক ফাটা হাহাকার
কারণ আমরা সামাজিক ,আমাদের ভোটারকার্ডে আমাদের পরিচয় আছে।
কিন্তু হা রাষ্ট্র এমন কিছু শৈশব ,এমন কিছু কচি হাত আজও হাতড়াচ্ছে
আজও খুঁজে পেতে চাইছে পরিচয় এই সমাজের রীতিতে। 

ফটোফ্রেম


The primitive fault of the relationship is just like the glass, once it breaks away from the clutter, it is forever,,,,,,,,,,,,,
ফটোফ্রেম
........... ঋষি
===========================================
পেন্সিল দিয়ে আঁকার খাতায় এক মনে আঁকিবুঁকি
মোম পেন্সিল এক মনে ঘষে চলেছে মেয়েটা।
সে আঁকছে তার মাকে ,তার বাবাকে কিন্তু নিজেকে সে বসবে কোথায়
কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না এক চার বছরের শিশু ,সে কোথায় ?
এই প্রশ্নে কোনো  শৈশবের ধ্বংস হতে পারে না
কারণ শিশুটি জানে না এই সমাজ ,এই দেশ ,এই সম্পর্ক শুধু ভেঙে যায়
কিন্তু একসাথে থাকাটা খুব কম ফটোফ্রেমে মানায়।

মেয়েটা ছুটে যায় তার মায়ের কাছে
মা বাবা কোথায় ?
মেয়েটার মার্ তখন অফিসের তাড়া ,শাড়ির আঁচলের শেষ ভাঁজটা দিতে দিতে বলে
আমার এখন মরার সময় নেই ,যা কাজের দিমাকে জিজ্ঞেস কর।
সেই মেয়েটা ছুটে যায় তার দিমার  কাছে ,একই প্রশ্ন করে সে
তার দিমা ভাতের গরম হাঁড়িটা নামাতে নামাতে বলে ,আমার হয়েছে যত ঝক্কি।
একরত্তি মেয়েটার কথা মা ,বাবা কেউ ভাবলো না গো
তার থেকে আমার গ্রামের বাড়ি ভালো ,ওখানে এমন হয় না গো।
সেই চার বছরের শৈশব তখন অবাক চোখে প্রথিবীর দিকে চায়
প্রশ্ন করে নিজেকে সে কোথায় ?

মা চলে যায় চাকরি করতে সকালে রাতে ফেরে যখন মেয়েটা ঘুমোয়
তার বাবাকে সে দেখেনি বহুদিন।
শুধু রাতে শোয়ার সময় সে মা ,বাবা আর তার পুরোনো একটা ছবি
বুকের কাছে জড়িয়ে শোয়।
তাকে সময়ের কোনো কাকিমা একদিন প্রশ্ন করে
এই তোর বাবা কোথায় রে ?
মেয়েটা অবাক চোখে সেই কাকিমার দিকে তাকায়
কেন জানি সেই কাকিমা তাকে কোলে তুলে বলে এমন মোমের মতো মেয়ে
বাবা ,মা কি করে পারলো ?
মেয়েটা কিছুতেই বুঝে উঠতে  পারে না এই সবের মানে।

এখন সেই মেয়েটা হোস্টেলে থাকে
পেন্সিল দিয়ে আঁকার খাতায় আজ মেয়েটা নিজেকে আঁকছে ,
একটা কুড়ি বছরের মেয়ে আজ  খুব ভালো করে বোঝে ডিভোর্সের মানে।
সে একবার ফিরে সেই পুরনো  মা ,বাবা আর তার পুরোনো ফোটফ্রেমটার দিকে তাকালো
তারপর হঠাৎ দেওয়ালে ছুঁড়ে চুরমার করে দিলো ছবিটা।
সে আবার খুব মন দিয়ে নিজেকে আঁকছে ,অসম্ভব সুন্দর মোমের মতো দেখতে
কিন্তু কিছুতেই বাবা ,মার্  মুখটা আর মনে করতে চায় না সে। 

চেনা গল্প

Recognized stories, strangers we find ourselves everyday We live with some unknown questions because society is not guilty, some hidden fears of guilty people........

এই গল্পটা আটপৌরে কোনো শহরের কথা
হতে পারে একটা অঞ্চল ,একটা গ্রাম ,একটা গলি খুঁপচিতে বাড়তে থাকা যাতনার কথা।
মেয়েটা জানতো না  সময়ের সাথে থাকে সহবাস করতে হবে
মেয়েটা জানতো না সময় মেয়েটাকে নষ্ট করে দেবে।
এই গল্পটা আমার তোমার প্রতিদিনকার চেনা গল্প
এই আমার আমাদের হৃদয়ের করুন পরিণতি আর লজ্জার গল্প।

.
সেদিন বৃষ্টি পড়ছিল
বৃষ্টি তো পরে নিয়ম মাফিক ঋতু মেনে কিংবা কোনো দুর্যোগের রাতে বিদ্যুৎ সহযোগে।
পাড়ায় হঠাৎ নিভে গেলো আলো
এমন তো প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে কিংবা নিয়মিত আলো নিভে যায়।
গৃহস্থ বধূ ,এক সন্তানের মা
বাচ্চা ছেলেটা অসময়ে এই অন্ধকারে ভয় পেয়ে মা মা করে ছুটে এলো.
এটা নিয়মিত তোমার আমার চেনা
শৈশব থেকে মাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাঁচার তাগিদে।
কিন্তু তারপরের ঘটনা আমাদের স্তম্ভিত করে
দু চারটে  মদ্যপ ক্লাবের ছেলে দরজায় ক্রমাগত আঘাত করে।
নিয়ম মেনে বধূ দরজা খোলে
কি বৌদি এমন বৃষ্টির দিন একটু চাটা খাওয়াও।
সমাজের বধূ যেমন বলে মেয়েটা তেমনি বলেছিল বাড়িতে কেউ নেই
পরে এসো ভাই।
.
হঠাৎ সেই মদ্যপ জন্তুগুলো দরজা ঠেলে ঢুকে পরে
এই সময় আলো এসে যায়।
বাচ্চা চার বছরের ছেলেটা চিৎকার করে ওঠে তার মাকে কেউ যেন ছিঁড়ে খাচ্ছে
তারপর যা হয়।
পরের দিন খবরের কাগজে একটা খবর প্রকাশিত হয়
ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণ ,ধর্ষিত সকলে এলাকা ছাড়া পুলিশ খুঁজছে
সেই গৃহস্থ বধূ  আপাতত কোনো সরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
তার পরে খবরটা খবরের কাগজে লেখে নি
ছেলেগুলো পার্টির ছেলে তাই সেই গৃহস্থ বধূর স্বামীর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।
সেই সামাজিক  স্বামী সাহার্য্য প্রার্থী হয়ে পুলিশের কাছে যায়
যায় সমাজের উচ্চ কিছু সামাজিক বংশের কাছে।
সকলে তাকে বলে যা হবার তা তো হয়ে গেছে ,কিছুটা বদলাবে না
যদি ভালো থাকতে চাও কেসটা তুলে নেও,কিছু টাকা দিচ্ছি।
 .
এই গল্পটা আটপৌরে হলেও কোনো একটা সময়ের কথা
এই গল্পটা কোনো শহর ,গ্রাম ,অলিগলি ছাড়িয়ে মানুষের কিছু অন্ধকারের কথা।
মেয়েটা জানতো না যে সে এই ভাবে নষ্ট হয়ে যাবে
মেয়েটা জানতো না তার স্বপ্নের একটুকরো সংসার এই ভাবে ভেঙে যাবে।
সেই মেয়েটা এখন কোনো পাগলাগারদে দিন গুনছে বাঁচার আশার
আর আমরা এই গল্পটাকে সাক্ষী মেনে অপেক্ষা করছি পরের একটা গল্পের।
....
......Rishi
================XXXXXXXXXXX====================

Saturday, July 29, 2017

পাগল কবি

পাগল কবি
........... ঋষি
================================================
কোনো এক উজ্বল দিনে
তুমি চলন্তিকা পড়বে আমার এই কবিতা।
সেদিন পৃথিবীর আলোয় গতির মতো কিছু বদলাবে
বদলাবে ঘড়ির কাঁটায় মানুষের চাওয়া ,পাওয়া আর ইচ্ছা।
 সেদিন বোলো না, আমাকে তুমি খুঁজে পাওনি কোথাও
স্মৃতিতে তো মানুষ আরো প্রকটভাবে কাছে থাকে।

আমি থাকবো না
আমার প্রতিটা কবিতার পাতায় তুমি তখন সময়ের মতো গতিশীল উপস্থিতি।
আমি থাকবো না
আমার প্রতিটা চিৎকারে থাকবে মানুষের ক্ষতের পুড়ে যাওয়া উপস্থিতি।
তুমি থাকবে সেদিন
আজকের মতো সবুজ হয়ে চলন্তিকা কোনো জীবিতের মনে।
তোমাকে মনে করে কবিতা লিখবে আমার মতো কেউ
শুধু আমি থাকবো না।
এই শহরের বাতাসে আমার মতো কোনো কলম অনবরত আঁচড় টানবে
এই সময়ে ফুটে উঠবে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ সাদা পাতায়।
আমার কবিতা আমি জানি তুমি সেদিন পড়বে
কারণ কবিতা সময় লেখে ,লেখে চিত্রপট ,মানুষের অস্তিত্ব সময়ের চিৎকার।
কবিতা চিরজীবী মানুষের উপস্থিতি দাগ
মানুষ কবিতা লেখে কিন্তু কবিতা অনবরত সময়ের মানুষকে উপস্থিত করে

আরো হয়তো বছর তিন ,চার কিংবা তার থেকে দু চার বছর বেশি
আমি থাকবো না চলন্তিকা কিন্তু আমার কবিতার তখন জীবিত।
উজ্বল কোনো আগামী শরতে আমার কবিতার নীলচে শাড়ি
তোমার হাতের চুরিতে রিনিঝিনি বাজবে।
আমার মতো কেউ সেদিন তোমার প্রেমে তোমাকে লিখবে
তুমি বলবে পাগল কবি কোনো নিরিবিলি বিকেল বেলা। 

আদরের কবিতা

আদরের কবিতা
............. ঋষি
==========================================
তোর জোড়াভুরু ,কাজল টানা চোখ
তোর গভীর উত্তপ্ত  নিশ্বাস ,তোর বুকের ভাঁজে চেনা গন্ধ।
তোর ঠোঁটের কোনে তিল ,তোর বুকের খাঁজে আদর
তোর কান ,তোর ঠোঁট।
পাগল হচ্ছি আমি ,আরো গভীরে চোখের জল
ভেসে যাওয়া নোনতা স্বাদ আর তুই কোনো আদরের কবিতা।

আরো গভীরে কোনো ছুঁয়ে যাওয়া
দুমড়ে মুচড়ে ওঠা বুকের অলিন্দে ক্রমাগত একটা ছায়া ছায়া নেশা।
নেশা গভীর হয় ,আরো গভীর রাতে
ইচ্ছেরা পাগল হয় ,হয় তৃষ্ণার্ত কোনো শুকিয়ে যাওয়া নদী।
হাত আঁচলা করে গড়িয়ে নামা জল
লিখতে লিখতে বর্ষার মাতাল নদীর ধার  ধরে একলা হাঁটতে থাকি।
সামনে নিশুতি রাত ,বাইরে মাতাল বৃষ্টি
তোর গন্ধ দূরত্ব ছাড়িয়ে আনমনে কোনো খোলা আকাশে আশ্রয় খোঁজে।
দুকূল ছাপিয়ে যায় গভীর নিশ্বাস
হৃদয় পেরিয়ে চলে যায় কোনো মোহনায়।
ওই তো তুই
আমার তৃষ্ণা নদী ,আমার মাতাল বুকে গড়িয়ে নামা ঘাম।

তোর অনন্ত পথ ,তোর ঠোঁটের লিপস্টিক
তোর খোলা বুক ,তোর নিতম্ব ছুঁয়ে মেঘলা কোনো রাত।
তোর ঠোঁটের কোন দাঁত ,তোর বুকের পাঁজরে আমি
ধুকপুক ,ধুকপুক চেনা শব্দ।
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি ,ভেসে যাওয়া ইচ্ছা প্লাবনে
বুকের কাছে তুই সোঁদা মাটির ভিজে গন্ধ। 

বৃষ্টিকালীন উপন্যাস

বৃষ্টিকালীন উপন্যাস
........... ঋষি
===================================================
অনাবিল কোনো মেঘলা দিন
আমার এই কবিতা চলন্তিকা আজ থেকে বহুযুগ পরে।
একান্তে পড়ে চলেছে কোনো যুবক
একান্তে খুঁড়ে চলেছে নিজেকে অনাবিল মেঘলা বেলায়।
তোকে নিজের করে পাওয়াটা একটা আলপনা
যা জীবনে ভূমিকায় উৎসবের কোনো নতুন ইশারা।

কবির কলমে ছুঁয়ে থাকা প্রেম
কোনো বৃষ্টিকালীন উপন্যাসের মতো তোর হৃদয়ের গন্ধে বিভোর।
তোর শরীর ছুঁয়ে গড়িয়ে নামা সবুজ কচু পাতার জল
শুধু টলমল তোর ওই চোখে।
আমি জীবন লিখতে গেলে আজকাল শুধু চিৎকার শুনি পায়ের তলায় ফোস্কা
কোনো সাধারণ মানুষের মতো রোজনামচায় নামটা পড়ি
এক এক কে এক ,দুই এক দুই ,,ক্রমাগত ,,,অবিরাম।
কিন্তু আমার মাঝে ঘুমিয়ে থাকা প্রেমিক
যে রোজ নিয়ম করে তোকে ছুঁয়ে লিখে চলে আগামীর কোনো বৃষ্টিকালীন উপন্যাস।
তার শেষটায় তুই দাঁড়িয়ে থাকিস
আমার ভীষণ চেনা কোনো বৃষ্টি দিনে একলা থাকার মতো।
আমি ভিজি তোর সাথে নিয়ম করে স্বপ্ন ঘোরে 
তোর শরীরে তখন আমার গন্ধ।

অনাবিল কোনো মেঘলা দিন
আকাশ চুঁয়ে নেমে আসা বৃষ্টি  ফোঁটাগুলো তীরের মতো বেঁধে।
চোখের ক্যানভাসে ক্রমাগত এবড়োখেবড়ো একটা ছায়া
খুব দূরে কোনো অস্পষ্ট মুখ পরিষ্কার হতে হতে তুই হয়ে যাস।
আমার হৃদয় আনন্দ গেয়ে ওঠে " দূরে কোথায় দূরে দূরে "
আমার মন বেড়ায় গো ঘুরে ঘুরে "।  আমার অসমাপ্ত বৃষ্টিকালীন উপন্যাস। 

Friday, July 28, 2017

আদিম আখ্যান

আদিম আখ্যান
............ ঋষি
===============================================
তোকে চুমু খেলে আমি অসামাজিক হবো
বেশ তো।
তোকে স্পর্শ করলে এই সমাজ আমাকে অস্পৃশ্য হাওয়ায় নগ্ন করবে
বেশ তো।
তোকে একবার কাছে পেলে যদি চলন্তিকা
আমি নষ্ট  পরিচয় হই তবু আমি রাজি।

আমার বাঁচার লোভ
বুকের কালসিটেতে লেগে থাকা যন্ত্রণার আজ মুক্তি চায়।
খোলা আকাশ
তোর খোলা বুকে কোনো আশ্রয়ের আদিম সুখ।

আমার বাঁচার লোভ
হৃদয়ের বারান্দায় দাঁড়ানো অপেক্ষার গন্তব্য চায়।
তোর মৃগনাভি
তোর আদিম কোনো আখ্যানে আমি একা থাকতে চাই।

আমার বাঁচার লোভ
কোনো সময়ের দরজায় তুমুল দুর্যোগ বড় একা লাগে
তোকে ছুঁতে চাই
অন্তত মরবার আগে একবার একটুঁ বাঁচার জন্য।

তোকে চুমু খেলে মেঘলা বিকেলে বৃষ্টি
বেশ তো।
তোকে স্পর্শ করলে একলা দাঁড়িয়ে নিজের ভিতরে দুর্যোগ
বেশ তো।
তোকে একবার কাছে পেলে যদি চলন্তিকা
আমার নষ্ট এই কবিতা ,নষ্ট আমি তবু রাজি।

আমি সেই নারীকে চিনি


আমি সেই নারীকে চিনি
............ ঋষি
======================================================
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে রোজকার সমাজে শুধু সাজানো সম্পর্কের নামে সকলে সোহাগ করে ।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে সমাজ রাত্রের বিছানায় পুরুষের ভোগের পিন্ড করে।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে সময় রাস্তায় দাঁড় করিয়ে খিদের বদলে ধর্ষণ করে।
.

