Friday, October 30, 2020

আমার কোনো দুক্কু নেই

 


আমার কোনো দুক্কু নেই 

... ঋষি 

.

ডরাই না মোটেই এই জীবনটারে 

সুরোজ উঠ্বেক রে ,দিন কাইটবে যেমন কাইটতাছে,

খেয়ে পরে ঠিক কাইটা যাবে বুঝলি ছিমলি । 

শুধু ভয় লাগে যখন আমি ফ্যাক্টরির আগুনের গোলায় লোহা এগিয়ে দি 

যদি আগুন আমাকেও টাইনা লয় ,

ভয় লাগে তোর জন্য ছিমলি। 

.

এই শহরের মানুষগুলা সব যন্তর রে 

তাই তো ভয় রে 

তোকে রোজ রাতে আমি বুকের মাইঝে টেনে লি কেন বল তো 

যদি শহরটা তোকে গিলে লেয় ,

যদি কোনোদিন বাড়ি ফিইরা তোকে না দেখতে  পাই 

ভয় লাগে রে যদি তোকে হারিয়ে ফেলি। 

.

তোকে বলতে নারি রে 

রোজ সুরোজ ওঠে আমি ছুট্টি ওই শহরের ধারে বড়ো ফ্যাক্টরির দিকে 

চিন্তা হয় ,কাম করতে করতে ভাবি 

ছিমলি তুই কি করছিস ,এখন কি করছে তোর পেইটের ভিতর ছানাটা ,

চিন্তা হয় তাই জানিস

ছুটি চেয়েছি আগেভাগেই ফ্যাক্টরির বড়ো বাবুর কাছে 

জানিয়ে দিয়েছি আমার কিছু বেশি টাকা দরকার 

গতোর খাটিয়ে তুলে দেব।

ছিমলি তুই জানিস আমার দুক্কু হয় না আজকাল আর 

আমি জানি আমি কাজে গেলেই তুই ছুটে যাস ওই পাশের রাজমিস্ত্রির ঘরে 

মস্তি করিস তোরা 

আমি এটাও জানি তোর পেটের ছানাটা আমার না 

অবশ্যি তাতে আমার কি 

তুই তো আমার বল ?

আমি তো তোকে সব দিতে পারি না 

তাই তো তুই ছুটিস 

আমার কোন দুক্কু নেই জানিস তাতে  

শুধু একটা কথা বলে দিস ওই রাজমিস্ত্রিটারে 

যদি কোনোদিন তোকে আমার থেকে হারাতে চায় 

যদি কোনোদিন তোর পেটের ছানাটারে জড়াতে চায় 

মা কসম ,কেটে ফেলে দিমু।  

 


গোপন পদাবলী


গোপন পদাবলী 

... ঋষি 


দুশো আটাত্তরটা মেইল এসে একলা পড়ে আছে মাথার কোষে 

আমাদের মস্তিষ্ক মাপছে এক কেজি জীবনের দাম,

সময় বলছে কবিতা ভাত কাপড়ে কবিদের  সবচেয়ে ভিখিরী করছে 

অথচ ভিখিরী মারছে মাছি ,

সাজানো যৌবনে কুকুরও প্রেমিকা হয়ে যাচ্ছে 

শুধু জীবনানন্দের মাথায় ভাবনার ক্যাড়াপোকা সময় বদলাবে কবিতা। 

.

পা থেকে পাছা সকলেই আজ কবি 

আকাশের চাঁদে চোখ ছিটিয়ে নেমে আসছে গুপী ,বাঘার স্বপ্নের হাঁড়ি ,

স্বপ্ন দেখাচ্ছে দেশ 

রোটি কাপড়া আর মাকান 

অথচ তুমি দশম শ্রেণীর ছাত্রী যার বুকের বোঁটা চুলকোচ্ছে 

সামাজিক মণ্বন্তরে। 

.

জ্বলজ্বল করছে সময়ের আফিমে সময় 

রাত এক কবিতা জন্মান্তরের ,রাত এক ভাবনা যাতনার ,

আমি তুমি সামাজিক 

তোমার নথ ও নাভিফুল প্রমাণিত সামাজিক জ্যামিতির প্রতিফলন। 

সময় গ্রহান্তরে 

আটলান্টা থেকে উঠে আসা ঝিনুক 

শুক্রানু আলোচনা করছে গাছেরা , তুমি সফল নগ্নমুদ্রাতে 

অথচ তুমি বলছো ঋষির বুকে তিলটা প্রেমিককে ভিখিরী করেছে। 

ভীমরতি সকাল বেলায় প্রেমিক হতে চিৎকার করছি

 গরম জলের শোষক,ধর্ম বদল মানুষের 

গোপন পদাবলী 

রাত থেকে পা বাড়ালে বাইরের পৃথিবীতে শুধু সাক্ষাৎকারের গল্প। 

.

হাসি পাচ্ছে জানি চলন্তিকা তোমার 

কিন্তু ভেবে দেখে আল্পসের চারপাশে চক্রাকারে ঘুরছে ঈগল ,

ঈগলের ঠোঁটে জন্মান্তরের খিদে 

 প্রাচীন চর্যাপদ

মাথার ভেতর  চেনা রাস্তার দীর্ঘ পথ হাঁটা 

বাজার থেকে খুব সস্তা পাওয়া সময়ের সিঁদুর। 

এইভাবে ক্রমাগত একটা  ধ্বংসের তালিকা করছি

কলমের নিবে ঝুলিয়ে দিচ্ছি ধুতরাগাছের বীজ

সময়কে বলছি চিৎকার করতে 

কবিতাকে বলছি সত্যি বলতে 

আমি শুয়ে আছি নগ্ন শবঘরে ছুরি ,কাঁচির ফাঁকে 

বাইরে মহোৎসবে সময়। 


অপারেশন থিয়েটার

 



অপারেশন থিয়েটার 

... ঋষি 

আমার হৃদয়ের প্রেম শব্দটা জীবিত ও মৃত 

আমার সামনে ছড়ানো একটা অপারেশন থিয়েটার 

ছুরি ,কাঁচি ,কাঁচের চোখ ,প্লাস্টিকের মেরুদন্ড। 

আমি জানি তুমি শুনবে না  

তোমরা শুনবে কেন 

সত্যি শব্দগুলো বলা ও সওয়া খুব কষ্টদায়ক। 

.

আমি প্রকৃত পুরুষ কিনা জানি না 

তবে জনি আমার বুকে শুয়ে আছে অজস্র নারীর যৌন প্রস্তাব ,

প্রস্তাব শুধু সাংবিধানিক হয় তা  নয় 

কারণ ফুলকে দেওয়া সংস্পর্শ সময়ের চোখে আজ যৌনতা। 

ভয় পেয়ো না নারী 

আমি কামুক হতে পারি ধর্ষক নই ,

যে সকল ফ্লাইওভার ও শহরের বাঁধানো রাস্তায় 

 একে অপরকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় সেখানে  দীর্ঘশ্বাস নেয় বস্তা পচা স্বপ্ন 

আর স্বপ্নগুলো বাস্তবের চাদরে চিরকাল তোমার কবিতা। 

.

আমার কোনো নারী ছিল না কোনোদিন 

ছিল না কোনো ভেদ আমার গভীর আত্মায় লেগে থাকা সংবিধানে ,

এককথায় আত্মার খোঁজ,

গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েও আমার কোনোদিন কুপ্রস্তাব আসে নি তাই 

এসেছে  মোমের পোড়া  গন্ধ । 

আমি জানি তুমি শুনবে না  

তোমরা শুনবে কেন 

তবু আমি বলবো 

তোমার কলমে আজকাল যে শীতলতার ছোঁয়া সেটা ভালোবাসা 

আর আমার ক্লাসরুমে  শেখা দরদাম করে সময় কাটাবার নাম বাস্তব ,

আমি জানি বাস্তব বুঝতে হয়

চিনতে হয় 

না হলে মাঝরাতে আমার প্রেমিকা রানী হয়ে খুলে বসবে অপারেশন থিয়েটার 

তারপর  ছেনি ,হাতুড়ি ,সাঁড়াশি দিয়ে তুলে আনবে আমার হৃদয় ,

তারপর পাগলির মতো আমার বুকে বসে বলবে 

 " ভালোবাসি  "

আর সেই সময় আমি নিরুপায়  .....মৃত কিন্তু আমার ভালোবাসা  ..........।  



Thursday, October 29, 2020

বেশ্যার কবিতা

 


বেশ্যার কবিতা 

.. ঋষি 

.

সময়ের শ্রমিকের জন্য বেশ্যার কবিতা 

সময়চিত জ্ঞানে উঠে আসে অকথ্য কিছু পঠন 

পৃথিবীর সব রাস্তা একমাত্র আমার হৃদয়ের কারখানাতে প্রোডাকশনরত। 

ভিজে লিপিষ্টিক 

কেন মন খারাপ 

একদিন তোমার লাল টকটকে ব্লাউজের ভিতর বিস্ফোরণ ঘটাবো

কারণ বিস্ফোরণের কোনো সমাজ থাকে না। 

.

আমার প্রেমিকা  নিয়মিত রাত  জাগে 

রাত জাগার কোনো মজুরি থাকে না ,থাকে বিলাসব্যাসন 

 প্রতিটা রাতের নামে আমি বন্দি থেকে যায় ভার্চুয়াল কোনো অবস্থানে ,

অবস্থান গণিত শেখায় 

শেখায় বালিকারা কেন একটা বয়সের পর মা হতে চায় 

আর বালকরা কেন তিলে তিলে লিখতে থাকে জন্মের কবিতা। 

.

অনবদ্য কবিতার মতো নারী তোমার ভুরুর উপর নতুন চন্দনের ছাপ 

ছাপ সিঁদুর আর তরজায় থাকা হাততালি  ,

সংসার আর  জেরুজালেম

দুইয়ের তফাতে 

শহরে আলোকজ্জ্বল রাস্তায়

দৌড়োতে দৌড়োতে কখন যেন মানুষগুলোর সময় ফুরিয়ে যায়। 

সময়ের শ্রমিক সব মানুষ 

সময়ের বুকের পর্দায় উঁচু ,নিচু  ,ঘরবাড়ি ,পাহাড়ি রং ,স্বপ্নরা 

তাতে কি জীবন কাটে ?

কাটে  একাকী ?

হাত ফসকে বারংবার ফিরে আসে জীবন বেশ্যাখানা থেকে 

মুখে পান জর্দা ,অকথ্য কিছু শব্দ 

পা ছড়িয়ে কাঁদে। 

.

সময়  যেন সুদূর কালাহান্ডির তৃষ্ণা , বিচ্ছেদের বেতার,

সূর্যের আসাযাওয়া কোনো সময় উল্লেখ করে না 

উল্লেখযোগ্য এটাই 

আমার মৃত্যুতে আমার শব্দরা তোমার ঠোঁটে কবিতা হয়ে থাকবে 

আর তোমার মনখারাপের লাল ব্লাউজে শুয়ে থাকবে 

হঠাৎ স্পর্শের বরফ। 

.

পুনশ্চ বেশ্যা সবটা নির্ভরশীল 

কারণ সত্যি আমি জানি না সময় কোন প্রজাতির ইঙ্গিত। 

Wednesday, October 28, 2020

পারমানবিকতা

 পারমানবিকতা 

... ঋষি 


পুরুষ খুলছে 

সময় খুলছে 

সমাজ খুলছে 

খুলছে দুর্যোধন হস্তিনাপুর সভায় 

খুলছে মানুষের বয়ামে মৃত সম্পর্কের নামে রসিকতা 

আর আমি  খুলছি তোমায়। 

.

আমার বাম হাতে তোমার মেরুদণ্ড 

আর ডানহাতে তোমার ১৮০ কেজি ওজনের স্তনজ  বোমা 

বোমা পড়ছে হিরোশিমায় 

ধ্বংস হচ্ছি আমি ,,,,,,, রোজ ,

একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছি তোমাকে বলতে না পারায় 

মৃত ক্যানভাসে তাই আমার লালরক্ত আজকাল বিষাক্ত রূপ নেয়। 

.