আমি পুরুষ তাই শুধু সেই নারীকে চিনি
যাকে আমার সংসারের ভিতরে বাইরে সমান প্রয়োজন।
আমি সমাজ  তাই শুধু সেই নারীকে চিনি
যাকে  ছাড়া এই সভ্যতা শুধু মৃত্যুমুখী ,ধ্বংসের আয়োজন।
 আমি পুরুষ  তাই শুধু সেই নারীকে চিনি
যাকে সময় কালো বলে বিয়ের পিঁড়িতে প্রত্যাখ্যান করে ,করে বিসর্জন।

আমি সেই নারীকে চিনি
যার পড়াশুনা বন্ধ করতে হয় অন্য ভাই বোনরা পড়বে বলে।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে নিয়ম করে ফেয়ারনেস ক্রিম মাখতে হয় জোর করে সুন্দরী হতে হবে বলে।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে তার প্রেমিক ভালোবেসে তার সাথে শুধু  শুতে চায় কিংবা শুতে বলে।

 .
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে কন্যা ভ্রুন রূপে এই সমাজ বারংবার হত্যা করে।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে  সমাজ তার ছত্রছায়ায় কারণ কিংবা অকারণে  নিয়মিত ধর্ষণ করে।
আমি সেই  নারীকে চিনি
যাকে সমাজ  শৈশব গুড়িয়ে জোর করে হঠাৎ নারীর আদলে আদর করে।


আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে শ্বশুর বাড়ির গঞ্জনা শুনতে হয়।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে সংসারের চাল ,আটায় নিয়মিত সিঁদুর পড়তে  হয়।
আমি সেই নারীকে চিনি
যাকে সন্তান পালন করতে নিজের ইচ্ছেদের বলি দিতে হয়।

আমি সেই নারীকে চিনি
যার কান্নার শব্দ আজ বহুযুগ শুধু নিয়মিত মৃত্যু আঁকা ।
আমি সেই নারীকে চিনি
যার অস্তিত্ব শুধু পুরুষ আর পুরুষের তন্ত্রের নিয়মিত বীর্য মাখা ।
আমি সেই নারীকে চিনি
যার ইচ্ছা বলে কিছু নেই ,সবকিছু শুধু সাজানো  আয়নায় রাখা।



সম্পর্ক

সম্পর্ক
.................. ঋষি
=============================================
কিছু সম্পর্ক শেষ হয়েও শেষ হয় না
কিছু সম্পর্ক সাথে থেকেও শুরু হয় না।
শুধু ভাবনারা ভাসতে থাকে
সম্পর্কের ফাঁকে লেগে থাকা সুক্ষ অভিমান ,অব্যক্ত যন্ত্রনা।
দূরে থেকেও কাঁদতে থাকে
..................................... কিংবা হাসতে।

কিছু সম্পর্ক মানুষকে দেবদাস করে দেয়
কিছু সম্পর্ক মীরার মতো একলা থেকে যায়।
কিছু সম্পর্ক মায়ের মতো না ফোঁড়ানো হয়
কিছু সম্পর্ক পিতার মতো সাবধানী হয়।
সম্পর্কের সুক্ষ তারটা কোথাও বিনাসুরে  বাজে
কোথাও বা সুরের মূর্ছনায় নিজেকে বড় একলা  লাগে।
সম্পর্কের আদিম কারবারে মানুষ সম্পর্ক গড়ে
আবার অদ্ভুত নিয়ম মানুষের মানুষ সম্পর্ক ভাঙে।
কিছু সম্পর্ক সাথে থেকেও পাশে থাকে না
কিছু সম্পৰ্ক পাশে থেকেও সাথে।
কিছু সম্পর্ক ঘুড়ির মতো আকাশের ওড়ে
কিছু সম্পর্ক কোনো নাম ছাড়াই আঁকড়ে মরে।


এ এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ মানুষের হৃদয়ের
শুধু মানুষ সম্পর্কের খোঁজ ,,,একলা না থাকার কারণ।
শুধু হৃদয়ে আঁকড়ে বাঁচে
সম্পর্কের ফাঁকে লেগে থাকা বালিশ দূরত্ব অন্ধকার হাতছানি।
মানুষ কাঁদতে থাকে হাসি মুখে
...........................................তবুও সম্পর্কে বাঁচে। 

Thursday, July 27, 2017

আগুনের হাতছানি

আগুনের হাতছানি
.... ঋষি
========================================
যে চোখে জীবন আগুন হয়ে জ্বলছিল
আজ সেখানে অপেক্ষা।
মেঘ ভাঙা দেহ ,তোর নীল আকাশি শাড়ি কোনো নিবেদন
গোলাপি ঠোঁটে লেগে থাকা বিষন্নতা।
আমি ও চোখে মৃত্যু দেখেছি
তাই তো মরি সর্বনাশা কোনো বাঁচার নেশায়।

এই ভাবে একদিন পথিক পথ চলতে
তোকে ছুঁয়ে যাওয়া আমার অন্য কোনো দিনে।
তুই রাগ করিস ,তোর অভিমানী ঠোঁটে পুড়তে থাকে হৃদয়ের চিতা
ও চোখে আগুন জ্বলে।
জ্বলে মৃত্যুর মতো কোনো না দেখা দেশের হাতছানি
তাইতো  মরি সর্বনাশা কোনো বাঁচার নেশায়।
বারংবার কোনো মেঘলা দিনে বৃষ্টি গড়িয়ে নামা আতংক বুকে
আমাকে ভেজায় ,ভেজায় শহরের দিন রাত।
এখন বৃষ্টি মাস
ওচোখে আমি হৃদয় দেখেছি।
দেখেছি কোনো রুপোলি জ্যোৎস্নার আদলে ভেসে যাওয়া সময়
তাই তো আমি আদরে ভেসেছি
কোনো অজানা আগামী সন্ধ্যায়।

যে চোখে জীবন আগুন হয়ে জ্বলছিল
আজ সেখানে কোনো বিষন্নতা।
বৃষ্টি রুপি কোনো ছদ্মবেশে তোর চোখের কাজলের কালি
লেগে গেছে আমার চোখে মুখে।
আর তোর চোখে আমি মৃত্যু দেখেছি
তাই তো মরি সর্বনাশা কোনো বাঁচার নেশায়। 

Wednesday, July 26, 2017

আরো বৃষ্টি

আরো বৃষ্টি
,,,,,,,,,,, ঋষি
===================================================
চলন্তিকা
মেঘ করুক ,আরো ঝড় ,আরো বৃষ্টি
আবোলতাবোল হাওয়ায় ভাসুক আমার চলন্তিকা ।
আমি চাই
ভেসে যাক এই সময়ের সময়ের রূপ।
সব রং খসে ,মাটি গলে ,কাঠামোতে এসে দাঁড়াক সভ্যতা
নিয়ন্ত্রক প্রতিষেধক আরো বৃষ্টি চাই।
.
সবকিছু কেমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যাচ্ছে,
পড়ুক;
সবুজ আর নীল সে তো প্রকৃতি ঘেঁষা কোনো আবদারের উজ্বল স্পর্শ।
.
ভেসে  যাক সবটুকু- সময়, বন্ধু, চেনা অচেনা মানুষ ,লোকালয়,
বাস্তবতা, ভ্রান্তি, ঈশ্বর, ইচ্ছা, স্বপ্ন, বর্ণ, স্বর্গ, মর্ত্য-
 মাঝামাঝি বলে কিছু না থাকুক।
সময়ের এই পারে আর ওই পারে ,,দু পরেই আমি
চেনা আর অচেনা।
.
আমার অন্তরে
তুমি চেনা নাম ধরে অচেনা কোনো সময়ের দুরো যাত্রী,
হেঁটে বেড়াই আমি নাম পরিচয় , ঠিকানাহীন  কোনো অক্লান্ত অগস্ত্য যাত্রায়।
.
চলন্তিকা
মেঘ করুক ,,,আরো দুর্যোগের রাত আর সারা রাত বৃষ্টি
আবোলতাবোল ভাবনারা স্বপ্নের লেন্সে আজকাল খুব কাছে মনে হয় ।
আমি চাই
বৃষ্টি ভিজিয়ে যাক সময়ের চেনা আয়না।
সব রং খসে ,সব মাটি গোলে ,কাঠামোতে এসে দাঁড়াক সভ্যতা
নিয়ন্ত্রিত হিসেবে তখন না হয় শুরু করা যাবে আবার একটা জীবন।

আর এই নদী

আর এই নদী
............. ঋষি
======================================================
একের পর এক পাহাড়ি বন্ধন
তিরতির করে বয়ে চলা যদি জীবনের অনুর্বর ঢালে।
সুরমুগ্ধ আমি কান পেতে শুনি শুনশান বাতাসের শব্দ
যেন জীবন ফিস্ ফিস্ করে বইছে।
আর এই নদী
জীবন সমগ্রের পাতার পাতা না শেষ হওয়া আবিষ্কার।

আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী নই
নিজের ভিতর ঈশ্বর খুঁজতে খুঁজতে কোনো গোধূলি লগ্নে আবিষ্কার করেছি তোমাকে।
আমার প্রিয় দর্শন
দৃশ্যের বাইরে দৃশ্যগুলো মাটি চাপা দেওয়া মৃত নিশ্বাস।
আমি বাঁচতে চেয়েছি তোমার ঘুলঘুলিতে জমতে থাকা ধুলো ,ময়লা ,কালি হয়ে
এ জীবনে তো আর নদী হওয়া হোলো না।
আমি স্বপ্ন দেখি পাহাড়িয়া পথ পেরিয়ে কোনো সমতলে
কখনো ,কোনোদিন ,কোনো মুহূর্তে আমার শেষ।
মোহনায় তখন স্মৃতিমেদুর ঘোর
আমার তুমি আমার অন্তরে নিঃশ্বাসে সবুজ বাঁচা।

একের পর এক পাহাড়ি বন্ধন
পথ হেঁটে চলা দৃষ্টির বাইরে কোনো পাহাড়ি ঢাল বেয়ে।
ইচ্ছা ছিল নদীর মতো তোমাকে স্পর্শ করি
কিংবা তোমার মাঝে মিশে যাওয়া  মহাসমুদ্র বেঁচে নোনা সমুদ্রের জল।
বড়ো মিষ্টি তুমি ,তৃষ্ণা
আমার নোনা ঠোঁটে আজকাল তুমি লেগে থাকো। 

অনবরত বৃষ্টি

অনবরত বৃষ্টি
....... ঋষি
=========================================
কলমের নিবে যন্ত্রনা আটকে
এই শহরের বৃষ্টি মতো কিছু যদি তোমার মনে পরে
তবে মনে রেখো আমায়।
আজকাল দিনগুলো কেটে চলা কোনো অদ্ভুত স্বপ্নের আশ্বাস
একটা পথ শেষ হয়ে যদি অন্য কোথাও যায়
ঠিক সেখানে তুমি ভিজছো আমার মতো ,আমার কল্পনায়।

সময়ের অভাবে
তোমার চোখের পাতায় লোকানো মাত্রাগুলো শুধু পিরামিড দেখে।
আমার ত্রিকোনামিতির খাতায় নিয়মিত বাঁধন
বৃষ্টির মতো নিয়ম করে ,ঋতু মেনে তবে  শহরকে ভেজায়।
অনিয়মের ফসল
সময়ের মতো শহরে দাঁড়ানো এক হাঁটু জল।
তুমি নিয়ম মেনে এসো
ঘড়ির কাঁটায় তখন একের এক যুদ্ধকালীন ব্যস্ততা।
জীবনের কেন্দ্র বিন্দুতে একটা জীবন থেকে যায়
আর নিয়ম মাফিক সমদূরত্বে মানুষ ছুটতে থাকে শেষের জন্য।
মানুষের শেষ দরকার
একটা আশ্রয়
যেমন আমার তুমি আমার ভিতর অনবরত বৃষ্টি।

কলমে নিবে আটকে যন্ত্রনা
মনখারাপের শহরে ভিড় করে আসে একের পর এক মুখ।
সারা আকাশ জুড়ে সারি দেওয়া মেঘের
মেঘের ফাঁকে এক চিলতে হাসি।
আমার তোমাকে ভালোবাসতে হলে বৃষ্টির ভিজতে হয়
যে বৃষ্টিতে তুমি ভিজেছিল কাল বিকেলে একলা ছাদে।  

চিৎকার করো মেয়ে

Yet time to deal with this civilization, to stand up for your own honor, for the next generation, scream girl. .....
চিৎকার করো মেয়ে
........... ঋষি
================================================
চিৎকার করো মেয়ে
বুকের  বালিশের ভিতর সাদা তুলোগুলো বাতাসে উড়িয়ে দেও,
এই সভ্যতা দেখুক তোমার স্তনের সৌন্দর্য।
কোনো কামুক চোখ তোমার বুকের উপর খুবলে খাওয়ার আগে
পিকাসোর তুলিতে সভ্যতা সত্যি হোক
চিৎকার করো ,,জানাও উপস্থিতি ,,তুমিও যে আছো বেঁচে।
.
আগামী বীর্যের যে সন্তানকে তুমি পৃথিবী  দেখাতে চাও
তাদেরও চিৎকার করতে শেখাও।
সভ্যতার প্রাচীন স্তবকে লেগে থাকা তোমাদের মাতৃতন্ত্র  প্রতিষ্ঠা হোক
চিৎকার করো কোনো নারী সুলভ আদলে নয়
অসুর দলিনী মাতৃ রূপে।
তোমার উপস্থিতি সভ্যতার কালো অন্ধকারকে মলিন করুক
আগামী  নারীর চোখে জলে যাতে পুড়ে যায় এই সমাজের প্রাচীন বাঁধানো ভীত।
নড়ে উঠুক ঈশ্বরের প্রাসাদ
পুস্প বৃষ্টি আসুক ,এগিয়ে এসো মেয়ে দুষ্টদমনী রূপে।
.
তোমার রূপের ছটায় যে সভ্যতা তোমাকে রমণী করেছে করেছে যোনিজ আরাম
তোমার ধৈর্যের লিপিতে যে সভ্যতা তোমাকে ভোগ্য করেছে ,করেছে ধর্ষণ বারংবার  
ধিক্কার দেও ,চিৎকার করো ,পৃথিবী জানুক ,জানুক সভ্যতা
"আর নয়"।
তোমরাও শিখেছো অস্ত্রে ধার দিতে
তোমরাও পারো  রক্তমাখা নগ্ন শরীরে নপুংশক সভ্যতাকে হত্যা করতে ।
খুলে ফেলতে সামাজিক নথিতে বাঁধা প্রতিটা উপাচার,প্রতিটা অত্যাচারী মুখোশি পোশাক
জানিয়ে দেও তোমরা আর আশ্রয়হীন নও
এই সমাজ তোমাদের আশ্রয়ে প্রতিপালিত শিশুর আদলে।
.
চিৎকার করো মেয়ে
বুকের গভীরে লেগে থাকা কালসিটেদের অধিকার দিতে শেখো।
যে সভ্যতা তোমাকে পরাধীন করেছে করে তুলেছে নরম ,কোমল শরীর
তাকে সভ্যতার হাতিয়ার করতে শেখো।
জানাও সমাজকে তোমরাও মানুষ ,তোমাদেরও  মেরুদণ্ডে লেগে ঝাঁসির রানী
ইতিহাস বদলাবার সময় হলো ,,,,চিৎকার করো মেয়ে।

আমরা সমাজ বলি


You have to scream. To give gifts to the next generation by filing the fires of the protest in front of the time ,,,,,,,,,,আমরা সমাজ বলি
............ ঋষি
===================================================
অনুচ্চারিত শব্দ যোগ
আসলে শব্দ ফুরিয়ে গেলে মানুষ বড় অসহায়।
প্রাগৈতিহাসিক বর্ণমালা জুড়ে শুধু আঁকিবুঁকি দেওয়াল লিখন
গলার কাছে আটকে থাকা যন্ত্রনা গুমরে মরে।
.
আমরা কি তবে চিৎকার করতে ভুলে গেছি ?
.
আমরা নিরাময় নিরাময় চিৎকার করি
প্রেমের আগুনে শরীর পুড়িয়ে শরীরকে প্রেম বলে ধন্য করি।
যে মৃত্যুর কোনো কারণ থাকে না
থাকে সভ্যতার পুড়ে যাওয়া যন্ত্রনাদের নিরবধি অনুচ্চারিত অভিশাপ।
তাদের কেন যে প্রতিবাদ করতে পারি না
ফুটপাথে বসা পাগলিটা হতাশ ভাবে নিজের ফোলা পেটের দিকে চায়।
সেই শৈশব পড়তে চায়
সেই নারীশ্রেণী  যারা প্রতিদিন পেট ভরাতে শরীরকে ধর্ম করে নেয়।
তাদের কাছে এই খিদে গুলো ঈশ্বর
আমি অবাক চোখে দেখি একটা নিয়মিত অসামাজিক চর্চা।
" আমরা সমাজ বলি "
ধর্ষণ ,বধূ হত্যা ,নিত্যকার খবরের পাতা।
সবটা আমাদের সমাজ উপহার দেয়
আর কারণস্বরূপ বলা যায় আমরা সকলে সমাজ তৈরী করি।
.
আমি নারদ চিনি না ,মহর্ষি নারদ দেবকে চিনি
আমি সারদা চিনি না ,মহর্ষি রামকৃষ্ণদেবের স্ত্রী কে চিনি।
আমি চিনি না কোনো স্ট্রিং অপারেশন
আমি চিনি না কোনো ধর্মের নামে পার্টি অফিসের আলোচনার মন্ত্র।
আমার এই কবিতা তাদের জন্য নয়
যারা নিয়মিত মাথা নিচু করে পরাশ্রয়ী বেঁচে থাকা একটা শ্রেণী।
এই কবিতা তাদের জন্য
যারা সমাজ তৈরী করতে চায় আগত শতাব্দীর শৈশবের হাসির কথা ভেবে।
.
অনুচ্চারিত শব্দ যোগ
আসলে শব্দ ফুরিয়ে গেলে বুকের কাছে জমে থাকা দেখা বোবা কান্না চিৎকার করে।
যা এইসময় দাঁড়িয়ে প্রতিটা মানুষের হাতিয়ার
বেঁচে থাকা মানে শুধু খিদে নয় ,একটা পরিচয় সকলের নিজের নিজের কাছে। 

Monday, July 24, 2017

বৃষ্টি ফোঁটা

বৃষ্টি ফোঁটা
... ঋষি
===========================================
দৃশ্যের বাইরে ছুঁয়ে থাকা
বৃষ্টির জল জানলার কার্নিশ বেয়ে খুব নিয়মিত।
অত্যন্ত প্রবল দুর্যোগে
কোনো অক্লান্ত পথিক গন্তব্যের খোঁজে নিজের ভিতর।
তুই বৃষ্টি ফোঁটা ঘাসের উপর
আর সময় সে যে বৃষ্টির মতো ক্রমাগত এই সময়।

আমার আচ্ছন্ন দিনে
মেঘ ভার কোনো স্যাতস্যাতে বিকেল তোর দরজায়।
তোমার কলম ছুঁয়ে
আমি বেঁচে কোনো নদীর মতো বৃষ্টি ভেজায়।
আমি তো বেঁচে
চেনা ধুকপুকে লেগে আছে স্নেহের নির্যাস।
আমি  তো সেখানে
যেখানে কেউ নেই ,শুধু পথ তোর মতো আমাকে পথ বাতলায়।
তুই যদি বৃষ্টি সকাল বেলা হোস
আমি পরম যত্নে আগলে রাখা মেঘের ঘোর।
তুই যদি সময়ের শরীরে কালো তিল হোস
আমি তোর বুকে আদরে মাথা রাখা কোনো কবিতা।

দৃশ্যের বাইরে ছুঁয়ে থাকা
বৃষ্টি ব্যাকুল কোনো তৃষ্ণা আমার ঠোঁট ছুঁয়ে গড়িয়ে নামা।
অত্যন্ত নিরন্তর যুদ্ধ
যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় ত্রাণ পৌঁছে যাচ্ছে আশ্রয়ের কবলে।
তাই না আমি বাঁচছি ঘাসের মতো
আর তুই সেই সকালে আলোয় এক বৃষ্টি ফোঁটা হৃদয়ের। 

নিয়ামক

নিয়ামক
............ ঋষি
=================================================
জনতা আগুন চাইছে
গড়িয়ে নামছে সভ্যতার লোভ নারী শরীরে।
ভেদ করা কোনো বর্শা এফোঁড় ওফোঁড় করুক সনাতনকে
জ্বালিয়ে দেও ,,দেও পুড়িয়ে ,
চিৎকার উঠছে সভ্যতার বিভিন্ন প্রাঙ্গন থেকে মানুষের বোধের।

প্রতিটা মৃত্যুর কারণ
মানুষ মৃত্যুমুখী।
প্রতিটা হিংসার কারণ খুঁজতে গেলে বলতে হয়
মানুষ লোভী।
কিন্তু ধর্ষণ
সেও তো লোভ কোনো কামের।
যে সনাতনকে জ্বালিয়ে তোমরা ভাবছো অসুর বধ সম্ভব
কিন্তু মানুষের মনের অসুর ?
সে যে রক্ত বীজের ফোঁটা ,ক্রমাগত বাড়তে থাকা মানুষের মনের পাপ
রিপুদের ভিড়।
যদি সভ্যতার বদল করতে হয়
তবে অতিবশ্যই  মানুষের বদল দরকার।

আগুন চাইছে জনতা
চারিদিকে পুড়ছে ঘর ,পুড়ছে মানুষের মাঝে মানুষ।
বুকের আগুনে পুড়তে থাকা মানুষের মৃতদেহগুলো জমা করছে ছাই
উড়ছে আকাশে বাতাসে
জবাব দেও আর জবাব চাই ?

নিজের কাছে

নিজের কাছে
............. ঋষি
=====================================
নিজের মুহূর্তদের কাছে ফিরতে চাই
কোনো ভারী শব্দ নয়
এই সময় অসময়।

আয়নাভাঙা মেঘেদের ভিড় আকাশে
ঝরতে থাকা কোনো মেঘের শেষে বাড়ি ,অন্য কোনো গলি।
শহর থেকে শহরে বাড়তে থাকা আত্মীয়তা
নিয়তি গর্জন করে
বিদ্যুতের রেশ ধরে শিহরণ খেলে যায় শহর থেকে শহরে।

সংসার আর শাঁখা- সিঁদুর
তোমার জ্বালানো মোমবাতিতে চারিদিকে এত আলো.
দুই মলাটে লোডশেডিঙে
তোমার বাড়ির দরজায় এক হাঁটু জল।
কোলাহল
বাইরে বৃষ্টি অনবরত তোমাকে চাইছে।

ফাঁকা বাস -স্টপ ,প্রেমিকা  -মেঘ , ভুলে হয়ে যায় বানান
এই শহর খুব নিয়মিত ব্যস্ততায় আর এক হাঁটু জল।
এখানে নিয়ম ভাঙা মানে দরজা ভাঙা তুমি
এখানে রাস্তা পারাপার শুধু দরকার কোনো যাপনে।  
কিন্তু তুমি কোথায় ?
বৃষ্টি মাস আর রাঙা মাটির দেশ ,,স্পর্শের দরকার।



How many days?


How many days? The history of the people of shame and civilization is afraid of the future of any Sanatana .......
.


বৃষ্টি ভেজা দিন
সাড়ে তিন বছর আমাদের স্পর্শ করলো না।
বৃষ্টি পড়ছে কোনো নিয়ম না মেনে
সেই বৃষ্টির ফোঁটাগুলো সুঁচের মতো করে আমাদের শরীরে বিঁধে গেলো না।
এখন তো বৃষ্টি মাস যথারীতি
সেই মেয়েটার কথা আজ শুধু খবর আর খবরের পাতা।
.
নিয়ম বোধ
গড়িয়ে নাম সভ্যতায় পুরুলিয়া বলে ছোট্ট একটা অঞ্চল।
ছোট্ট একটা একরত্তি মেয়ে
যৌন বিকৃতি।
সারা শরীর জুড়ে অমানবিক তান্ডব এই নির্যাতন আর নির্যাতিতের  তফাৎ
সনাতন।
আমাদের সমাজ জুড়ে এই সময়ের  সনাতনদের ভিড়
মানুষের মাঝখানে বাঁচে ,ঠিক মানুষের মতো দেখতে ,মানুষরুপী।
এই খবর একবার না বারংবার
নানান আদলে সভ্যতার নগ্ন শরীরে আজ আতংক।
শৈশব গোঙরানো কন্যা ভ্রুন ,,নারী ,বৃদ্ধা ,, শুধুই যোনি
আর কিছু না  ?
কি পরিচয় ,কি উত্তর ,শুধু কিছুটা সমব্যাথী মানুষ
কিন্তু বেড়ে যাওয়া সনাতনদের ভিড়ে আমার তোমার মা বোন শুধু
" যোনি "।
প্রশ্ন চিৎকার করছে মানুষের অব্যক্ত গচ্ছিত সহ্যসীমায়
তার পর বন্যা।
.
বৃষ্টি ভেজা দিন
অঝোরে ঝরছে প্রকৃতি নিজের মতো মাটি ভেজানোর প্রচেষ্টা।
সৎকারের অপেক্ষায় সেই সাড়ে তিন বছরের মেয়ে
দিন গুনছে সভ্যতার আগুনে পুড়তে থাকা মানুষের মনুষত্ব ।
কিন্তু কত দিন এইভাবে ?
আগামী কোনো সনাতনের ভয়ে লজ্জিত মানুষ ও সভ্যতার ইতিহাস।
.
... ঋষি
###################################################



Thursday, July 20, 2017

সময়ের চিৎকার

সময়ের চিৎকার
........... ঋষি
========================================
চিৎকার করছি
রক্ত উঠে আসা সম্পর্কের কাঠগড়ায় ঈশ্বর দাঁড়িয়ে।
সামনে হুগলি ব্রিজ
একটা সরু নদী গ্রীষ্মের শুকিয়ে যাওয়া ফুরিয়ে ঋতুবতী।
বৃষ্টি  পড়ছে
আর সময়ের ক্যানভাসে আকাশের জলছবি মনে।

ওপারের বৃষ্টির খাইতে প্রেম ভাসছে
যোনাঙ্গ ছুঁয়ে  গঙ্গার জল আরো বেশি সত্যি হয়ে যাচ্ছে।
আলো ফুরোচ্ছে
দূরে কারখানার ভোঁ এক মুঠো কালি আকাশে ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে।
ব্যস্ত জীবন
একপাশে পরে থাকা অসংখ্য পুণ্যার্থী ডুব লাগাচ্ছে।
গভীরে কোথাও ঈশ্বরের কাঠগড়া
চিৎকার করছে নিজে ভিতর না খেতে পাওয়া সময়টা।
হাত জোড় করছে
বাঁচতে চাওয়া অলিখিত নিয়ম কানুন জেব্রা ক্রসিং শহরের।
জলে বেড়ে চলা জীবাণু
শহর আর মানুষ গুলিয়ে যাচ্ছে সূর্য ডোবায়।

চিৎকার করছি
জড়িয়ে ধরছি নিজের ভিতর তোমার মতো আমাকে।
তোমার ঠোঁটে জিভ ঘষে তুলে আনছি স্নেহ
মেঘ গুলো একফালি রামধনু এঁকে ঘরকন্না  হৃদয়ের।
সিস্টেমটিকে জীবনের  পাড়ে নৌকা ভিড়ছে
সব সম্পর্ক শুধু বিবেকের চিৎকার। 

রিখটার স্কেল

রিখটার স্কেল
....... ঋষি
====================================

একবার সময় ছোঁয়ার অভ্যেস
নিজের বিকিকিনি শরীরটা অস্তিত্ব নিরিবিলি সঞ্চয়
খুদার্থতা ,

দেশ থেকে গড়িয়ে নামছে স্বার্থ
অর্থের দরবারে বেড়ে চলেছে শস্য মূল্যের যোনিজ নির্বাণ
মানুষ সভ্যতার দূত ,

তোমার মতো করে ভাবলে গঙ্গাফড়িং লাফায়
জানলা জড়িয়ে গুড়ি গুড়ি আলোগুলো সংকেত দেয়
সময় ফোরাল আজ উৎসবের দিন।

খুঁজছে কিছু সময়ের পকেটে দুর্মূল্য হাতছানি
পেটে খিদে ,,পাচ্ছে না ভাতের হাঁড়িতে জমানো সঞ্চয়
সবটাই অভিনয়।

এতদিনে চিঠি লেখা স্বার্থক কবিতার অক্ষরে চলন্তিকা
শব্দরা সব চিঠি খুলে বাজারে ঘুরছে
বাজারি প্রেম নাকি নীতিসম্বল সভ্যতা।

চিতার শেষ গন্ধটা কাল ফোনে তোকে বলেছি ভালো আছি
আসলে পুড়ে গেছে ভেতর রিখটার স্কেলে আত্মার খোঁজ
নিরন্নতা দূরত্বের ফাঁকে অনাবিল তুই।

আবোলতাবোল পাতায় শুধু আজ কেমন ভালো না লাগা
পাতার শব্দরা খইয়ের  মতো ছড়িয়ে তোর নাভিতে
আর তোর গভীরে আমার জিভের নুন।

একবার সময় ছোঁয়ার অভ্যেস
তোর নগ্ন শরীরে পোট্রেরেটে তুলির টান কিছু স্পর্শ
তিল হয়ে যাক তোর হৃদয়ের।

Wednesday, July 19, 2017

দরজা খুলছে

দরজা খুলছে
............. ঋষি
================================================
সময়ের সাথে চুলে পাক
অ্যাকোয়াগার্ডের জলে শুধু কেমন একটা বেঁচে থাকা।
পয়গম্বর সম্বলিত জীবন মানুষের
ঈশ্বর প্রধান সময়ের সাময়িকী আজ পাতায় পাতায় শুধু খবরে।
উদযাপন চাইছে কোয়ালিটি ফেল সমাজ
শুধু কোয়ান্টিটিতে মেতে নিজেদের ফলাও মুখ দেখছে আয়নায়।

নিজেই গড়িয়ে যাই অবাধ্য ছায়াটির পিছনে
মানুষ দৌড়োচ্ছে ভূত সাবাড় কোনো অন্ধকার গলির ওপারে ম্যাজিকের খোঁজ।
আমাদের  ছেড়ে গেছে শান্তি বহুদিন
ডিকশনারির পাতায় ছোটদের শেখানো হচ্ছে শান্তির রিমিকি অ ,আ ,ক ,খ।
অন্ধকারটা নিভিয়ে দিয়ে সুইচ অন করা আলো কিংবা
আলোগুলোও…ব্রেইন ওয়াশ।
উপদ্রুত মগজ ছেড়ে রক্তকণা শিকারে চলেছে কোথাও ধর্ষণ কিংবা বর্ষণে।
খবর আছে ,খবর ছিল খবর থাকবে।
সিগারেটখোর  আমার মতো আঁতেলগুলো শব্দ সাজিয়ে  প্রতিবাদ বুনবে
বুনতে চাইবে মানুষের চোখে প্রেম।
দরজাটা খুলতে চাইবে আলোর
প্রতিবাদ জাগিয়ে নিশঃব্দেরা ছায়ার মতো জেগে উঠবে আশায় ।