রূপ আর রূপকের মাঝে তফাৎ 

সোনার রাংতায় মোড়া মায়াবী শহরের মাঝখানে কিছুটা মিথ্যে লোকানো ,

আমি বুঝি সব 

আমি জানি সব 

যন্ত্রনা শব্দদের পরিপূরক নয় 

কবিতা মানুষের গভীরে শুয়ে থাকা একটা সম্পর্কের নাম ,

অবাক হচ্ছো চলন্তিকা 

আজকাল আমি একটু বেশি সত্যি বলছি 

সত্যি বলছি গিলোটিনে দাঁড়ানো ষড়যন্ত্রের ভূমিকায়। 

আমি জানি সব 

আপনারা জানেন কি ?

পুরুষ খুললেই কোনো কুকুরের জন্মায় না 

সময় খুললেই যেমন সত্যি 

আর সমাজের খুললে সত্যি রক্তাক্ত মনে হয় নিজেকে ,

কিন্তু তোমাকে খুললে 

আমি সম্রাট হয়ে যায় কোনো ইতিহাসের পাতায় দাঁড়িয়ে 

ইচ্ছে করে সময়ের পারমানবিকতা বন্ধ করে 

তোমাকে সত্যি জড়িয়ে ধরি। 

Tuesday, October 27, 2020

এরেষ্ট ওয়ারেন্ট



এরেষ্ট ওয়ারেন্ট 
.. ঋষি 
আমার আমার করতে গিয়ে সকাল থেকে আলো চলে গেল 
এখন বাঁচা মরা আলাদা করে ভাবা যাবে না, 
বসে আছি জীবনের সাথে মুখোমুখি
দোকান খোলা নেই, সিগারেট  নেই, বিড়ি আছে প্রেসেন্টে 
ফস করে পুড়িয়ে ফেলি, 
তারপর একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে বলি 
কবি আর মাতাল দুজনেই প্রেমিক হতে পারে 
তবে কবির নেশায় থাকে যন্ত্রনা,
আর প্রেমিকার ঠোঁটে কবির কবিতা। 
.
চলন্তিকা বলছে ঈশ তুই বিড়ি খাচ্ছিস 
আমি একশো তলা জীবনের উপর দাঁড়িয়ে ভাবছি লাফ মারবো কিনা,
একাই এসেছি এতদুর
করেই ফেলি প্রশ্নটা চলন্তিকাকে,  তুমি আমাকে ভালোবাসো? 
তারপরই দূরন্ত হিসেবের মধ্যে ঢুকে পড়লাম
দুদলে আমার ভাবনারা এখন, 
হৃদয়ে বারুদ রেখে এরেষ্ট ওয়ারেন্ট 
হৃদয়ে হিসেব লেখানো, সত্যি বলা 
এই ভাবে চলছে না । 
.
এই ভাবে চলছে না 
চলন্তিকা বলছে স্বর্ণদীপ বানান ঠিক কর আর  আজ ৩১ শে  অক্টোবর।
খেতে না পাওয়া মানুষগুলোর জন্য সুখবর 
চাঁদের দিকে তাকালে রুটির গন্ধ আসে, 
সকাল সকাল মেয়েটা না  বলছে বলে বন্দুকের নলে  বদলা, 
মেয়ে তো 
কচুরিপানায় চাপা থাকা শায়া সংবাদরা, রক্ত মতীরা 
সুন্দরী বলে কথা। 
প্লিজ ওদিকে যাবেন না 
আজকাল বুড়ো ঢ্যামনাগুলোও ভালোবাসি বলে বগল চুলকোয়, 
প্লিজ ছুঁয়ে আসুন অশোকের হাতের ছাপ 
আপনি ভালোবাসতে পারেন 
আপনি মাতাল হতে পারেন 
কিন্তু কবি না
কারণ কবি হতে গেলে যন্ত্রনা লাগে। 
.
পুনশ্চ চলন্তিকা তুমি এখনো বল্লে না
তোমার বুকে আমার দাঁতের দাগটা কি একি রকম আছে? 
বল্লে না ভালোবাসি শব্দটা কি আমার মত পাগল 
নাকি শুধুই কবিতা। 

Sunday, October 25, 2020

লিপস্টিক

লিপস্টিক 
.. ঋষি 
.
হৃদয়ের ওইপাশে মরুঝড় 
এইপাশে শুয়ে আছে সিগারেট ভর্তি ছাইদানি, 
অথচ তোমার থ্যাবড়ানো কাজলে সমাজ সমাজ গন্ধ।
আমার বুকের নিকোটিন 
সিঁড়িতে হয়ে যাওয়া ফটোফ্রেমে তোমার লিপস্টিকের দাগ 
আমার হৃতপিন্ডে কালো ছোপ ফেলে। 
.
এর পরও বলবে কবিতা
সত্যি বলে না?
পাঁজরের বাতিস্তম্ভে অন্ধকার রাত্রে দাঁড়িয়ে আমি একা
কেমন তুমি, তুমি গন্ধ,
নিরিবিলি চোখে ভিজে যাওয়া তোমার চোখের কাজল 
তবু কেমন একলা থেকে যায়? 
.
সব শুরু গল্প হয়ে যায় 
বাড়ন্ত ধ্বংসের দিনে আচমকা ভেসে ওঠে ভিসা, ওথেলোর গল্প,
আর পালিয়ে একা
 চালচিত্রের দুঃখের পাঁজরে লেখা বিসর্জনের গল্প। 
মার্জনীয় আমি ভারতীয় 
চোখে নীল রোগ উৎসবের মরশুমে হঠাৎ ছুঁয়ে থাকা বিষন্নতা নিয়ে
তোমার বাড়ির দরজায় আমি দাঁড়িয়ে আজ সারারাত
শুধু তোমায় লিখবো বলে। 
লিখবো কালো শাড়ি, লাল ব্লাউজ পড়া মেয়েটা সামাজিক রাস্তায়
হাত ধরে হাঁটছে আমার গভীরে, 
অথচ আমার পাশে শুয়ে আছে সিগারেট ভর্তি ছাইদানি
আর সবচেয়ে মিথ্যে কথাটা
তোমার ঠোঁয়ের লিপস্টিকে সত্যি একটা সমাজ আছে। 


বাঁচতে চাই



বাঁচতে চাই 
.. ঋষি
.
এরপরও সিঁড়ি বেয়ে নামতে হবে
বুকের ভিতরে অজস্র ছুরি, কাঁচির নিমন্ত্রনে নিজেকে বলতে হবে
ওমঃ নমঃ শিবায়, 
আমার কোন ধর্ম নেই, নেই বর্ম, নেই ইতিহাস 
শুধু শ্মশানের আগুনে পুড়িয়ে বাঁচা,,, একটাই অভ্যেস 
মেরুদন্ড বেয়ে একটাই ঘুড়ি সারা আকাশে 
বাঁচতে চাই। 
.
বুঝতে পারি না 
আমি বাঁচতে পারি না কেন?  কেন ভালো থাকতে পারি না, 
মহাভারতের কর্ণ সমুদ্র ভিক্ষা করে
চিৎকার করে, 
শুনতে পায় সময়, মহাভারত পড়ে সকলে 
সকালের টেলিভিশন  সেটে, বইয়ের পাতায়  ধর্ম পড়ে
অথচ কর্ণকে বাঁচাতে পারে না কেউ।
একটা অভিসম্পাত 
দুর্ভিক্ষের কাছে ঈশ্বর  জন্ম, ভীষন খিদে
ফুটাপাথে প্রাচিরের মতো দাঁড়িয়ে উস্কোখুস্কো সমাজ 
দেওয়াল ভাঙতে পারে না,
মানতে পারে না  দাঁড়িপাল্লায় ঝোঁকা কম বেশি জীবনের মাপ। 
.
জানি না আমি কেন ভালো থাকতে পারি না
কেন জানি আমার ভালো থাকাগুলো একলা অন্ধকার রাতে 
নিজেকে হাতড়ানোর মত কিছু। 
এর পরও সিঁড়ি  বেয়ে নামতে হবে
সহ্য করতে হবে একুশ শতকের ইউসলেস কিছু প্রশ্ন 
যেখানে প্রতিটা প্রশ্নের বাক্সে লেখা থাকবে
শর্তাবলী প্রযোজ্য। 
সত্যি সত্যি  যদি কোনদিন ছুরি, কাঁচি দিয়ে
 আমার বুকটা চিড়ে প্রশ্ন করা হয় কেমন আছও তুমি? 
শর্ত ছাড়া একটাই উত্তর থাকবে 
বাঁচতে চাই। 

উত্তর


উত্তর
... ঋষি 
.
কতজন আসে কত কথা বলে
আমার মাথার ভিতর খালি হয়ে যায় ক্রমশ বেঁচে থাকায়? 
কত জন বাঁচে, কত জন মরে 
সোনালী ডাঙার চিল স্বপ্নের ভিতরে মৃত্যু লিখে যায়,
সব মিথ্যে মনে হয় 
ক্রমাগত পাথর খোদাই করে নারী মুর্তি, প্রেম
চলন্তিকা,,,,,,,   সত্যি সম্ভব? 
.
মাথার ভিতর সব খালি হয়ে যায় 
এই যে কোভিড যুদ্ধ, এই যে সামাজিক দহন
জীবিত শরীরের উপর আজকের মানুষের পোড়া চামড়া, 
এই যে ডাক্টার, নার্স, সামাজিক রক্ষীদের দিনের পর লড়াই 
কি মনে হয়? 
আসলে জানতে ইচ্ছে করে এক সন্তান নিয়ে জীবিত সেই লোকটাকে
যার স্ত্রী কোভিডে গত হলেন, 
জানতে ইচ্ছে হয় সেই দলিত ছ বছরের কন্যার বাবা মাকে 
তারা কেমন আছেন, 
কিংবা রেললাইনে ছড়ানো সেই রুটিগুলো 
যার পাশে জিভ বের করে শুয়ে আছে অসংখ্য থ্যেতলানো মাথা
আদৌ তাদের কি কোন উত্তর ছিল? 
.
কতজন আসে কত খবর  বলে
আমার মাথার ভিতর খালি হয়ে যায় ক্রমশ বেঁচে থাকায়? 
এই যে অন্ধকার রাতে আমার মাথা জুড়ে বিষন্নতা
না আমি দুঃখী  নই 
হয়তো মৃত, হয়তোবা এক পচা দুর্গন্ধময় সময়ের কারণ। 
সামনে পরে আছে গোটা রাত 
একটা গোটা জীবন, 
তুমি কি বুঝতে পারছো চলন্তিকা আমি কি ভাবছি
কেন আমি জাগছি? 
কেন বা এই মুহুর্তে  মনে হচ্ছে 
একটা খালি মাথা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। 


Friday, October 23, 2020

অন্তর্বাস

অন্তর্বাস 

... ঋষি 

.

 সারা জীবন ধর্মগ্রন্থে পড়ে আমি কোনো শিক্ষা পাই নি

সারা জীবন হুইটম্যান পড়ে আমরা বিপ্লবী হতে শিখি না

সারা জীবন বিখ্যাত দেশি বিদেশী কবিতা পড়ে

একটাও কবিতা লিখি নি ,

সারা জীবন মানুষের অমানবিকতার কেঁদেছি আমি 

মানুষ লিখতে চেয়েছি 

চেয়েছি একটা জীবন শুধু চলন্তিকা তোমায় ভালোবাসতে। 

.

ফ্রয়েড পড়েছি 

পড়েছি হাজারো নারীকে নিজের বুকের অলিখিত কবিতায় কষ্টে 

পড়েছি সময়ের শ্রমিকদের এক পেট খিদে নিয়ে। 

হস্ত মৈথুন শিখেছি 

জেনেছি মেঘ ও পাহাড়ের সঙ্গমকালে চুমু খেলে রমণীর স্তনে শীত-শস্য ফলে

অথচ অদ্ভুত 

জানতে পারি নি 

অন্তর্বাস

আঙুলে খোলে না

খোলে কথায়

প্রেমে। 

.

এই আক্ষেপ নিয়ে একদিন আমি একদিন অবিন্যস্ত ভিখিরির মতো 

শীতের মোমবাতি হয়ে ক্ষয়ে যাবো,

ক্ষয়ে যাবো আগামীর আলোতে হয়তো কোনো এক দিনে 

শুধু থেকে যাবো আমার কবিতার  শব্দে 

তোমাকে বুকে নিয়ে চলন্তিকা। 

সারাজীবন সত্যি বলতে কি কখনো কোনো নারীকে ভালোবাসিনি 

ভালোবেসেছি মেরুদণ্ডকে 

ভালোবেসেছি সময়ের চওড়া বুকে প্রতিটা প্রতিবাদকে ,

আমার ছত্রিশ তম প্রেমিকা আমার বুকে মাথা রেখে বলেছিল 

প্রতিবাদ কি ?