সময়ের সাথে চুলে পাকা মানুষেরও
ছয় মিনিট সাত সেকেন্ড বাফারিং শেষে যদি দশ মিনিটে মানুষ জাগানো আশায়।
কলমের নিবে ক্রমশ লাল রক্ত ফোঁটা
মানুষের খুব কাছে ,ঠিক রংটা চিনবে যেমন চিনেছে রেনেসাঁসের আমন্ত্রণ।
এখন অপেক্ষা কোয়ান্টিটি প্রবন মানুষ
কতদিনে কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করতে শিখবে। 

ভিনদেশী তারা

ভিনদেশী তারা
............. ঋষি
====================================================
আমার রাত জাগা তারা তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
এই তো পরিচয়।
দরজার পর দরজা পেরিয়ে ভীনদেশী তারা একা রাতেরই আকাশে
সেই কল্পনায়।
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায়  আমার একলা লাগে ভারী
নিরন্তর তোমার পরিচয়।

ঠিক সন্ধ্যে নামের মুখে তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
কে জানে আর বোঝে ?
জীবন কোনো এক কাঁটা তারে জড়িয়ে নিজেকে পবিত্র রাখার শপথ
ঘরকন্যা এই কবিতায় আমি তোমার কথা বলছি।
মুখ লুকিয়ে কার বুকে তোমার গল্প বলো কাকে ?
অদ্ভুত না ,,স্বামী ,সন্তান আর নিজের দরিদ্রতা।
চাল ,ডাল ,আলু
এই তো আমি হাসছি দেখো সময় ,,সমাজ ,,,আর আমার বেঁচে থাকারা।
আমার রাতজাগা তারা তোমার  অন্য পাড়ায় বাড়ি
খালি রাস্তা ,,শুনশান কোনো আবদারে কিছুটা আলো তোমার চোখে মুখে
আমায় ভয় পাওয়া চেহারা আমি আদতে আনাড়ি  .
হাসছো জানি নিজেকে লুকিয়ে
কোনো সময়ের বুকে মাথা রেখে আমার এই কবিতা তোমাকে ছুঁয়ে।
আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি কিছু মিথ্যে বাহাদুড়ি
আমার চোখ বেঁধে দাও আলো দাও শান্ত শীতল পাটি।
ঠিক এইটাই তুমি চাইছো
আর আমি বাঁধছি আমার বিচ্ছিরি একতারা কলমের সুর তোমার সঙ্গে।

তোমার গায় লাগেনা ধুলো আমার দু'মুঠো চাল-চুলো
এই তো আমার মেদুরতা।
রাখো শরীরে হাত যদি আর জল মাখো দুই হাতে
এই তো আমার পবিত্রতা।
প্লীজ ঘুম হয়ে যাও চোখে আমার মন খারাপের রাতে
আমার ভিনদেশী তারা। 

শৈল প্রবাহ

শৈল প্রবাহ
.......... ঋষি
=============================================
অপাংতেয় নীতিকথা
এই পৃথিবীর আদরের সবটাই বড় বেশি আঁশটে।
আমি যদি এভারেস্টের মাথায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করি
স্পর্শ।
সে কি কোনো আব্দারের মতো ,কিংবা বরফের ঝড়ের মতো
মুহূর্তে শৈল প্রবাহ ,,,, নাকি জমে থাকা মনের শেওলা।

নিজেকে গোছাতে গোছাতে
অনেকটা সরবরাহ এই হৃদয়ের হাজারো ক্ষুদ্র উপকথা।
শিরা ,উপশিরার অনেক নীতিকথা
বেঁচে থাকার কষ্টরা কোন শিরায় থাকে তুমি জানো চলন্তিকা ?
আমি যদি মরুভূমির মাঝে তৃষ্ণা হয়ে বাঁচি
ওয়েসিসের খোঁজ স্বপ্নের ,,,,, সেও কি দুর্বলতা।
তোমার হাসিতে আমি জীবন দেখেছি
তাইতো সর্বদা চুষে খেতে ইচ্ছে হয় একের পরে সিঁড়ি ভাঙা উপহার।
তোমার চোখের কাজলে জ্বলে ওঠা দ্বীপ
নির্ভীক কোনো বাঁচতে থাকা ইচ্ছাদের প্রতিচ্ছবি সহমরণে।
পাগলামী  ছুঁয়ে যাওয়া বিকেলের আলো এভারেস্টের চূড়ায়
কেউ যেন চিৎকার করছে তোমার নাম ধরে।

পাংতেয় সেই সব কথা
চাবি হারানো তালাগুলো বড় বেশি কষ্টে থাকা আজকাল।
সুর ,তাল ,কানা সেই বাউলের একতারাটা
আকাশে বাতাসে চিৎকার জুড়েছে " স্পর্শ "
শুনতে না চাওয়া তোমার অভিমানগুলোকে আমি চিনি চলন্তিকা
মুহূর্তের শৈল প্রবাহ ,,,,,কে যেন ছুঁয়ে যায় আমায় শীতলতা।

৩৬৫ X ২৪

 ৩৬৫ X ২৪
......... ঋষি
===================================================
ধর্ম ধর্ম করে চিৎকার করছিস
চিনিস আমাকে ,আমি সে  যার কোনো ধর্ম নেই।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো আমি সে  যার কোনো জন্ম নেই
নেই মৃত্যু ,নেই বেঁচে থাকা।
শুধু সময়ের কারবারে হাতবদল হতে হতে কোনো অভিনয়
এক বেঁচে থাকার মন্ত্র ,,নিরন্তর ঈশ্বরের বাহক।
.
আমার মন্দির নেই ,আমার মসজিদ নেই ,নেই কোনো ঈশ্বরের চাবুক
আমার নেই কোনো প্রিয় নারী ,প্রিয় প্রেমের কবিতা।
শুধু শ্মশান সৌরভে জ্বলতে থাকা মৃত মানুষের গন্ধ
সারা শরীরে পুড়তে থাকা মানুষের অশিক্ষা ,মানুষের অস্থিরতা ,অসংখ্য বাঁচা
একটা পৃথিবীকে টুকরো করে মানচিত্রে ছুরি চালানো  ক্ষত বিক্ষত হৃদয়।
না আমার কোনো লোভ নেই
নেই শৈশব ,নেই বার্ধক্য,নেই যৌবন
আমার কোনো কাম নেই নেই কোনো নারী ঘেঁষা যোনিজ খোঁজ।
সর্ব পরি আমার কোনো রিপু নেই
মানুষকে ছুঁয়ে থাকা ,সেলাই করা যন্ত্রনাদের কোনো বীজ
আমাকে স্পর্শ করে না।
আমাকে স্পর্শ করে না ঈশ্বর ,আমার কাছে নেই ভূত ভবিষ্যত
শুধু চলতে থাকা আমার মন্ত্র ,,,,নিরন্তর ঈশ্বর আমাকে ছুঁয়ে।
.
বেঁচে থাকা নিয়ে শুধু যুদ্ধ করছিস
চিনিস আমাকে ,আমি সে  যার শুধু ইতিহাস আছে।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো মানুষের ইতিহাস মানুষ তো ক্রমশ ভুলে চলেছে
কিন্তু আমি ভুলতে পারি না আমার পথ চলা।
যে পৃথিবীতে আবর্তন ৩৬৫ X ২৪  হাতবদল শুধু ঘড়ির কাঁটা
,আমার স্পর্শ আছে ,,অনুভূতি  আর বেঁচে মানুষের থাকা। 

আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ

আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ
...............  ঋষি
=============================================================
সময় আমাকে তারিফ করতে শেখায় নি
তাই তো খুব সহজে বলতে পারি তোকে পেতে আমার তোকেও দরকার নেই।
কারণ স্পর্শগুলো সব আমার চেনা ধুকপুকের ভিতর শুধু তুই হয়ে বাঁচিস
কিন্তু তোকে চিনি আমি চলন্তিকা।
প্রতিরাতে কিছু জমা থাকা অনুভুতি ছড়িয়ে যায়  তটরেখা বরাবর
 জোয়ার এসে সময়কে টোকা মেরে   বলে যায়,, স্থায়িত্ব খুঁজোনা....  বেলাভূমিতে ঘর বাঁধলে
স্বপ্নেরা ভেসে যায়  আগলহিন স্রোতে।

কিছু ক্ষত মানুষের হৃদয়ের চিরবাসী
কিছু ক্ষত মানুষ নিজেরই সৃষ্টি মানুষের দুহাত দিয়ে আকাশ ধরার লোভ।
সমান্তরাল হেঁটে যাওয়া ওভারহেড তারে ফোঁটা ফোঁটা কিছু জল খানিক পথ সংগি
অনেকটা ভালোবাসা  মুহুর্তে বুনে ফেলা ইচ্ছার সামিয়ানা।
তার পর নিয়ম মেনে ঝরে যাওয়া... যেন জীবন কেবল  সময়ের ফোঁটা
তাই তো বলা আমার তোকে পেতে হলে আমার তোকেও দরকার হয় না।
ফুল গাছের টবে ঋতু ঘুরে যায়
সাবধানী বারান্দায়  নতুন কুঁড়িরা আসে খুশির মেজাজে।
আমার রবি ঠাকুরের সেই গানটা মনে পরে
আমার এই   পথ-চাওয়াতেই   আনন্দ।খেলে যায়   রৌদ্র ছায়া,   বর্ষা আসে   বসন্ত ॥
অদ্ভুত অনুপম কোনো তুইতে আমি বাঁচি চলন্তিকা
আমি জানি যেখানে সব শেষ ,ঠিক সেখানে তুই দাঁড়িয়ে আমার প্রতীক্ষায়।

সময় আমাকে তারিফ করতে শেখায় নি
দূর কোনো স্টেশনে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বাঁশীর রেশটুকু নিয়ে সুখের ঘরে ঘুম আসে নিশ্চিন্তে।
কারণ জানি আমি বেঁচে আর আমার ধুকপুকে একটা আস্ত তুই অপেক্ষায়
জানি শেষ ট্রেন চলে গেছে ,কিন্তু গন্তব্য এখনও ফুরোয় নি।
সময়ের প্রচ্ছদ থেকে চলে যায় সমস্তরকম ধারাবাহিক স্রোতেরা জীবিত যাপনের ব্যস্ততা
কিন্তু  ঈশ্বর বৃষ্টিছোঁয়ার দাগ কুড়িয়ে  অপাংক্তেয় কোনো কবিতায়
তোর মতো আমাকে ছুঁয়ে বলতে বাধ্য করে তোকে ছুঁয়ে দিতে আমার তোকেও দরকার নেই। 

দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর

দীর্ঘ চৌত্রিশ  বছর
.............. ঋষি
=====================================================
দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর পর
কাল সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে আমার শহরে।
চাঁদ তাই আবসেন্ট  ছাত্রের মতো হয়তো স্কুল পালিয়েছেন
আর আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমাকে খুঁজছিলাম চলন্তিকা।

দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর পর
সময়টা সংখ্যার নিরিখে কিংবা ক্যালেন্ডারের সময় ,ঘন্টা ,মিনিট ধরে কিছু কম নয়।
শুধু একটা পথ চলা ,নিয়মিত পথিক পাটিগণিত মেনে সামাজিকতায়
অনেকটা দীর্ঘ সফরের মধ্যবিত্ত ভেতো  বাঙালি নিজের সিলেবাসে ,
সংসার ,চাল ,ডাল, আটা..অভিজ্ঞতা সম্বল বেঁচে থাকা।
কাল সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে আমার শহরে
প্রতিদিনকার মতো সকালে কারখানার ভোঁ ,ঘুম ভাঙ্গানো পাখির ডাক।
তার মানেই তো আমি বেঁচে।
আর বেঁচে চলন্তিকা আমার ভিতর ,আমার ধুকপুক ,,,আমি সম্বল।
মেঘের ক্রোধে গর্জে ওঠে আলো ,ভাসতে থাকে অন্তবিহীন জল
জীবন ডাকছে ওরা প্রতি ধ্বনি  নিয়ে শৈশব পেরোনো যৌবন
আর স্মৃতিসম্বল।
দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর এক একটা দিন ,অজস্র রাত্রি ,অজস্র স্পন্দন
আমি আছি বেঁচে ,তুমি আছো তাই।

এখন প্রশ্ন কোন তুমি ,কে তুমি ?
স্বপ্ন দেখার শেষ যেখানে চলা শুরু রোজকার জীবন যাপন।
ঠিক কাটছে সময় চাঁদ উঠুক ,না উঠুক ,ভালো থাকি কিংবা না থাকি
কিছুই কি সময়কে আটকাতে পারে ,যা  দীর্ঘ চৌত্রিশ বছরে ঘটে নি। 

Monday, July 17, 2017

লংড্রাইভে ,,সুরঞ্জনা ,,নীরা ,,চলন্তিকা

লংড্রাইভে ,,সুরঞ্জনা ,,নীরা ,,চলন্তিকা
.......... ঋষি
================================================
নিরালায় কোনো বৃষ্টি মধুর দিন
চলতে থাকা পথ সময়ের হাত ধরে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
তোর নিরালায় হাতছানি
বৃষ্টি ভেজা আমার বাইকের গতিতে কাঁটা ভাঙা স্পিডমিটারের আতঙ্ক।
সময়ের তাপাঙ্কের ছোঁয়ায় গোধূলি ঢেউ
আছড়ে পরে তোর শরীরে গন্ধ ,,হাজারো কথন
শতাব্দী লুটিয়ে সময় ছোট হয়ে যায়।

জীবানন্দ ছুঁয়ে ফেরা
সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা : নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে।
এই কথন সেই কথন ভূমিকা বদলায়
সুনীলের নীরার প্রতি নিরালায়
এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই, শুধু তুমি, নীরা
এ কবিতার মধ্যরাত্রে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে
ঘুমের ভিতরে তুমি আচমকা জেগে উঠে টিপয়ের
থেকে জল খেতে গিয়ে জিভ কামড়ে এক মুহুর্ত ভাববে
কে তোমায় মনে করছে এত রাত্রে।

খিদের পৃথিবী থেকে মানুষের দূরত্ব
ভাতের সুবাস ,,,ফাঁকা হাঁড়ি।
ষড়যন্ত্রের মন্বন্তর পেরিয়ে মানুষগুলো হা ভাতে আমার গতির স্পিডমোমিটারে
খিদে বাড়ছে ,,ঘুম বাড়ছে ,,,বাড়ছে প্রেম শুধু রিমিকি স্টাইলে।
আমার বাইকের ফিফথ গিয়ার বৃষ্টি দৌড়োচ্ছে আমার পিঠে সময়ের এঘাৰ
আছড়ে পড়ছে জীবানন্দের সুরঞ্জনা ,,সুনীলের নীরা ,আর আমার চলন্তিকা
ছুঁতে চাইছে কবি ,,,লং ড্রাইভে শব্দদের নিরাপত্তা। 

বৃষ্টি মাস

বৃষ্টি মাস
........... ঋষি
=============================================
এখন কিছু লিখতে হলেই মনে হয়
দুয়ার খোলা কার্পণ্য।
তোকে লেখার অভ্যেসটা আমার চিরন্তন এক হাঁটা আমার শহরে
শহর যেখানে বৃষ্টিমুখর আকুলতা।
সেই বৃষ্টির দিনে তোর চলে আসা আমার কাছে
সারা সময় জুড়ে ঝরে পড়া জল অনেক কষ্টের পথ চলা।

শরীর এখন গাথা
নগ্নতার ক্যানভাসে আবরণ বড় স্থুল বোধ হচ্ছে সময়ের চাপানউতোর।
নীল জলে টুকটুকে ইচ্ছার মতো তোর নীলচে আবরণ
ভেসে যেতে ইচ্ছে হয়।
নুন্যতম লজ্জাবিহীন সময়ের দরজায় ভীষণ নগ্নই ঈশ্বর
বারংবার ঈশ্বর শব্দটা তোকে লিখতে আমাকে উচ্চারণ করতে হয়
কারণ ঈশ্বর কোনো অলীক সন্মান মানুষের সম্মোহনিক আবরণে।
প্রথম ঋতুস্নানের পর মেঠোপথ ধরে ফিরে আসা সেই অভিমানী
আমি স্বয়ং দাঁড়িয়ে আয়নায় দেখি তোর নিজেকে দেখার মতো
সরল সময়ের ইচ্ছারা উলুধ্বনি দেয়
তোর  আঁচলে বাঁধা ঈশ্বরের  শষ্যবীজ এই বৃষ্টি মাসে ।

এখন কিছু লিখতে হলেই
সময় গিয়ে দাঁড়ায় খোলা আঁচলের উঠোনে।
মনে হয় অন্ধকার সময়ের কাতরঘুম থেকে জেগে ওঠা  উত্তাপ
এ পৃথিবী কোন শুধু ঘুমন্ত কোনো কবিতার পাতা।
মনে হয়  উচুঁ নীচু মাঠ,সব দুরত্ব ,গলে গলে সমতল হয়ে যাচ্ছে
একটা ইতিহাস ,অভ্যেসটাকে নাম দেবার শেষ চেষ্টা আমার ভিতর।

চড়াই

চড়াই
............ ঋষি
==============================================
প্রকাশ্য দিবালোকে একটা হত্যা ঘটে গেলো
সারি দিয়ে পরে থাকা অন্ধকার স্মৃতির পাশে অন্য কেউ।
আজ ছায়া দরজা বিকেল দাঁড়িয়ে তার শেষ রৌদ্র নিয়ে
এই সভ্যতায় প্রেম লেখা থাকা মমতাজের সমাধিতে পাথরের গায়ে।
আর শরীর
সে তো মাটির তলায় পচা গলা আমরা।

কি যেন বলেছিল সময়
কান পেতে চুপিচুপি কতগুলো চড়াই আজ বুকের ক্যাবিনেটে এখান থেকে ওখানে।
কি জানিস
তোর কিছু এসে যায় না আমি আছি ,কি নেই ?
চড়াই ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ ,,,ভাবনার ডালে সাল। বছর। তারিখ।
রাগ আর অভিমানের মাঝে তফাৎ
আকাশ আর জীবিত চড়াই।
সময় আর অজস্র স্পন্দনের ভাবনার মোড়কে লুকোনো মুখ
শুনতে পারছিস
কি বলছে সময় ,,,আর চড়াই।

প্রকাশ্য দিবালোকে একটা হত্যা ঘটে গেলো
কোনো ষড়যন্ত্র নয় সময়ের তন্ত্রে সুপাচ্য কোনো অহমিকা।
আজ ছায়ারা দাঁড়িয়ে সারি দিয়ে শেষ বেলায়
আমি মুক্ত চড়াই শুধু উঠোন থেকে উঠোনে খুঁজি খিদে।
এই সভ্যতার প্রেম সে তো দেরাদুনের শীতের অত্যন্ত গরম কাপড়
যা কলকাতায় এখন আলমারিতে সাজানো।

............ ঋষি
==============================================
প্রকাশ্য দিবালোকে একটা হত্যা ঘটে গেলো
সারি দিয়ে পরে থাকা অন্ধকার স্মৃতির পাশে অন্য কেউ।
আজ ছায়া দরজা বিকেল দাঁড়িয়ে তার শেষ রৌদ্র নিয়ে
এই সভ্যতায় প্রেম লেখা থাকা মমতাজের সমাধিতে পাথরের গায়ে।
আর শরীর
সে তো মাটির তলায় পচা গলা আমরা।

কি যেন বলেছিল সময়
কান পেতে চুপিচুপি কতগুলো চড়াই আজ বুকের ক্যাবিনেটে এখান থেকে ওখানে।
কি জানিস
তোর কিছু এসে যায় না আমি আছি ,কি নেই ?
চড়াই ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ ,,,ভাবনার ডালে সাল। বছর। তারিখ।
রাগ আর অভিমানের মাঝে তফাৎ
আকাশ আর জীবিত চড়াই।
সময় আর অজস্র স্পন্দনের ভাবনার মোড়কে লুকোনো মুখ
শুনতে পারছিস
কি বলছে সময় ,,,আর চড়াই।

প্রকাশ্য দিবালোকে একটা হত্যা ঘটে গেলো
কোনো ষড়যন্ত্র নয় সময়ের তন্ত্রে সুপাচ্য কোনো অহমিকা।
আজ ছায়ারা দাঁড়িয়ে সারি দিয়ে শেষ বেলায়
আমি মুক্ত চড়াই শুধু উঠোন থেকে উঠোনে খুঁজি খিদে।
এই সভ্যতার প্রেম সে তো দেরাদুনের শীতের অত্যন্ত গরম কাপড়
যা কলকাতায় এখন আলমারিতে সাজানো।

সাহেব ,বিবি ,গোলাম

সাহেব ,বিবি ,গোলাম
......... ঋষি
============================================
চারিপাশে ঝরছে আলো
অতঃপর মরতে চেয়েছি বহুবার তোমার পায়ে মাথা রেখে।
চারিপাশে শুধু নীল আলো ,আরো অনেক
সভ্যতার চাবিকাঠি হাতে ঈশ্বর এখন নিয়মের  পুজোতে বাঁধা।
কিন্তু আমার মৃত্যু শুধু তোমাতে বারংবার
কোনো নীল আলোর খোঁজ।

হাজার যোজন দূরে
কোনো ঈশ্বরের মন্দিরে বেজে চলেছে সময়ে ঘন্টা।
ঢাকের শব্দ ,ঈশ্বরের পাড়ায় আজ শুধু ব্যস্ততা সাজানো তুমি
আমি ব্রাত্য সেখানে ,,,,পরিযায়ী।
আয়নার মুখের প্রলেপে লেগে আছে অসংখ্য লিপস্টিকের প্রলেপ
এই ঠোঁট আমার নয়।
চোখে কাজলে খুঁজতে চাওয়া আমিটা আজ বেমানান
এই আমি অচেনা।
মরতে চেয়ে বহুবার হেঁটে হেঁটে জঙ্গলের দরজা খুলে
দেখেছি তির্থযাত্রীদের পায়ের ছাপ পরে আছে দূরে কোথাও ঝর্ণার পাশে।
আমি দাঁড়িয়ে আঁচলা করা হাতে গড়িয়ে নামা তৃষ্ণা
শুধু তুমি ,তুমি আর তুমি।

চারিপাশে ঝরছে আলো
নীল নাগপাশে বাঁধা পরে আছে সময়ের আস্তিনে রাখা অনেকগুলো তাস।
সাহেব ,বিবি ,গোলাম নিত্য এই সমাজ
শুধু চলমান ঈশ্বরের নীল আলোর খোঁজ ,এক মৃত্যু আমার।
এই মৃত্যুতে কোনো শোক নেই
শুধু লিখে রাখা নিয়মের বন্ধনে খাঁচায় রাখা ব্যস্ততা।

উৎসব ফেরত মানুষের গল্প

উৎসব ফেরত মানুষের গল্প
........ ঋষি
===================================================
অনেক্ষন কথা হয় নি তোমার সাথে
রাত  যেন কোনো উৎসব ফেরত মানুষের ক্লান্তির উপহার।
চোখের অন্ধকার কালিতে লেগে আছে আঁশটে নিশিযাপন
জীবন ছায়ায় বন্দী অসংখ্য চিত্রপট।
একের পর ছায়াছবির মতো সময় বদলায়
আর তোমার চোখের ক্যানভাসে শুধু সাদা কালো রং

রঙিন পৃথিবী থেকে অন্ধকারের দূরত্ব
বয়স মধ্যাহ্নে দাঁড়িয়ে রূপকথার গল্প শুনিয়ে যায়।
হৃদয়ের দরজার ছবিতে  ন্যুব্জ হয়ে আসা আঁচলের শীত পোহানোর অখণ্ড প্রহর
অন্ধকার এই শরীরে এখন অখন্ড অবসর।
যে অবচেতনের ডেসিবেল মাত্রা গড় ভালোবাসাকে ছাপিয়ে গেছে
অথবা যে মানচিত্রে জুম করতে করতে তোমার বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে তোমাকে ছুঁয়ে।
কাল রাতে ছুঁয়ে গেছে  অন্য কেউ
মেঘমল্লারে ক্রমশ ক্লোস সার্কিটে ভাসছে সেই ছাপ।
জমিয়ে রাখা বালিশ কণাগুলি সেই  কথা জানে
জানে হৃদয়ের ভাঁজে আটকানো ঝাপসা হতে থাকা আমি তোমার থেকে।
পাশ ফিরে দেশলাই কাঠি
আগুন জ্বলছে বুকের ফায়ারপ্লেসে ,ছায়াশরীরে অন্য স্পর্শ।  

অনেক্ষন কথা হয় নি তোমার সাথে
শুধু চুম্বনে তোমার নোনতা ঠোঁটের স্বাদ কোনো রূপকথা এখন।
তুমি এসেছো সমস্ত স্পর্শ ছুঁয়ে এই রাতে
জীবন ছায়াছবির আদলে ছুঁতে পাওয়া তোমার গোলাপি অন্তর্বাসের গন্ধ।
তোমার মতো দিন আর আমার মতো রাত ভারসাম্য লিখে গেছে একটি দূরবর্তী অন্তরালে
আমার চারপাশে শুধু ঘুটঘুটে অন্ধকার ।

অরিত্র আমার বন্ধু (১৫)

অরিত্র আমার বন্ধু (১৫)
............ ঋষি
======================================================
প্রেমের কবিতা লিখতে বসলে
অসময়ে অরিত্র এসে ধরা দেয় চোখের রেটিনায়।
স্বপ্নের মতো একটা বছর একুশের প্রেম মিল হয়তো পাওয়া যাবে গল্প উপন্যাসে
অরিত্র বলতো তুই তো কবি ,তুই কি বুঝবি প্রেমের মানে ,প্রেমের আকুলতা।
 বর্ষাসংখ্যা,  শারদীয়া  উপন্যাসের নায়কের মতো অরিত্র হাসতো আমার কবিতার ছন্দে
এগুলো সব বোগাস কাঁদুনি ছিল তার কাছে।
সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া এক যুবক ডুবে থাকতো কোনো রূপসী  প্রেমের মায়ায়
আমি হয়তো মুগ্ধ হতাম তাকে দেখে ,কিন্তু প্রেম না ওই ব্যাপারটায় আমি সবসময় কাঁচা।
.
সেবার শ্রাবনে আমি আর অরিত্র ঘুরতে গেলাম দিঘায়
আমরা ধীরগতিতে হাঁটছিলাম। ঝাউয়ের অরণ্যের ভেতর
রোদের সাথে লুকোচুরি খেলছে ,,,,,,,গাছের পাতা।
অরিত্রর গলায় রবি ঠাকুরের গান " আমি চিনি গো চিনি তোমারে  ওগো বিদেশিনী।
আমি বোকার মতো তাকিয়ে আছি অরিত্রের দিকে
সমুদ্রের গর্জনের সাথে নিজেকে বড়ো একা একা লাগছে।
অরিত্র হঠাৎ বললো আচ্ছা জানিস ভালোবাসা মানে কি ?
আমি অবাক হয়ে বোকার মতো দেখলাম ? ও বললো ভালোবাসা হলো স্পন্দন।
এই যে বেঁচে আছি ,চলছি , গান করছি এই যে সমুদ্র সবটাই ভালোবাসার।
আমি অবাক হলাম
ও গেয়ে উঠলো " ভালোবাসি, ভালোবাসি--. এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি॥  
.
সেই অরিত্র আজ আর নেই
তার ভালোবাসা নাকি মরে গেছিল ,তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়াতে।
আজ ওর মৃত্যু বার্ষিকী ,অরিত্র এসেছিলো কাল রাতে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল
কি রে কেমন আছিস ,মুটিয়েছিস তো অনেকটা ? কবিতা লিখছিস ?
বলতে চেয়েছিলাম অরিত্র তুই তো বলতিস ভালোবাসা মানে তো ভালো থাকা
তবে তুই কেন এইভাবে চলে গেলি?
অরিত্র হাসলো আর বললো আমি তো ভালো আছি রে বোকা
তুই কি বুঝবি ভালোবাসার মানে ?তুই কবিতা লেখা।

Sunday, July 16, 2017

ইনবক্স

ইনবক্স
......... ঋষি
=====================================================
যথেষ্ট তুমি
অস্বীকার করতে চাওয়াটা বোকামি।  ঘন দুধের মতো ভালোবাসা ইনবক্সে।
কোনও কোনও তৃপ্তির ভেতর এক বুনো  আঠালো মেঘ তুমি
উড়িয়ে নিয়ে যায় সংযম পাগলাটে হাওয়ায়।
মানুষ সবসময় স্বপ্ন নির্ভর কোনো অতৃপ্ত জ্যোৎস্না
তাই ইনবক্স আলোয় মখমলি বিছানা প্রতি রাতে।

সেই  তুমি
যখন বিছানা বালিশ ছেড়ে পৃথিবীতে উঠে দাঁড়াও
তোমাকে চিনতে পারি না ,বেশ ভালো লাগে রিমেকি ঝকমকে আলগোছে চুমুর শব্দ।
কি দরকার ঠোঁটের লিপস্টিকে আমাকে সত্যি রাঙাবার ?
কোনও কোনও সফট কর্নার  থেকে বন্ধুপ্রীতিও বাড়ে
বাড়ে আনাগোনা খুঁজে  পাওয়া স্বপ্নের চোখ।
তাই ইনবক্স খুলে দেয় জলভরা মেঘের নমুনা
 ল্যাম্পপোস্টের গায়ে পাখি প্রেম, তারের উপর শিহরণ বাঁচতে চাওয়া।
কেউ কেউ আবার হারবার কিংবা হারাবার ভয়ে খুব সহজে বলে দেয়
আমি বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে - বন্ধুত্ব কে কলুষিত করেতে চেয়েছি।
তবু তুমি এতটুকু অসম্মান করনি আমাকে
ভুল হয়েছে ক্ষমা প্রার্থী।
 হ্যাঁ ভালো বন্ধু হয়েই থাকতে চাই তোমার
 আর কোন দিন তোমার বন্ধুত্ব কে অসম্মান করব না। কথা দিলাম
ইতি। .... .