আমি হেসেছি সেদিন খুব 

তারপর অবিকল সময়ের মতো বলেছি 

প্রতিবাদ হলো প্রতিটা পরিবর্তনের নারী 

যার বুকে মাথা রেখে কাঁদা যায়। 

অসময়ের জন্মদিন

 


অসময়ের জন্মদিন 

... ঋষি 

.

ক্যালেন্ডার থেকে বৃষ্টি নেমে এলে 

মেয়েটা আসে ,এসে বলে আজ তোর জন্মদিন ,

মোটামুটি একইরকম এই অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা ,

বয়স বাড়া 

ভালো লাগা 

বেঁচে থাকা কাশ ফুলের মাঝে প্রিয় মুখ 

মা আমার জন্মদিন আজ। 

.

বহুদিন জানলার ওপারে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেই মেয়েটা 

যার সাথে আজকাল কথা হয় না ,হয় না দেখা 

ল্যাপটপের পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ হঠাৎ বেখেয়ালে খুশিতে মেতে ওঠে 

মেয়েটা বলে 

আজ তোর জন্মদিন দেখ ঠিক রাত বারোটা 

ভালো থাকিস। 

.

সময়ের বৃষ্টি অসময়কে ভিজিয়ে যায় আনমনে 

কান পেতে শুনি আমি ঝর্ণার শব্দ ,বয়স বাড়ার শব্দ ,পায়ের শব্দ 

আর শব্দ সাদা পাতায় 

বৃষ্টির মতো ভিজিয়ে যায় প্রতিবার আজ আমার জন্মদিন। 

আজ হঠাৎ মোবাইলে সেলফিতে 

ঝলমলে মুখ 

উৎসবমুখর ঘুম ভাঙা শহরে উঁকি মারে আমার আজন্মের শোভা যাত্রা ,

আমার সাথে বছরের ছেলে গলা জড়িয়ে বলে 

বাবা আজ তোমার জন্মদিন 

অনেক গিফট পাবো বলো। 

আমি হাসি 

জড়িয়ে ধরি ছেলে বলি বড়োদের  জন্মদিন হয় না বাবা

শুধু অভিজ্ঞতার জন্ম বাড়ে। 

.

হঠাৎ স্বপ্নে হুড়মুড় করে ভেঙে পরে আকাশ 

বৃষ্টি ফোঁটায় হাজারো মুখ ,হাজার বন্ধু ,হাজারো শুভেচ্ছা গাঁথা 

ফিরে আসা শৈশব ,মায়ের ঝিনুক বাটি 

আমি হেসে ফেলি আনমনে 

চলন্তিকা মাথার চুল ঘেঁটে বলে শুনছেন মশাই 

পুজো গন্ডার দিনে আমি তোকে চাই 

আপাতত ছুটি কবির।  

Thursday, October 22, 2020

ফিরতে চাইছি

 ফিরতে চাইছি 

..... ঋষি 

.

শুনতে পারছি না 

শুনতে চাইছি না 

শঙ্খের শব্দ ,হৃদয়ের ঘর ,অন্ধকার থেকে আলো ,

যুগ থেকে যুগান্তরে এগিয়ে যাওয়া মানুষের বোধ 

শব্দহীন হও 

তুমি বুঝছো সময়ের জ্বর ,একটু আসতে বলো ,কোয়ারেন্টাইন আছি 

শুনে ফেললেই সমাজ মৃত্যু। 

.

কঠিন সতর্কতা 

অনিশ্চিত সময়ের জ্বর ,কে শুনছে ,কেন শুনছে না 

জল ,স্যানিটাইজার আর সময়ের কৃত স্বর। 

অনবদ্য শরৎ 

জীর্ণ ঠোঁটের ফাঁকে আটকে আছে মানুষের আকুতি 

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ , 

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ শ্রীগুরবে নমঃ  ,

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ গণেশায় নমঃ , 

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ দুর্গায়ৈ নমঃ। 

.

শুনতে পারছি 

ঠান্ডা বাতাস ,ঘামে নষ্ট মানুষের সমাজ ,অনবদ্যের ছন্দে উপস্থিত 

তুমি ,আমি ,আমরা 

পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ফিরে আসতে  চাইছি 

পুরোনো বাঁচায়। 

জড়িয়ে ধরতে চাইছি চলন্তিকা তোমাকে পিছন থেকে 

লালপেড়ে শাড়ি ,কপালে সিঁদুর ,সময়ের ইচ্ছে 

চুল ছড়ানো ,শহরের ভিড়ে ,

ইরেজ 

ইরেজ 

ইরেজ 

হাত ধরে ঘুরতে চাইছি শহরের উৎসবে মুহূর্তকে সাক্ষী করে। 

তবুও মন্ত্র বাজছে দূরে ,তার ছেঁড়া উৎসবে 

ঝাপসা আলোর ভিড়ে 

আজ বিসর্জনের সুর 

শব্দহীন হও 

তুমি বুঝছো সময়ের জ্বর ,একটু আসতে বলো  ,কোয়ারেন্টাইন আছি 

শুনে ফেললেই সমাজ মৃত্যু। 



প্রেম শব্দটা

 


আমি প্রেমের কথা বলতে পারি না 

বলতে পারি না প্রজাপতির ডানা না থাকলে আকাশ ! 

শহরের ট্রেন কখনো প্রেম বোঝে নি সে কথা

বোঝে নি বাউলের গানে মানুষের প্রেমের দুঃখ ,

প্রেম হলো কুয়াশার পাহাড়ি ট্রেন 

কিংবা সবুজ পাতায় এক  ফোঁটা শিশির 

কিংবা প্রকৃতির পুজো। 

.

আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় অধ্যায় চুমু 

চুমু আর অধিকার ,

বাসি চুমুতে না আমার অধিকার ছিল না কোনোদিন,

সময়কে দুর্দান্ত ভাবে ছিঁড়ে ফেললে 

যে নারী থুথু ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে শহরের মধ্যে বিন্দুতে 

তাকে কেন্দ্র করে চুমু আসে নি কোনোদিন ,

আসলে প্রেম শব্দ লুকিয়ে শারীরিক। 

.

এক সময় আমি প্রেমের কথা বলতে পারি না 

সময়ের ভাতে টগবগ করছে মানুষের খিদে 

বাবা বলতো প্রেম ছড়ালে ভাতের অভাব। 

প্রেম শব্দটা কি যৌনতার সাময়িকী ?

ঘর শব্দটা শরীর হয়ে যায় 

ঘর আর যৌনতা আমাকে সেদ্ধ করে 

অথচ দিনের শেষ ভাতের গন্ধে প্রেম জন্মায় গরিবের ঘরে। 

.

মানুষ চিৎকার করে কে কার জমিতে  বাস করে কেউ জানতে চায় না  

এমনি কাটছে দিনের পর দিন পরের জমিতে অধিকার। 

শব্দরা প্রেম ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণে 

ঋষি নিশ্চল তাকিয়ে আছে শব্দহীন 

এই ভাবে বাঁচলে জীবন শুধু কুয়াশার আড়ালে নির্বাসনে 

কান পেতে শোনা পাহাড়ি শব্দে নিস্তন্ধ আনাগোনা 

প্রেম শব্দটা অনবদ্যে  তবে একলা বড়। 


ত্রিশূলের তিন মুখ

 


ত্রিশূলের তিন মুখ 

... ঋষি 

.

আহত আমি 

ত্রিশূলের তিন ডগা আমার বুকে তমঃ, রজঃ ও সত্ত্ব । 

প্রশস্তিতে লেখা পৌরাণিক সত্ব 

জীবন আর জীবিকার মধ্যে বাস করা মানুষ 

ঈশ্বর জাত হলেও 

যক্ষ কন্যা অদিতির সন্তান অসুরদের   সহযোগ থেকেই যায়

সময়ের জীবিকায়।  

.

আহত আমি 

আমার শহরে ঝুলতে থাকা সিলেবাসে শুধু আজ হিসাবের ভীত ,

কোলেস্টলে ভেজা মানুষ 

শুধু অদ্ভুত আঁধারে দাঁড়িয়ে খুঁজে ফেরে আলো ,

অথচ মনের কোনে  অসুর 

স্বত্বায় অসুর। 

.

আহত আমি 

অবাক আমি ,মানুষের ম্যানিকুইন থেকে খুলে নেওয়া ঈশ্বরের স্তন

মানুষের শৈশবে দেখতে চাওয়া ঐশ্বরিক যোনি যত্নে। 

কি খুলছে ,কেন খুলছে  ?

অন্ধকার থেকে শতহস্ত দূর কিছু প্রহেলিকা 

মানুষকে বোকা করছে রোজকার পথ চলায়

শিক্ষা থেকে শিক্ষিতের দূরত্ব 

মানুষের দুর্বলতায় সব মিশে লোভ হয়ে গেছে । 

 .

আহত আমি

মানুষের অন্ধকারে সুখ 

ফুটপাথে চান করা সেই অজানা শৈশব জুলু জুলু চোখে দেখা 

মাংসের পৃথিবী ,

সময়ের অভিসারে উঠে আসা আগামী দেখে 

নিজেদের মৃত সন্তানের মুখ.

অদ্ভুত প্রহেলিকা 

বদলানো শহরে ঝলমলে চেহারায় মানুষগুলো সব অসুরের মতো 

শুধু অন্ধকারে রপ্ত ,

অথচ মহাদেবের ত্রিশূলের তিন মুখ চিরকাল অন্য কথা  বলে

তমঃ, রজঃ ও সত্ত্ব  ।

Wednesday, October 21, 2020

একচেটিয়া



একচেটিয়া
... ঋষি 
একচেটিয়া দুঃখগুলো করোও একার নয়
একার নয় পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ,নদীর শব্দ ,গাছেদের দীর্ঘশ্বাস ,
এক পর এক ঝড় ভেঙে দিতে পারো হাজারো মন
কিন্তু মনের অধিকার কারোর একচেটিয়া নয়
একচেটিয়া নয় কাছের শব্দগুলো
সবটাই বেড়ে ওঠা শহরের প্রতিদিনকার দীর্ঘশ্বাস।
.
ঘর ভাঙবে -গাছ ভাঙবে -নৌকাডুবি হবে
ভেসে উঠবে মৃতদেহ ,
এই একটাই পরিণতি যেখানে ভাবনাগুলো জট বেঁধে যায়
আর তারপর
সময়ের শব্দগুলো ,অভ্যেসের আয়নায় হারিয়ে যায়
হারিয়ে যেতে হয়।
.
মনখারাপ -একদম নয়
বাড়ন্ত উপসর্গে আমি তুমি আমি কাব্য কিংবা সময়ের চরিত্রে বনসাই, 
ঘরের ছোট্ট কোনে আমাদের বাস 
ঠিক এমনি আমাদের বাঁচার অভ্যাস
আসলে একচেটিয়া কষ্টগুলো কারো একার না
ভালোবাসা কখনই কোন কারণ না 
তবে প্রয়োজন বটে,
থাকার অনুভুতি, ভাবনার গতি অভ্যেসে একলা বনসাই
ঘরের কোনেই কখন যেন প্রাচীন হয়ে যায়। 
প্রাচীন কাব্য 
একচেটিয়া ভালোবাসা কারও একার নয়
অথচ 
কি অদ্ভুত
ভালোবাসলে মানুষ পেয়ে যায় একচেটিয়া অধিকার।