যথেষ্ট তুমি
অস্বীকার করতে চাওয়াটা অসম্ভব তাই তো ছোট ইনবক্সে এখন দুনিয়ার প্রেম।
নিজেকে গুছিয়ে রাখা ,নিজের আদরের আয়নায় নিজেকে দেখানো
এই সভ্যতার একটা অদ্ভুত ঝোঁক মানুষের।
শুধ তুমি ,,,,,,হে মহান নারী
আমি ক্ষমাপ্রার্থী -- সত্যি বলার । ক্ষমা করে দিও প্লিজ বন্ধু।

অন্য মানুষ

অন্য মানুষ
.......... ঋষি
===============================================
আবার পুজো আসছে চলন্তিকা
আকাশে বাতাসে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ ,কাশফুল ,উৎসব সকাল।
এখন শুধু অপেক্ষা শহরের ধুলোতে ,বাড়তে থাকা কালিতে
অপেক্ষা অনেকটা ভালো থাকার।
মানুষের বড় উৎসবের লোভ
লোভ হাসবার ,লোভ বড় উদযাপনের কটা দিন আত্মীয়ের সাথে
কারণ মানুষের কোথাও ছুঁয়ে আছে অন্য মানুষ।

মনে আছে তোমার এরকম এক অপেক্ষার দিনে
এক স্তব্ধ দুপুরবেলা- চিলে কোঠার ছাদে তুমি প্রথম ঠোঁট স্পর্শ করেছিলে।
আমি চমকে উঠেছিলাম
মনের রাস্তা দিয়ে তখন একঘেঁয়ে  ডাক হেঁকে  চলে যাচ্ছিল কাগজের ফেরিওয়ালা।
মাটির উপর বিছিয়ে দিয়ে সবুজ শীতলপাটি,
আমেজ সুখে, কলম মুখে,আনমনে একলাটি-- চিঠি লিখতাম রোজ।
সাদা পাতা জুড়ে শব্দেরা শুধু স্পর্শ করতো তোমায়
কত কথা ,সামনে পুজো তুমি আসছো ,তোমার সাথে প্যান্ডেল ঘোরা।
ফুচকা ,চকোলেট মাখামাখি তোমার স্পর্শ
একসাথে সপ্তমী ,অষ্টমী আরো কত উদযাপন।
আস্তে আস্তে দীর্ঘ হতো চিঠি ,শব্দেরা সব হৃদয় ছাড়িয়ে কখন যেন স্বপ্ন
 সেই চিলে কোঠার ছাদ ছুঁয়ে আজ কেন যেন বিকেলবেলার মায়া।
চিঠি লেখা শেষে,আড়মোড়া ভেঙে,স্তব্ধ কিছুক্ষন
তুমি আসো নি  সে বছর ,আর কোনোদিন ,আর কোনো পুজোয়।


আবার পুজো আসছে চলন্তিকা
কিন্তু তুমি যে কবে আসবে ,কবে যে স্পর্শ করবে আমায়।
আমার উৎসবের দিনে আবার ফুটে উৎসবে নতুন কোনো স্বর্গের ফুল
সেই ফুলে পুজো হবে দেবীর ,প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঢাকের শব্দে।
আর আমার শব্দরা এই শহরের ধুলোতে সেদিন মিশে যাবে
আর কবিতা না ,শুধু তোমার মাঝে
উৎসবের ছোঁয়ায় সেদিন তবে আমিও অন্য মানুষ।

গুড মর্নিং

গুড মর্নিং
.......... ঋষি
=================================================
একদিন সময় খুব সহজ হয়ে যাবে
সকালের রৌদ্রে সেদিন আর বাজাবে না আহত গিটারের ভাংচুর সুর।
সেদিন সটান তোর দরজায় আমি দাঁড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে তুলে নেবো সেই গোপন গোলাপটাকে।
আমি সকালের প্রথম  আলোখানি মেখে নিয়ে দুচোখে
তোকে বলবো এই তো তোর কাছে এলাম।

এখন গোলাপ থাকলে  কাঁটাও থাকবে ,থাকবে সময়ের দুর্বলতা ,কালি মাখামাখি
সকালের পাউরুটিতে বাটারের ছুরিটা হারাতে পারে।
হারাতে পারে তোর চুলের এক্লুসিফ ক্লিবটা
তাই ঝগড়া থাকবে ,থাকবে মন মারামারি সকাল পেরিয়ে বুকের
তারপর রাত।
কিন্তু কথা থাকবে ,কারণ অনেক কথা জমে যেগুলো  না বলা
অনেক স্পর্শ শুধু স্বপ্ন যেগুলো অছোঁয়া।
সিনেমার পর্দায় একটার পর একটা স্বপ্ন  মানুষকে যেমন পয়সা নিয়ে কাছে টানে
তুইও তেমন টানিস আমাকে গোপন হাতছানিতে তোর কাছে।
সিনেমার নায়িকার মতো তোর  লিপস্টিকে  বেরি কিংবা বার্গেন্ডি
তবে আর ছবিতে নয় ,ঠোঁটটা আমারি কাছে থাকবে খুব কাছে।

একদিন খুব সহজ হয়ে যাবে সময়ের এই রসিকতা
সকালের শেষ রৌদ্রে তোর  দরজায় ফুলে ঢাকা আমার এই শরীর।
আমার স্তব্ধ দু চোখে তখন শীতল রোদ্দুর পড়ে আছে,ভেসে গেছেআলোতে যে দুটি ঠোঁট
তোর ঠোঁটে বারেক তাদের মুছিয়ে দিস।
শেষের আগুনে ছাই  হওয়ার  আগে আমার এই তৃষ্ণার্ত কানে
একবার ঝুঁকে পরে বলিস  গুড মর্নিং ...............

The civilization

The civilization has made the people civilized, making it a regular slave in the citizenship...
.
অনন্ত দিশাহীন পথ চলা
বুঝে গেছিল ছেলেটা অজান্তে হয়ে যাওয়া জন্মে।
সকলে তো পূর্বপুরুষের দত্তক হয় না
কেউ কেউ ওই ছেলেটার মতো বেজন্মা। ফুটপাথে জন্মায়।
জন্ম সূত্রে কুকুরে মতো মা জুটে যায় ,কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে
গরীব কাগজকুরানীর চোখে জল
নুন ভাত খাইয়ে বড়ো করা কোনো নিকট আত্মীয়।
.
সামিয়িকী একটা খিদে
এই সমাজে বুকে হাজারটা বেঁচে থাকার মতো কিছু অপ্রয়োজন।
খিদে নিজেকে পাওয়ার
ছোটবেলায় পরিবেশ থেকে পাওয়া শিক্ষায় ছেলেটা কি বা হতে পারতো ?
তাই অল্পবয়সেই কিনতে চেয়েছিল সময়কে চুরির পয়সায়
পকেট মার্ ,এদিক ওদিক হাত সাফাই।
সভ্যতা মানুষকে সভ্য করেছে ,করে তুলেছে এই নাগরিকত্বে মানুষ নিয়মিত দাস
অনিয়ম তাই বোধ হয় সভ্যতার অপ্রিয়।
ছেলেটা প্রথম ধরা পড়লো একটা মিনিবাসে মোবাইল চুরি করে
প্রথমে পাবলিকের মারাত্নক মার্ ,তারপর পুলিশের।
কি শিখলো ছেলেটা ,,,,,,,আরো ভয়ানক হতে
তাই পরেরবার সে ধরা পড়লো পুলিশের হাতে ডাকাতির কেসে।
কেস ফাইল।কিছু দিন জেল খাটার পর ছেলেটা ছাড়া পেলো
তারপর আবার সে ধরা পড়লো কাউকে খুন করে।
তার কাগজকুরানী মায়ের চোখে জল সাক্ষী থাকলো
এইবার নিশ্চিত মৃত্যু ,তার একমাত্র নিকট আত্মীয়ের ।
.
ছেলেটা বোধ হয় একটা হিল্লে হলো
একটা অনিয়মিত বেজন্মা পথ চলা শেষ এবার।
জজ সাহেব মৃত্যু দ্বন্দ্ব এই সভ্যতায় আরো বেশি সভ্য করতে শেখালো মানুষকে
কিন্তু বেজন্মা ছেলেটা কেন যান কেঁদে পড়লো আদালতে।
সে চিৎকার করতে চাইলো নাগরিকত্ব ।সে বলতে চাইলো পরিচয়।
কেউ শুনতে পেলো না তার চিৎকার
শুধু মৃত্যুর আগে ছেলেটা একবার হাসলো কারণ এইবার পথ চলা শেষ।
.
.. ঋষি
************************** xxxxxxxxxxx ***************************

Saturday, July 15, 2017

লাগ্ যা গলে

লাগ্  যা  গলে
............. ঋষি
===========================================
ছেঁড়া জামা পরা এই হৃদয় শুধু ঢাকতে চায়
নিজেদের মুখোশে সাজিয়ে শুধু বাঁচতে।
ভুলে যাওয়া যদি সম্ভব হতো
তবে তো হৃদয়ের দরবারে বাজতো না অসময়ের স্যাক্সোফোন।
তবে তো বৃষ্টি হলে মনে হতো না বারংবার
আমি আছি তুমি আছো তাই।


কোনো অদ্ভুত পুরোনো গানের কলি
আমার হৃদয়ের গিটারে বাজতে থাকা অস্তিত্ব জানান দে বারংবার।
তুই বলি ভুলে যা
কিন্তু ভুলে যাওয়া যদি সহজ হতো তবে মৃত্যুর করুন হতো না।
ভুলে যাওয়া যদি সম্ভব হতো তবে থাকতো না চোখের জল
আসলে কি জানিস   .........
ভুল করে মানুষ ভোলার চেষ্টা করতে পারে
কিন্তু ভুলতে কখনোই পারে না।
হামকো মিলি  হ্যা আজ   যে  গাডিয়ান নসীব  সে
জি ভর কে  দেখ  লিজিয়ে  হুমকি  কৰিব  সে।

খালি পায়ে হেঁটে চলা এই হৃদয়
শুধু বাঁচতে থাকা পথ চলা কোনো সময়ের খোঁজ।
বারংবার হোঁচট খায় ,উঠে দাঁড়ায়
কিন্তু ভুলতে কখনো পারে না।
লাগ্  যা  গলে কি  ফিরে  এ হসিন রাত  হো  না  হো
সায়েদ ফির  ইস জনম মেইন  মুলাকাত  হো  না  হো। 

Thursday, July 13, 2017

আগুনের পরশমনি

আগুনের পরশমনি
............ ঋষি
==========================================
তোর আখরোট  ঠোঁট ছুঁয়ে যে আগুনের পরশমনি
তার উত্তাপে সেঁকে চলা সময়ের দুঃখ।
তোর অজগর স্তনের পাশে রেখে আসা আমার স্পর্শটুকু
শুধু এই সময় গড়িয়ে নামা স্পর্শ সুখ।
অনিয়মিত বৃষ্টি ভেজায় আমার শহর
আজকাল তোকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে হয়।

তোর ঠোঁট চুষে কোনো আদরের খোঁজ লাগে মেঘলা বাতাসে
ছুঁয়ে যাওয়া মনে অজস্র বিদ্যুতের খোঁজ।
ক্ষনে ক্ষনে আকাশে মেঘে আজকাল প্রায়শই চমকে উঠি
এই তো তুই আমার ভীষণ কাছে।
তোর বুকের বা দিকে কালো তিলটা আমার সকালের প্রথম সূর্যের মতো উজ্বল
আমি পিরামিডের পাশে বসে সূর্য প্রণাম করি।
তোর কোমরের লুকোনো আদরে কালো তিলটা
আমার অন্ধকারে চুমু খেতে থাকি ,আর আঁকড়াটাতে।
ঘুম ভেঙে যায়
হঠাৎ এক আকাশ মেঘ আছড়ে পরে বৃষ্টি হয়ে।
আমি ভিজে যায় পায়ের তলায় শুকনো পাতা, বাঁধ ভাঙা নদী
আমি তৃষ্ণার্ত ঝুঁকে পড়ি অন্য তোমায়।

আমি তৃষ্ণার্ত ঠোঁট ,আমার জ্বলতে থাকা বুকে আগুন
সামনে পবিত্র নদী ,আমি স্নান করি।
তুই ঘামতে থাকিস ,তুই আঁচড়াতে থাকিস আমার বুকে মাথা ঘষে
আমি তখন জংলী মোগলি যে ছুঁটতে থাকে মুক্তির আশায়।
ঘুম ভেঙে যায় অবাক হয়ে অন্ধকার হাতড়ায়
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি ,তোর হাতছানি।  

মনখারাপের বৃষ্টি

মনখারাপের বৃষ্টি
............ ঋষি
=========================================

বিকেলের চাদরে আজ মনখারাপ
সামনের বারান্দার রেলিং ছুঁয়ে গড়িয়ে নামছে বৃষ্টি।
বারান্দায় ঝোলানো  ম্যানিপ্ল্যান্ট গাছটা চকচক করছে
বৃষ্টির আদরে।
আর তুমি এখন বুকের কাছে বালিশ জড়িয়ে পড়তে চাইছো সময়
আমার কবিতা তোমাকে জড়িয়ে আদরে।

এইভাবে কোনো বৃষ্টি দিনে
তোমার চোখের কাজল ছুঁয়ে স্বপ্নগুলো নোনতা বৃষ্টির জল।
এইভাবে কোনো আদরের দিনে
তোমার বুকে জড়ানো লাল স্বপ্ন বড় বেশি বৃষ্টি নির্ভর।
তুমি বৃষ্টি হতে চাইছো চলন্তিকা
তুমি আকাশ জুড়ে একটা গোটা শহরকে ভিজিয়ে নিজের করতে চাইছো।
তোমার নরম বুকে লেগে থাকা দাঁতের দাগ সময়ের
তোমার নাভির গভীরতা মাপে আজ নিদ্রাহীন অন্ধকার রাত।
কিছু স্পর্শ তোমায় ছুঁয়ে শিহরণ তোলে বিকেলের বৃষ্টিতে
আর তুমি ভিজতে থাকো নিজের মতো সময়ের অপেক্ষায়।
সময় শুধু তোমাকে জড়িয়ে চুপিচুপি বলে
আমি আছি তো  ,মনখারাপ বৃষ্টি তুমি আছো তাই ।  

বিকেলের চাদরে আজ মনখারাপ
সারা শহর জুড়ে ফিস্ ফিস্ অনবরত টিপ্ টুপ্ ,টিপ্ টুপ্।
একটা ফাঁকা শহর তুমি তাকিয়ে দেখছো তোমার চারপাশে
শব্দহীন কোনো ইচ্ছা চুপিচুপি তোমার সাথে।
আর আমি জানি খুব নিয়মিত তুমি আমার কবিতা পড়ছো
কারণ আমার কবিতা শুধু তোমাকে ছুঁয়ে লেখা।

তোমায় ছুঁয়ে লেখা

তোমায় ছুঁয়ে লেখা
........... ঋষি
============================================
হতেই  পারে এক ঘন রাতে বাতাসে দ্রবীভূত তুমি আমি
খুব বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন।
চোখ রগড়ে উঠে বসা শহর হঠাৎ আবিষ্কার
আমি তুমি মিসিং।
শহর ভাবছে একটা পুলিশ ডাইরি বাড়লো বোধহয়
আর সময় ভাবছে কোথায় গেলো পাগল গুলো

পাগলি বটে
আমাদের সমস্ত অস্তিত্ব তখন খইফুলের মতো উড়তে থাকা বাতাসে।
সমস্ত সমীকরণ শেষে আমি তুমি স্পর্শের আঙিনায়
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষ ছুঁয়ে পৃথিবীর আবিষ্কার আরো কাছে।
আমাদের আত্মিক আহ্নিকগতিতে মিশে যাবে সময়ের যোগফল
 হিসেবে নিকেশ ,জীবন পরিচয় সবটুকু মিছে  তখন।
ভালোবাসার মৃত্যু নেই
এই কথা কোনো আলোচনায় আবার উঠে আসবে আবার শহরে।
গভীরের স্পন্দনে  বাড়তে থাকা শেওলা তখন আমাদের শরীরে
বুকভরা নিশ্বাস নিয়ে বাতাসে খুঁজে নেওয়া স্বাধীনতা ,শান্তি।
 সেদিন পাগলের মতো হাসবে ঈশ্বর
 পাগলাটে চাহুনিতে ঈশ্বর লিখবে উপন্যাসের শেষ লাইনটা।
আমি তুমি মিশে আছি
খুব কাছে আরো কাছে।

হতেই পারে এক রাত্রির শহর বুকে তুমি মিশে আছো আকাশে চাঁদে
আমি তখন আকাশ হয়ে তোমার আদরের চাদর।
ঘুমিয়ে পড়া শহর তখন স্বপ্ন দেখছে ভালোবাসার
আমরা ঈশ্বরের ছুঁয়ে মিশে।
শহর তখন  পুড়ছে নিজেদের অবিশ্বাসে নিজেদের অন্ধকারে
আর সময় ভাবছে অন্ধকার শেষে সকাল। 

ফ্লায়িং কিস

ফ্লায়িং কিস
.......... ঋষি
========================================
বাতাসে তোমার ফ্লাইং কিসটা উড়তে উড়তে আমার শহরে ধাক্কা মারলো
তারপর এই গলি ,সেই গলি আমাকে খুঁজছে।
শহর বাড়তে বাড়তে এখন তো একটা তুমি হয়ে যাচ্ছো যেখানে
সেখানে আমি খুব ছোট ,নিরালায়  শহরের নাগরিক।
তোমার ফ্লায়িং কিসটা বাতাসে উড়ছে ,ছুঁতে চাইছে আমায়
এই বার দেখো বৃষ্টি শুরু হলো।

মারাত্নক বৃষ্টি
ফ্লাইং কিসটা একলা দাঁড়িয়ে কোনো শহরের শেডে।
কত জন ছাতা হাতে আসছে, যাচ্ছে ,ফ্লায়িং কিসটার দিকে তাকাচ্ছে
অবাক হচ্ছে ,এখনো স্পর্শের মানে ফুরিয়ে যায় নি।
ফ্লায়িং কিসটা একমনে বৃষ্টি দেখছে
তার মনে ক্রমশ আরো আকুল খোঁজ বাড়ছে আমাকে ছোঁয়ার।
আমি তখন কোনো দশ বাই দশ ঘরে
একমনে লিখে চলেছি তোমায় কবিতার সুখে তোমার স্পর্শে।
তুমি হয়তো বিকেলের স্নান সেরে সন্ধ্যে পুজো সারছো
আর বাইরের দুর্যোগের জন্য শঙ্খে ফু।
কিন্তু ফ্লায়িং কিসটা দাঁড়িয়ে এখনো ,,,খুব বৃষ্টি যে
আমাকে খুঁজছে।