তুমি জাগবে কি




তুমি জাগবে কি? 
..  ঋষি
রাত ভোর হয়ে যাচ্ছে
কাল জেগে ছিল সবাই তোমার মাথায় সিলিং পাখা,জানলার পর্দা
বারান্দার কোনে রাখা ছোট বুক কেস
তোমার সিঁড়িতে অযত্নে থাকা বইগুলো। 
জেগেছিল সারা শহর, শহরের বাতিস্তম্ভ, রাতে ঘরে না ফেরা সময়
আর  জেগেছিল ভাবনারা। 
.
সময় শুয়ে ছিল দ এর মতো করে
দ এর বুকে ঘুমিয়ে ছিল  সময়ের সন্তান, 
চোখের নদীর পাশে জেগে ছিল শিকারী মন 
হাতে তার তীর, ধনুক
আর চোখে ধৈর্য্য। 
.
সব কথা বলা হয়ে গেলে 
শুয়ে থাকা মৃতদেহে আর কোন স্বপ্ন বাঁচে না। 
কাল সারা রাত এ যুগের অসুখের শব্দগুলো জেগে ছিল 
আমার বুকে, 
তোমার সৌ্র মন্ডলে তখন আকাশের চাঁদ 
এক ফালি হাসি নিয়ে। 
আমিও হাসছিলাম খুব 
টুংটাং  শব্দে সময়ের পাহারাদাররা সময় বলে গেল
রাত ভোর হয়ে যাচ্ছে, 
চোখ জ্বালা করছে 
মাথা ভারী-ভারী 
কন্ঠ শুনতে পারছি তোমার - হাসির শব্দ 
আচ্ছা আমার যদি আর ঘুম না আসে আর
যদি আবারও জাগি অন্য রাত
তুমি জাগবে কি? আমার সাথে। 

কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার

কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার
... ঋষি 
.
লোকে বলে বলেরে
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।
.
হাজারো নক্ষত্রের  মাঝে একটা বুক আমার ছিল 
ভালো কি খারাপ, আলো কি অন্ধকার 
কাছে কি দুরে,কি এসে যায়? 
শুধু ঠোঁট ফুলিয়ে পাহাড়ি রেলগাড়ি কুয়াশায় হারিয়ে যায়। 
হারিয়ে যাওয়া মানে তো ফুরিয়ে যাওয়া না
বরং এক আভাস  ফিরে আসা সভ্যতার বুকে আগুন আবিষ্কার । 
.
হাজারো নক্ষত্রের বুকে আমার একটা বুক ছিল 
আজ সেখানে শুধু তারাখসা, 
মাটির পৃথিবীতে  বুক ছিঁড়ে দাঁড়িয়ে আছে একলা গাছ
একলা থাকার একটা অন্ধকার থাকে,
থাকে শরতের মেঘে কোন অন্ধকার আকাশে
খসে পরা সুখ 
অন্ধকার শব্দরা। 
.
আমার কয়েক শতাব্দীর প্রেম 
কুয়াশার সাম্রাজ্যে দূর থেকে সরতে থাকা অনবরত শব্দসুখ,
মাঝে মাঝে আকাশের বুকে পা দিয়ে দাঁড়াই
নিজের সুবিধামত নক্ষত্রদের জায়গাবদল করি 
কি এসে যায় কিছু তারা খসায়
সময় কি বদলায় 
নাকি বদলানো যায়। 
আমি কান পেতে শুনি... 
হয়তো শ্রবন সুখ
.
লোকে বলে বলেরে
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।






অসুর



অসুর 
... ঋষি 
.
জড়িয়ে ধরা বুকের পাঁজরে পাঁজড় ঠেকে যায়
সর্বসমক্ষে ভাবনারা খেলনাবাটি সংসার, 
নিরপেক্ষ সমাজ
নিরুপম চিত্র 
সময়ের উৎসবের কদিন তোর সামাজিক রান্নাঘরে 
অনন্ত দেবী। 
.
যুদ্ধ চলছে
চলছে উৎসব 
জানি এখানে আমি কোত্থাও নেই
জানি এই সময়ের মাটিতে আমার সবুজ আজকাল ফ্যাকাশে 
তবু বেঁচে আছি 
আছি জুড়ে কবুতরের মতো তোর ঘুলঘুলির ফাঁকে। 
.
জড়িয়ে ধরা বুকের পাঁজরে কোন প্রশ্ন ছিল না কোনদিন 
প্রশ্ন শুধু একশো ত্রিশ কোটি  দেবতাদের মুখে ফুটে ওঠা বলিরেখা,
সব জানি 
দেবতা আমি ছিলাম না কখনও
বরং অসুর,,, আমি খুশি
তাতেই খুশি। 
জানি তুই ভয় পাচ্ছিস আকাশের স্বপ্ন 
জানি সময়ের ঝড়ে আমরা খেলনা বাটি আর সংসার 
জানি ভগ্নাংশের জীবনে সবটাই দাবার ঘুটি
 তবু আমি খুশি
কারন অসুরের  মৃত্যু বড় বেশি স্বভাব দর্শন 
কারন অসুরের স্বপ্ন চিরকাল  সময় বিরুদ্ধে।
কিন্তু তবুও তো অসুর ছাড়া দেবী অসম্পুর্ন
আর সম্পুর্ন শব্দটা সামাজিক বড় । 

Tuesday, October 20, 2020

শুভ শারদীয়া ১৪২৭

 


শুভ শারদীয়া ১৪২৭

.... ঋষি 


শুভেচ্ছা ও শুভ অবস্থান 

উৎপাদনে মানুষ লিখে চলেছে আবার একটা উৎসব 

অন্ধকার ইতিহাসে। 

মানুষের বেঁচে থাকা ,সময়ের সাথে থাকা 

সূর্যের পূর্ব থেকে পশ্চিমের একটা দিন বদলের গল্প 

কিছুটা উৎসাহ মানুষে। 

.

কি বদলাবে উদযাপনে  ?

মানুষের স্বপ্নপূরণ ,সবুজ টিয়ার সংসার ,মধ্যবিত্ত মানসিকতা ,

কাল খবরের শুনলাম চিৎপুরে সেই পাগলিটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 

বাড়িতে স্ত্রীর মুখে শুনলাম পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া সংসার না চালাতে পেরে গলায় দড়ি দিল , 

তবুও জানো  চলন্তিকা উদযাপন চলছে যুগে যুগে 

তবুও  জানো মানুষ খুঁজছে একটু নিঃশ্বাস 

একটু বিশ্বাস সময়ের পোড়া কবরে।  

.

বোধন থেকে বিসর্জন 

স্বপ্নপূরণের কটা দিন মানুষ হাসতে চাইছে ,

হাসতে চাইছে সেই ছ বছরের শিশুটা ,

হাসতে চাইছে হাতিবাগানের সেই রিকশাওয়ালা লোকটা 

হাসতে চাইছে আরেকবার একটা গোটা শহর 

বাঁচতে চাইছে 

বলতে চাইছে সকলেই 

আমরা তো ভালো থাকতে চাই মা ,

আমরা তো বিশ্বাস করতে চাই সময়কে ,নিজেদের মানুষকে 

আমরা তো ভালোবাসতে চাই জীবনটা 

কিন্তু  ........

.

যাই হোক 

শুভেচ্ছা ও শুভ অবস্থান ,

এই কবিতা শুধু মানুষকে জন্য ,মানুষের ভালো থাকায় ,

এই কবিতা শুধু চলন্তিকা তোমার জন্য ,

এই কবিতার বিশ্বাসের 

এই কবিতায় আমি বলতে চাই তোমায় 

শুভ শারদীয়া ১৪২৭। 


৪২ মিনিট



 ৪২ মিনিট 

... ঋষি 

.

৪২ মিনিটের কথোপকথনে কি বলতে পারে কোনো পুরুষ 

কিংবা কোন নারী। 

শুধু রৌদ্র শুকিয়ে পথ চলা জীবনে 

অনেক তোলা অংক আজও ভীষণ সরল, 

কারণ নারী আর পুরুষের উর্ধে কিছু বাসা বেঁধে থাকে 

মন 

মানুষের মন। 

.

মন যেখানে 

শরীর থাকে 

থাকে টিয়া রঙের স্বপ্নের চোখে অনেকটা সঙ্গমের মতো কিছু ,

কিছু স্বপ্ন পুরনো হয়েও নতুন ভীষণ আজও 

আমাদের কথোপকোথনগুলো 

ধনুকের শরের মতো কিছু লক্ষভেদে 

পাথরের চোখে। 

.

৪২ মিনিটের কথোপকথনে কি বলতে পারে কোনো পুরুষ 

কিংবা কোন নারী। 

প্রেম শব্দটা যেখানে ছোট লাগে বড়ো 

মানুষের শরীর পুরনো তখন বড় ,

কিন্তু কিছু একটা থাকে 

না বলা সময়ের সফরে অপেক্ষা বলে কোনো অভিধানে। 

চারদিকে এত শত লোক অবাক বিস্ময় নিয়ে

তাকিয়ে দেখে আজও  ফুসফুস থেকে নির্গত ধোঁয়ায় অন্য মুখ 

আমার যুদ্ধশান্তি  আর অবতরণ  নক্ষত্র ,

নক্ষত্র বুকে অপেক্ষা শত সহস্র যুগ

জানি  

কেও বুকের গভীরে মাথা রেখে দৃষ্টি রাখে 

ভালোবাসে।


Monday, October 19, 2020

বিসর্জন

 

বিসর্জন 

... ঋষি 


আমি জানি তুমি ভুল করেছো 

আমার বুকের গভীরের প্রতিটা স্পন্দনে আজ তাই বাজে বিসর্জনের সুর ।

আমি জানি তুমি লুকিয়ে রেখেছো 

আবাহনে জন্ম নেওয়া রক্ত নদী আজ   আবারও শুধু অপেক্ষায়

কলিঙ্গের মাঠের ইতিহাসে পুনর্বাসন 

আবার বুকে যুদ্ধের শঙ্খের আবাহন। 

.

চলে যাবে তুমি 

ঢেকে রেখোনা অভিশাপ তোমার স্তনের ভাস্কর্যে  বনস্পতি

জানি পাপ নেই, আছে গণিত ও খাবার

পুরুষ  আর প্রেমিকার সংজ্ঞাটা তোমার কাছে বদলায় নি আজও।  

স্তন ছুঁয়ে দিলে মায়া হয় না 

এমনটা জানা যায় লক্ষ লক্ষ যৌন পাখি আজ শুধু প্রত্যুত্তরে 

লুকিয়ে থাকে তোমার সাজানো ঘরে। 

.

সকলে জানে না সে কথা 

জাহাজ আর সাগরের গভীর প্রেমের গল্পটা এই সময় চিত্রকল্পে টাইটানিক। 

প্রমান সপক্ষে সময়ের জ্বর হলে 

সবকিছু ছিন্নভিন্ন হয়ে শুয়ে থাকে বিষাক্ত শারদীয়ার। 

তুমি কি জানো

আমি পৌরানিক অদিতির বুকে মিথ্যে হয়ে জন্মেছি 

আমার অসুর জন্ম। 

জানি অক্সিজেন কমে আসছে

জানি সময়ের  ছুটি হলেই তোমার বাড়িতে তখনও অদবদল 

তুমি তো একলা থাকতে পারো না আমার মতো, 

তুমি জানো না 

অসুরের বুকে তোমার পায়ের আলতার রং জ্বল জ্বল করে একলা সময়ে 

আর বিসর্জনের পরও একটা অপেক্ষা থাকে 

আবারো একবার শারদীয়ার কাঠামো কুঁড়োনোর। 


সুপ্রভাত নিষিদ্ধ


 সুপ্রভাত নিষিদ্ধ 

... ঋষি 


গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকা অপেক্ষা 

মাংসের দরজা খুলে বেরিয়ে এলো মানুষ। 

মানুষ একা,নতুন কোনো কথা আমার বলা হলো না ।

সময়ের গভীরে শুয়ে অসংখ্য চরিত্রহীন শব্দের  অসংখ্য ঠিকানা 

 মাংসের গন্ধে সময় কেঁদে ওঠে। 

.

জানালা দিয়ে জ্যোৎস্ন্যা  আসে

 আসে বুকের ভিতর দাঁতে লেগে থাকা মাংসের টুকরোগুলো 

একলা নেমেসিস্ দাঁড়িয়ে থাকে পাহারায়

পাগল বোধহয় 

খুঁচিয়ে তুলি জান্তব জীবন ,

রমনীর কোলে মাথা রেখে হল্কা মারে আগুন 

জীবন যেন গুছিয়ে বসে আজকাল একলা ফোকলা দাঁতে।

.

রমনীদের  উচ্চতা আমার থেকে ছোট কিংবা বড়

সম্পর্কে কি দাঁড়ায় 

পুরুষের ভিটেতে একলা গাছের তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপেক্ষা,

জানি আমি কারণ

আমার নিজের প্রতি ঘৃনা আছে। 

তাদের নিয়ে লিখিনি 

তাদের কোমরের কামড়ায় মেদ 

 ভাত খেতে দিলে আমি চেটেপুটে ঘষে তুলি থালা শুদ্ধ। 

টেনে সময় কমাতে গেলে ব্লাউজ খুলে যায় 

অশ্লীল শব্দদের ভিড়ে জীবন জলকেলি খেলে, 

পরিবার প্রকল্পে আমি দেখে শুনে শিখেছি 

আমার কবিতার তোমায় ছাড়াও জন্মায়।  

যেমন বহু  ছাত্রী সুন্দর মাস্টারমশায়ের স্বপ্নে নদী ভেজায় 

ভাঙে  নিশিদ্ধ পর্দার ওপারে বেড়াজাল,

সুপ্রভাত নিষিদ্ধ। 

.

ঠোঁট সেকে সেকে উচ্চারন করি ফ্রকভরা দুপুর

আমার বুকের কোটরে এক নিঃশ্বাসে খিলখিল করে হাসছে কেউ 

অথচ বুকে রাখা ছাইদানি।


Saturday, October 17, 2020

আর্যপুরুষ




আর্যপুরুষ
.. ঋষি 
.
আমাকেও ছিঁড়ে ফেলা যায় তবে
আমাকে ছিন্নভিন্ন করে আর্যপুরুষ রুপে করা যায় মুন্ডন। 
কিংবদন্তী ছুঁয়ে প্যাট্রোক্ল্যাসের গল্পে কেউ বাঁচে নি
এমকি অ্যাকিলিসও না, 
কেমন উন্নত শুনতে সংসারী  আর্যপুরুষ সময়ের অরণ্যে নিরুপায়
আর অসহায় সর্ব সহায়। 
.
আকাশ ভেঙে ছুটে আসে ভোরের আলো
একফালি সাদা চাদরে শুয়ে আছে এক নারী আর পুরুষ, 
পরিচয়ের কোন শরীর ছিল না কোন তাদের 
শুধু আশা ছিল শীঘ্র ঘুম ভাঙবে তাদের, 
অথচ পুরুষের প্রদক্ষীন ক্রিয়ায় সুর্যেরও গ্রহন লাগে কখনও
কারণ পুরুষ কখনই ঈশ্বর হতে পারে নি ক্রীতদাস থেকে। 
.
আমাকেও ছিঁড়ে ফেলা যায় তবে 
পাশাপাশি দুটো শরীর ঘুম ভেঙে উঠে বসতে চায়, 
ছাদের কার্নিশে পাখি ডাকে
একবার দুবার 
তুমি পাশফিরে শুয়ে থাকো সংসার বুকে, 
আর তখনি লোকটা কেঁপে ওঠে
লোকটার চোখ ছুঁয়ে যায় সেই আয়নায় যেখানে দাঁড়িয়ে আর্যপুরুষ।
আমি চোখ খুলি, আমায় দেখছো তুমি
তোমার সংসারের একটু ওপরে গড়িয়ে নামে সুর্য 
আমি সুর্য সফর। 
কত শান্ত তুমি 
কত স্মিতমন্ডিত তোমার উপস্থিতি, 
তবুও অ্যাকিলিসের শোক ছিল সমস্ত সত্তাজুড়ে
ইতিমধ্যে একলা দাঁড়ানো আর্যপুরুষ
একলাই হাসে
পাশে শুয়ে আছে তার প্রেমিকা অন্য সাম্রাজ্যে ।

Friday, October 16, 2020

তুমি চললে



তুমি চললে
.. ঋষি
 
তবুও শীতের রৌদ্র  ছিঁড়ে
আগামীর বুক পোড়ানী চৈত্র আমাকে ডাকে হঠাৎ,
জানি সব কিছুর উত্তর হয় না
হয় না বুকের কেবিনে শুয়ে থাকা বুদ্ধ মুর্তির নিরিবিলি ঘুম, 
ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ 
হঠাৎ ক্লান্তিতে ধুকতে থাকা চৈত্রর কুকুর মাটি শোঁকে তৃষ্ণায়। 
.
 যেখানে তোমাকে রেখে এসেছি
যেখানে লুকিয়ে রেখে এসেছি নিজেকে সগোত্রীয় বন্ধনে,  
সেখানে মাটির পাঁপড়িতে সোনালী কিছু স্বপ্ন ছড়িয়ে পড়ে 
জান্তব  কামারশালার অক্লান্ত লেলিহান শিখা রক্তে লাল হয়ে যায়, 
বুকের মাটিতে হাঁপরে রাখা নির্ভীক অক্সিজেন
চৈত্রের কুকুরের মতো মাটি শোঁকে।
.
চোখ খুলে রাখি কি বুজে? 
কৃষ্ণের একশো আট কথন ফরাসী চাদরে পুরনো বন্দরে ঘোরে,
মানুষের সভ্যতা
মৃত স্থাপত্য বুকে খোদাই করা আমার কফিন 
পাশের খালি কফিনে তোমায় দেখতে পাই। 
যখন শরত আসে 
আসে শারদীয় পুজোসংখ্যায় নিজেদের গল্পগুলো নতুন সাজে, 
যখন সারা শহরে আলোর সামিয়ানা, 
বুকের কাঁটাগাছের গরিবরেখা বরাবর দাঁড়াও
বাড়িয়ে দিও হাত কোন অবেলায়। 
কিন্তু তুমি আজ চললে
সাথে চলে যাচ্ছে আমার বুকের আলোর একশো আট নক্ষত্র। 
পরিযায়ী ছাঁচ আঁকা তোমার স্তনবৃন্তে আমার দাঁতের দাগ
সংরক্ষণ দরকার জানো আমাদের  রক্তপাতের কথোপকথন
নাহলে সব মিথ্যে
আমার কফিনের শেষ পেরেক শুধু তোমার অপেক্ষায়।  

সেলিব্রেটি




সেলিব্রিটি
.. ঋষি 

ফিরে আসা সময়ের কাছে প্রশ্ন
আমরা আসলে কেউই সাধারন হতে চাই না, 
সকলেই সাজিয়ে গুছিয়ে নিজেকে সেলিব্রেটি দেখতে চাই। 
এই যে যিশুর মূর্তির মুখে রোমান আদল
বুদ্ধদেবের মূর্তির মুখে গ্রিক আদল
ধনীর বখাটে ছেলের টি-সার্টে চে গ্যেভারার মুখ
এগুলো হলো মানুষের সাজানো গোছনো ইতিহাসের  ট্র্যাজিডি। 
.
আসলে সত্যি আমরা কেউ সাধারন হতে চাই না
আমরা সামান্য মানুষকে অসামান্যরুপে দেখতে চাই 
কিংবা অসামান্যকে চাই না সামান্যরুপে। 
আসলে আমরা বিশ্বাস করি রাংতায় মোড়া  বিজ্ঞাপনে 
আমরা বিশ্বাস করি চোখে দেখা সময়কে
কিন্তু আমরা গভীরে কেউ যাই না
ভাবি না
সময় আজ বাতাসের থেকে পলকা বুদবুদ মানুষের সফরে। 
.
আসলে আমরা কেউ সাধারন হতে চাই না
তাই সিনেমার পর্দায় গরীব ছেলেটাকে বড়লোক বাবার  বিরুদ্ধে
ভালোবাসায় জিতে যাওয়া নিয়ে আনন্দে ভাসি , 
কিন্তু পাশের বাড়ির ছেলেটাকে অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করায় পিঠ থাপড়ায় না
পিঠ থাপড়ায় না রিক্সাওয়ালার ছেলে মাধ্যমিকে টপ করায়। 
তাই আমরা রোমান শহরের নাজারেথ গ্রামের একজন ইহুদী কালো পাথর মিস্ত্রীকে
 ইতিহাসে ফর্সা যীশু বলে চিনি,
তাই আমরা গৌতম বুদ্ধকে
  কপিলাবস্তু শহরের একজন সমৃদ্ধিশালী কৃষকের পুত্র নয়
রাজপুত্র বলে চিনি , 
তাই আমরা কৃষ্ণকে কোন সাধারন মানুষ না দেবতা বলে পুজী। 
আমরা বড়াই করি  মানুষ সভ্যতা তৈরি করে
কিন্তু বিশ্বাস করি সভ্যতা মানুষ তৈরি করে। 
আমরা হাত দিয়ে ভাত খেলেও 
বিশ্বাস করি সেলিব্রেটি হলে হাতে ভাত খেতে হয় না।  
 

 

Wednesday, October 14, 2020

মন কেমনের সুর



 মন কেমনের সুর 

.... ঋষি 


শরতের মেঘে আগমনী সুর 

মেয়েটা আসছে ,

হঠাৎ কোনো এক দিনে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনবদ্য পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘে 

মন কেমন,

আসছে সে নিজের সাজে 

ঢাক ,ঢোল ,প্যান্ডেল মরশুমে তবুও মন কেমন। 

.

হঠাৎ  এই পৃথিবীর মাটিতে কাশফুল 

শরতের গন্ধ ,

বুকের ব্যাবিলনের কেমন এক অদ্ভুত মায়া  সেই মেয়েটার মুখে 

গর্জন তেল ,ফুলের মন্ত্র 

উচ্চারণে বুকের  মাঝে  আগমনী সুর। 

অপেক্ষা শেষে উৎসব উত্তাল এই শহরের বিবর্ণতা 

হঠাৎ কেমন ভোলবদল 

নিজের ছন্দে 

নিজের গন্ধে 

মন কেমন এই শরতের মেঘে মেয়েটার মুখ। 

.

যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।

নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥

যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।

নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥

মন্ত্রের সুখে ,মানুষের দুঃখে ,এই পোড়া দেশে এক সুখের লহর। 

সুখের ছবি আমার সাত বছরের ছেলের মুখে 

আচ্ছা বাবা ওই মেয়েটার দশ হাত কেন  ?

আচ্ছা বাবা ওই মোটা পেট ভুঁড়িওয়ালাটার সুর কেন ?

আচ্ছা  ওটা সিংহ ,ওটা ময়ূর ,ওটা ইঁদুর তাই ?


আমার পোড়া দেশে সেই আধ পেটা খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলো 

ধ্বংসের বুকের শরীর কুড়িয়ে নগ্ন সেই ধর্ষিত মেয়েটা 

সভ্যতার নামে  পণ্য মানুষের অস্তিত্বের জন্য 

বেজন্মা সভ্যতার যজ্ঞের আগুনে শিক্ষিত সেই বেকার প্রেমিক 

সেই সদ্য ফুল কুঁড়োনি যুবতীর হলুদ শাড়ি 

নতুন জামার গন্ধ 

নতুন আশার  আলো নিয়ে

অন্ধকারে সভ্যতার  প্রতিবাদ নিয়ে  মেয়েটা আসছে। 

সকলের মন কেমন 

সকলেই অপেক্ষায় 

এই বার পুজোয় সত্যি যদি সময় বদলায় 

যদি বদলায় সেই মেয়েটা মানুষের গভীরে শুয়ে থাকা দুঃখের গল্পগুলো। 


 


 

Saturday, October 10, 2020

কেন এমন হয়



কেন এমন হয় 
... ঋষি 
কেন হঠাৎ এমন হয় ?  
কেন হঠাৎ তোমার দিকে তাকিয়ে চোখ পাথর হয়ে যায়? 
কেন চৌদ্দতলার এপার্টমেন্টের ছাদের কার্নিশে বসা শালিখগুলো
পাশাপাশি বসে ঠোঁটে, ঠোঁট ঘষে,একে অপরের বুকে মুখ? 
কেন হঠাৎ বৃষ্টিতে নিজেকে ভেজাতে বড় ভালো লাগে? 
.
কেন হঠাৎ এমন হয়? 
কেন হঠাৎ অচেনা গরমের দুপুরে আমার হঠাৎ শীত করে ? 
কেন পথচলতি মানুষের ভীড়ে হঠাৎ শহর থেমে যায়? 
কেন হঠাৎ উস্কোখুস্কো চুলে শহরের গাছগুলো দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষায়
রাস্তার তিন মাথায় জামা, প্যান্ট ছেঁড়া ভোলা পাগলা আপন মনে গান গায় 
ম্যে শায়ের তো নহি..... 
.
কেন এমন হয়? 
কেন এমন হয়? 
কেন তোমার চোখের পাতায় স্বপ্নগুলো পুজো শারদীয়ার সংখ্যায় গল্প হয়ে যায়? 
কেন তোমার শাড়ীর রঙে শহরের কবিগুলো পাগল হয়ে যায়? 
কেন তোমায় একবার দেখার জন্য আকাশকেও অপেক্ষা করতে হয়? 
কেন তোমার জন্য লোকগুলো পাগলের মতো সংসার সংসার খেলে? 
কেন তোমার জন্য স্কুল, কলেজের গেটে বয়স অপেক্ষা করে? 
কেন তোমার ঠোঁটের হাসিতে আমার পাগল পাগল লাগে? 
মনে হয় আকাশের নক্ষত্রগুলো ঝরে পড়ুক 
মনে হয় নক্ষত্রের আলোর রশ্মির আমি একটা পোশাক বানাই
মনে হয় তোমাকে সেই পোশাকে সাজিয়ে আমি আদর করি
জিভ দিয়ে পরিষ্কার করি তোমার দুঃখ 
ঠোঁট দিয়ে চুষে খাই তোমার অধিকার
তারপর তোমায় কোলে নিয়ে বসি, 
সময় কেটে যাক, জীবন কেটে যাক 
আর কিছু নয় শুধু হঠাৎ মাঝে মাঝে কেন এমন হয়?  