আমি এখন ব্যস্ত ফেরবার নেশায় অফিস থেকে বাড়ির দিকে
বাইরে খুব বৃষ্টি ,ভিজে ফিরতে হবে যে।
এই শহরে বৃষ্টি মানে তো এক হাঁটু জল ,কাদা আর বিরক্তি
বৃষ্টি থামলো আমি অফিস থেকে বেরোলাম।
পথ হাঁটছি হঠাৎ সেই ফ্লায়িং কিসটা বাতাস ছুঁয়ে বললো ভালোবাসি
আমি মুচকি হাসলাম ,পা বাড়ালাম ,মনে মনে বললাম জানি তো। 

Wednesday, July 12, 2017

রাত ফোরানোর গল্প

রাত ফোরানোর গল্প
........... ঋষি
==================================================
রাত ফেরানো গল্পগুলো সকাল হলেই স্বাভাবিক
তখন রাতের সেই সব মুসাফিররা বোধ হয় বাসা বাঁধে পায়রার খোঁপে।
বাকুম বাকুমগুলো সব অজানাই থেকে যায়
যেমন এই মুস্তাফির চাচা যার বাংলাদেশে বাড়ি ,নিজের ঘর।
কিন্তু এখন আমাদের শহরে ,পুরোনো এক বস্তিতে ভাড়া থাকে
আর সঙ্গে তার ভাগ্নী যে কলেজে পরে।

মুস্তাফির চাচার মুখে শোনা তাদের নাকি পূর্বপুরুষের মাকান
খুব সুন্ধরী বাংলাদেশ।
কিন্তু কিছুতেই মুছে ফেলতে পারে নি সেই অভিশপ্ত রাতটাকে তিনি
আজও তার ঘুম ভেঙে যায়
হঠাৎ হঠাৎ চমকে উঠে ছুটে যান বারংবার ভাগ্নীকে দেখতে,
সারারাত বসে থাকেন তার ভাগ্নীর মাথার কাছে হাত বোলান।
কি সেই গল্প ?
ভারত আর বাংলাদেশ ,কারোর ভাষায় একই বৃন্তে দুটি কুসুম
সেদিন জোর করে ছিঁড়ে ফেলতে চাইছিলো কিছু ধর্মের দালাল।
মুস্তাফির চাচার তরুণ রক্ত প্রতিবাদ করেছিল
যার ফলস্বরূপ তার বাবাকে ,তাকে বেঁধে রেখে সেই রাতেতার মাকে ,তার বোনকে  বারংবার ধর্ষণ করে ধর্মের বিষাক্ততা
তার সামনে তার মাকে হত্যা করে সময়ের কিছু বর্বর অসুর।
আর সেই রাতের সুবাস তার ভাগ্নী আজ তার কাছে
যে জানে না রাত  ফেরানো এই বিষাক্ত গল্পটা।

রাত ফেরানো গল্পগুলো সকাল হলেই স্বাভাবিক
সময়ের অন্তরে লুকোনো এমন অজস্র বিষ গাঁথা যা পায়রার খোঁপে বন্দী।
আমি তুমি এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে পারি
করতে পারি আলোচনা কিন্তু প্রতিবাদ।
সকালের আলোয় পায়রার খোঁজে মুক্তি নীল গভীর আকাশে
কিন্তু মানুষের এই হীনমন্যতা ,ভেদাভেদ ,বর্বরতার মুক্তি কোথায়। 

সেই মেয়েটা

সেই মেয়েটা
.............. ঋষি
================================================
মেয়েটা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে
মেয়েটা স্বপ্নের সাদা গাউন পরে ভালোবাসে টাইটানিকে পাখির মতো উড়তে।
কত বয়স হবে মেয়েটার ,এই তো সবে কুড়ি পেরোচ্ছে
অবাক লাগে তার নিজেকে আয়নায় দেখতে ,ঠিক ফুল মনে হয় নিজেকে।
অবাক লাগে তার চারিপাশে লোকজনের অদ্ভুত পরিবরতন দেখে
মেয়েটার মাও সেদিন বললো ,বড়ো হচ্ছো ,একটু সামলে থেকো
ছেলেদের সাথে বিশেষ কথা বোলো না

এই রিমি শোন ,কথা আছে
মেয়েটা গটগট করে কলেজ থেকে বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছে।
এই রিমি শোননা ,মেয়েটার হাত ধরে ছেলেটা দাঁড়  করালো
প্রথমবার মেয়েটার কোনো স্পর্শে কেমন মেরুদন্ড দিয়ে চোরা স্রোত বয়ে গেলো।
ছেলেটা বললো সেই শব্দটা যা সিনেমা ,থিয়েটার ,চলতি জীবনের পরিবেশ থেকে শোনা
ভালোবাসি
মেয়েটা মুখ লুকিয়ে বাসে উঠে গেলো

কাল সারারাত ঘুম হয় নি মেয়েটার
স্বপ্নে দেখলো সাদা গাউন পরে সে সেই ছেলেটার সঙ্গে স্বপ্নের টাইটানিকে ভাসছে
সে সকালে উঠে আয়নায় নিজেকে দেখে খুব হাসলো ,খুব খুশি সে
আজ সে তাড়াতাড়ি কলেজ যাবে।

কলেজ ফেরত রোজকার বাসস্ট্যান্ডের দিকে মেয়েটা হাঁটছে
সুর থেকে দেখলো তার স্বপ্নের পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে কতগুলো সমবয়সী ছেলের সাথে।
তার ভিতর থেকে সেই চোরাস্রোতটা আবার বইতে শুধু করেছিল
ছেলেটা সামনে এসে দাঁড়ালো ,অপ্রত্যাশিত ভাবে মেয়েটার মুখে সায়ানেট ছুঁড়ে মারলো।
মেয়েটা প্রথমে অবাক হলো তার স্বপ্নের পুরুষ
তার একদা অদ্ভুত যন্ত্রনা তার সারা মুখে ,,চিৎকার করে উঠলো মেয়েটা
ছেলেটার দিকে তাকিয়ে শুধু  বললো ,,,,,,, তুমি।

মেয়েটা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতো
মেয়েটা এখন হাসপাতালে ,দুটো চোখি তার অন্ধ।
সেদিন পুলিশ এসেছিলো প্রশ্ন করেছিল কারা ছিল সেদিন
মেয়েটা ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলো ,উচ্চারণ করতে পারে নি সেই ছেলেটাকে।
তার পরের দিন মেয়েটা মারা গেলো
খবরের শিরোপায় মেয়েটার খবর সকলেই  জানে ,
শুধু এটা কেউ জানলো না মেয়েটা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতে।  

ভালোবাসি (২)

ভালোবাসি (২)
......... ঋষি
==============================================
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে দিব্যি করে বলি
ভালোবাসি।
তোমার হাসির সাথে একলা থেকে বলি
ভালোবাসি।
তুমি থাকলে এই সময়ের সব অন্ধকারকে আলো করে বলি
ভালোবাসি।


তোমার বুকে গন্ধে গড়িয়ে নামা ঘামে
কেমন একটা মনখারাপ আমি জানি ,,তুমি ভালোবাসো তাই।
তোমার সময়ে ফেলে আসা সন্ধ্যায়
কেমন একটা চাপা ভাব ,বৃষ্টি আসছে ,,তুমি ভালোবাসো তাই।
তোমার বিকেলে চানের পর ,খোলা চুল ,বেলফুলের গন্ধ
আমি পাচ্ছি ,,,কারণ তুমি আছো তাই
তোমার প্রতিটা লোমকূপ ছুঁয়ে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তোমাকে দেখা পাগলামি
হঠাৎ দুর্যোগ ,,তুমি বৃষ্টি ,,,শুধু তুমি আছো তাই
তোমার নাভির খাদে জিভ ছুঁয়ে বলা ,,আচ্ছা সময় ,,,এও কি সম্ভব
তুমি হাসছো জানি ,,,,তুমি ভালোবাসো তাই
তোমার ঠোঁটে নোনতায় রাখা নকল করা রাগ ,,,কিছুটা অহংকার সব জানি
আমি কবিতা লিখি,,,কারণ ,,, তুমি ভালোবাসো তাই

তোমার চোখে ছুঁয়ে চুমু খেয়ে বলি
ভালোবাসি।
তোমার সময়ের দুর্যোগে লেখা প্রতিটা আয়নার অনভূতি
ভালোবাসি।
সর্বোপরি আমি জানি তোমার এই কপট অভিমান ,লুকোনো স্রোত কারণ
ভালোবাসি।  

মেঘবালিকা

মেঘবালিকা
............. ঋষি
==========================================================
মেঘলা একটা ইচ্ছে মেঘবালিকা
সারাদিনের পরে কিছুটা হলেও তুমি থাকো কাছে।
সবসময় পাওয়া সম্ভব নয়
আমার স্নানের ঘরে সাওয়ারের জলে তুমি গোলে পড়তে থেকো
কিংবা সেই বৃষ্টিতে
আমি ঠাঁই আজও দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়

তোমার ইচ্ছে হলে তুমি কথা বলো
তোমার ইচ্ছে হলে তুমি কাছে এসে জড়িয়ে ধরো।
তোমার ইচ্ছে খুশিতে তুমি জয় গোস্বামীর ঠোঁটে আওড়াও
“এই ছেলেটা,
. ..................... নাম কি রে তোর?”
আমি বললাম,
............................. “ফুসমন্তর !”
আমি অবাক হয়ে দেখি বাঁধ ভাঙা জল আকাশ ভেঙে টিপটিপ সময়ের সাথে।
আমি ফুটপাথে একলা দাঁড়িয়ে ভিজি ,বোঝার চেষ্টা করি
তোমার তাপমাত্রা ,তোমার শরীরের কস্তুরী গন্ধ ,তোমার চোখের চাহুনিতে লুকোনো না বলা।
শুধু কান পেতে শুনলাম জয় গোস্বামীর মেঘবালিকা
“বৃষ্টি বলে ডাকে আমায়
বৃষ্টি বলে ডাকে আমায়-”।

মেঘলা একটা ইচ্ছে মেঘবালিকা
সারাদিনের পরে কিছুটা হলেও মনের ঘরে বৃষ্টি হয়।
সবসময় ছোঁয়া সম্ভব নয়
আমার সারা অস্তিত্বে লেগে থাকা অভিমানী মেঘবালিকা কথা বলো।
কিছুটা বলো
না হলে আমি ভিজবো কি করে মেঘলা মনে। 

অনেকগুলো বছর

অনেকগুলো বছর
........... ঋষি
=====================================================
অনেকগুলো বছর বুঝলে কলি
ঠিক এমন করে কেটেগেলো বুঝে উঠতে পারলাম না।
এখন তো বিছানা থেকে উঠতে কষ্ট হয় ,আর্থারাইটিস ,দাঁড়াতেও  পারি না
শুধু সামনে তোমার মালা পড়া ছবিটা দেখলে ,খুব ইচ্ছে করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে।
রোজ নিয়ম করে ডক্টর আসে দুবেলা ,খুব শক্ত রোগ বুঝলে,খুব যন্ত্রনা  
বৌমারা নিয়ম করে দুবেলা ওষুধপত্তর দেয়,সেবা করে
কিন্তু আমার কলি শুধু মনে পরে।

এখন আমাদের  এই ঘরটায় শুধু ওষুদের গন্ধ
আমাদের বিছানার পাশে একটা টেবিলে ভর্তি ওষুধের স্ট্রিপ , সিরাপ।
তোমার মনে পরে এই খাটটাকে,সেই বাসর রাত ,রজনীগন্ধার গন্ধ
আর তুমি ,মনে হয়েছিল সদ্য বাগান থেকে ছিঁড়ে আনা গোলাপের কড়ি।
তুমি তখন  নতুন বৌ তখন ,একান্নবর্তী সংসার ছিল আমাদের
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর কারণ ,অকারণে তোমাকে ডেকে পাঠাতাম।
শুনতে পেতাম মা বলতো ,বৌ যেন আর কারো হয় না
বন্ধুরা ,অফিস কলিগরা টিটকিরি দিতো।
কি করবো আমি অপারক তখন ,তোমাকে ছাড়া যে আমার চলতো না।
যখন বুবু হওয়ার জন্য তুমি বাপের বাড়ি গেলে
আমি রোজ যেতাম ,তোমার খবর জানার অছিলায়  তোমাকে দেখতে ,
তোমার বোনেরা বলতো এই বার তো রেহাই দেও দিদিকে।
দেখো তারপর হঠাৎ তুমি সীমা হওয়ার সময় রেহাই নিয়ে চলে গেলে
আর আমি আজও থেকে গেলাম  তোমাকে ছাড়া।

ঠিক এমন করে কেটেগেলো এত গুলো বছর
এখন তো ছেলে ,বৌ ,নাতিপুতি ,আত্মীয়স্বজন ,ভরা সংসার।
কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেকে বড়ো একা লাগে ,মনে হয় এরা সকলে আমার কেউ নয়
তোমাকে তখন ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে ,সোজা জোর করে উঠে দাঁড়িয়ে তোমার ছবির সামনে।
তোমাকে আমার ভীষণ স্বার্থপর লাগে আজকাল কলি
কিভাবে তুমি আমাকে ছেড়ে এতদিন আছো ? আমিও আছি অবশ্য ,
তখন আমার ভীষণ কান্না পায়,শুধু তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করে।  

Monday, July 10, 2017

পাহাড়িয়া বাঁশি

পাহাড়িয়া বাঁশি
.......... ঋষি
=======================================
কোনো পাহাড়িয়া গ্রাম
ঢাল ভাঙা কোন  উন্মুক্ত স্রোতের মতো তুমি
স্মৃতি মধুর আখ্যান
কোনো অনুরণ আজও ছুঁয়ে যায় তোমায় নিজেকে পাওয়ার
ছোট পোট্রেটে ফুটে ওঠে মুক্তি বারংবার
কানের কাছে পাহাড়িয়া সুর

মেঘ যখন ঝগড়া করে আকাশের সাথে
ঠিক তেমন তোমার ঝগড়ায় পুরোনো  তুমি।
মেঘ যেমন অভিমানী  বৃষ্টি হয়ে ঝরে মেঘের উপর
ঠিক তেমন তুমিও বর্ষাও হৃদয়ের স্মৃতিঘাতে অভিমানী মেয়ে।
একের পর এক আবরণ
কোনো আদমের প্রেম তোমার শরীর ছুঁয়ে সেই পাহাড়িয়া বাঁশি।
আজও বাজে মনের গভীরে
পাহাড়ের ঢালের মতো চোরাই উতরাই তোমার চোখ ভাঙে আয়নায়।
আর আয়না শুধু তোমায় দেখতে থাকে
তোমাকে জানতে থাকে তোমার অজান্তে কোনো অলিখিত কথন।
আর আমার কবিতায় কোনো যায়না
পোট্রেটে ফোটে তোমার অনবদ্য রূপ।

কোনো পাহাড়িয়া গ্রাম
নির্জন বাতাসের সো সো শব্দ আমাকে ছুঁয়ে।
স্মৃতি কথন যেখানে শেষ হয়
সেখান থেকে আমার কলমের ছুঁয়ে অনুরণ  পাহাড়িয়া বাঁশি।
বাজতে থাকে আনমনে কোনো অভিমানী মেয়ে
এক কথন ,তোমার মতো বৃষ্টি আমি দেখি নি বহুদিন পাহাড়ে। 