Thursday, October 8, 2020

অশ্রাব্য নগ্নতা

 


অশ্রাব্য নগ্নতা 

... ঋষি 


কাগজ কুঁড়িয়ে একটা সভ্যতা চলছে 

কবির শেষ যাত্রায় নাকের তুলো ,চোখের তুলসীপাতা ছাড়া 

বুকে চন্দনের গন্ধ ,

তোমরা কি করছো 

গন্ধ শুকছো কুকুরের মতো 

কিংবা কেক কাটিয়া সেলফি পোস্ট করছো খোলা মিডিয়ায়। 

.

রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলো 

পদ্মাপাড়ের সেই মাগীটা কারণ সে পুরুষ নিয়ে ছেলে খেলা করে 

দিনদুপুরে খুন হয়ে গেলো

পথচলতি বর্ধমান মাস্টারমশাই যে আর্জেন্টিনা মেক্সিকোর চে কে বিশ্বাস করে

কিংবা বিশ্বাস রাখে শ্রমিকের রক্তে 

অথচ তোমরা ছোটজাত বলে শ্রমিকদের মৃত প্রায় গণিতের সংখ্যার মতো 

মুছে ফেলছো অংকের খাতা থেকে। 

.

চিৎকার আর চিৎকার 

ধর্ষণের খবরের সাথে মধু বিক্রি করছে রাষ্ট্র খবরের ভূমিকায় ,

মেয়েদের শরীরের নামে বিজ্ঞাপনে পর্ন 

বুকের ব্রেসিয়ার থেকে ,প্রেগনেন্সি চেক ,আন্টি প্রেগনেন্সি ডোস

ফুটো কন্ডোম ,মেয়েদের ঋতুর ন্যাতা 

সব শালা ভাদ্রমাসের কুত্তার মতো ছড়িয়ে দিচ্ছে সময়  সভ্যতায়।

সভ্যতা  তাই আজ সাত বছরের ছেলের কাছেও এতো খোলামেলা 

ন্যংটো শরীর ,

যে সে খুব সহজে তফাৎ করে আগামীর অন্ধকারের। 

আর বিরুদ্ধতা

পোশাকি ব্যাঙের প্রতিবাদ 

পুরুষ  ব্যাঙের বৃষ্টি নারীর সাথে সঙ্গম 

সব কেমন জানি কাগজে কলমে সাজানো সভ্যতা। 

.

তাই তো বলা কাগজে কলমে সভ্যতা আজ আধুনিক 

আর সময়ের চাদরে লেগে আছে খেটে খাওয়া মানুষের বুকের রক্ত ,

সেখানে কবি নেহাত কুত্তার মতো চিৎকার করা একটা লোক 

যে ভাদ্রের কুকুরের সঙ্গমে ভালোবাসা দেখে আজকের সভ্যতার ,

যে সময়ের ধর্ষণের খবরে হাসতে থাকে পাগলের মতো 

প্রায় মৃতপ্রায় মানুষের মতো জড়িয়ে ধরে নিজের নারীকে 

তারপর কাঁদে। 

যে নিজের মৃতদেহ পরে থাকতে নোংরা সভ্যতার কোনো এক নর্দমায় 

যেখানে সদ্য খালাস করলো নারী তার অবাঞ্চিত সন্তানকে। 

সেখানে প্রতিদিন বেঁচে থাকা কবির কাছে মৃত্যু যাত্রা

আর কলমের রক্তক্ষরণ 

সভ্যতার অশ্রাব্য নগ্নতা। 

   


শেষ না হওয়া কবিতা



শেষ না হওয়া কবিতা 
... ঋষি 
.
হঠাৎ নিজেকে নিজের শত্রূ মনে হচ্ছে 
জানতে ইচ্ছে করছে তুমি কি রঙের জামা পরে বেরিয়েছিলে 
খয়েরি হলুদ ,অলিভ -গ্রিন ,সাদা না সভ্যতার ,কালো না সমাজের। 
জানতে পারছি না  কিছুতেই 
খোলা খামে করে চিনে বাদাম চেবানো বিকেলে 
তোমাকে ছুঁতে পারছি না। 
.
কোনো আক্রোশ নয় 
শুধু একটাই অপরাধ তোমাকে ভালোবাসি ,
কোনো অবিশ্বাস নয় 
শুধু একটাই কারণ তোমার গভীরে থাকতে চাই 
যেখানে শুধু আমি 
যেখানে শুধু আমি ছাড়া আর কেউ না থাকে। 
জানি তোমার দুঃখের রঙে বদলেছে তোমার পোশাক 
তোমার ঠোঁটের হাসিতে বদলে গেছে সময়ের শহর 
তোমার চোখের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা কাব্য 
কেন জানি আমি ছুঁতে পারি না 
.
সবটা জানতে চাই 
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অবধি তোমার প্রতিটা ইঞ্চিতে আমি বাঁচতে চাই  
ভাবতেই  পারো পাগলামি ,
আসলে আমি তুমি ছাড়া কিছুই ভাবতে চাই না কখনো। 
অনেক কিছু জানতে চেয়েছি 
তোমার নম্বরে এতবার কল করেছি যে 
যদি এই সময়টা তোমার হাত ধরে হাঁটতাম পৌঁছে যেতাম হিমালয়ে ,
তবুও জানো জানতে পারি নি 
তোমার ঠোঁটের রং ,তোমার চোখের রং ,তোমার গাড়ির রং 
পরিপাটি চুলের বাঁধন 
আর চোখে কোমর দুলিয়ে হাঁটা
তোমার চারপাশে জমে থাকা হাজারো পুরুষের ভিড়ে 
আমি জানতে পারি নি তোমাকে 
খুঁজে পাই নি নিজেকে
বারংবার আমি ফিরে গেছি আমার গভীরে অন্ধকার রাতে ।

 

Tuesday, October 6, 2020

তোমাদের পুজো আমার কি

তোমাদের পুজো আমার কি 
... ঋষি 
আমার মনে হয় শেষের কবিতা লেখা হবে না
লুডোর এক ছক্কা পুটের মতো আমার ঘুটিগুলো আমার ঘরে
আর পাশের ঘরে 
ক্রমাগত শুনতে পাচ্ছি সাংসারিক শব্দ,
তোর রান্নার কড়াইতে ধিমি তাপে সেদ্ধ হচ্ছে আমার মাথার ঘিলু
যা পরিবেশনের জন্য রেডিওতে আমাকে শুনতে হচ্ছে মহালয়া। 
.
শরতের দিন 
ক্রমাগত পুঞ্জীভূত মেঘ আমার শহরের ছাদে আজ অন্য শহর, 
আর তোর সিঁদুর রংএর ছাদের নিচে 
মা দুর্গার মুখ গর্জন তেল মেখে আরো বেশি ঝলমলে।
রৌদ্র আর মেঘে মাঝে তফাৎ ছিল চিরকাল
আজ রাস্তার পাশে ভিখীরি শিশুর মতো নির্বিকার 
তোমাদের পুজো আমার কি? 
.
আমার মনে হয় শেষের কবিতা লেখা হবে না আর 
আর তো কদিন বল 
তারপর ফুরিয়ে যাবে। 
আজ পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল, কাপড়, দড়ি, বাঁশ
রাস্তার প্রতি মোড়ে বিজ্ঞাপন 
অমুক পাড়ার সেরা পুজো,তমুক পাড়ায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভা 
তারপর ফিরে আসা সেই বিষাদ
সেই বিষাদের সুর। 
আজ আমার শহর জুড়ে আগামী কোন দিনের স্বপ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে
আজ আমার সময় জুড়ে তোর ঠোঁটে  লেগে থাকা আমার মৃত্যুর বাণী
তোর ভবিতব্য, 
সবটুকু ব্যক্তিগত, 
সবটুকু আমরা জানি তবুও দিনযাপন  আশার দিনে। 
সময় আসে, সময় বদলায়
প্রতি বছর আমার শহরে ফুটপাথে মানুষগুলো ভাবে সামনে বছর 
সামনে বছর ঠিক..... 
তারপর  মনে মনে বলে
তোমাদের পুজো আমার কি? 


  
 

ভালো থাকতে



ভালো থাকতে
...ঋষি
প্রশংসা চাই নি,প্রতিবাদ চেয়েছি 
চলন্তিকা বলে কলম যেদিন রাস্তায় এসে দাঁড়াবে বেশ্যাদের পাশে
সেদিন দিন বদলাবে, 
সাজানো বেশ্যার মাটি ছুঁয়ে দেবী  আরাধনা
রাস্তার কুকুরের ভাদ্রের মতো চোখে লাগে আজকাল
আর বুকে লাগে মানুষের সময়ের দালাল হয়ে যাওয়া। 
.
সুন্দর, অনবদ্য আর দারুন শব্দের মতো কবিতা আমি চাই নি
চেয়েছি কলম বিপ্লবীদের গলায় শ্লোগান দিক, কামানের মতো চিৎকার করুক 
চিৎকার করুক মানুষ জনতা স্টোভের মতো
ধর্ষিত থেঁতলানো শরীরের মতো, 
কবিতা হয়ে যাক মানুষ বলে প্রজাতির বুলেট
আর প্রতিটা বুলেটের  বারুদ প্রজাপতি হয়ে মানুষের বুকে মানুষ জন্ম দিক। 
.
 প্রশংসা চাই নি, চেয়েছি মানুষের সুখ
চেয়েছি অন্ন সেই ক্ষুদার্থ বালকের আগামীর শৈশবের জন্য
চেয়েছি শিক্ষা অন্ধকারে থাকা প্রতিটা অগনতি বস্তিতে প্রগতীর আলোর জন্য
চেয়েছি চিৎকার সত্যি গনতন্ত্রের  জন্য
চেয়েছি মৃত্যু ধর্মের নামে জাতীয়তাবাদের 
চেয়েছি নারী সম্মান, চেয়েছি মানুষের অধিকার 
চেয়েছি সাদা ভাতের গন্ধ আমার সোনার দেশে 
চাই নি অশিক্ষা, চাই নি বর্বরতা, চাই নি পলিটিক্সের নামে দালালের পেট পুজো
চাই নি সাজানো ঝকমকে সভ্যতার আলোতে বোকা মানুষ
চাই নি দেশ ভাগ, চাই নি মন্দির, মসজিদ গীর্জায় সাজানো ঈশ্বর
চাই নি  প্রতিমুহূর্তে ভীত ত্রস্ত আমার মা, বোনদের 
চাই নি চোখ বন্ধ ন্যাংটো সভ্যতা আর বিজ্ঞাপন 

চাই নি আমি কবিতা লিখতে,
বিশ্বাস করো চলন্তিকা আমি চাই নি কবিতা লিখতে 
আমার পোড়া দেশে প্রতিটি ভারতবাসীর মতো আমিও চেয়েছি হাসতে
ভালোবাসতে 
ভালো থাকতে।

বৃষ্টির জল

 
বৃষ্টির জল 
... ঋষি 
মাঝে মাঝে হঠাৎ আমার বৃষ্টি হতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে নাগরিক শহরের ধুলোর আস্তরন ধুয়ে দিয়ে 
সারা শহর জুড়ে সত্যি লিখি।  
ইচ্ছে করে সারা শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায় 
সাথে ছাতা না থাকুক 
পায়ে জুতো না থাকুক 
থাকুক সত্যিগুলো চোখের সামনে যেগুলো বড় কামড়ায়। 
.
মাঝে মাঝে হঠাৎ বৃষ্টি হতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে রং দিয়ে সাজানো মানুষের মুখোসগুলো জলে ধুয়ে
সত্যির মুখ দেখতে। 
ইচ্ছে করে সারা শহরে প্লাস্টিক স্মাইলের আড়ালের যন্ত্রনাগুলো
সাদা পাতায় লিখতে,
কোনো রং নয় 
কোনো অজুহাত নয়
বৃষ্টিতে ভেজা সবুজ পাতার মত সরল 
শেওলা ঢাকা পুকুরের মত সহজ 
যাতে মাটির বৃষ্টি ভেজা গন্ধ সহজ সরল। 
মাঝে মাঝে হঠাৎ আমার বৃষ্টি হতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে কান পেতে শুনতে শহরের ফুটপাতে বৃষ্টির শব্দ, 
তোমার পায়ের শব্দ। 
বৃষ্টি ভেজা শহরের বাস স্ট্যান্ডে তুমি যেন একলা দাঁড়িয়ে 
কিংবা শহরের কোনো একলা গলিতে তুমি রিক্সা থেকে নামলে
রাস্তার জমা জল তোমার গোড়ালি ভিজে
তুমি নাক ক্যোঁচকালে 
তারপর বৃষ্টিতে ভিজে এগিয়ে দিলে আমায়। 
.
মাঝে মাঝে হঠাৎ আমার বৃষ্টি হতে ইচ্ছে করে 
ভিজে একসার, যেমন শালিখ
গাড়ির উইন্ডস্ক্রীনে জল, 
সারা শহর 
ভিজে চলা অবিরত টাপুর, টুপুর। 
ঠিক তখন আমার তোমায় মনে পড়ে
বৃষ্টিতে ভিজে কোন একলা দুপুরের একলা শহর
আমার কবিতায় গড়িয়ে নামা বৃষ্টির জল। 



আরেকটা দিন




আরেকটা দিন 
... ঋষি
অনেকদিন চিৎকার করতে ভুলে গেছি
অনেকদিন লিখতে ভুলে গেছি ভালোবাসি শব্দটা, 
অদ্ভুত যন্ত্রনা
ভালোবাসি শব্দটা কেন যে অসহায় এত? 
জীবনের পর্যায় লবনের দ্রাঘীমাংসে অনবদ্য মনখারাপী মেঘ 
মনখারাপ আমার শহরের লুকোনো গোপনতায়। 
.
ক্রিয়া বিক্রিয়ার তফাৎএ
হারিয়ে যাওয়া ডাকবাক্স আমার শহরের রাস্তায়, 
হাতে লেখা চিঠিদেরও তো মনখারাপ হয়। 
মনখারাপ ডাকপিওনের বার্তা হারানো শৈশব বলে প্রান্তিক গ্রাম
ছিটকিনি দিয়ে আটকানো মনের জানলা
আকাশেরও তো মনখারাপ হয়। 
.
অনেকদিব চিৎকার করতে ভুলে গেছি
অনেকদিন লিখতে ভুলে গেছি ভালোবাসি শব্দটা,
মাঝে মাঝে মনে ভালোবাসা ছাড়া সত্যি কিছু হয়? 
সত্যি কিছু হয় কারণ ছাড়া? 
.
তোমার শহরে নিয়ম বাঁধা চানাচুরের ডাব্বা,মুড়ির কৌটো
আমার শহরে ফুটপাথে থাকা খালি কৌটো
আর কারণ, 
তোমার শহরে একলা মেয়ে বৃষ্টি ভেজা বিকেল বেলা
আমার শহর বৃষ্টি ভেজা দাঁতে দাঁতে বিলাসভুষন
আর কারণ,
তোমার শহতে অনবদ্য আবৃত্তি, দারুন কবিতা
আমার শহরে সন্ধ্যা আরতি ফুরিয়ে যাওয়া দিন
আর কারণ 
আরেকটা দিন। 

কি করবি তুই ?




 কি করবি তুই  ?

... ঋষি 


আমি যদি ফুরিয়ে যায় কোনোদিন 

যদি কোনোদিন আমার হাতের কলমের  যন্ত্রণাগুলো 

সময় পাল্টে দেয় ,

কি করবি তুই ?

শ্রাবণ মাস ফুরোলো বলে তুলে রাখবি ছাতা ,রেইনকোট 

তারপর নতুন কোনো জার্সিতে বাঁশি বাজাবি। 

আমি যদি কোনোদিন ফুরিয়ে গিয়ে 

নিতান্ত অপদার্থ এক অজনবি ফকির হয়ে যায় ,

যদি গিয়ে দাঁড়ায় তোর দরজায় 

এক মাথা চুল ,তপস্যার না কাটা দাড়ি ,ধারালো চোখ ,

কি করবি তুই ?

ভয় পাবি ?

চিনতে পারবি ?

কিংবা আসন পেতে দিয়ে আমার পায়ে মাথা ঠুকে বলবি

হারিয়ে গেছে ফিরিয়ে দেও 

ফিরিয়ে দেও। 

.

তোর কপাল জুড়ে লাল পর্দায় ছুঁয়ে থাকা সমাজ 

সুন্দর রং ,ঠিক স্বপ্নের মতো 

আমি রোজ রাত্রে নিয়ম করে ছুঁয়ে যায় আকাশের চাঁদ আমার ঠোঁটে। 

আমি বড়ো বেহিসাবি 

ধর কোনদিন আমি বদলে গিয়ে 

তোর  অজান্তে বাড়তে থাকা  বেহিসাবের যদি  হিসেবে করি ,

যদি কোনো এক মুহূর্তে 

তোর স্পন্দনে থাকা আমার দাঁতের দাগের নকশা আঁকি 

কিংবা ছুঁয়ে দিতে সমাজের সফরে তোর স্পন্দন ,

কি করবি তুই ?

সটান এক থাপ্পড় কষিয়ে বলবি 

জানতাম তুই একটা জানোয়ার ,জানতাম তুই একটা ইতর

আমারি ভুল বলে মিশে যাবি এই শহরের ধুলোয় , 

নাকি আমায় বুকে জড়িয়ে বলবি 

যন্ত্রনা হচ্ছে বাবু 

আমাকে লেখ তুই নিজের মতো করে

আমাকে ভেঙে গড়ে না নিজের মতো করে ।  


ভালোবাসার এক্সপায়ারি

 



ভালোবাসার এক্সপায়ারি 

.... ঋষি 

.

তোমাকে ভালোবাসি বললে প্যানপ্যানে কান্না মনে হবে 

মনে হবে ,কি মনে হয় জানি ,

আসলে পুরুষ  প্রাচীন মন্দিরের মতো অসংখ্য নারীকে ছুঁয়েছে

কিন্তু  অভিলাষে বাস করা পৌরুষত্বের দন্ড 

অনিয়মিত হিসেবে কষেছে নারী   মন্দিরের ধ্বজায়

সেখানে ভালোবাসা পুজোর শুকনো ফুল 

ভেক বদল করে ঈশ্বরের দরজায়। 

.

বড়ো শক্ত হয়ে গেলো  কবি 

কি করবো  ? জানি চলন্তিকা ,

কোলকাতা  প্রেমের  শহর কিনা জানি না 

তবে কলকাতার রাস্তায় ফুটপাথে খুব সহজে তুমি পেয়ে যাবে  

নারীদের বুকের কাপড়। 

তুমি জানো কি ?

একলা হওয়ার পরামর্শে বাড়তে থাকে আমার শহর 

কখন যেন আমার অজস্র প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাস ফেলে ,

ডাকা হয় ফেলু বাবুকে ইনভেস্টিকেশনে 

ফেলু বাবু  চারমিনার  জ্বালিয়ে তোপসেকে বলেন 

 বুঝলি  তপসে পুরুষের ভালোবাসা মেয়েদের বুকে ঢাকা থাকে।

তোপসে মাথা নাড়ে 

অথচ কাবিলিয়াত শব্দের মানে বোঝে না

বোঝে না মেয়েদের বুকের ঢাকনা খুললে কি হয় ।   

.

তোমাকে ভালোবাসি বললে প্যানপ্যানপেনে কান্না মনে হয় 

জানি ভালোবাসারও  আজকাল এক্সপায়ারি আছে ওষুধের মতো ,

তবু তোমাকে বলা চলন্তিকা 

ভালোবাসি শব্দটা আসলে একটা হাহাকার 

যারা ভালোবাসে তারা জানে ভালোবাসলে সকলেই রুগী হয়ে যায়  

পুরোনো  টেলিভিশন ডেড হওয়ার মতো 

তাদের পৃথিবীর বাটন হঠাৎ কেন জানি অচল হয়ে যায়, 

তাদের ভাষা বিক্রি কমে যায় 

 বেড়ে যায় সিগারেটে পোড়ানো সময়। 

.

আসলে কোলকাতা কেন ,সমস্ত শহর নগর বন্দর 

আমার প্রেমিকার শহর ,

যেখানে পোশাকে ঢাকা মন্দিরগুলোতে পুরুষ নাবিক কম্পাস ঘোরায়  

মেপে ফেলে স্তন ,মেপে ফেলে উরুর উষ্ণতা 

অথচ মন্দিরের গভীরে গিয়ে হারিয়ে যায় হঠাৎ পরাক্রমী ব্যাকুলতা ,

তখন শনিবারের মাংস রবিবারে বাসি হয়ে যায় 

বর্ষার জন নিরস্ত্র হলেও মন্দিরের শরীর ভেজায় 

আর মন বলে এক্সপায়ার ভালোবাসার কথা। 

 

Sunday, October 4, 2020

ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা




ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা 
... ঋষি
একাধিক হত্যার পর বসন্ত বিছানায় পড়ে আছে যন্ত্রনা
চোখ খুলে দেও
খুলে দেও বিপন্ন ভারতবর্ষ,
 তোমার গর্ভ স্থাপন করো জলে, স্থলে অন্তরীক্ষে
জন্ম হোক মানুষের চরিত্র 
জন্ম হোক চোখের পাথরে তফাৎ রাখা দর্শন,
পাথুরে আদমের বুকে নারী কোন ক্রিয়ার ঘটক নয়
হোক গর্বিত ভারতবর্ষের সন্তানের মা। 
.
ওরা তুলে নিয়ে গেলো তোমাকে
আমি দেখলাম, আপনারা দেখলেন গ্রাউন্ড লেভেলে নেমে 
একটা মেয়েকে, একাধিক ভারতবর্ষকে কিভাবে চুষে খায় নৃশংসতা। 
আপনার একহাতে ভারতবর্ষের স্তন 
আপনার অন্যহাতে ভারতবর্ষের গলার নলি 
জানি আপনি সাধু 
কিন্তু আপনার সাধের ভারতবর্ষ আজ বিকৃত বসন্তে মৃতপ্রায়। 
.
নমস্কার  আমি ভারতবর্ষের সাধু নাগরিক
নমস্কার আমি আজকের সময়ের সময়ের ভারতবর্ষের খবর
যে দেশে নারী শরীর বাজারী মাংসের থেকে সহজলভ্য 
যে দেশে নারী সম্মান বাড়ির পোশা কুকুরের সমান 
সে দেশে যা হোক 
আমাদের সন্তান মায়ের গর্ভ পেলেও 
মানুষ হবে না। 
.
সব সত্যি মানুষের গা সওয়া
কিছু মিথ্যে রাষ্ট্রে কাছ দিয়ে শোনা
তবু কিছু সত্যি বুকের পাঁজরে জমে থাকা পাথুরে যন্ত্রনা
কিছু পাথরে নিজেদের চোখে আমরা নিজেরাই দোষী
ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা আজ বড় কাঁদছে
চিৎকার করছে 
সম্মান চাইছে......  সম্মান।
আর আমরা সাধু ভারতবাসী যন্ত্রনায় জর্জরিত হয়ে 
নিহত, নির্লজ্জ সাজে আজও ফুপিয়ে কাঁদছি পাশ ফিরে
সামনে শুয়ে আমার নগ্ন থেঁতলানো স্ত্রী, কন্যাসন্তান 
যারা আমার ভারতবর্ষ। 
.
তাই বলা 
জাগুক  ভারতবর্ষ
জাগুক যন্ত্রনা
জাগুক  নির্ভয়া, জাগুক প্রিয়াংকা
জাগুক সাঁওতাল পরগনায় পাওয়া সেই থেঁতলানো শরীর
জাগুক উত্তরপ্রদেশের পুড়িয়ে দেওয়া সেই বছর চৌদ্দের মেয়েটা
জাগুক বিহারে সেই বস্তা বন্দী পাঁচ বছরের মেয়েটা
জাগুক আমার শহরের অলিতে গলিতে  ঘুমিয়ে থাকুক আগামীর পিতারা
এবার প্রতিবাদ দরকার
এবার দরকার আমার বিপন্ন ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা রনচন্ডালী রুপ।
আসুন সময় হলো,ঘুম থেকে জাগুন
চলুন আগুনে পুড়িয়ে দি 
কিংবা কেটে নি সেইসব পাপিষ্ট পুরুষাঙ্গকে
যারা আমার ভারতবর্ষকে  
আমাদের নিজের আয়নায় মুখ দেখতে লজ্জা দেয়। 