ছায়া মানুষ

ছায়া মানুষ
......... ঋষি
============================================
ছায়ায় পাখা মেলেছে জাদুকরী আঁধার
ঘুম নেই চোখে ,ভেসে যাওয়া সময়ের বৃষ্টি একাকার।
মানুষের অজস্র লুকোনো আত্মারা  ঘোরে ফেরে অন্ধকার পায়চারি
সারি দেওয়া ছায়া মানুষ ছুঁয়ে যায়।
বেশ তো
জীবন আর জীবিতের ফাঁকে ছায়া মানুষ আসে যায়।

বৃষ্টি ভেজা শহরের পথে
তোমার জানলার সিলিং জুড়ে জ্যোৎস্না।
কোনো অনন্ত পথ চলা মনের খোলা আকাশে অজস্র বেলুনের ভিড়
নীল ,লাল ,স্বপ্নরা ছুঁয়ে যায়।
ঘুম আসে মানুষের আবার ছুঁয়ে চলে যায়
ঘুম ভাঙে মানুষের ,মানুষ ঘুমোতে চায়,অদ্ভুত ব্যাধি ।
অন্ধকারে ঘোরে ফেরে আত্মা আমার তোমার মনের মানুষ
জাদুকরী  শিহরণে অনেকটা প্রাপ্তি
ছুঁয়ে যায়।
আর  তখনি মনে পরে তোমায় ঠিক ছায়ার মতো
বাড়ানো হাতের ফাঁকে আমার আগামীর বেঁচে থাকা।
কোনো জাদুগর তার লাঠির স্পর্শে গিলি গিলি যে
ভাবনারা আসে যায় তোমাকে ছুঁয়ে।

ছায়ায় পাখা মেলেছে জাদুকরী আঁধার
উত্তপ্ত বুকের ওমে ঘুম ভাঙা প্রেয়সীর চোখ।
মানুষের অদৃশ্য ইচ্ছাগুলো সব সহমরণে বেঁচে থাকা স্পর্শের সাথে
সারি দেওয়া ছায়া মানুষ।
বেশ তো
জীবন আর জীবিতের ফাঁকে ছায়া মানুষ আসে যায়।

Sunday, July 9, 2017

ভালো বাসা

ভালো বাসা
......... ঋষি
=============================================
ভালোবাসা মানে জানতে চাস
কবি হৃদয়ে ভালোবাসা হলো সেই বাসা যেখানে পরম আশ্রয়ে ঘুম।
ভালোবাসা মানে হলো স্পর্শ
প্রখর রৌদ্রে চাতকের বুকে তৃষ্ণা হলো ভালোবাসা।
ভালোবাসা মানে আকাশের খোঁজ
কোনো মুক্তি যেখানে মানুষ পরম সহৃদয়িক কল্পনায় মত্ত।
.
ভালোবাসা হলো একটা ওয়ান ওয়ে রোড
যার আসাযাওয়া শুধু আশ্রয়।
ভালোবাসা হলো শহরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা তাজমহল
যেখানে মৃত্যুকে ছোট মনে হয়।
ভালোবাসা মানে হলো অন্ধকারে পথ হাঁটা আলোর খোঁজ
যেখানে হাজার অন্ধকারেও জোনাকিরা আলো দেয়.
ভালোবাসা মানে হলো প্রত্যয়
যেখানে ছুঁয়ে থাকা ,ঘিরে থাকার আর ভালো রাখাটা বেশি মনে হয়।
ভালোবাসা মানে হলো শরীর
যেখানে পারদের ওঠানামা ,স্পর্শের ওম ,আদরের চুমু।
ভালোবাসা মানে হলো তোর খোলা বুক
যেখানে নিশিদিন একটা ধুকপুক একটা বাঁচার আনন্দ।

ভালোবাসা মানে জানতে চাস
কবি হৃদয়ে ভালোবাসা বৃষ্টির মাঝে ভিজতে চাওয়া একলা।
ভালোবাসা মানে হলো একলা দুপুরে পথ হাঁটা
সঙ্গে ছায়া মাখা তোর হাত আর স্বপ্ন।
ভালোবাসা মানে হলো অনেকটা আদর


আর তুই একটা উপস্থিতি আমার হৃদয়ের ঘরে।

উত্তর

 উত্তর
.......... ঋষি
===============================================

উত্তরগুলো সব তোর গলার স্বরের মতো
নিয়মিত কোনো বাহক।
আমার রক্তকণিকার শ্বেত পর্যায় যে অহরহ আঘাত আসা যাওয়া করে
তার প্লাজমিয় কণাগুলো তোর  রক্তে।
আমি বাঁচতে ভালোবাসি এই যদি আমার অপরাধ হয়
তবে ভালোবাসাটা মানুষের সবচেয়ে বড়ো কদর্য অন্যায়।

তোর হাসিতে আমি ঈশ্বর দেখি
তোর গলার স্বরে আমি দেখি আমার একঘেয়ে বেঁচে থাকার অন্য সকাল।
তুই যখন তাকাস আমার দিকে
মনে হয় তুই যেন সবটা দেখতে পারিস,পারিস  বুঝতে।
আমার ভগ্নাংশের বেঁচে থাকায় যত টুকু স্পর্শ তুই আমায় দিয়েছিস
তাকে পাথেয় করে আমি পথ হাঁটতে পারি সিন্ধু থেকে আজকের সময়।
আমি  পানিপথের যুদ্ধে হেরে যাওয়া শেষ সৈনিক
যে মরবার আগেও একবার জিততে চায় ,অন্তর একবার।
আমি অহল্যার  সেই কয়েক হাজার বছর অপেক্ষা
যে শুধু তোকে পেতে চায় ,অন্তত একবার তোর হাত ধরে বাঁচতে।
ভরা শ্রাবনের এক পেহলি রৌদ্রের মতো শেষ নিঃশ্বাসে
আজ শুধু তুই আর তোর আদ্রতা।

উত্তরগুলো সব তোর গলার স্বর
তোর অভিমানী চোখে না বলা প্রশ্নগুলো সব সময়ের।
তোর রক্তপ্রবাহের অলিন্দের খাঁচায় বন্দি ইচ্ছাগুলো
আমার একলা সকালের রৌদ্রের তপস্যা।
এখন বৃষ্টি মাস ,এখন শুধু ভেজবার দিন ,এখন শুধু তুই
আর তোর চোখে আমার সর্বনাশ। 

শেষ স্পন্দন

শেষ স্পন্দন
,,,,,,,,,,,, ঋষি
===========================================

আমার কাছে শেষ বলে কিছু নেই ,না আছে শুরু বলে
সময় শুধু দূরত্ব কমাতে চাওয়া মৃত্যুর খোঁজ ,
আমি তুমি সাক্ষী প্রতিটা মিলনের ,প্রতিটা ভাঙ্গনে ,জীবনে স্পন্দনে
শুধু গুছিয়ে নিয়ে নিজেদের বুকের বিভাজিকায় স্বপ্ন খোঁজা
"আশা" কোনো বেঁচে থাকার আকুতির শেষ স্পন্দন
কিন্তু মৃত্যু সে তো স্বাভাবিক,নির্বিকার

তুমি মৃত্যু খুঁজতে পৃথিবী পাড়ি দিতে চাও
দাঁতে দাঁত চেপে ভেঙে পড়া বাঁধ আগলে সুজলা পৃথিবী গড়তে চাও।
তুমি হাসতে চাও না চলন্তিকা
শুধু অন্ধকার রাত্রে  জোনাকির ভিড়ে আলোর মতো একলা থাকতে চাও।
আমার এই কবিতা তোমার আখরোট ঠোঁটে একলা হাসি
কিন্তু জানি তুমি কাঁদবে চলন্তিকা
তুমি ঈশ্বরের  চিনতে চেয়ে নিজেকে চিনতে ভুল করেছো।
তুমি যে ঠোঁটকে মৃত ঠোঁট বলে বারংবার ভূষিত করেছো রাজ্ সাজে
তুমি ভুলে গেছো সেই ঠোঁটে ঈশ্বরের স্পর্শ।
আমি ঈশ্বর বিশ্বাস করি না ,বিশ্বাস করি না ভূত ,পেত্নী ,দানবে
তবে ভালোবাসাকে ঈশ্বর মানি
আর তোমাকে ঐশ্বরিক কোনো বাঁচার আলো


আমার কাছে শেষ বলে কিছু নেই তবে আমি বিশ্বাস করি
শেষের শুরু সম্ভব।
যে মৃত্যুর চাবিটাকে তুমি খুঁজে চলেছো তোমার সকাল সন্ধ্যে
ভুলে যেও না সেই চাবির ভাগ আমার আছে।
যদি ঈশ্বর স্পর্শ করে আমি  বাঁচতে না পারি
আলো নিভে যাওয়ার আগে আমার অভিমানী মৃত্যুদের আটকাবে কে।  

মেরা নাম জোকার


মেরা নাম জোকার
............. ঋষি
==============================================
মৃত সম্পর্কের ভিড়ে মানুষের অস্তিত্বগুলো সব কালির ফোঁটা
ব্লটিং পেপারে ক্রমশ শুষতে থাকা চোখের জল।
আজকাল জ্বালা করে চোখে
নিজেকে মনে হয় কোনো নিরন্ন জোকার।
যে শুধু হাসছে আর পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বলছে দারুন মজা ,দারুন
ক্রমশ ক্লোস সার্কিটে তখন অন্যমনস্ক অদ্ভুত মানুষ।

জোকার আর ঈশ্বরের মাঝে তফাৎ শুধু চোখের জলের
কিন্তু হাসতে জোকারও পারে পিংপং সভ্যতা মুখে।
বৃষ্টির ফোঁটার  মতো কোনো আত্মিক স্পর্শ গড়িয়ে নামে আমার সারাবেলা
কানে কানে বলে তুমি আছো বেঁচে।
রাতের স্বপ্নে  সাঁঝবাতির রুপকথায় কোনো নিয়মিত রোমন্থির প্রেম
খুব একলা থেকে যায়।
সকালের স্নানের ঘরে তোমার বাহিত শব্দগুলো তোমার  আগুনের কবিতায়
আমার গায়ে ফোস্কা ফেলে ,আরো জ্বালা ,,আরো।
জোকার হাসতে থাকে নিজের ভূমিকায়
জোকার স্টেজে দাঁড়িয়ে খেলা দেখায় ,চলতে চলতে হুমড়ি খেয়ে পরে
আবার উঠে দাঁড়ায়।
মুখে তখন রাজকাপুরের লিপে সেই গানটা
জিনা এহা ,মরনা এহা ইসকে সিবা জানা কাহা  ......
ঈশ্বর তখন হাসতে থাকেন জোকারের মুখে তখন রক্ত।

মৃত সম্পর্কের ভিড়ে মানুষের অস্তিত্বগুলো আমার কাছে হাস্যকর
জীবন আর জীবিত সংজ্ঞা শুধু পরিচয়ে লেখা থাকে।
আমি হাসতে থাকি সেই জোকার
আমি গাইতে থাকি ভালোবাসা জড়িয়ে বাঁচার গান।
শুধু সময় মনে রাখে না আমায় তাই মনে করিয়ে বলতে হয়
জি চাহে যাব হামকো আওয়াজ দো,হ্যাম হ্যা ওহী ,হ্যাম হ্যা যাহা।

এক শতাব্দী বুকে

এক শতাব্দী বুকে
............ ঋষি
=========================================
আজ তুমিও হয়তো ক্লান্ত.
এই কথা আমাকে বলছে ফিস্ ফিস্ করে আমার অস্তিত্ব।
হাজারো শতাব্দীর শোক বুকে নিয়ে আমি হাসছি পাগলের মতো
তোমার উপস্থিতিকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা চলন্তিকা।
আমার কাছে ঈশ্বরের সাথে মেলবন্ধন
হয়তো বেঁচে থাকার শেষ আকুতিটুকু আমার জীবিত সফরে।

আমি ক্লান্ত
আমি চেষ্টা করছি ঝুরঝুরে ঘুন ধরা অস্তিত্বকে ,তৃষ্ণার স্পর্শে সুজলা করতে।
আমি সেই  কৃষক যার অবিরাম প্ৰচেষ্টা কোনো বন্ধ্যা মাটিকে সুজলা করার
কারণ একদিন আমিও ভীষণ একা ছিলাম।
ঈশ্বরের নটরাজ নৃত্যকে আমি অবহেলা করে
বুকে তুলে নিয়েছি তোমায়  শুধু বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছা বুকে।
শুধু তোমার জন্য
আমি বয়ে চলেছি এক শতাব্দী পাপ অভিনীত নাটকের রঙ্গমঞ্চ।
শুধু এখন ছুটির অপেক্ষা
তোমার সাথে  ছুটি লিখতে আমার এখন নীরব অভিনয়
পাগলের ভূমিকায় ,,কোনো প্রেমিক।

আজ তুমিও হয়তো ক্লান্ত
এই কথা বলছে আমার অস্তিত্ব বারংবার ফিস্ ফিস্ করে।
হাজারো শতাব্দী বুকে নিয়ে যে পথচলায় আমি পরিযায়ী পাখি
তুমি কি আমার নীল আকাশ হতে পারো না।
তুমি সময়ের সাথে সন্ধি করে আমাকে গভীরে পরম আদরে
আমাকে জড়িয়ে রাখতে পারো না।

জীবিত কণা

জীবিত কণা
........ ঋষি
===================================================
আমার জীবিত কণাগুলো হাওয়ায় উড়ছে
মানুষ আজকাল সত্যি নয় গল্প শুনতে ভালোবাসে।
কিংবা উপন্যাসে ঠোঁট ডুবিয়ে ফুপিয়ে ওঠা কান্না
নায়িকার মৃত্যু ,নায়কের স্বয়ংবর ,ভালোবাসা হাওয়ায় ওড়া,ভূমিকার অদলবদল।
কিন্তু জীবন সে তো শুধু নীরব হেঁটে চলা সময়ের হাওয়ায়
এই সব ভালো লাগা জুড়ে থাকা গুলো শুধু গল্প উপন্যাসে মানায়।

আজকাল শেষ রাত্রে ঘুম ভাঙা আকুতিটা
তোমাকে স্পর্শ করে।
অন্ধকার সিলিং জুড়ে গড়িয়ে নামে জানলা বেয়ে আসা জ্যোৎস্নায়
বুকের মধ্যে একসমুদ্র আলোড়ন।
হঠাৎ শরীরের কাঠামোয় ঘুন পোকাদের  তীব্র  মিছিলের আওয়াজ
সংগে শাবল, হাতুড়ি, কাটারীর  অট্টহাসি।
তুমি তখন আদরের বেশে আমার নীল পরী ,আমার স্বপ্নের নারী
সমুদ্রতট ঘেঁষে দাঁড়াও।
তোমাকে ছুঁয়ে যায় সময়ের রাশিফল অন্য জীবন সমুদ্রের ঢেউ
কিন্তু বারংবার তুমি ফিরে আসো,ফিরে আসো আমার কাছে।
জ্যোৎস্না ভাসা সমুদ্র তখন ভীষণ স্থির
আমার বুকের কোল ঘেঁষে তুমি মুখ ডুবিয়ে দেও জংলী মেজাজে।
ঘুম আসে বারংবার কিন্তু ভেঙে যায়
আমাকে ঢেউ স্পর্শ করে ,ভাসিয়ে নিয়ে তোমার গভীরে নোনতা জল।

আমার জীবিত কণাগুলো হাওয়ায় উড়ছে
তোমার স্পর্শের ঢেউ আমার সারা শরীরে ভিতরে বাইরে আজ নোনতা স্পর্শ।
উপন্যাসের শেষ লিখতে চাওয়াটা ঈশ্বরের কাজ
আমি ঈশ্বর হতে চাই নি কখনো বরং হতে চেয়েছি সমুদ্র।
আর জীবন আমি চেয়েছি সমুদ্রের কোল ঘেঁষা তোমার সফেদ বুকে একটা কালো তিল
যেটা শুধু আমারি স্পর্শ ,আমারি অনুরণন তোমার বেঁচে থাকায়।  

লুকিং গ্লাস

আরো দ্রুত এগিয়ে যাও তুমি  যাতে তোমার পিছনের ভয়গুলো তোমাকে না ছুঁতে পারে  ঠিক এখানেই একটা ফুলস্টপ লাগানো আছে , স্বার্থক মুক্তি আর মুক্তির মাঝ...