সম্পর্ক (৪)



সম্পর্ক
... ঋষি
.  
নিঃশব্দে ছন্দপতন
ঈশ্বর বিশ্বাসী হতে হতে মানুষের মন্থনে উঠে আসছে বিষ।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা
সম্পর্ক শব্দটা সামাজিক ব্যাকরণ বিধানে রুদালির চরিত্রে দিনযাপনে
আর পারস্পরিক ক্রিয়ায় উঠে আসছে নিয়ম 
নিয়মমাফিক কিছু শর্ত দৈনন্দিন বাজারের ফর্দতে। 
.
বিশ্বাস  কাঁদছে কোথাও 
প্রথাগত পুরুষ লুকিয়ে চুমু খাচ্ছে অফিসের ক্লার্ককে
কিংবা নিয়মিত বাথরুমে শালির সাথে ঘুমিয়ে উঠছে অর্ধেক স্বপ্নে,
প্রথাগত নারী স্বামী বাজার গেল বলে প্ল্যান করছে আগামী উইকএন্ডের
কিংবা বয়ফ্রেন্ডের থাইএ চুমু খেয়ে বলছে 
সোনা তোমার মত কেউ নেই। 
.
অদ্ভুত বিশ্বাস
অদ্ভুত অন্ধকার 
একটা মিথ্যের উপর দাঁড়ানো সভ্যতা হরপ্পার ধ্বংসস্থুপে দাঁড়িয়ে
পারিবারিক সেল্ফি তুলছে বর্তমান সভ্যতাকে সাক্ষী করে,
অথচ কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না
কেউ কাউকে ভালোবাসে না   
অথচ সাজানো হাসিতে কত সুন্দর পরিচিত আমরা। 
মাঝে মাঝে মনে হয় এই সভ্যতার বিষ পুরাণে সমুদ্র মন্থনের কারণ ছিল
কারণ ছিল পৃথবীর সবুজ সরলতা ধবংসের,
আজকের চারদেওয়ালে থেকে আমরা গড়ছি ঘরের ভিতর ঘর
আজকের সাজানো সম্পর্কে থেকে আমরা ভাবছি কত সুখী,
অথচ আমরা কেউ সত্যি বলছি না
সত্যি ভাবছি না 
শুধুমাত্র সময়ের চারদেওয়ালে বন্ধ আমরা অধিকাংশ উত্তর খুজছি
কেউ ভয় পাচ্ছি না যে 
এই ভাবে নকল সম্পর্কে বাস করতে করতে 
আমরা না নকল হয়ে যায়। 




     

আজকের কবিতা




আজকের কবিতা
..ঋষি 
ব্যাপার হলো কবিরা সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে
মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে চুষে চলেছে প্রেমের থুড়ি রাষ্ট্রের স্তন, 
চোখ বন্ধ করে কবিরা শব্দদের নিয়ে বেশ্যালয় খুলছে 
যেখানে তারা দিনলিপিতে নিজেকে লিখছে ঈশ্বর করে। 
আরে না না আমি মশাই কবি না
 আমি খিদের স্যিগনেচারে ভোট দি 
আর রেশন থেকে তুলে আনি চলন্তিকাকে খিদের দামে। 
.
বিকৃতভাবে রং করা কবিদল আজকাল ভার্চুয়ালে নেমেছে কলম হাতে
জানি না কোথা থেকে চুল খোলা মেয়েরা জুটেছে তাদের সাথে,
স্বপ্নে খিচুরি চলছে 
আর কবিদের কলম থেকে বেড়োচ্ছে চ্যাটচ্যাটে প্রেম 
আর শরীর। 
আর আমি খুঁজে পাচ্ছি সময়ের রাস্তায় রক্তের গন্ধ শুষছে কুকুর 
আর সেই রক্ত চাটছে সাধারন মানুষ,
অদ্ভুত হলো চলন্তিকাকে পাচ্ছি আমি বারংবার ধর্ষিত সভ্যতায়। 
.
আমি প্রকৃতি খুঁজছি
দেখছি হাফ প্যান্ট পরে - ন্যাংটো ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পরছে পুকুরে
চিত সাঁতার কাটছে, 
কিংবা আম বাগান থেকে দুর্গা বলে মেয়েটা কচি আম চুরি করছে 
অথচ অবাক হলো
কবিরা এখন আয়না চুরি করছে সময়ের 
লুকিয়ে রাখছে শাসনের খাপে সারি দেওয়া মিথ্যে শব্দের ভাঁজে। 
আমি কিন্তু কবি না
কিন্তু জানি কবিদের ঈগলের চোখ,শামুকের গতি আর আকাশের ভাবনা
সময় বদলাতে পারে
বদলাতে পারে সভ্যতা,
অথচ আজকের কবিদের কলম কেন এত ভীরু
কেন এত স্বার্থপর 
কেন  আজকের কবিতার শব্দরা জ্বালিয়ে দিতে পারে না মিথ্যে
সাজানো সভ্যতার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে 
কেন মানুষকে সত্যি বলতে পারে না। 


মানুষ অবতার


মানুষ অবতার 
...ঋষি 

আমি কিছু বলি নি 
আমার বা আমাদের  কিছুই বলার ছিল না কোনদিন, 
সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া ঈশ্বর
এই রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্রপরিষদ, উপর তলা,নীচ তলা,
শুধু জানতে ইচ্ছে হয়েছে সেই শৈশব থেকে আমরা কোন তলা? 
.
আজ কিছুদিন হলো স্পষ্ট দেখছি  ঘোমটা সরিয়ে ঈশ্বর 
সময়কে, মানে আমাকে,মানে তোমাকে 
 ক্যাচকলা দেখিয়ে বলছে ওপরের বারান্দা থেকে
কলতলা না হলে গাছতলা তো বটেই। 
আসলে বক্তব্যে ক্রুটি নেই 
আমরা তো থাকি গাছের তলায় আর থাকি চোখে জলে
মানে কলতলায় 
পা পিছলে পড়ি প্রতিদিনকার রাষ্ট্রনীতিতে 
আবার উঠে দাঁড়াই, কারন আমরা লাথ খেতে অভ্যস্ত। 
.
আমি কিছু বলিনি
আমরা মানে আমি, তুমি,আপনারা যাদের আকাশের তলায় ঘর
আমরা কিছু বলিনি? 
আমরা রাতে তারার দিকে তাকিয়ে ভবেছি
যাক আজকের দিনটা কেটে গেলো, 
অথচ প্রতিদিন বাড়তে থাকা দ্রব্যমুল্য, পেট্রোলিয়াম, রাজার ভাষন
প্রতিদিন ধর্ষন, বোমা বাজি, চুরি, ডাকাতি, চোখ রাঙানি 
আমরা মেনে নিচ্ছি,
কাটতে থাকছি রোজ জীবন থেকে নিত্য প্রয়োজনীয়তা 
অথচ কাটতে পারছি না সত্যিগুলো, 
বুকের ভিতর রোজ রক্তক্ষরনে ধ্বংস করছি নিজেকে 
দাঁতে ঠোঁট চেপে রক্তাক্ত আমরা 
অথচ ভাঙতে পারছি না মিথ্যাগুলো,
শুধু ধিকি ধিকি আগুন বুকে আমরা কিছু বলতে পারছি না। 
.
আমি কিছু বলি নি
তবে আমি বলতে চেয়েছি আয়সা দিন নেহি রেহেগা
তবে আমার সাথে তুমি বা আপনারাও বলতে চেয়েছেন জানি
মশাই মানে ঈশ্বর আপনাকে,
এখনও সময় আছে 
কারণ সভ্যতার ইতিহাস সাক্ষী 
রাষ্টের ভীত দাঁড়িয়ে থাকে আমাদের মত মানুষের উপর 
আর আমরা যদি একবার  ধবংসের পুজারী হই
তবে আপনি ঈশ্বর দাঁড়াবেন কোথায়? 
ভেবে দেখবেন এই যুগে কলি অবতার না সাধারন মানুষ হয়ে যায়। 
  




 

Friday, October 2, 2020

প্রশ্ন ?

 


প্রশ্ন ?

... ঋষি 

.

যোগী কি মোদী সেটা কথা নয় 

কে কার বাবা ,কে কার ঠাকুরদা সেটাও কথা নয়,

উত্তরপ্রদেশ কি অরুণাচল প্রদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গ 

ভারবর্ষ ,আরব কিংবা আমেরিকা এগুলোও কোনো প্রশ্ন নয় 

প্রশ্ন হলো  

এমনটা হবে কেন  ?

.

সতী কিংবা সতীত্বের কথা নয় 

ভার্জিন কিংবা ভার্চুয়াল সেটাও কথা নয় ,

বেশ্যা ,গৃহস্থ সংসারী ,কলেজটুডেন্ট কিংবা বৃদ্ধা কোন 

রাত্রি ,সকাল ,দুপুর বিকেল এগুলোও প্রশ্ন না 

প্রশ্ন হলো 

এমনটা হবে কেন ,বারংবার  ?

.

পুলিশ আছে ,গদি আছে ,বলিযুড আছে ,সাদা ,কালো রং আছে 

বাড়িতে মা আছে ,বোন আছে ,স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা 

আরে একটা নিজস্ব যোনি থাকতে পারে ,নাও পারে 

আপনি মদ্যপ হতে পারেন, নাও হতে পারেন

এগুলো কোন প্রশ্ন নয় 

প্রশ্ন হলো এই বিংশ শতাব্দীতে নারীরা কত সুরক্ষিত ?

ধর্মাবতার গত ১৪ দিন একটা মেয়ে হাসপাতলে লড়াই করলো মৃত্যুর সাথে 

হতে পারে সে আদিবাসী , হতেই  পারে সে গরিব 

হতে পারে সে একটি নারী শরীরের অধিকারী 

এগুলো কোন প্রশ্ন নয় 

প্রশ্ন হলো

একজন মহিলাকে তার মনের বিরুদ্ধে কি করে ধর্ষণ করা যেতে পারে ?

কি করে পুলিশ নির্যাতিতার লাশ কেরোসিন তেলে পুড়িয়ে দিতে পারে ?

এটা কোন দেশ ?

এটা কোন সমাজ ?

এটা কোন সংস্কৃতি ?

এটা কোন সময় যখন আমরা সাধারণরা শুধু মুক ?

.

প্রশ্ন হলো 

একবার না বারংবার ,

উত্তরপ্রদেশ ,দিল্লী ,পশ্চিমবঙ্গ আর কত দিন ?

আর কত দিন মেয়েরা এইভাবে নিয়মিত মুখোমুখি হবে সময়ের ভয়াবহতার ?

আর কতদিন আপনি বলবেন আমার দোষ না 

দোষী বলবে আমি বুঝতে পারি নি ?

আর কত দিন মেয়েদের শরীরটা শুধুমাত্র পুরুষের অধিকার হয়ে থাকবে ?

আর কত দিন আমার শহর ,দেশ 

সর্বোপরি আমরা 

চুপ থাকবো ,

অপেক্ষা করবো আগামী একটা ধর্ষণের ?





চরিত্রহীন

আমার দুহাতে তোমার স্তন  দুটো হাতবোমা, এই সভ্যতার ধ্বংস চাই  আদমের জারজ আমি  তবুও তোমার সঙ্গমে জন্ম চাই  একটা জীবন, একমাত্র তুমি শুধু কবিতায় ...